hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রোযার ফযীলত ও শিক্ষা আমাদের করণীয়

লেখকঃ মোঃ আব্দুল কাদের

১৪
তাকওয়ার পরকালীন ফায়দা
তাকওয়ার মাধ্যমে পরকালে জান্নাত, মুক্তি, সম্মান, মর্যাদা ও বহু নেয়ামত লাভের সৌভাগ্য হবে। এখন আমরা এ বিষয়ে স্বয়ং আল্লাহর বাণী ও প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করবো।

মুত্তাকীরা জান্নাতে থাকবে। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٍ ٤٥ ﴾ [ الحجر : ٤٥ ]

‘নিশ্চয়ই মোত্তাকীরা জান্নাত ও ঝর্ণাধারার মধ্যে বাস করবে।’ (সূরা দোখান: ৫১)

তাকওয়ার ফল হবে জান্নাত লাভ। তিনি বলেন:

﴿ ۞وَسَارِعُوٓاْ إِلَىٰ مَغۡفِرَةٖ مِّن رَّبِّكُمۡ وَجَنَّةٍ عَرۡضُهَا ٱلسَّمَٰوَٰتُ وَٱلۡأَرۡضُ أُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِينَ ١٣٣ ﴾ [ ال عمران : ١٣٣ ]

‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে দ্রুতগামী হও, যার প্রশস্ততা হলো আসমান-যমীনের সমান; এটা মোত্তাকীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (সূরা আলে ইমরান: ১৩৩)

মুত্তাকীরা নহর প্রবাহিত জান্নাতে বাস করবে। তিনি বলেন:

﴿ لِلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ عِندَ رَبِّهِمۡ جَنَّٰتٞ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ ١٥ ﴾ [ ال عمران : ١٥ ]

‘যারা তাকওয়ার অনুসরণ করে তাদের জন্য তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে জান্নাত- যার পাশ দিয়ে নহর প্রবাহিত হবে।’ (সূরা আলে ইমরান: ১৫)

মুত্তাকীদেরকে দলে দলে জান্নাতে নেয়া হবে। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ وَسِيقَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ رَبَّهُمۡ إِلَى ٱلۡجَنَّةِ زُمَرًاۖ ٧٣ ﴾ [ الزمر : ٧٣ ]

‘যারা তাদের পালনকর্তার ভয় করতো তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।’ (সূরা আয-যুমার: ৭৩)

দলে দলে মিছিলের মতো জান্নাতে যাওয়ার আলাদা আনন্দ রয়েছে।

মুত্তাকীরা নিরাপদ স্থানে বাস করবে। সেখানে কোনো বিপদ-আপদ নেই। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٖ ٥١ ﴾ [ الدخان : ٥١ ]

‘নিশ্চয়ই মোত্তাকীরা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করবে।’ (সূরা দুখান: ৫১)

মুত্তাকীরা আল্লাহর প্রতিনিধি দলের মর্যাদা লাভ করবে। তিনি বলেন:

﴿ يَوۡمَ نَحۡشُرُ ٱلۡمُتَّقِينَ إِلَى ٱلرَّحۡمَٰنِ وَفۡدٗا ٨٥ ﴾ [ مريم : ٨٥ ]

‘সেদিন মোত্তাকীদেরকে দয়ালু আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে উঠানো হবে।’ (সূরা মরিয়ম: ৮৫)

মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতে কক্ষের উপর কক্ষ অর্থাৎ বহুতল ভবন দেওয়া হবে। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ لَٰكِنِ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ رَبَّهُمۡ لَهُمۡ غُرَفٞ مِّن فَوۡقِهَا غُرَفٞ مَّبۡنِيَّةٞ ٢٠ ﴾ [ الزمر : ٢٠ ]

‘যারা নিজেদের পালনকর্তাকে ভয় করে তাকওয়া অর্জন করেছেন, তাদের জন্য রয়েছে কক্ষের উপর নির্মিত কক্ষ।’ (সূরা আয-যুমার: ২০)

মুত্তাকীদের জন্য আল্লাহর কাছে রয়েছে সত্যের আসন। তিনি বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَنَهَرٖ ٥٤ فِي مَقۡعَدِ صِدۡقٍ عِندَ مَلِيكٖ مُّقۡتَدِرِۢ ٥٥ ﴾ [ القمر : ٥٤، ٥٥ ]

‘মোত্তাকীরা থাকবে জান্নাত ও নহরে, সত্যের আসনে, সর্বাধিপতি শাহানশাহের সান্নিধ্যে।’ (সূরা আল কামার: ৫৪-৫৫)

মুত্তাকীরাই হবে জান্নাতের উত্তরাধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ تِلۡكَ ٱلۡجَنَّةُ ٱلَّتِي نُورِثُ مِنۡ عِبَادِنَا مَن كَانَ تَقِيّٗا ٦٣ ﴾ [ مريم : ٦٣ ]

‘আমার মোত্তাকী লোকদেরকেই আমি জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানাবো।’ (সূরা মরিয়ম: ৬৩)

জান্নাতকে মোত্তাকীদের নিকটবর্তী করা হবে এবং বিনা কষ্টে তারা তাতে প্রবেশ করবে। এ মর্মে তিনি বলেন:

﴿ وَأُزۡلِفَتِ ٱلۡجَنَّةُ لِلۡمُتَّقِينَ غَيۡرَ بَعِيدٍ ٣١ ﴾ [ق: ٣١ ]

‘জান্নাতকে মোমেনদের জন্য নিকটবর্তী করা হবে এবং তা দূরে থাকবে না।’ (সূরা কাফ: ৯০)

মুত্তাকীদেরকে জান্নাতের আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিয়ে দেবো।’মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ كَذَٰلِكَ وَزَوَّجۡنَٰهُم بِحُورٍ عِينٖ ٥٤ ﴾ [ الدخان : ٥٤ ]

“এরূপই এবং আমি তাদেরকে বড় চক্ষুবিশিষ্ট হুরদের সাথে বিয়ে দিবো” (সূরা দুখান: ৫৪)

আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। তিনি বলেন:

﴿ ثُمَّ نُنَجِّي ٱلَّذِينَ ٱتَّقَواْ وَّنَذَرُ ٱلظَّٰلِمِينَ فِيهَا جِثِيّٗا ٧٢ ﴾ [ مريم : ٧٢ ]

‘আখেরাতে পৌঁছার পর আমি মোত্তাকীদেরকে উদ্ধার করবো এবং জালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় ছেড়ে দেবো।’ (সূরা মরিয়ম: ৭২)

মুত্তাকীদের বন্ধু ছাড়া কেয়ামতের দিন অন্য সকল বন্ধু শত্রুতে পরিণত হবে। তাই মোত্তাকীদেরকে দুনিয়াতে বন্ধু বানানোর চেষ্টা করলে পরকালে তারা কাজে আসবে। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ ٱلۡأَخِلَّآءُ يَوۡمَئِذِۢ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ إِلَّا ٱلۡمُتَّقِينَ ٦٧ ﴾ [ الزخرف : ٦٧ ]

‘মোত্তাকীদের ছাড়া ঐদিন সকল বন্ধু শত্রুতে পরিণত হবে। (সূরা আয-যুখরুফ: ৬৭)

মুত্তাকীদের জন্য প্রতিশ্রুত জান্নাতে পরিষ্কার ও সুপেয় পানি, অবিকৃত স্বাদের দুধ, স্বাদের শরাব এবং স্বচ্ছ মধু এই চার ধরনের নহর প্রবাহিত হবে। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ مَّثَلُ ٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِي وُعِدَ ٱلۡمُتَّقُونَۖ فِيهَآ أَنۡهَٰرٞ مِّن مَّآءٍ غَيۡرِ ءَاسِنٖ وَأَنۡهَٰرٞ مِّن لَّبَنٖ لَّمۡ يَتَغَيَّرۡ طَعۡمُهُۥ وَأَنۡهَٰرٞ مِّنۡ خَمۡرٖ لَّذَّةٖ لِّلشَّٰرِبِينَ وَأَنۡهَٰرٞ مِّنۡ عَسَلٖ مُّصَفّٗىۖ وَلَهُمۡ فِيهَا مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ وَمَغۡفِرَةٞ مِّن رَّبِّهِمۡۖ كَمَنۡ هُوَ خَٰلِدٞ فِي ٱلنَّارِ وَسُقُواْ مَآءً حَمِيمٗا فَقَطَّعَ أَمۡعَآءَهُمۡ ١٥ ﴾ [ محمد : ١٥ ]

‘মোত্তাকীদের জন্য প্রতিশ্রুত জান্নাতে আছে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ সুপেয় পানি, অবিকৃত স্বাদের দুধ, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু শরাব, পরিষ্কার মধুর নহরসমূহ এবং তাতে আরো আছে সকল ফল-ফলাদি ও তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে ক্ষমা।’ (সূরা মুহাম্মদ: ১৫)

এ হলো তাকওয়ার কিছু উপকারিতা ও ফায়দা। কুরআন ও হাদীসে তাকওয়ার আরো বহু পুরষ্কারের কথা উল্লেখ আছে। তাই সবারই তাকওয়া অর্জনের আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিৎ। সেজন্য আল্লাহ বলেছেন:

﴿ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ ١٠٢ ﴾ [ ال عمران : ١٠٢ ]

‘তোমরা আল্লাহকে তাকওয়ার যথার্থ দাবী পূরণ করে ভয় করো।’ (সূরা আলে ইমরান- ১০২)

পবিত্র রমযান মাস এ মহান তাকওয়ার অনুশীলনের এক বাস্তব কর্মসূচী। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে রমযানের এ মূল শিক্ষা অর্জনের তওফীক দেন। আমীন!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন