hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রোযার ফযীলত ও শিক্ষা আমাদের করণীয়

লেখকঃ মোঃ আব্দুল কাদের

১০
গ.জিহ্বার রোযা
ইসলামে মুখের কথার গুরুত্ব অনেক বেশী। জিহবা হচ্ছে কথা বলার বাহন বা হাতিয়ার। তাই জিহবাকে সংযত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে রোযার ক্ষেত্রে এই সংযম আরো বেশী দরকার।

আল্লাহ কুরআন মাজীদে বলেছেন:

﴿ مَّا يَلۡفِظُ مِن قَوۡلٍ إِلَّا لَدَيۡهِ رَقِيبٌ عَتِيدٞ ١٨ ﴾ [ق: ١٨ ]

‘কোন কথা উচ্চারণ করার সাথে সাথে অপেক্ষমান পর্যবেক্ষক প্রস্তুত থাকে।’ (সূরা ক্বাফ: ১৮)

অর্থাৎ মানুষের উচ্চারিত সকল শব্দের তদারক করা হয় এবং সেজন্য হিসেব দিতে হবে। তাই কথা বলার সময় বিবেচনা করতে হবে ও ভালো কথা ছাড়া খারাপ কথা বলা যাবে না।

কুরআনে অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করাকে মোমিনের বিশেষ গুণ আখ্যায়িত করে আল্লাহ বলেন:

﴿ وَٱلَّذِينَ هُمۡ عَنِ ٱللَّغۡوِ مُعۡرِضُونَ ٣ ﴾ [ المؤمنون : ٣ ]

‘(তারাই মুমিন) যারা অপ্রয়োজনীয় ও বেহুদা কথা থেকে বিরত থাকে। (সূরা আল-মুমিনুন: ৩)

সাহাল ইবন মু‘আয থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«من يضمن لي ما بين لحييه وما بين رجليه أضمن له الجنة»

‘যে আমাকে তার দুই ঠোঁট ও দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থানের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জান্নাতের নিশ্চয়তা দেবো।’ [বুখারী,খ৫,পৃ.২৩৭৬,হাদীস নং ৬১০৯।]

এই হাদীসে জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই দুই স্থানকে হেফাজত করলে জান্নাত পাওয়া যায়।

মূলতঃ এই দুটো জিনিস খুবই বিপজ্জনক এবং শয়তানের বড় হাতিয়ার। জিহ্বার কারণেই মানুষ কষ্ট পায়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«المسلم من سلم المسلون من لسانه ويده»

‘সেই ব্যক্তি প্রকৃত মুসলিম যার জিহবা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।’ [শারহে ইদ্দত মুতুন ফীল আকীদাহ,খ,১৮,পৃ ২৪০।]

পক্ষান্তরে যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ নয়, সে পূর্ণাঙ্গ মুসলিম নয়।’ প্রবাদ আছে, ‘কথার ঘা শুকায় না, মারের ঘা শুকায়।’ তাই জিহবার ব্যাপারে সর্বাধিক সতর্ক থাকতে হবে।

কথা কম বললে ভুল কম হবে এবং অপরাধ বাড়বে না। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«ومن كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرا أو ليصمت»

‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখে সে যেন কথা বললে ভাল কথা বলে কিংবা চুপ করে থাকে। [বুখারী,খ৫,পৃ.২২৪০,হাদীস নং ৫৬৭৩।]

এই হাদীসের মর্মানুযায়ী ভাল কথাই বলা উচিৎ। আর ভাল কথা না থাকলে চুপ করে থাকা উচিৎ।

জিহবার ১৫টিরও বেশী দোষ আছে। সেগুলো জিহবা ছাড়া সংগঠিত হতে পারে না। সেগুলো হচ্ছে: ১. মিথ্যা বলা ২. খারাপ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা ৩. অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা ৪. গালি দেওয়া ৫. নিন্দা করা ৬. অপবাদ দেওয়া ৭. চোগলখুরী করা ৮. বিনা প্রয়োজনে গোপনীয়তা ফাঁস করে দেওয়া ৯. মোনাফেকী করা ও দুই মুখে কথা বলা ১০. ঝগড়া-ঝাটি করা ১১. হিংসা করা ১২. বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা ১৩. বাতিল ও হারাম জিনিস নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ লাভ করা ১৪. অভিশাপ দেওয়া ১৫. সামনা-সামনি প্রশংসা করা।

মুমিনদেরকে সাধারণভাবে এবং রোযাদার মুমিনকে বিশেষভাবে জিহবার এ সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে দূরে থাকতে হবে। তাই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«من لم يدع قول الزور والعمل به فليس لله حاجة بأن يدع طعامه وشرابه»

‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ ত্যাগ করে না, তার খানাপিনা বন্ধ রাখতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজনে নেই।’ [তিরমিযী,খ.৩,পৃ.৮৭,হাদীস নং ৭০৭।] অর্থাৎ আল্লাহ এই জাতীয় রোযা কবুল করবেন না এবং সওয়াব দেবেন না। অতএব কেবল খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকার নামই রোযা নয়, বরং রোযা হচ্ছে, বেহুদা কথা ও গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকা।’

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযাকে জিহবার অনিষ্ট থেকে বিশুদ্ধ রাখার পদ্ধতি বাতলিয়ে দিয়েছেন:

«إذا كان يوم صوم أحدكم فلا يرفث ولا يصخب وفي رواية : ولا يجهل، فإن سابه أحد أو قاتله فليقل إني امرؤ صائم مرتين»

‘তোমাদের কেউ রোযা রাখলে সে যেন গুনাহ, অজ্ঞতা ও জাহেলি কাজ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় কিংবা তার সাথে লড়তে আসে সে যেন বলে দেয়, আমি রোযা রেখেছি, আমি রোযাদার।’ [বুখারী,খ.২,পৃ.৬৭৩,হাদীস নং১৮০৫।]

হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতিই জিহবার অপরাধ থেকে বাঁচার উত্তম মাপকাঠি। অর্থাৎ কেউ তাকে খারাপ কাজে জড়াতে চাইলে সে জড়িয়ে যাবে না; বরং এড়িয়ে যাবে। যে ব্যক্তি জিহবার লাগাম খুলে দেয় তার রোযা কিভাবে হয়? যে ব্যক্তি মানুষের সাথে মিথ্যা বলে ও কথার মাধ্যমে ধোঁকা দেয় ও অন্যকে কষ্ট দেয়, তার রোযার ফলাফল কি হবে? এ সকল রোযা কিভাবে কবুল হতে পারে?

কত লোক আছে জিহবার অনিষ্টতার কারণে তাদের সকল রোযা নষ্ট বা হাল্কা করে ফেলে। রোযার উদ্দেশ্য তো শুধু উপোস থাকা নয়; বরং রোযার উদ্দেশ্য হচ্ছে আদব, শিষ্টাচার ও সংযম শিক্ষা করা এবং তার প্রয়োগ করা। তাই রোযাদারের মুখ সর্বদা ভাল কথা, কুরআন পাঠ, তওবা, তাসবীহ ও আল্লাহর পথে দাওয়াত দানের কাজে ব্যস্ত থাকবে এবং আল্লাহর রহমতের আদ্রতায় ভিজা থাকবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন