hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফিদাক নিয়ে ফাতিমা ও আবূ বকরের মাঝে বিরোধের হাকীকত

লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ

নবীগণের নিজের সন্তানদের ওয়ারিশ বানানোর দলীলের অসারতা:
শিয়াদের অনেকে বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যাকারিয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেছেন:

﴿فَهَبۡ لِي مِن لَّدُنكَ وَلِيّٗا ٥ يَرِثُنِي وَيَرِثُ مِنۡ ءَالِ يَعۡقُوبَۖ ٦﴾ [ مريم : 5-6]

“আপনার পক্ষ থেকে আমাকে সন্তান দিন, যে আমার ও ইয়াকূবের পরিবারের ওয়ারিশ হবে”। [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৫-৬] অত্র আয়াত বলে নবীগণের সন্তান সম্পদের ওয়ারিশ হয়, যেমন যাকারিয়া তার সন্তানকে ওয়ারিশ বানিয়েছেন। বস্তুতঃ আয়াতটি তাদের দলীল হিসেবে পেশ করা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার, কোনোভাবে বিবেক তাতে সায় দেয় না, কয়েকটি কারণে:

প্রথমত: সাধারণ ভালো লোকের পক্ষেও সমীচীন নয়, সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট সন্তান প্রার্থনা করা, অতএব সেই প্রার্থনা একজন নবীর পক্ষে কীভাবে সম্ভব!? বরং যাকারিয়া আলাইহিস সালাম চেয়েছেন, আল্লাহ তাকে একটি সন্তান দান করুন যে তার পরবর্তী নবুওয়াতের ঝাণ্ডা উঁচিয়ে ধরবে এবং ইয়াকূবের বংশের প্রাচীন নবুওয়াতী ধারা অব্যাহত রাখবে।

দ্বিতীয়ত: প্রসিদ্ধি আছে যে, যাকারিয়া আলাইহিস সালাম গরীব ছিলেন, সুতার বা কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতেন। অতএব, তার নিকট কী সম্পদ থাকবে, যার সংরক্ষণের জন্য তিনি আল্লাহর নিকট ওয়ারিশ প্রার্থনা করবেন? অধিকন্তু নবীদের আদর্শ সম্পদ জমা কর নয়, বরং প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ সদকা করাই তাদের নীতি।

তৃতীয়ত: ইরস( الإرث ) শব্দটি শুধু সম্পদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় না, ইলম, নবুওয়াত ও রাজত্বের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿ثُمَّ أَوۡرَثۡنَا ٱلۡكِتَٰبَ ٱلَّذِينَ ٱصۡطَفَيۡنَا مِنۡ عِبَادِنَاۖ﴾ [ فاطر :32]

“অতঃপর আমাদের বান্দাদের থেকে যাদেরকে আমরা নির্বাচন করেছি, তাদেরকে আমরা কিতাবের ওয়ারিশ বানিয়েছি”। [সূরা ফাতির, আয়াত: ৩২]

অপর আয়াতে তিনি বলেন:

﴿أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡوَٰرِثُونَ ١٠ ٱلَّذِينَ يَرِثُونَ ٱلۡفِرۡدَوۡسَ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ١١﴾ [ المؤمنون : ١٠، ١١ ]

“তারাই প্রকৃত ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের ওয়ারিশ হবে, সেখানে তারা সর্বদা থাকবে”। [সুরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ১০-১১]

চতুর্থত: আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, «إنّ الأنبياء لم يورّثوا ديناراً ولا درهماً ولكن ورّثوا العلم» . “নবীগণ টাকা-পয়সার ওয়ারিশ করেন না, তারা ওয়ারিশ করেন ইলমের”। এ হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রমাণ হয় নবীগণের সম্পদের ওয়ারিশ হওয়া বৈধ নয়, তাদের কথা প্রত্যাখ্যান করার জন্য এতটুকু-ই যথেষ্ট।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন