hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুমিনদের জন্য মাহে রমজানের হাদিয়া

লেখকঃ শায়খ সালেহ বিন ফাওযান আল ফাওযান

১৮
ষোলতম পাঠ:
রোজা বিনষ্টকারী থেকে চতুর্থ প্রকার হলো শিংগা অথবা এ ধরণের কোন কিছু দিয়ে রোজাদারের রক্ত বের করা নিরাময় অথবা আরামবোধ করার উদ্দেশ্যে। এ ক্ষেত্রে মূলভিত্তি হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস যাতে বর্ণিত আছে '' শিংগাদানকারী এবং গ্রহণকারী উভয় ইফতার করল, মানে রোজা ভাঙ্গলো। (আহমাদ, তিরিমিযি, আবুদাউদ)

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: শিঙ্গা রোজা নষ্টকরে এটা বেশিরভাগ ফিকহবিদদের মত। যেমন আহমদ, ইসহাক, ইবনে খুযাইমা, ইবনে মুনযির, ওলামায়ে আহলে হাদীস এ মত পোষণ করেন। এবং এটা শরয়ি মূলনীতি অনুযায়ীও যুক্তিযুক্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুসারী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ অনুযায়ী আমল করেছেন ।

কতিপয় চিন্তাবিদ শিঙ্গার কারণে রোজা নষ্ট হবে বলে মনে করেন না। তারা দলিল হিসেবে বুখারী শরীফের একটি বর্ণনা পেশ করেন। যাতে বলা হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা এবং হজের ইহরাম বাধা আবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। (হাদিস নং ১৯৩৮, ১৯৩৯) তবে ইমাম আহমদ রহ. বলেন যে একটি হাদীসে এসেছে

فعن عبدالله بن عباس رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم احتجم وهو محرم، واحتجم وهو صائم ]

এ হাদীসে وهوصائم শব্দটি বৃদ্ধিকে সঠিক নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন।

তারা বলেন: বিশুদ্ধ হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিঙ্গা লাগিয়েছেন ইহরাম আবস্থায়। রোজা আবস্থায় নয়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন : আহমদ রহ. যা বলেছেন এর উপর বুখারী মুসলিম রহ. উভয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন।

এ জন্য ইমাম মুসলিম রহ. বর্ণনায় " وهو صائم "، শব্দটি ব্যবহার করেননি।

অনিচ্ছাকৃত রক্ত বাহির হওয়া, যেমন নাক থেকে, আঘাত জনিত কারণে, দাতের মাড়ি থেকে এগুলো রোজার কোন ক্ষতি করবে না। কারণ এ অবস্থায় সে মাযুর। তবে দাত থেকে রক্ত বাহির হলে তা যেন ভিতরে না যায়, সে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই।

পঞ্চম প্রকার হলো ইচ্ছাকৃত বমি করা।

ইচ্ছাকৃত বমি বলতে পেটের ভিতর থেকে খাবার অথবা পানি বের করা। এ বিষয়ে হাদীস হলো

" من استقاء عمدا فليقض " حسنه الترمذي [ أخرجه الترمذي رقم 720 ، وأبو داود رقم 2380 ، وابن ماجة رقم 1676

যে ইচ্ছাকৃত বমি করল সে রোজা কাযা করবে। (তিরমিজী, আবু দাউদ)

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইচ্ছাকৃত বমি করতে নিষেধ করার কারণ হলো খাদ্য ও পানীয় বস্তু দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে এ গুলো বের করা শরীরের জন্য ক্ষতি এবং স্বাস্থ্য দুর্বলের কারণ যার প্রভাব পরবর্তিতে ইবাদতেও পড়বে। তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হলে এতে রোজা নষ্ট হবে না। হাদীসে এসেছে, যে অনিচ্ছায় বমি করল তার জন্য কাযা নেই। (তিরমিজী)

এমনিভাবে রোজাদার ব্যক্তি কুলি করার সময় গরগরা করবে না এবং নাকে পানি দেয়ার সময় খুব ভিতরে পানি দেবে না।

قال صلى الله عليه وسلم : " وبالغ في الاستنشاق إلا أن تكون صائما " [ أخرجه أبو داود رقم 142، 143 ، وابن ماجة رقم 407 ، وابن خزيمة في صحيحه رقم 150 ، وابن حبان في صحيحه رقم 159 والحاكم 1/ 147 ـ 148 ، وأحمد 4/ 33 ، وصححه الذهبي وابن حجر ].

কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গরগরা করে কুলি করা এবং নাকে ভিতরে পরিস্কারের কথা বললেও তা রোজা আবস্থায় নিষেধ করেছেন।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. এর কারণ হিসেবে বলেন : এর মাধ্যমে গলা এবং নাক দিয়ে পানি পেটে চলে যাবে। এতে করে সরাসরি পান করলে যা হতো তাই হয়ে যাবে। যা রোজা ভঙ্গের কারণ হবে।

হ্যাঁ সতর্ক আবস্থায় পুরো শরীর পানি দ্বারা গোসল বা অন্য কোন মাধ্যমে শীতল করা বৈধ। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন কণ্ঠনালী দিয়ে ভিতরে না যায়। আর যে ভুলে আহার বা পান করে তার রোজার কোন ক্ষতি হবে না বরং তা আল্লাহর পক্ষ হতে তার উপর অনুগ্রহ বলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। উড়ন্ত মশা-মাছি, ধূলা-বালি হঠাঁৎ মুখ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেও রোজার কোন ক্ষতি হবে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আমার উম্মত ভুলে যা করে অথবা জোরপূর্বক তাকে দিয়ে যা করানো হয় এগুলো তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন