hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ভঙ্গের ১০টি কারণ

লেখকঃ মোহাম্মদ ইমাম হুসাইন কামরুল

১০
ইসলাম ভঙ্গের সপ্তম কারণ মুহাম্মাদ ﷺ কর্তৃক আনীত জীবনব্যবস্থার কোন বিষয়কে অপছন্দ করা
অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর পক্ষ হতে যে দ্বীন নিয়ে এসেছেন সেই দ্বীনকে বা দ্বীনের কোন বিষয়কে অপছন্দ করা। যেমন- এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, রাসূল ﷺ এর আদর্শের চেয়ে অন্য কোন ব্যক্তির মতাদর্শ উত্তম বা রাসূল ﷺ এর আনীত জীবনব্যবস্থার চেয়ে অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ ভাল অথবা এরূপ মন্তব্য করা যে, ইসলাম একটি পুরাতন ধর্মবিশ্বাস; বর্তমান যুগের জন্য এর বিধি-বিধানসমূহ উপযুক্ত নয়। এই যুগের জন্য গণতন্ত্র অথবা রাজতন্ত্র অথবা সমাজতন্ত্র অথবা ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি সমাজ ব্যবস্থাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْاِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُۚ وَ هُوَ فِى الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

যে ব্যক্তি ইসলামকে বাদ দিয়ে অন্য কোন জীবনব্যবস্থার অনুসরণ করবে তার কাছ থেকে কিছুই কবুল করা হবে না; আর সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা আলে ইমরান- ৮৫)

অথবা এরূপ মনে করা যে, ইসলামের একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করার বিধান যথোপযুক্ত নয়; বরং এটি নারী-পুরুষের সমধিকারের দাবি বহির্ভুত। অথচ আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নারী-পুরুষ সকলকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি বিধান দিয়েছেন যে,

وَاِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تُقْسِطُوْا فِى الْيَتَامٰى فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَآءِ مَثْنٰى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ

যদি তোমরা ভয় কর যে ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে তোমাদের পছন্দ অনুযায়ী দু’জন, তিনজন অথবা চারজনকে বিয়ে করে নাও। (সূরা নিসা- ৩)

অনুরূপভাবে কেউ যদি মনে করে যে, মুহাম্মাদ ﷺ যে দ্বীন নিয়ে এসেছেন, তার থেকে পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণ যে দ্বীন নিয়ে এসেছিলেন সেগুলোই উত্তম অথবা সেগুলোর কোন একটি উত্তম, তাহলে তারও ইসলাম ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা মুহাম্মাদ ﷺ এর দ্বীনটি হচ্ছে পূর্বের সমস্ত দ্বীনকে রহিতকারী। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

وَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِه ! لَوْ كَانَ مُوْسٰى بَيْنَ أَظْهَرُكُمْ، ثُمَّ اتَّبَعْتُمُوْهُ وَتَرْكْتُمُوْنِيْ؛ لَضَلَلْتُمْ ضَلَالًا ۢبَعِيْدًا

যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তাঁর শপথ! যদি মুসা (আঃ) তোমাদের মধ্যে আসেন আর তোমরা তার আনুগত্য কর এবং আমাকে ছেড়ে দাও, তাহলে তোমরা সুদূর ভ্রষ্টতায় পথভ্রষ্ট হবে।

(মাযমাউয যাওয়াইদ, হা/৮১০)

অতএব রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আগমনের পর ইসলাম ছাড়া পূর্ববর্তী অথবা পরবর্তী অন্য কোন দ্বীন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

অতএব যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (আঃ) এর আনীত জীবনাদর্শ সম্পর্কে এরূপ ধারণা পোষণ করবে, নিশ্চিতভাবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি কারণ পরিলক্ষিত হয়। যেমন :

১. এরূপ বিশ্বাস পোষণ করার অর্থ হচ্ছে, ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনে না করা। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِيْنًا﴾

আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদা- ৩)

সুতরাং যে ব্যক্তি ইসলামকে পরিপূর্ণ ও যথোপযুক্ত জীবনবিধান হিসেবে মেনে না নিবে, সে একদিকে কুরআনের এই আয়াতকে অস্বীকার করে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে; অপরদিকে অন্যান্য অপূর্ণাঙ্গ দ্বীনের অনুসরণ করে ভ্রষ্টতা থেকে আরো ভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত হবে।

২. এরূপ বিশ্বাস পোষণ করার অর্থ হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবনাদর্শকে সর্বোত্তম আদর্শ হিসেবে বিশ্বাস না করা। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُو اللهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَذَكَرَ اللهَ كَثِيْرًا

তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের দিনকে ভয় করে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব- ২১)

অতএব যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবনাদর্শকে সর্বত্তোম আদর্শ হিসেবে মানে না, সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ও পরকালের উপরও বিশ্বাস স্থাপন করে না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের উপরও যথাযথভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে না, সে কখনো মুসলিম হিসেবে পরিগণিত হতে পারে না।

৩. এরূপ বিশ্বাস পোষণ করার করার অর্থ হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহর অবাধ্য হওয়া। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ যা কিছু বলতেন, সেগুলো মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসত। যেমনিভাবে কুরআন মাজীদে এসেছে,

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوٰى اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْيٌ يُّوْحٰى

তিনি প্রবৃত্তি হতে কোন কথা বলেন না। এটা তো এক ওহী, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। (সূরা নাজম- ৩, ৪)

অতএব যে ব্যক্তি এভাবে আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়, সে আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করার বিষয়ে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে কাফির হয়ে যায়।

اَلنَّاقِضُ الثَّا مِنْ نَّوَاقِضِ الْإِسْلَامِ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন