মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসলাম ভঙ্গের নবম কারণ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবনব্যবস্থাকে উত্তম মনে করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/10/12
অর্থাৎ মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর পক্ষ হতে যে জীবনব্যবস্থা নিয়ে এসেছেন তার পরিবর্তে অন্য কোন জীবনব্যবস্থাকে উত্তম মনে করা। যেমন- গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ইহুদীবাদ, খ্রিস্টবাদ, হিন্দুত্ববাদ ইত্যাদি। অতএব যদি কোন ব্যক্তি মৌখিকভাবে দাবি করে যে, ‘‘আমি মুসলিম’’ অথবা বলে যে, ‘‘আমার রব আল্লাহ, আমার নবী মুহাম্মাদ ﷺ এবং আমার দ্বীন ইসলাম’’ অথচ সে জীবন-যাপন করে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র অথবা অনুরূপ অন্য কোন জীবনব্যবস্থা চর্চার মাধ্যমে, তাহলে ধরে নিতে হবে যে, সে তার উক্ত মৌখিক দাবিসমূহের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়; বরং সে মৌখিকভাবে দাবিকৃত বিষয়সমূহ অপছন্দ করে এবং এর বিপরীতে সে যেটা কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করে আসছে, সেগুলোকে উত্তম মনে করে। সুতরাং এরূপ ব্যক্তিকে মুসলিম হিসেবে সাব্যস্ত করা যায় না।
অনুরূপভাবে যদি কেউ নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবি করা সত্ত্বেও ইসলামের কিছু কিছু বিধান যেমন- রজমের আইন, যুদ্ধবন্দীদেরকে দাস-দাসী বানানোর আইন, জিযিয়া-করের আইন, জিহাদের আইন, পর্দার আইন ইত্যাদি বিষয়সমূহের ব্যাপারে মনে করে যে, এগুলো উত্তম নয়; বরং এর বিপরীতে বিভিন্ন দেশে যেসব আইন প্রচলিত রয়েছে সেগুলো অথবা সেগুলোর কোন একটি উত্তম, তাহলে তার মুসলিম দাবি করাটাও এক ধরনের ভ্রান্তি হিসেবে পরিগণিত হবে।
অনুরূপভাবে কেউ যদি নিজেকে মুসলিম দাবি করা সত্ত্বেও এমন কোন আদালতে বিচার প্রার্থনা করে, যেটা আল্লাহ প্রদত্ত সংবিধান অনুযায়ী পরিচালত নয়; বরং মানুষের তৈরি আইন অনুযায়ী পরিচালিত, তাহলে তার মুসলিম হিসেবে দাবি করাটিও মিথ্যা হিসেবে গণ্য হবে। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের এসব লোকের চিত্র তুলে ধরে বলেন,
তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তারা বিশ্বাস করে, অথচ তারা তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তা প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং শয়তান তাদেরকে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট করতে চায়। (সূরা নিসা- ৬০)
অনুরূপভাবে কেউ যদি নিজেকে মুসলিম দাবি করা সত্ত্বেও ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন সংবিধান অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করে, তাহলে ধরে নিতে হবে যে, সে ইসলামী সংবিধানকে অপছন্দ করে এবং যে কাজে লিপ্ত আছে সেটিকেই পছন্দ করে থাকে। এরূপ ব্যক্তির ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা তিন ধরনের হুকুম প্রদান করেছেন। যেমন- এক আয়াতে তিনি এদেরকে কাফির হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। যেমন- তিনি বলেন,
যারা আল্লাহর অবতীর্ণ করা বিধান অনুযায়ী বিচার-ফায়াসালা করে না- তারা ফাসিক। (সূরা মায়েদা- ৪৭)
একই অপরাধের কারণে একই ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন তিনটি হুকুম প্রদান করার রহস্য হচ্ছে, প্রথমতঃ তার এ কাজটি আল্লাহর হুকুম অস্বীকার করার শামিল। কাজেই এটি কুফরী। দ্বিতীয়তঃ তার এ কাজটি ইনসাফ ও ভারসাম্যনীতির বিরোধী। কারণ আল্লাহ যথার্থ ইনসাফ ও ভারসাম্যনীতি অনুযায়ীই হুকুম দিয়েছিলেন। কাজেই আল্লাহর হুকুম থেকে সরে এসে যখন সে ফায়সালা করল তখন সে আসলে যুলুম করল। তৃতীয়তঃ বান্দা হওয়া সত্ত্বেও যখনই সে নিজের প্রভুর আইন অমান্য করে নিজের বা অন্যের মনগড়া আইন প্রবর্তন করল, তখনই সে দাসত্ব ও আনুগত্যের গন্ডীর বাইরে চলে গেল। আর এটিই হলো অবাধ্যতা বা ফাসিকী। এ কুফর, যুলুম ও ফিসক তার নিজের ধরন অনুযায়ী অনিবার্যভাবে আল্লাহর হুকুম অমান্যেরই বাস্তব রূপ। সুতরাং যেখানেই আল্লাহর হুকুম অমান্য করা হবে, সেখানেই এ তিনটি বিষয় বিদ্যমান থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ইসলামের কোন বিষয় অপছন্দনীয় হওয়ার কারণে ইসলাম ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার দিকগুলো হচ্ছে–
১. আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত জীবন বিধান হচ্ছে ইসলাম। যেমন তিনি বলেন,
﴿إِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْإِسْلَامُ ﴾
নিশ্চয় আল্লাহর কাছে মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।
(সূরা আলে ইমরান- ১৯)
অতএব ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন-বিধান অথবা সেগুলোর কোন একটি আইনও আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন- অপর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
কেউ যদি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন চায় তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
(সূরা আল ইমরান- ৮৫)
অতএব যে জীবনবিধান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য সেই জীবনবিধান বাদ দিয়ে যেসব জীবনবিধান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় সেগুলোর কোন একটির অনুসরণ করাটা নিশ্চিত গোমরাহী। এরূপ কাজ একমাত্র আল্লাহদ্রোহী তথা কাফের-মুশরিকরাই করে থাকে।
২. পৃথিবীর বুকে একমাত্র ইসলামই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনব্যবস্থা। কেননা এতে রয়েছে মানব জীবনের সকল বিষয়ের যথার্থ সমাধান, যা মানবরচিত অন্য কোন জীবনব্যবস্থার মধ্যে নেই। সুতরাং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই ঘোষণা দিয়ে বলেন,
আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদা- ৩)
৩. ইসলামের কোন বিষয় অপছন্দ করলে যে কোন ব্যক্তির মধ্যে ঈমানের বিপরীত বিষয়গুলো স্থান নেয়। যেমন- আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতার কমতি, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসা হ্রাস, বিভিন্ন প্রকার ইবাদাতে অনিহা প্রকাশ ইত্যাদি। অবশেষে এক পর্যায়ে এসব বিষয় একত্রিত হয়ে ব্যক্তির অন্তর আল্লাহদ্রোহীতায় রূপ নেয়। তখন সে সরাসরি ইসলাম ত্যাগ করার ঘোষণা দেয়।
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।