hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনদের জন্য মাহে রমজানের হাদিয়া

লেখকঃ শায়খ সালেহ বিন ফাওযান আল ফাওযান

১৭
পনেরতম পাঠ : রোজা বিনষ্টকারী দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকারের আলোচনা
জেনে রাখুন আল্লাহ তাআলা রোজাদারের জন্য রাতে নিজ স্ত্রীর সাথে সম্ভোগ বৈধ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন-

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ

তোমাদের জন্য রোজার রাতে স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হয়েছে। (সূরা বাকারা-১৮৭)

রাতের জন্য বৈধতাকে নির্দিষ্ট করা দ্বারা দিনে হারাম হওয়া প্রমাণিত হল।

রোজা নষ্টকারী দ্বিতীয় কারণগুলো থেকে হলো, সহবাস ছাড়া অন্য উপায়ে যেমন: চুমো খাওয়া, আলিঙ্গন, বারবার কুদৃষ্টি অথবা হস্তমৈথুন এর ফলে বীর্য বাহির করা। এ সবের কোন একটি কারণে রোজাদার বীর্য বাহির করলে তার রোজা নষ্ট হবে যাবে। দিনের বাকী অংশ সে পানাহার বন্ধ রাখেবে এবং এ রোজা পরে কাযা করবে। কাফফারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে তাকে তওবা করতে হবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এজাতীয় কর্মকান্ড হতে দূরে থাকতে হবে। কারণ, সে এক মহান ইবাদত করে যাচ্ছে এ সময়ে তার কাছে কাম্য হলো সে আল্লাহর জন্য কামভাব, পানাহারসহ সব ত্যাগ করবে। হ্যাঁ ঘুমন্ত ব্যক্তির স্বপ্নদোষ হলে এতে তার রোজার কোন ক্ষতি হবে না। এর জন্য কোন কাযা কাফফারারও প্রয়োজন নেই। কারণ এটা হয় তার অনিচ্ছায়। তবে তাকে গোসল করতে হবে।

রোজার নষ্টকারী তৃতীয় কারণ হলো ইচ্ছাকৃত খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা।

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ

আর আহার কর ও পান কর, যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অত:পর রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ কর। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৭৮)

আল্লাহ তাআলা সুবহে সাদিক পর্যন্ত আহার ও পান করা কে বৈধ করেছেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করতে বলেছেন। আহার ও পান করার মত একই হুকুম ঐ সব খাবারের জন্য যা মুখ ভিন্ন অন্য পথে দেহে প্রবেশ করে। এ ছাড়া শুকনাও তরল জাতীয় যে কোন খাবার মুখ দিয়ে প্রবেশেরও ঐ একই হুকুম। যেমন পুষ্টি ইনজেকশন গ্রহণ, ঔষধ খাওয়া, পরিত্রাণের জন্য রক্তগ্রহণ এসবই রোজা বিনষ্টকারী। কারণ এগুলো খাদ্য অথবা ঔষধ হিসেবে কাজ করে যা পেটে চলে যায়। তাই এগুলো খাদ্যের হুকুমের অন্তর্ভূক্ত। এটাই ফিকহবিদদের মত। হ্যাঁ যে ইনজেকশন পুষ্টি নয় এবং শিরায় গ্রহণ করা হয় তার ব্যাপারেও মত হলো এটা রোজা ভঙ্গকারী।

কারণ তাও রক্তের সাথে চলাচল করে এবং পেটে চলে যায়। আর যদি মাংসপেশীতে নেয়া হয় উত্তম হলো তা ত্যাগ করা। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সন্দেহ হয় এমন বস্তু পরিহার কর। (নাসায়ী: ৫৭২৭)

বাধ্য হয়ে যাকে এসব গ্রহণ করতে হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত দেরী করাও তার পক্ষে সম্ভব নয় সে অসুস্থতার কারণেই তা গ্রহণ করবে এবং রোজা কাযা করবে। আল্লাহ রোগীর জন্য অনুমতি দিয়েছেন রোজা ভঙ্গের। এবং পরে কাযা করার। চোখে সুরমা লাগানো কোন কোন ফকিহ এটাকে রোজা ভঙ্গের কারণ মনে করেন। কারণ এটাও পেটে চলে যায়। অনেক সময় রোজাদার ব্যক্তি সুরমার স্বাদ তার কন্ঠে অনুভব করে। তাই রোজাদার ব্যক্তি রোজার দিনে সতর্কতা মূলকভাবে সুরমা পরিহার করতে পারলে ভাল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন