মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে, মহান আল্লাহর ইবাদতেই বান্দার যাবতীয় কল্যাণ নিহিত। বান্দার সফলতা ও স্বার্থকতা তাঁর আনুগত্যের মধ্যেই। তবে তা হতে হবে সহনীয় মাত্রায়। নিজ সামর্থ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে। ইবাদতে আগ্রহ থাকা আবশ্যক। তাই চাপ নিয়ে ইবাদত করতে রাসূলুল্লাহ নিরুৎসাহিত করেছেন কঠিনভাবে। তিনি বলেন,
إياكم والغلو، فإنما أهلك من كان قبلكم الغلو . رواه الإمام أحمد والترمذي وابن ماجة من حديث ابن عباس رضي الله عنهما .
তোমরা অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি হতে সতর্ক থাকো, কেননা বাড়াবাড়ি তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। [আহমদ, তিরমিজি ও ইবন মাজাহ]
বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না বরং এটি একটি ধ্বংসাত্মক প্রবণতা। তাই নবীজী বারবার উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক হাদিসে এসেছে,
وعن ابن مسعودٍ رضي اللَّه عنه أن النبيَّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : « هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ » قالَهَا ثلاثاً ، رواه مسلم .
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অযথা কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি একথাটি তিন বার বলেছেন। [সহিহ মুসলিম]
অন্য এক হাদিসে এসেছে,
عن أَبِي هريرة رضي اللَّه عنه أن النبي صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ ، ولنْ يشادَّ الدِّينُ إلاَّ غَلَبه فسدِّدُوا وقَارِبُوا وَأَبْشِرُوا ، واسْتعِينُوا بِالْغدْوةِ والرَّوْحةِ وشَيْءٍ مِن الدُّلْجةِ » رواه البخاري .
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহর দীন সহজ। যে ব্যক্তি এ দীনকে কঠিন করেছে তার উপর তা চেপে বসেছে। অতএব তোমরা সোজা পথে চল। মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। সুসংবাদ গ্রহণ কর। আর সকাল, সন্ধ্যায় ও শেষ রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা কর। [সহিহ বোখারি]
আমরা সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস সম্বন্ধে জানি, তিনি সারা দিন রোজা রাখতেন ও সারা রাত ইবাদতে অতিবাহিত করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে বললেন,
আমাকে সংবাদ দেয়া হয়েছে, তুমি নাকি দিনভর রোজা রাখ আর রাতভর ইবাদতে ব্যস্ত থাক? আমি বললাম, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ। তখন নবীজী বললেন, তুমি এমনটি করবে না। রোজা রাখবে ও ছেড়ে দিবে। অনুরূপ ঘুমাবে ও জেগে ইবাদত করবে। কারণ তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে, তোমার উপর তোমার দুই চোখের হক আছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে, তোমার উপর তোমার স্বাক্ষাতপ্রার্থীদের হক আছে। তোমার জন্য বরং মাসে তিন দিনের রোজাই যথেষ্ট। কারণ একটি নেক আমলের বিনিময়ে তোমাকে দশগুণ সাওয়াব দেয়া হবে। আর তখন এটা সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য হবে। কিন্তু আমি কঠোরতা অবলম্বন করলাম আর আমার জন্য তা কঠিন করে দেওয়া হল। আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি আরও সামর্থ রাখি। তিনি বললেন, তাহলে আল্লাহর নবী দাউদ-এর মত রোজা রাখ। এর বেশি করতে যেও না। আমি বললাম দাউদ আ.-এর রোজা কেমন ছিল? তিনি বললেন, অর্ধ বছর। বৃদ্ধ বয়সে আব্দুল্লাহ বিন আমর আফসুস করে বলতেন, হায়! আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেওয়া ছাড় গ্রহণ করতাম। [ বোখারি ও মুসলিম]
সুতরাং, ইবাদত নিজ সামর্থ অনুযায়ীই করা দরকার। ইবাদতের হক আদায় করে নিজের মনের প্রফুল্লতা বজায় রেখে যতটুকুন করা যায় ততটুকুনই উত্তম। এর বাইরেরটা বাড়াবাড়ি, যা কখনোই শরিয়ত কারো কাছ থেকে চায় না। ইবাদতে বাড়াবাড়ি এক সময় বান্দাকে ইবাদতের প্রতি ভীতশ্রদ্ধ ও বিরক্ত করে তুলে।
বাড়াবাড়ির মত বিদআত-খোরাফাতকেও সর্বাত্মকভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। শরিয়ত যার নির্দেশ ও অনুমোদন দেয়নি তা পালন করার মাঝে ক্ষতি ছাড়া কোনোই কল্যাণ নেই। আহলে কিতাবদেরকে আল্লাহ তাআলা এজন্য তিরস্কার করেছেন এই বলে,
(আরবি)
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তারাই বৈরাগ্যবাদের প্রবর্তন করেছিল। এটা আমি তাদের উপর লিপিবদ্ধ করে দেইনি। তারপর তাও তারা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। [সূরা হাদিদ:২৭]
সুতরাং ইবাদতের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি যেমন পরিত্যাজ্য অনুরূপ নব প্রবর্তন-বিদআতও, তাতে বান্দা বিরক্ত ও ইবাদতের প্রতি অনাসক্ত হয়ে যায়, এক সময় ইবাদতই ত্যাগ করে বসে। তাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ইবাদত হচ্ছে সেটি যা বান্দা নিয়মিতভাবে আদায় করে পরিমাণে কম হলেও। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
إن أحب الأعمال إلى الله ما داوم صاحبه عليه وإن قل . إخرجه البخاري ومسلم عن عائشة رضي الله عنها .
আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল বান্দা যেটি নিয়মিতভাবে পালন করে, পরিমাণে কম হলেও। [বোখারি ও মুসলিম]
সুতরাং একদিন অনেক আর বাকি দিন মোটেও না, এরচেয়ে অধিক গ্রহণযোগ্য ও উত্তম হলো প্রতিদিন কিছু কিছু করা। ইবাদত তো অনেক, তাই প্রতিটি মুসলিমের উচিত নিজ নিজ সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদিনই নিজ রবের ইবাদতে মশগুল থাকা। যেহেতু আনুগত্যই আল্লাহর চাহিদা তাই এই আনুগত্যের বহি:প্রকাশ প্রতিদিনই হবে সেটিই বাঞ্ছনীয়। মহান আল্লাহ বলেন,
(আরবি)
নিশ্চয় যারা বলে, আল্লাহই আমাদের রব, অত:পর অবিচল থাকে, ফেরেশতারা তাদের কাছে নাজিল হয় (এবং বলে) তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিল। আমরা দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আরো থাকবে যা তোমরা দাবি করবে। পরম ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে আপ্যায়নস্বরূপ। [সূরা ফুসসিলাত: ৩০-৩২]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/740/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।