মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ফিদাক যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিরাস হয়, তাহলে নবীর নারীরা অবশ্যই তার অংশীদার হবেন। যেমন, আয়েশা বিনতে আবূ বকর, এবং নবীর মেয়ে যয়নাব ও কুলসুম, কিন্তু আবূ বকর নিজের মেয়েকে কিংবা নবীর কোনো স্ত্রীকে কিংবা নবীর কোনো মেয়েকে কোনো অংশ দেন নি হাদীসের নিষেধাজ্ঞার কারণে। অতএব, শিয়ারা মিরাসের হকদারদের ভেতর তাদের উল্লেখ করে না, শুধু ফাতিমার উল্লেখ করে কেন?!!
আমরা যদি মেনে নেই, ফিদাকের জমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিরাস, সেই সূত্রে ফাতিমার দাবি ছিল, তাহলে উপরের আলোচনা তার উত্তর। আর যদি ফিদাকের জমিকে ফাতিমার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হেবা বা দান মানি, যেমন শিয়া আলেম কাশানি স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ ‘আস-সাফি’-তে বলেছেন, তাহলে আমাদের আরেকটি বিষয় দেখা প্রয়োজন:
যদি আমরা মেনেও নিই, হেবা বা দান করার বর্ণনা বিশুদ্ধ, বাস্তবে কিন্তু সুন্নীদের নিকট হেবা বা দান করার বিষয়টি স্বীকৃত নয়, তবে আমরা বলতে চাই হেবার বিষয়টি আরেকটি বিবেচনাকে আবশ্যক করে, আর সেটি হচ্ছে সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করার ইসলামের অবধারিত বিধান। যেমন, বাশির ইবন সাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলেন,
«يا رسول الله ! إني قد وهبت ابني حديقة وأريد أن أُشهدك، فقال النبي صلى الله عليه وآله وسلم : أكُلّ أولادك أعطيت؟ قال : لا . فقال النبي صلوات الله وسلامه عليه : اذهب فإني لا أشهد على جور» .
“হে আল্লাহর রাসূল, আমি আমার ছেলেকে একটি বাগান হাদিয়া করেছি, আমি আপনাকে তার সাক্ষী রাখতে চাই, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমার প্রত্যেক সন্তানকেই কি দিয়েছো? সে বলল: না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: যাও, আমি যুলুমের ওপর সাক্ষী থাকি না”।
এখানে দেখছি বণ্টনের ক্ষেত্রে এক সন্তানকে অপর সন্তানের ওপর প্রাধান্য দেওয়াকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুলুম বলেছেন। অতএব যে নিষ্পাপ নবী যুলুমের ওপর সাক্ষী থাকেন না, তিনি কীভাবে একই যুলুম করেন, শুধু ফাতিমাকে দেন সবাইকে বঞ্চিত করেন?!
যিনি আসমানের আমানতদার, তার সম্পর্কে চিন্তা করা যায় দুনিয়ার ব্যাপারে তিনি আমানতের খিয়ানত করবেন, শুধু ফাতিমাকে দিবেন, আর কাউকে দিবেন না?!! আমরা সবাই জানি যে, খায়বার সংঘটিত হয়েছিল হিজরী সপ্তম বছর অথচ জয়নাব বিনতে মুহাম্মাদ মারা গেছেন হিজরী অষ্টম বছর, আর উম্মে কুলসুম মারা গেছেন হিজরী নবম বছর। অতএব, কীভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাকে দিবেন, উম্মে কুলসুম ও জয়নাবকে দিবেন না?! সুতরাং হেবার বিষয়টি সমর্থন যোগ্য নয়। বাস্তবতা হচ্ছে বিভিন্ন বর্ণনা প্রমাণ করে যে, ফিদাকের জমি আবূ বকরের নিকট ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা মিরাস হিসেবে তলব করেছেন, হেবায় পেয়েছেন হিসেবে তলব করেন নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/774/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।