HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে ইবাদাত

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

১২
ইবাদত কবুলের শর্তসমূহ
ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত আছে। এশর্তগুলো ছাড়া ইবাদতের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। যদি দুইটি অনুপস্থিত থাকে তবে ইবাদত শুদ্ধ হয় না।

এশর্ত গুলো নিম্নরূপ:

الصدق فى العزيمة : সংকল্পে সততা। সততা দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য বান্দা আল্লাহ তাআলার আদেশ বাস্তবায়নের এবং নিষিদ্ধ কাজ বর্জনে তার শক্তি-সামর্থ কাজে লাগাবে। আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাতের প্রস্ত্ততি নেয়া। আল্লাহ তাআলার ইবাদতে অলসতা, দূর্বলতা ছেড়ে দেয়া। দৃঢ়ভাবে পরহেজগারীর লাগাম টেনে ধরতে হবে, যাতে হারাম কাজ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,

لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آَمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآَتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآَتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ ﴿ البقرة : 177﴾

‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হলো এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহ তাআলার উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেস্তাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রাসূলদের উপর। আর সম্পদ ব্যয় করবে তারই মুহাববতে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্য। আর যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে এবং যারা কৃত ওয়াদা রক্ষা করে এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণকরে, তারাই হল সত্যাশ্রয়ী। আর তারাই হলো মুত্তাকী।

আর আল্লাহ তাআলা তার মুমিন বান্দাদের কথা এবং কাজে অমিলের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ ﴿2﴾ كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ ﴿3 الصف

‘হে মুমিনগণ! তোমরা যা কর না তা বল কেন ? তোমরা যা করনা তা বলা আল্লাহ তাআলার কাছে খুবই অসন্তোষজনক।’

সততা হলো ঈমানের মূল। ঈমানদাররা নিয়্যত, কাজ ও কথায় সত্যাবাদী হয়। যেমন মিথ্যা হলো নিফাকের মূল; মুনাফিকরা নিয়্যত, কাজ এবং কথায় মিথ্যাবাদী হয় । আল্লাহ তাআলা সত্যবাদীদের সততার জন্য পুরস্কৃত করবেন বলে ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

لِيَجْزِيَ اللَّهُ الصَّادِقِينَ بِصِدْقِهِمْ ﴿الأحزاب :24﴾

‘এটা এই জন্যে যাতে আল্লাহ তাআলা সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদীতার কারণে প্রতিদান দেন।’

মুনাফিকদের এ বলে ধমকি দেন যে, তাদেরকে জাহান্নামের সর্ব নিম্ন স্তরে রেখে শাস্তি দেয়া হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন—

إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ ( النساء : 145)

‘নি:সন্দেহে মুনাফিকরা রয়েছে জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে।

আল্লাহ তাআলার জন্য ইখলাসঃ ইখলাস বা আন্তরিকতা বিষয় কোরআন ও হাদীসে অনেক বর্ণনা এসেছে। তন্মধ্যে—

وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ ﴿ البينة :5﴾

‘তাদেরকে এ ছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাuঁট মনে একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে।’

আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَمَنْ كَانَ يَرْجُوا لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا ﴿110﴾

‘যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে সে যেন সৎকর্ম সম্পাদন করে, এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।’

আল্লাহ তাআলা তার নবীকে সম্বোধন করে বলেন,

قُلِ اللَّهَ أَعْبُدُ مُخْلِصًا لَهُ دِينِي ﴿14﴾ فَاعْبُدُوا مَا شِئْتُمْ مِنْ دُونِهِ ( الزمر : 14-15)

‘বলুন, আমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করি। অতএব তোমরা তাঁর পরিবর্তে যার ইচ্ছা তার ইবাদত কর।’

আল্লাহ তাআলা বলেন—

إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ فَاعْبُدِ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ ﴿2﴾ أَلَا لِلَّهِ الدِّينُ الْخَالِصُ ﴿3﴾ الزمر

‘আমি আপনার নিকট এই কিতাব যথার্থরূপে নাযিল করেছি। অতএব আপনি একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করুন। জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল্লাহ তাআলারই নিমিত্তে।’

ওমর ইবনে খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন,

إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل إمرئ ما نوى، فمن كانت هجرته إلى الله ورسوله فهجرته إلى الله ورسوله، ومن كانت لدنيا يصيبها أو امرأة ينكحها فهجرته إلى ما هاجر إليه . ( صحيح البخاري :1)

‘নি:সন্দেহে যাবতীয় আমলের ফলাফল নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেককে জন্য তার নিয়্যত অনুযায়ী প্রতিদান দেয়া হবে। যার হিজরত আল্লাহ তাআলা এবং তার রাসূলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হবে, সে হিজরত আল্লাহ তাআলা এবং তার রাসূলের সন্তুষ্টি হিসেবেই গণ্য হয়। যার হিজরত দুনিয়া অর্জন অথবা কোন মহিলা বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হবে, সে যার উদ্দেশ্যে হিজরত করেছে সে হিসেবেই গণ্য হবে।

আবু হোরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা: বলেন,

إن الله تعالى لا ينظر إلى صوركم و أموالكم، ولكن ينظر إلى قلوبكم وأعمالكم . ( صحيح مسلم : 4651)

‘আল্লাহ তাআলা কারো আকৃতি অথবা সম্পদের দিকে তাকান না। তবে তার কাজ এবং অন্তরের দিকে তাকান।’

আবু মুসা আল আশয়ারী রা. হতে বর্ণিত—

سئل رسول الله عن الرجل يقاتل شجاعة، ويقاتل حمية، ويقاتل رياء، أي ذلك في سبيل الله ؟ فقال : من قاتل لتكون كلمة الله هي العليا، فهو في سبيل الله . ( صحيح البخاري : 6904)

তিনি বলেন রাসূল সা. কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ঐ সকল ব্যক্তি সর্ম্পকে যারা লড়াই করে বীরত্ব প্রকাশের জন্য, লড়াই করে অহমিকা প্রদর্শনের জন্য, লড়াই করে.লোক দেখানো ভাবনা নিয়ে। তাদের মধ্যে কে আল্লাহ তাআলা জন্য লড়াই করল ? রাসূল সা. বললেন, যে লড়াই করে আল্লাহ তাআলার কালেমা (বানী) উচু করার জন্য সেই আল্লাহ তাআলার পথে লড়াই করে।

প্রকৃত একনিষ্ঠতা হচ্ছে বান্দার বাসনা হবে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি এবং পরকালে শান্তি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন—

وَمَا لِأَحَدٍ عِنْدَهُ مِنْ نِعْمَةٍ تُجْزَى ﴿19﴾ إِلَّا ابْتِغَاءَ وَجْهِ رَبِّهِ الْأَعْلَى ﴿20﴾ الليل

‘এবং তার প্রতি কারও অনুগ্রহের প্রতিদান হিসেবে নয়, বরং শুধু তার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের প্রত্যাশায়।’

مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُ فِيهَا مَا نَشَاءُ لِمَنْ نُرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُ جَهَنَّمَ يَصْلَاهَا مَذْمُومًا مَدْحُورًا ﴿18﴾ وَمَنْ أَرَادَ الْآَخِرَةَ وَسَعَى لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَئِكَ كَانَ سَعْيُهُمْ مَشْكُورًا ﴿19﴾ الإ سراء

‘যে কেউ পার্থিব সুখ-সম্ভোগ কামনা করে, আমি তাকে যা ইচ্ছা সত্বর দিয়ে থাকি। পরে তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করে দেই, তারা তাতে নিন্দিত-বিতাড়িত অবস্থায় প্রবেশ করবে। আর যারা ঈমান নিয়ে পরকাল কামনা করে এবং এর জন্য যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করে, তাদের চেষ্টা স্বীকৃত হয়ে থাকে।

আমল বিশুদ্ধ হবার জন্য প্রয়োজন সকল প্রকার মনের রোগ হতে অন্তরকে পরিষ্কার করা। যেমন অহংকার, ধোকা, গীবত ইত্যাদি। এমনিভাবে মানুষের মন্তব্য পর্যবেক্ষণের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার থেকেও নিজেকে পরিস্কার করা। মানুষের প্রশংসা অর্জন, অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পাওয়া তাদের খেদমত বা ভালবাসা অর্জন করার উদ্দেশ্য পরিহার করতে হবে। কারণ এই সবই হচ্ছে মাখলুকের নিকট মুখাপেক্ষী হওয়া। যা অবশ্যই শিরক। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা বলেন,

أنا أغنى الشركاء عن الشرك، من عمل عملا أشرك فيه غيري فهو للذي أشرك به وأنا منه بريئ . ( ابن ماجة : 4192)

‘আমি শিরককারীদের শিরক থেকে মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন কাজ করল, এবং তাতে আমার সাথে কাউকে শরীক করল, তা হবে ঐ ব্যক্তির জন্য যার সাথে সে শরীক করল। আর আমি এ মুশরিক থেকে দায়মুক্ত।

ইবাদত: যেমন সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ্ব, ত্বাওয়াফ, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি। এগুলো কবুল হওয়া এবং বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য ইখলাস শর্ত। আর যদি আদত বা অভ্যাসগত হয়, যেমন পানাহার, নিদ্রা, উপার্জনকরা ইত্যাদি। তাহলে সাওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার জন্য ইখলাস শর্ত।

শরীয়ত সম্মত হওয়াঃ আমল কবুল হওয়ার জন্য রাসূল সা. এর অনুকরণ অনুসরণ প্রয়োজন। অতএব বান্দা ইবাদত করবে, রাসূল সা. ইসলামে যে আদেশ নিষেধ নিয়ে এসেছেন তারই আলোকে। আল্লাহ তাআলা বলেন—

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴿ أل عمران : 85﴾

‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম খোজ করে, কম্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং পরকালেও সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত।’

রাসূল সা. বলেছেন, যে লোক আমাদের শরীয়তে নতুন কিছু অন্তর্ভূক্ত করল, তা প্রত্যাখাত। অতএব এই তিনটি শর্ত ছাড়া ইবাদতের কোন কাঠামো দাড় করানো সম্ভব নয়। নিয়্যত বা সংকল্পে সত্যাবাদী হওয়া ইবাদতের অস্তিত্বের জন্য শর্ত। আল্লাহ তাআলার জন্য ইখলাস এবং সুন্নাতের মোতাবেক হওয়া ইবাদত শুদ্ধ এবং কবুল হওয়ার জন্য শর্ত। অতএব কবুল ইবাদতের উপস্থিতি আশা করা যাবে, যদি ঐ তিনটি শর্ত একত্রে পাওয়া যায়। নিয়্যত একনিষ্ঠতা বা ইখলাস, সংকল্পে সত্যতা ছাড়া, ইবাদত কবুলের আশা করা নির্বুদ্ধিতা এবং বাসনা ছাড়া ছাড়া আর কিছু নয়। সংকল্পে সত্যতা, নিয়্যতের বিশুদ্ধতা ছাড়া ইখলাসের তারতম্যে ইবাদত ছোট অথবা বড় শিরকে পরিণত হয়ে যায়। ইবাদতের উদ্দেশ্য যদি গায়রুল্লাহ হয়, তাহলে তা হবে মোনাফেকী। ইবাদতের শেষে যদি রিয়া বা লোকদেখানো ভাবনা চলে আসে, আর তার শুরুতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পরকাল উদ্দেশ্য ছিল, তাহলেও ইবাদত প্রকারভেদে ছোট শিরক হয়ে যায়। নিয়্যতের বিশুদ্ধতা, সংকল্পে সত্যতা থাকারও পরও যদি আমল সুন্নত মোতাবিক না হয়, তা হলে তা হবে বিদআত এবং শরীয়তে নবআবিষ্কৃত-কুসংস্কার। যা ইসলামে নি:সন্দেহে প্রত্যাখ্যাত। আল্লাহ আমাদের সকলকে পথভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করুন। কোন কাজ প্রকাশ পায় না দৃঢ় সংকল্প ছাড়া, আবার ইখলাস এবং সুন্নাতে রাসূলের অনুসরণ ছাড়া কাজটা কবুলও হয় না। এজন্য

قال القضيل بن عياض في قوله تعالي : ليبلوكم أيكم أحسن عملا : هوأخلصه وأصوبه، قالوا يا أبا علي : ما أخلصه وأصوبه؟ فقال : إن العمل إذاكان خالصا ولم يكن صوابا لم يقبل، وإذا كان صوابا ولم يكن خالصا لم يقبل، حتى يكون خالصا صوابا، والخالص أن يكون لله، والصواب أن يكون على السنة، ثم قرأ قوله تعالى : فَمَنْ كَانَ يَرْجُوا لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا ﴿الكهف :110

ফুদাইল বিন আয়াজ আল্লাহর বাণী ليبلوكم أيكم أحسن عملا অর্থঃ ‘যাতে তোমাদের পরীক্ষা করেন কে তোমাদের কর্মে শ্রেষ্ঠ।’ (আল- মুলক: ২) এ আয়াতের তাফসীরে বলেনঃ : هوأخلصه وأصوبه তা একনিষ্ঠ ও সঠিক। তাকে প্রশ্ন করা হল এর দ্বারা আপনার উদ্দেশ্য কি? উত্তরে বললেন: আমলে ইখলাছ আছে কিন্তু সঠিক ভাবে আদায় হয় নাই তাহলে কবুল হবে না। আবার সঠিক ভাবে আদায় হচ্ছে কিন্তু এখলাছ নাই। তাহলেও কবুল হবে না। কবুল হওয়ার জন্য দুইটি বস্ত্ত প্রয়োজন ইখলাছ ও বিশুদ্ধতা, ইখলাছ মানে হচ্ছে ইবাদত হবে আল্লাহর জন্য। আর বিশুদ্ধতা মানে হচ্ছে ইবাদত হবে রাসুল সা. এর সুন্নাত অনুযায়ী। অতঃপর তিনি আল্লাহর বাণী পাঠ করেন। যার অর্থঃ ‘যে তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের আশা করে সে যেন বিশুদ্ধ আমল করে এবং তার প্রভুর এবাদতে কাউকে শরিক না করে।’ সূরা : ক্বাহাফ: ১১০

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন