মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বাইশতম পাঠ: কোন কোন জিনিসের ওপর জাকাত ওয়াজিব এবং তার পরিমাণ কত?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/123/24
যেসব সম্পদের ওপর জাকাত ওয়াজিব হয়, তা মূলত চার প্রকার।
প্রথম প্রকার : স্বর্ণ-রৌপ্য :
স্বর্ণ-রৌপ্য বা র্স্বণ-রৌপ্যের পরিবর্তে বর্তমান যে সব টাকা-পয়সা পরস্পর আদান-প্রদান করা হয়, তার ওপর জাকাত ওয়াজিব। যেমন, দিরহাম, রিয়াল, দিনার, ডলার অথবা অন্য কোন মুদ্রা। যদি কারো কাছে নিসাব পরিমাণ স্বর্ণ-রৌপ্য বা এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা তার চেয়ে বেশি থাকে এবং তার ওপর পূর্ণ এক বছর অতিক্রম করে, তাতে জাকাত ফরজ। আর তার পরিমাণ হচ্ছে চারভাগের একভাগ। অর্থাৎ একশত টাকায় আড়াই টাকা জাকাত দেয়া ফরজ। হোক না এ সম্পদ ব্যবসার জন্য বা জীবিকা নির্বাহের জন্য বা বাড়ি-গাড়ি ক্রয় করার জন্য অথবা অন্য কোন প্রয়োজন মিটানোর জন্য। হোক না এ সম্পদ ছোট-বড়-পাগল বা অন্য কোন ব্যক্তির মালিকাধীন। ইয়াতিম বাচ্চাদের সম্পদের ওপরও জাকাত ফরজ অভিভাবকগণ তাদের সম্পদ থেকে জাকাত বের করবে।
সম্পদের লভ্যাংশ মূল সম্পদের সঙ্গে গণনা করা হবে, যদিও তার ওপর পূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত না হয়।
চাকরিজীবি যে সব ব্যক্তিবর্গ তাদের বেতন থেকে অল্প-অল্প অর্থ জমা করেন, তাদের জন্য ভাল হল, রমজানের ন্যায় বরকতপূর্ণ কোন একটি মাসকে জাকাত বের করার জন্য নির্ধারণ করা ও বৎসর গণনা শুরু করা এবং তাতেই সব অর্থের জাকাত দেয়া, বৎসর পূর্ণ হোক বা না হোক। যে ব্যক্তির মানুষের কাছে পাওনা রয়েছে, যদি তাদের পাওনা এমন ব্যক্তিদের নিকট হয়, যারা সম্পদশালী, যাদের কাছে চাওয়া মাত্র টাকা পাওয়া যাবে, তবে এসব পাওনা টাকার ওপর জাকাত দেয়া ওয়াজিব। যখন তাদের টাকা দিয়েছে তখন থেকেই বৎসর গণনা শুরু করবে। আর যদি এমন ব্যক্তিদের নিকট পাওনা হয়, যাদের টাকা-পয়সা নেই বা টাকা-পয়সা নিয়ে তারা টালমাটাল করতে পারে, তবে এসব সম্পদ হস্তগত হওয়ার পর এক বৎসরের জাকাত দিলেই যথেষ্ট হবে। এটাই আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত। আর যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত কিন্তু তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, সেও জাকাত দেবে। এটাই আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত।
দ্বিতীয় প্রকার : ব্যবসার সম্পদ :
ব্যবসার জন্য যেসব সম্পদ গচ্ছিত রাখা হয়। যেমন, গাড়ি, বাড়ি, জমি, বিভিন্ন জিনিস পত্র, খাদ্যসামগ্রী, ঔষধ পত্র ও ব্যবসায়িক নানা দ্রব্য। এসব সম্পদের ওপর বা এসব সম্পদের মূল্যের ওপর বছর অতিবাহিত হলে জাকাত দেয়া ফরজ। সে সময় তার মূল্য যত হবে, সে অনুসরারেই জাকাত দেবে। কত দিয়ে ক্রয় করেছে তা লক্ষ্য করা হবে না।
হ্যাঁ, যেসব বাড়ি-গাড়ি বা জমি বাড়া দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে, সেসব বাড়ি-গাড়ি বা জমির ওপর জাকাত ফরজ নয়, বরং জাকাত ফরজ হচ্ছে তার ভাড়ার ওপর। বৎসরে শেষে যে পরিমাণ ভাড়া আদায় হয়েছে, সে পরিমাণ অর্থের ওপর জাকাত ফরজ।
ব্যবহৃত জিনিসের ওপর জাকাত ফরজ নয়। যেমন, বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ব্যবহৃত গাড়ি ও জিনিস পত্রের ওপর জাকাত ফরজ নয়। তবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত জিনিস পত্রের ওপর জাকাত ফরজ।
জাকাত আদায় করার সময় জাকাতের নিয়ত করা ফরজ। যেহেতু এটা ইবাদত আর ইবাদত নিয়ত ব্যতীত আদায় হয় না। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
: " إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل امرئ ما نوى " [ أخرجه البخاري رقم 1 ، ومسلم رقم 1907]
ইবাদতের মূলভিত্তি হচ্ছে নিয়ত, যে ব্যক্তি যা নিয়ত করবে, তার জন্য তাই মিলবে। (বুখারি : ১, মুসলিম : ১৯০৭) তাই জাকাত দেয়ার সময় নিয়ত করা জরুরি।
যদি কেউ, জাকাত দেয়ার সময় নিয়ত না করে পরে নিয়ত করে, তবে তার জাকাত আদায় হবে না। মুসলমানদের উচিত তার সম্পদের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব কষে জাকাত দেয়া। যাতে জাকাতের অবশিষ্ট অংশ পূর্ণ সম্পদ নষ্ট হওয়ার কারণ না হয়।
জাকাত আদায় করার জন্য অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া বৈধ। জাকাত আদায়কারীর উচিত জাকাত দিয়ে কারো ওপর অনুগ্রহ প্রদর্শন না করা এবং প্রফুল্য চিত্তে জাকাত আদায় করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
{ يا أيها الذين آمنوا لا تبطلوا صدقاتكم بالمن والأذى } [ البقرة 264].
হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদকা বাতিল করো না। (সূরা বাকারা : ২৬৪)
আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের ব্যাপারে বলেছেন,
{ ولا يأتون الصلاة إلا وهم كسالى ولا يُنفقون إلا وهم كارهون } [ التوبة 54]
আর তারা সালাতে আসে না, তবে অলস অবস্থায় এবং তারা দান করে না, তবে অপছন্দকারী অবস্থায়। (সূরা তওবা : ৫৪)
জাকাত দেয়ার সময় এ বলে দোয়া করা মুস্তাহাব।
اللهم اجعلها مغنما ولا تجعلها مغرما،
'হে আল্লাহ এ সম্পদকে তুমি গণিমত হিসেবে গ্রহণ কর, একে তুমি জরিমানায় পরিগণিত কর না।'
আর জাকাত গ্রহণকারী বলবে,
آجرك الله فيما أعطيت وبارك لك فيما أبقيت، وجعله لك طهورا .
'তুমি যা দান করেছো আল্লাহ তোমাকে এর প্রতিদান দিন। এবং তুমি তোমার নিজের জন্য যা রেখেছ, তাতে আল্লাহ বরকত দান করুন এবং একে তোমার পবিত্রতার মাধ্যম করুন।'
আল্লাহর বান্দাগণ, এ মাসে বেশি বেশি নফল সদকা করা মুস্তাহাব। আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন সদকা সব চেয়ে উত্তম ? তিনি বলেন, রমজান মাসে সদকা করা। (তিরমিজি : ৬৬৩, তিনি বলেন, হাদিসটি গরিব)
রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার হালাল রুজি থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সদকা করবে, আল্লাহ তা ডান হাতে কবুল করেন এবং বদ্ধির্ত করতে থাকেন, এক সময় তা বড় পাহাড়ের ন্যায় হয়ে যায়। (বুখারি : ১৪১০, মুসলিম : ১০১৪)
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, সদকা আল্লাহর ক্রোধকে নির্বাপিত করে এবং অপমৃত্যু থেকে হিফাজত করে। (তিরমিজি : ৬৬৪, তিনি হাদিসটি গরিব বলেছেন)
এ বিষয়ে আরো আয়াত ও হাদিস রয়েছে।
এ মাসে সদকা করা রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ এবং তার সঙ্গে একটি সাদৃশ্যও। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এ মাসে বেশি বেশি কল্যাণ করার তওফিক দান করুন এবং তার মাগফেরাত দিয়ে আমাদেরকে ঢেকে দিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/123/24
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।