মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসলাম ভঙ্গের উদাহরণসমূহকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। কেননা যে কোন ব্যক্তির ঈমান এই তিনটি বিষয়ের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়ে থাকে। সেগুলো হলো- (১) বিশ্বাসের মাধ্যমে, (২) উক্তির মাধ্যমে এবং (৩) কর্মের মাধ্যমে। নিম্নে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হলো :
(ক) বিশ্বাসের মাধ্যমে ইসলাম ভঙ্গের উদাহরণসমূহ :
এরূপ বিশ্বাস স্থাপন করা যে,
১. আল্লাহ বলতে কিছু নেই অথবা আল্লাহর কোন অস্তিত্ব নেই।
২. আল্লাহ তা‘আলা সত্তাগতভাবে সর্বত্র বিরাজমান।
৩. পৃথিবীর ব্যবস্থাপনায় আল্লাহর কোন হাত নেই; বরং পৃথিবী নিজে নিজেই পরিচালিত হচ্ছে।
৪. আল্লাহ তা‘আলা কিছু কিছু জীব-জন্তু সৃষ্টি করে অন্যায় করেছেন অথবা সেগুলোর সৃষ্টিকে নিষ্প্রয়োজন মনে করা।
৫. যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছাতেই সবকিছু সংঘটিত হয়, সুতরাং মানুষের অন্যায় কর্মের কারণে যদি আল্লাহ শাস্তি দেন তাহলে সেটি তিনি অন্যায় করবেন।
৬. ফেরেশতা বলতে কিছু নেই।
৭. ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা।
৮. মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর নবী ও রাসূল নন।
৯. মুহাম্মাদ ﷺ শেষ নবী নন; বরং তাঁর পরেও আরো নবী আগমন করবে।
১০. মুহাম্মদ ﷺ ১১টি বিবাহ করে অন্যায় করেছেন।
১১. মুহাম্মাদ ﷺ কর্তৃক আয়েশা (রাঃ)-কে বিবাহ করাটা ছিল অমানবিক।
১২. মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর ওহী বলতে কিছুই আগমন করত না; বরং তাঁর উপর কোন বিশেষ জিনের আছর পড়ত।
১৩. মুহাম্মাদ ﷺ এর জীবনাদর্শ সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনাদর্শ নয় অথবা তাঁর জীবনাদর্শ বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য নয়।
১৪. কুরআন আল্লাহর বাণী নয়।
১৫. কুরআনের মধ্যে কোনরূপ ভুল রয়েছে।
১৬. কুরআনের অমুক অমুক বিধান যথার্থ নয়।
১৭. কুরআন পূর্বযুগের লোকদের জন্য প্রযোজ্য ছিল; এটি বর্তমান যুগের জন্য অনুপযুক্ত।
১৮. কিয়ামত, আখিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম, সৎকর্মের পুরস্কার, অসৎকর্মের শাস্তি বলতে কিছুই নেই; এগুলো কল্পনামাত্র।
১৯. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মিরাজ স্বশরীরে নয়; বরং স্বপ্নযুগে সংঘটিত হয়েছিল।
২০. রাসূলুল্লাহ ﷺ মিরাজে গমন করেননি।
২১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত অথবা যাকাত আদায় করা অথবা রোযা রাখা অথবা হজ্জ পালন করা ইসলামের কতিপয় অহেতুক কর্ম। এগুলো পালন করা মুসলিমদের জন্য ফরজ নয়।
২২. এরূপ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, এই এই বস্তুসমূহ হালাল; অথচ ইসলাম সেগুলোকে স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করেছে। যেমন- মদ, জুয়া, শুকর ইত্যাদি। অথবা এরূপ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, এই এই বস্তুসমূহ হারাম, অথচ ইসলাম সেগুলোকে স্পষ্টভাবে হালাল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন,
যখন কোন ব্যক্তি ইজমাকৃত হারামকে হালাল করবে কিংবা ইজমাকৃত হালালকে হারাম করে দেবে অথবা ইজমাকৃত শরীয়াতের কোন বিধানকে পরিবর্তন করবে, তবে সে সকল ফকীহগণের মতে কাফির ও মুরতাদ। [(মাজমাউল ফাতাওয়া ৩/২৬৭)]
(খ) উক্তি বা কথার মাধ্যমে ইসলাম ভঙ্গের উদাহরণসমূহ :
১. উপরোক্ত বিশ্বাসসমূহ মুখের ভাষায় প্রকাশ করা।
২. সরাসরি আল্লাহকে অস্বীকার করা এবং আল্লাহর অবাধ্যতার ঘোষণা প্রদান করা।
৩. আল্লাহ তা‘আলাকে, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে, ফেরেশতাদেরকে অথবা ইসলামকে গালি দেয়া।
৪. আল্লাহ তা‘আলা অথবা তাঁর কোন কথা অথবা কুরআনের কোন আয়াত অথবা তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা।
৫. এ কথা বলা যে, রাষ্ট্রীয় বিষয়ের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই অথবা ইসলামের বিধান সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় অথবা বর্তমান যুগে ইসলাম প্রযোজ্য নয়।
৬. এ কথা বলা যে, ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মুসলিমদেরকে পিছিয়ে দিয়েছে অথবা তাদের দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।
৭. গাইরুল্লাহকে আহবান করা।
(গ) কর্মের মাধ্যমে ইসলাম ভঙ্গের উদাহরণসমূহ :
১. পূর্বোক্ত বিশ্বাস ও কথার বিষয়গুলো আমলে পরিণত করা।
২. কাফিরদের শি‘আর তথা যেসব চিহ্ন কাফিরদের আলামত বহন করে সেসব চিহ্ন ধারণ করা। যেমন- গলায় ক্রুশ ঝুলানো, ক্রুশ অঙ্কিত পোষাক পরিধান করা, অগ্নিপূজকদের টুপি, হিন্দুদের ধুতি পরিধান করা অথবা কপালে তিলক লাগানো।
৩. আল্লাহর শরীয়াতকে পরিবর্তন করা, মানবরচিত আইন প্রণয়ন করা, এটাকে আল্লাহর হুকুম ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হুকুমের স্থানে স্থান দেয়া।
৪. ইসলামের কোন নিদর্শনের অবমাননা করা। যেমন- মসজিদের অবমাননা করা, কুরআন মাজীদের অবমাননা করা।
৫. কাফিরদের জন্য উপাসনালয় তৈরি করা অথবা কাফিরদেরকে তাদের ইবাদাতে সহযোগিতা করা।
৬. এমন কোন কাজ করা, যে ব্যাপারে সকল মুসলিম একমত যে, এটা একমাত্র কাফিরই করতে পারে।
৭. কাফির ও মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব পোষণ করা, বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করা এবং কথা ও কাজের মাধ্যমে তাদের ঘনিষ্ঠ হওয়া।
৮. আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আল্লাহকে এককভাবে নির্ধারণ না করা। যেমন- আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে অন্য কোন বিধান দ্বারা ফায়সালা করা।
৯. আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদাত করা অথবা আল্লাহর ইবাদাত করার সাথে সাথে অন্য কারো ইবাদাত করা।
১০. আল্লাহ যেভাবে মানুষের লাভ ও ক্ষতি করতে পারেন সেভাবে অন্য কাউকে লাভ-ক্ষতির অধিকারী মনে করা।
১১. আল্লাহর শেখানো পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতিতে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার চেষ্টা করা।
১২. রুকূ, সিজদা, রোযা, তাওয়াফ, কুরবানী, মান্নত ও বিনয় প্রকাশ ইত্যাদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে করা।
১৩. পরিপূর্ণরূপে সালাত পরিত্যাগ করা।
১৪. কবরে তাওয়াফ করা এবং মূর্তিকে সিজদা করা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/10/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।