hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রতিপক্ষের মতামত খন্ডনে ইসলামি শিষ্টাচার

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

প্রতিপক্ষের মতামত খন্ডনে ইসলামি শিষ্টাচার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা একটি বই পড়ছিলাম। বইটি আমাদের দেশে প্রচলিত শবে বরাতের পক্ষে লেখা। লিখেছেন বাংলাদেশের প্রাজ্ঞ একজন শ্রদ্ধেয় মুফতি সাহেব। যারা শবে বরাত পালন করতে চান না, শবে বরাতকে ইসলামি সংস্কৃতি হিসাবে স্বীকার করেন না স্বভাবত তারা তার এ বইয়ে প্রতিপক্ষ। দেখলাম তিনি তার প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোথাও বলেছেন, ‘তারা বিভ্রান্ত’ আবার কোথাও বলেছেন, ‘তারা গোমরাহ’ আবার বলেছেন, ‘তারা একদম মূর্খ’ কোখাও বলেছেন, ‘কুরআন হাদিস সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই’ ইত্যাদি সব বিশেষণ ব্যবহার করেছেন তার প্রতিপক্ষদের সম্পর্কে। আমার প্রশ্ন হল, যখন আমার দাবির স্বপক্ষে আমার প্রমাণাদি মজবুত থাকে তাহলে প্রতিপক্ষকে গালাগালি করার প্রয়োজন থাকে কোথায়? আরো প্রশ্ন হল, প্রতিপক্ষের যুক্তি ও দাবি খন্ডনে তাদের গালি দেয়া কি ইসলাম সম্মত? এ সম্পর্কে কি ইসলামের কোনো দিক-নির্দেশনা নেই? বা প্রতিপক্ষকে যা ইচ্ছা তা বলা জায়েয?

প্রতিপক্ষ যদি ইহুদি বা খৃস্টান হয় তবুওতো তাদের সাথে তর্কে বা তাদের দাবি খন্ডনে গালাগালির আশ্রয় নেয়া জায়েয নয়। আর যদি আপনার প্রতিপক্ষ হয় মুসলিম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত তাহলে তাদের গালি দেয়া কতখানি ইসলাম অনুমোদিত, সেটা বলার জন্য আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছি না। একজন সম্মানিত ইমাম সাহেব আমাকে ঘটনাটি বলেছেন। তার কাছে একটি লোক এসে একটি বিষয় জানতে চাইল। ইমাম সাহেব যা উত্তর দিলেন লোকটি তাতে সন্তুষ্ট হতে পারল না। বিতর্ক জুড়ে দিল। ইমাম সাহেব বিতর্কের এক পর্যায়ে তাকে বললেন, আপনি দাড়ি মুন্ডন করেন। প্রতিদিন রাসূলের সুন্নাতের ওপর ক্ষুর চালান। আপনি ফাসেক। তাই আপনার স্বাক্ষীও ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি যখন একটি মস্তবড় সুন্নাত তরক করছেন তখন একটি মুস্তাহাব আমল নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন? আপনি চবিবশ ঘণ্টা কবিরা গুনাহতে লিপ্ত, সে খবর নেই। আর একটি মুস্তাহাব আমল নিয়ে আমার সাথে বহস করতে এসেছেন?- এ কথা বলার পর লোকটি একেবারে চুপ হয়ে গেল। আর কোনো কথা না বাড়িয়ে সোজা চলে গেল।

ইমাম সাহেব এ ঘটনাটি তার এক বিরল কৃতিত্ব হিসাবে অনেকের কাছেই বলে বেড়ান। তিনি বিতর্কে জয়ী হয়েছেন বলে গর্ব করেন।

প্রতিপক্ষকে জব্দ করার একটি কৌশল বটে। এ ধরনের কৌশল কি ইসলাম পছন্দ করে? বা এ কৌশল কি কোনো ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে? না, বরং এর কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ইমাম সাহেবের মাঝে শত্রুতা সৃষ্টি হল। এমন শত্রুতা যে, ইমাম সাহেব কোনো হক কথা বললেও সে মানতে চাইবে না। সে মরিয়া হয়ে চাইবে ইমাম সাহেবের ওপর এ অপমানের প্রতিশোধ নিতে। আসলে কি তিনি সঠিক কাজ করছেন ? যা করেছেন তা কি ইসলামি আদব-শিষ্টাচারে উত্তীর্ণ? না ইমাম সাহেব বলে কথা ? ইসলামে কি এ বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা নেই ?

হ্যাঁ, প্রতিপক্ষের সাথে বিতর্ক কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কেও ইসলামি শরিয়াহ বিধি-বিধান দিয়েছে। রয়েছে এ ব্যাপারে আমাদের সম্মুখে আল্লাহ তাআলার কালাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর হাদিস ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, আজ দেখা যায় যারা ইসলাম সম্পর্কে তেমন জানে না বা জানলেও মানে না। তারা যখন প্রতিপক্ষের সাথে তর্ক-বিতর্ক করে তখন বলে ‘আমার প্রতিপক্ষের বন্ধুদের কাছে সবিনয় নিবেদন করছি .......।’ ইত্যাদি; কিন্তু ইসলামের দাওয়াতে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ যখন ইসলামের কোনো বিষয় নিয়ে তার প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনা করেন বা তার মতামত খন্ডন করেন, তখন এ ধরনের কথাই শোনা যায়- ‘সে ভন্ড, গোমরাহ, পথভ্রষ্ট, কুরআন-হাদিস সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ, খারেজি, ওহাবি, বেদআতি, সে নাস্তিক, সে মুরতাদ’ ইত্যাদি।

ইসলাম অনুসারীরা যদি ইসলামি আচরণবিধি অনুসরণ না করেন, তাহলে কারা তা অনুসরণ করবে? এ বিষয়ে ইসলামি দাওয়াত-কর্মী, ইমাম, আলেম-উলামা ও গবেষকদের সচেতন করার লক্ষ্যেই এ লেখা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন