hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রোযার ফযীলত ও শিক্ষা আমাদের করণীয়

লেখকঃ মোঃ আব্দুল কাদের

১৩
তাকওয়ার দুনিয়াবী ফায়দা
তাকওয়ার ফলে মানুষের জটিল বিষয়গুলো সহজ হয়ে যায়। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مِنۡ أَمۡرِهِۦ يُسۡرٗا ٤ ﴾ [ الطلاق : ٤ ]

‘আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করলে আল্লাহ বান্দার বিভিন্ন বিষয়গুলো সহজ করে দেবেন।’ (সূরা তালাক: ৪) এর ফলে সঠিক পথে চলতে বান্দার কোনো কষ্ট হবে না।

তাকওয়ার ফলে মানুষ শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে পারে। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ إِذَا مَسَّهُمۡ طَٰٓئِفٞ مِّنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ تَذَكَّرُواْ فَإِذَا هُم مُّبۡصِرُونَ ٢٠١ ﴾ [ الاعراف : ٢٠١ ]

‘যারা তাকওয়া অনুসরণ করে, শয়তান তাদেরকে ক্ষতি করার জন্য স্পর্শ করলে তারা সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন তারা তাদের জন্য সঠিক ও কল্যাণকর পথ সুস্পষ্টভাবে দেখতে পায়।’ (সূরা আরাফ: ২০১)

শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচা বিরাট সাফল্য। তাকওয়ার মাধ্যমে আসমান ও যমীনের বরকতের দরজা খুলে যায়। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ وَلَوۡ أَنَّ أَهۡلَ ٱلۡقُرَىٰٓ ءَامَنُواْ وَٱتَّقَوۡاْ لَفَتَحۡنَا عَلَيۡهِم بَرَكَٰتٖ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلَٰكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذۡنَٰهُم بِمَا كَانُواْ يَكۡسِبُونَ ٩٦ ﴾ [ الاعراف : ٩٦ ]

‘জনপদবাসীরা ঈমান ও তাকওয়ার অনুসরণ করলে, আমরা তাদের জন্য আসমান ও যমীনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দেবো।’ (সূরা আরাফ: ৯৬)ফলে বান্দার আর সমস্যা থাকবে না।

সত্য ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করার তৌফিক লাভ করে। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن تَتَّقُواْ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّكُمۡ فُرۡقَانٗا ٢٩ ﴾ [ الانفال : ٢٩ ]

‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করে তাকওয়া অবলম্বন করলে আল্লাহ তোমাদের জন্য সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করার মানদণ্ড দান করবেন।’ (সূরা আনফাল- ২৯)

সংকট থেকে উদ্ধার এবং অভাবিত রিযক দান করবেন। তিনি বলেন:

﴿ ۚ وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ وَيَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَحۡتَسِبُۚ ٣ ﴾ [ الطلاق : ٢، ٣ ]

‘যে আল্লাহকে ভয় করে তাকওয়া অনুসরণ করে, আল্লাহ তাকে সংকট থেকে উদ্ধার করবেন এবং তাকে অভাবিত রিযক দান করবেন।’(সূরা তালাক: ২০)

বিপদ মুক্তি ও প্রশস্ত রিযক বিরাট নেয়ামত।

আল্লাহর ওলী ও বন্ধু হওয়া যায়। তিনি বলেন:

﴿إِنۡ أَوۡلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡمُتَّقُونَ ٣٤ ﴾ [ الانفال : ٣٤ ]

‘মুত্তাকীরা তাঁর বন্ধু।’ (সূরা আনফাল: ৩৪) যার বন্ধু আল্লাহ, তার আর সমস্যা কি?

আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করা যায়। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ٰ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُتَّقِينَ ٧٦ ﴾ [ ال عمران : ٧٦ ]

‘আর নিশ্চয় আল্লাহ মোত্তাকীদেরকে ভালবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান: ৭৬)

এটা তাকওয়ার মহান সাফল্য।

আল্লাহর সাহচার্য লাভ করা যায়। কুরআনে আল্লাহ বলেন:

﴿وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلۡمُتَّقِينَ ١٩٤ ﴾ [ البقرة : ١٩٤ ]

‘যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর সীমা লংঘন থেকে দূরে থাকে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সেইসব মুত্তাকীদের সাথে আছেন।’ (সূরা আল বাকারা: ১৯৪)

আল্লাহু আকবার, আল্লাহর সাহায্য, হেফাজত ও নিরাপত্তা লাভ করা কত বিরাট সৌভাগ্য!

মুত্তাকীর আমল কবুল হয়। তিনি বলেন:

﴿ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلۡمُتَّقِينَ ٢٧ ﴾ [ المائ‍دة : ٢٧ ]

‘আল্লাহ অবশ্যই মোত্তাকীদের আমল কবুল করেন।’ (সূরা আল মায়েদা: ৫৭)

আমল কবুল না হলে সর্বনাশ। কিন্তু মোত্তাকীর এটা সৌভাগ্য।

দুনিয়া ও আখিরাতের আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের কোনো ভয়-ভীতি নেই। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ فَمَنِ ٱتَّقَىٰ وَأَصۡلَحَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ ٣٥ ﴾ [ الاعراف : ٣٥ ]

‘যারা তাকওয়া অর্জন করে ও নিজের আচার-আচরণকে সংশোধন করে, তাদের কোনো ভয়-ভীতি ও পেরেশানী নেই।’ (সূরা আরাফ: ৩৫)

গুণাহ মাফ ও বিশাল পুরষ্কার দেওয়া হবে। তিনি বলেন:

﴿وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يُكَفِّرۡ عَنۡهُ سَيِّ‍َٔاتِهِۦ وَيُعۡظِمۡ لَهُۥٓ أَجۡرًا ٥ ﴾ [ الطلاق : ٥ ]

‘যে আল্লাহকে ভয় করে তাকওয়া অনুসরণ করে, আল্লাহ তার গুণাহ মোচন করবেন এবং তাকে মহা পুরষ্কার দেবেন।’ (সূরা তালাক: ৫)

তাকওয়া উত্তম সম্বল। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ ۗ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيۡرَ ٱلزَّادِ ٱلتَّقۡوَىٰۖ ﴾ [ البقرة : ١٩٧ ]

‘তোমরা সম্বল সংগ্রহ কর। তবে তাকওয়াই হলো উত্তম সম্বল।’ (সূরা আল বাকারা: ১৯৭)

মুত্তাকী আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ ١٣ ﴾ [ الحجرات : ١٣ ]

‘তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত যে অধিকতর তাকওয়ার অনুসারী।’ (সূরা আল হুজুরাত: ১৩) মুমিনের এর চাইতে বড় চাওয়া-পাওয়া আর কি হতে পারে?

আল্লাহ মোমেন মুত্তাকীকে নাজাত দেন ও উদ্ধার করেন। তিনি বলেন:

﴿ وَنَجَّيۡنَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ ١٨ ﴾ [ فصلت : ١٨ ]

‘যারা ঈমান এনেছে ও তাকওয়া অনুসরণ করেছে আমরা তাদেরকে উদ্ধার করেছি ও বিপদমুক্ত করেছি।’ (সূরা ফুচ্ছিলাত: ১৮)

তাকওয়ার অনুসারীরা দুনিয়া ও আখিরাতের খোশ খবর লাভ করে। এর মধ্যে দুনিয়ায় স্বপ্ন কিংবা মানুষের ভালোবাসা ও প্রশংসা অন্যতম। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ ٦٣ لَهُمُ ٱلۡبُشۡرَىٰ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِۚ ٦٤ ﴾ [ يونس : ٦٣، ٦٤ ]

‘যারা ঈমান আনে ও তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে সুসংবাদ।’ (সূরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন