hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনদের জন্য মাহে রমজানের হাদিয়া

লেখকঃ শায়খ সালেহ বিন ফাওযান আল ফাওযান

৩১
উনত্রিশতম পাঠঃ সদকাতুল-ফিতরের বর্ণনা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্যে, যিনি আমাদিগকে পরিপূর্ণভাবে নেক-আমল করার তাওফিক দান করেছেন। দরুদও সালাম নাযিল হোক প্রতিটি কল্যাণময় কাজে অগ্যগামী নবীকুল শিরোমণি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার পরিবার পরিজন ও কিয়ামত পর্যন্ত যারা যত লোক তাদের মতাদর্শের অনুসারী হবে তাদের উপর।

মহান আল্লাহ তাআলা সিয়াম সাধনার সমাপ্তি ঘটিয়েছেন সদকাতুল-ফিতরের দ্বারা। কায়মনে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদের আমলগুলো কবুল করেন এবং আমাদিগকে জাহান্নাম হতে মুক্তি প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেন।

হে মুমিনগণ!

মহান আল্লাহ তাআলা রমযান শেষে এমন কিছু ইবাদতের ব্যবস্থা করেছেন, যা দ্বারা মানুষ সহজে তার প্রভুর নৈকট্য লাভ করতে সক্ষম হয়। তার একটি হল: সদকায়ে ফিতর। যা তার আদায়কারীকে কৃত অপরাধ হতে পবিত্র করে। সদকায়ে ফিতরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট বড় স্বাধীন পরাধীন নারী পুরুষ সকলের উপর ফরয করেছেন। এটা শরীরের জন্য যাকাত আর ফকীর-মিসকীনের জন্যে সহানুভূতি স্বরূপ। প্রতিটি মুসলমান নিজের পক্ষ হতে এবং আপন পরিবার পরিজন তথা যাদের বরণ পোষণের দায়-দায়িত্ব তার উপর, তাদের সবার পক্ষ হতে সদকাতুল- ফিতর আদায় করবে। মাতৃগর্ভে অবস্থানরত সন্তানের পক্ষ হতে দেয়াও মুস্তাহাব।

সদকাতুল-ফিতর আদায় করার স্থানঃ অবস্থানরত দেশেই সদকাতুল ফিতর আদায় করবে। অবস্থানরত দেশে ফিতরা গ্রহণ করার মত লোক থাকা পর্যন্ত- অন্য দেশে স্থানান্তর করা জায়েয নেই। যদি তার দেশে ফিতরা গ্রহণ করার মত লোক না পাওয়া যায় তাহলে তার নিকটতম দেশের দরিদ্র লোকেরাই সদকাতুল ফিতর পাওয়ার অধিক হকদার। এখানে স্বদেশ বা পার্শবর্তী দেশের দরিদ্র লোক বলতে তাদেরকেই বুঝায় যারা সে দেশের স্থানীয় বা ভিন্নদেশ হতে এসে স্থায়ীভাবে সেখানে বসবাস করে। নিজে এক দেশে বাস করে আর তার পরিবার পরিজন অন্যদেশে বসবাস করে এমতাবস্থায় তার ফিতরার সাথে সকলের ফিতরা নিজ দেশেই দেবে। হাঁ এটাও জায়েয আছে যে, তাদেরকে তাদের অবস্থানরত দেশে সবার সদকাতুল ফিতর আদায়ের জন্য দায়িত্ব দিয়ে দেবে।

সদকাতুল ফিতর আদায়ের সময়ঃ

সদকাতুল ফিতর আদায় করার সময় হচ্ছে, ঈদের রাতের সূর্যাসে-র পর হতে ঈদের নামাযের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন-। তবে ঈদের দুএকদিন পূর্বেও দেয়া যেতে পারে। তবে উত্তম হচ্ছে ঈদের দিন সকালে নামাযের পূর্বে আদায় করা। যদি কেউ নামাযের পূর্বে আদায় না করে তাহলে নামাযের পরে আদায় করবে। আর যদি কেউ ঈদের দিন আদায় না করে তাহলে পরবর্তিতে তার কাজা আদায় করবে। উল্লিখিত আলোচনা হতে বুঝা গেল যে, সক্ষম ব্যক্তিকে সদকাতুল ফিতর আদায় করতেই হবে। সদকাতুল ফিতর আদায়ের দুটো সময় একটি হচ্ছে উত্তম সময় অপরটি জায়েয। উত্তম সময় হচ্ছে ঈদের রাতের সূর্যাসে-র পর হতে ঈদের নামায পর্যন-। আর জায়েয সময় হচ্ছে ঈদের দুএক দিন পূর্ব হতে। হাঁ ঈদের নামাযের পর হতে সূর্যাস- পর্যন-ও জায়েয সময়ের অন-র্ভুক্ত। তারপর আরম্ভ হয় কাযার সময়। যেসব ফকীর মিসকীন সম্পদের যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত তারাই সদাকাতুল ফিতর পাওয়ার উপযুক্ত। সুতরাং ফিতরা আদায়ের নির্ধারিত সময়ের মাধ্যে হয় নিজ হাতে বিতরণ করবে অথবা দায়ভার গ্রহণকারী লোকের নিকট সোপর্দ করবে। বন্টনের দায়িত্ব না দিয়ে শুধু কারো কাছে ফিতরার মাল রেখে দেয়া তা আদায়ের জন্যে যথেষ্ট নয়।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণঃ

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ হচ্ছে, গম আটা খেজুর কিশমিশ পনির চাউল ভুট্টা ইত্যাদি স্থানভেদে যেগুলো মানুষ খাদ্য হিসাবে গণ্য করে থাকে, সেগুলো হতে এক সা প্রচলিত মাপ অনুযায়ী প্রায় তিন কেজি।

শরীয়তের মূল সূত্রের পরিপন্থী হওয়ার কারণে খাদ্যের পরিবর্তে টাকা দেয়া যথেষ্ট নয়। দেশবরণ্য ওলামায়ে কেরামের ফত্‌ওয়া অনুযায়ী খাদ্য ক্রয় করে ভিন্নদেশে বিতরনের জন্যে টাকা পাঠিয়ে দেয়াও জায়েয নেই, যদিও এরূপ অনেকেই করে থাকে।

নগদ অর্থদিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় না হওয়ার কারণসমূহ।

(১) এ পদ্ধতি অবলম্বনে বস্তু না দিয়ে বস্তুর মূল্য দেয়া হয়। (২) সদকাতুল-ফিতরের মূল্য রোযাদারের স্বদেশ হতে বিদেশ পাঠানো হয় (৩) সময়মতে বিতরণের সুবিধার্থে সদকাতুল-ফিতর আদায়ের নির্ধারিত সময় আগেই সে মূল্য ভিন্নদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমরা পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের অভাবী মুসলমানদের সাহায্যের বিরোধী নই। কিন্তু সদকাতুল-ফিতর এমন একটি ইবাদত যার জন্যে রয়েছে, নির্ধারিত স্থান, কাল ও পাত্র। সুতরাং এ ইবাদত এ সমস- শর্তসাপক্ষেই হতে হবে।

নগদ অর্থ রাসূলের যুগেও বিদ্যমান ছিল কিন- তা দিয়েতো রাসূল কখনো সদকাতুল ফিতর আদায় করেন নেই, যদি জায়েয হত তাহলে উম্মতের শিক্ষার জন্যে অবশ্যই রাসূল তা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতেন। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা নিজে বা তাঁর কোন সাহাবী নগদ অর্থ দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করেন নেই। যারা নগদ অর্থ দেয়া জায়েয বলে ফত্‌ওয়া দিয়েছেন, তারা এ ফত্‌ওয়া শরীয়তের কোন মূলনীতির উপর ভিত্তি করে নয়, নিজ ইজতেহাদের উপর ভিত্তি করেই দিয়েছেন। যা ভুলত্রুটির উর্ধে নয়।

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. বলেন, মূল্য দেয়া জায়েয নেই। কিছু লোক বলল, ওমর বিন আব্দুল-আযিযতো মূল্যই গ্রহণ করতেন?। তিনি বলেলন, মানুষ রাসূলের কথা অমান্য করে কেমন করে বলে যে অমুকে এরূপ করেছে! অথচ সাহাবী ওমর রা. বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকাতুল-ফিতর এক সা-ই ফরয করেছেন।

এ মাসের শেষাংশে মহান আল্লাহ তালার নির্বাচিত আর একটি আমল হচ্ছে তাকবীর। যা ঈদের রাতের সূর্যাস- হতে শুরু করে ঈদের-নামায পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। মহান আল্লাহ তালা বলেন,

{ ولتكملوا العدة ولتكبروا الله على ما هداكم ولعلكم تشكرون } [ البقرة 185]

যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা আল বাক্বারা ১৮৫ )

ঈদের নামাযও রমযান শেষে শরীয়ত স্বীকৃত আমলসমূহের অন-র্ভক্ত, মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,

قد أفلح من تزكى * وذكر اسم ربه فصلى } [ الأعلى 14-15]

নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়। এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অত: পর নামায আদায় করে। (সূরা আল-আলা ১৫-১৬)

ওলামায়ে কেরামের মতে এখানে যাকাত দ্বারা সদকাতুল ফিতর আর নামায দ্বারা ঈদের নামাযই উদ্দেশ্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন