HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কান্নার ফযীলত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

কান্নার ফযীলত
১. আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর চোখ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না :

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقُوْلُ عَيْنَانِ لَا تَمَسُّهُمَا النَّارُ عَيْنٌ بَكَتْ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ وَعَيْنٌ بَاتَتْ تَحْرُسُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, দু’প্রকার চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। একটি হচ্ছে আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারী চোখ; আর অপরটি হচ্ছে আল্লাহর পথে পাহারাদানকারী চোখ। [তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬।]

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ لَا يَلِجُ النَّارَ أَحَدٌ بَكٰى مِنْ خَشْيَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ حَتّٰى يَعُوْدَ اللَّبَنُ فِي الضَّرْعِ وَلَا يَجْتَمِعُ غُبَارٌ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ فِيْ مَنْخِرَيْ إِمْرِئٍ أَبَدًا

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যেমনিভাবে স্তন থেকে দুধ বের করে পুনরায় তা স্তনে প্রবেশ করানো যায় না। কোন ব্যক্তির শরীরে আল্লাহর পথের ধুলাবালি আর জাহান্নামের ধোঁয়া কখনো মিলিত হবে না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/ ১০৫৬৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৬৬৭; নাসাঈ, হা/৩১০৭; তিরমিযী, হা/১৬৩৩।]

عَنْ أَبِىْ رَيْحَانَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - حُرِّمَتِ النَّارُ عَلٰى عَيْنٍ دَمَعَتْ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ وَ حُرِّمَتِ النَّارُ عَلٰى عَيْنٍ سَهِرَتْ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ

আবু রায়হানা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ঐ চোখের জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করা হয়েছে, যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে। আর ঐ চোখের জন্যও জাহান্নামের আগুন হারাম, যে চোখ আল্লাহর পথে (জিহাদে বা পাহারায়) রাত্রি জাগরণ করে। [বায়হাকী, হা/১৮৯১১; সুনানে দারেমী, হা/২৪৫৫; নাসাঈ, হা/৩১১৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২]

২. আল্লাহর ভয়ে নির্গত অশ্রু আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় :

عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ لَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَى اللهِ مِنْ قَطْرَتَيْنِ وَأَثَرَيْنِ قَطْرَةٌ مِنْ دُمُوْعٍ فِيْ خَشْيَةِ اللهِ وَقَطْرَةُ دَمٍ تُهَرَاقُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَأَمَّا الأَثَرَانِ فَأَثَرٌ فِي سَبِيْلِ اللهِ وَأَثَرٌ فِيْ فَرِيْضَةٍ مِنْ فَرَائِضِ اللهِ

আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, আল্লাহর নিকট দু’টি ফোঁটা ও দু’টি চিহ্নের চেয়ে প্রিয় জিনিস আর কিছুই নেই। দু’টি ফোঁটার মধ্যে একটি হলো আল্লাহর ভয়ে নির্গত চোখের পানি এবং অন্যটি হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে প্রবাহিত রক্তবিন্দু। আর দু’টি চিহ্নের মধ্যে একটি হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার চিহ্ন এবং অন্যটি আল্লাহর ফরযগুলোর মধ্য থেকে কোন ফরয আদায় করার চিহ্ন। [তিরমিযী, হা/১৬৬৯।]

৩. নিজের পাপের জন্য ক্রন্দন করলে নাজাত পাওয়া যায় :

পাপের জন্য ক্রন্দন করাটা হচ্ছে একটি উত্তম কাজ। এর মধ্যে মুক্তি রয়েছে বলে রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘোষণা দিয়েছেন। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا النَّجَاةُ قَالَ أَمْلِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ وَابْكِ عَلٰى خَطِيئَتِكَ

উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বললাম, কীসের মধ্যে মুক্তি রয়েছে? তিনি বললেন, তোমার জিহবাকে সংযত রাখো, ঘরে অবস্থান করো এবং নিজের পাপের জন্য ক্রন্দন করো। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২২২৮৯; শু‘আবুল ঈমান, হা/৮০৫; তিরমিযী, হা/২৪০৬।]

৪. আল্লাহকে স্মরণ করে ক্রন্দনকারীরা আরশের ছায়ায় স্থান পাবে :

কিয়ামতের দিন যখন সূর্য মানুষের মাথার খুব কাছাকাছি অবস্থান করবে এবং যেদিন কোন ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তা‘আলা সাত শ্রেণীর বান্দাকে আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন। তাদের মধ্যে এক প্রকার ব্যক্তি হচ্ছে ঐসব লোক, যারা আল্লাহর আযাবের কথা স্মরণ করে চোখের পানি ফেলে। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللهُ فِيْ ظِلِّه يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّه اَلْإِمَامُ الْعَادِلُ وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ رَبِّه وَرَجُلٌ قَلْبُه مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ وَرَجُلَانِ تَحَابَّا فِي اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ طَلَبَتْهُ إِمْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصَبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللهَ وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ أَخْفٰى حَتّٰى لَا تَعْلَمَ شِمَالُه مَا تُنْفِقُ يَمِيْنُه وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاه

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যে দিন আল্লাহর (আরশের) ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না, সে দিন সাত শ্রেণীর ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। তারা হলো,

(১) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ,

(২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদাতে রত থাকে,

(৩) যার অন্তর মসজিদের সাথে ঝুলমত্ম থাকে,

(৪) ঐ দু’ব্যক্তি যারা কেবল আল্লাহর খুশির জন্য পরস্পরকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর জন্যই কেবল পরস্পরে ভালোবাসায় মিলিত অথবা পৃথক হয়,

(৫) ঐ ব্যক্তি, যাকে কোন সুন্দরী উচ্চ বংশীয় ভদ্র মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার জন্য নিজের দিকে আকৃষ্ট করে তখন সে বলে, আমি আল্লাহর আযাবকে ভয় করি,

(৬) যে ব্যক্তি গোপনে দান সাদাকা করে। এমনকি তার বাম হাত জানে না ডান হাত কী খরচ করছে,

(৭) ঐ ব্যক্তি যার দু’চোখ নির্জনে আল্লাহর স্মরণকালে অশ্রুসিক্ত হয়। [সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; বায়হাকী, হা/৪৭৬৭; নাসাঈ, হা/৫৩৮০; শু‘আবুল ঈমান, হা/৭৩৫৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৪৮৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩।]

৫. অনেক সম্পদ দান করার চেয়েও কান্নার মর্যাদা বেশি :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ : لَأَنْ أَدْمَعَ دَمْعَةً مِنْ خَشْيَةِ اللهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَتَصَدَّقَ بِأَلْفِ دِيْنَارٍ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর ভয়ে অশ্রু বিসর্জন করাটা আমার কাছে এক হাজার দিনার সাদাকা করা থেকেও অধিক প্রিয়। [শু‘আবুল ঈমান, হা/৮৪২।]

وَقَالَ كَعْبٌ : لَأَنْ أَبْكِيَ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ أَحَبُّ إِليَّ مِنْ أَنْ أَتَصَدَّقَ بِوَزْنِيْ ذَهَبًا

কা‘ব (রাঃ) বলেন, আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করাটা আমার সমপরিমাণে স্বর্ণ সাদাকা করার চেয়েও আমার নিকট অধিক প্রিয়। [ইবনে আবি শায়বা; আবু নুয়ঈম, হিলয়াতুল আওলিয়া গ্রন্থে; এবং ইবনুল জাওযি, সিফাতুস সাফওয়া গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।]

৬. জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুন থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে দুনিয়াতে আল্লাহকে ভয় করে চলা :

﴿وَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰى بَعْضٍ يَّتَسَآءَلُوْنَ قَالُوْاۤ اِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِۤيْ اَهْلِنَا مُشْفِقِيْنَ فَمَنَّ اللهُ عَلَيْنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُوْمِ اِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلُ نَدْعُوْهُؕ اِنَّهٗ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيْمُ﴾

জান্নাতীরা একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে বলাবলি করবে, দুনিয়ায় থাকতে আমরা খুবই ভীত ছিলাম (যে, জান্নাত পাব কি না)। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের প্রতি দয়া করেছেন এবং জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুন থেকে মুক্তি দিয়েছেন। ইতিপূর্বে দুনিয়ায় আমরা আল্লাহকে ডাকতাম এবং তাঁর ইবাদাত করতাম। নিশ্চয় আল্লাহ অতি সৌজন্যপরায়ণ এবং দয়ালু। (সূরা তূর, ২৫–২৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন