hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে ২শতাধিক প্রশ্নোত্তর সহ নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ

লেখকঃ হাফেয বিন আহমাদ আল-হাকামী

২২৩
প্রশ্ন (২২১) কারামতে আওলীয়া বা আলেমদের অলৌকিক ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার ইসলামের বিধান কি?
উত্তরঃ আউলীয়াদের কারামত সত্য। আল্লাহ তাআ’লা তাদের হাতে অলৌকিক ও সাধারণ নিয়মের বিপরীত এমন ঘটনা প্রকাশ করে থাকেন যাতে তাদের কোন হাত নেই। তবে কারামত চ্যালেঞ্জ আকারে প্রকাশিত হয় না। বরং আল্লাহই তাদের হাতে কারামত প্রকাশ করেন। এমনকি অলীগণ তা জানতেও পারেন না। যেমন আসহাবে কাহাফের ঘটনা [- আসহাবে কাহ্ফের ঘটনা এই যে, তারা হল বনী ইসরাঈলের ঐ সকল লোক যারা যালেম বাদশার পাকড়াও থেকে দ্বীন নিয়ে পলায়ন করে গুহায় আশ্রয় নিয়েছিল। আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে তিনশত নয় বছর পর্যন্ত ঘুম পাড়িয়েছিলেন। তাদের ঘটনা সূরা কাহ্ফে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং বিস্তারিত জানার জন্য পাঠদেরকে সূরা কাহ্ফ ও তার তাফসীর পাঠ করার পরামর্শ দেয়া গেল।], গুহায় আটকদের ঘটনা [- ইবনে উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, অতীত কালে তিনজন লোক পথ চলছিল। পথিমধ্যে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে তারা একটি পাহাড়ের গুহায় ঢুকে পড়ল। উপর থেকে বিশাল আকারের একটি পাথর গড়িয়ে এসে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তাদের জন্য বের হওয়ার কোন সুযোগ অবশিষ্ট রইল না। তাদের একজন অপরজনকে বলতে লাগল, তোমরা প্রত্যেকেই আপন আপন সৎআমল আল্লাহর দরবারে তুলে ধরে তার উসীলা দিয়ে দু’আ কর। এতে হয়ত আল্লাহ আমাদের জন্য বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ! আমার পিতা-মাতা অতি বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়েছিল, আমার কতিপয় শিশু সন্তানও ছিল। আমি ছিলাম তাদের জন্য একমাত্র উপার্জনকারী। আমি প্রতিদিন ছাগল চরানোর জন্য মাঠে চলে যেতাম। বিকালে ঘরে ফেরত এসে দুধ দহন করে আমি প্রথমে পিতা-মাতাকে পান করাতাম, পরে আমার শিশু সন্তানদেরকে পান করাতাম। এটি ছিল আমার প্রতিদিনের অভ্যাস। একদিন ঘাসের সন্ধানে আমি অনেক দূরে চলে গেলাম। এসে দেখি আমার পিতা-মাতা ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার অভ্যাসমত আমি দুধ দহন করে দুধের পেয়ালা নিয়ে তাদের মাথার পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমি তাদেরকে ঘুম থেকে জাগ্রত করাকে অপছন্দ করলাম। যেমনভাবে অপছন্দ করলাম পিতা-মাতার পূর্বে সন্তানদেরকে দুধ পান করানোকে। শিশু সন্তানগুলো আমার পায়ের কাছে ক্ষুধার তাড়নায় চিৎকার করতেছিল। এভাবে সারা রাত কেটে গিয়ে ফজর উদীত হল। আমার পিতা-মাতা ঘুম থেকে জাগলেন। আমি তাদেরকে প্রথমে পান করালাম অতঃপর আমার ছেলে-মেয়েদেরকে পান করালাম। হে আল্লাহ! আপনি অবশ্যই জানেন যে, আমি একাজটি একমাত্র আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সম্পাদন করেছি। এই আমলটির উসীলায় আমাদের জন্য বের হওয়ার রাস্তা করে দিন। এভাবে দু’আ করার সাথে সাথে পাথরটি একটু সরে গেল, তারা আকাশ দেখতে পেল, কিন্তু তখনও বের হওয়ার মত রাস্তা হয়নি। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমার একজন চাচাতো বোন ছিল। সে ছিল আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং একজন পুরুষ কোন মহিলার প্রতি যতদূর আসক্ত হতে পারে, আমি ছিলাম তার প্রতি ততটুকু আসক্ত। আমি তার কাছে আমার মনোবাসনা পেশ করলাম। সে একশত স্বর্ণমুদ্রা দেয়ার শর্তে তাতে সম্মত হল। আমি অনেক পরিশ্রম করে একশত স্বর্ণমুদ্রা সংগ্রহ করে তার কাছে গমণ করলাম। সে সম্মতি প্রকাশ করার পর আমি তার উভয় উরুর মধ্যে বসে পড়লাম। এমন সময় সে বলে উঠল, হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর, আমার সতীত্ব নষ্ট করো না। এ কথা শুনে আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। হে আল্লাহ! আপনি যদি মনে করেন যে, আমি আপনার ভয়ে সেদিন পাপের কাজ থেকে বিরত হয়েছি, তাহলে আজ আমাদেরকে এখান থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। সাথে সাথে পাথরটি আরো একটু সরে গেল কিন্তু তখনও বের হওয়ার মত রাস্তা হয়নি। তৃতীয়জন বললঃ হে আল্লাহ! নির্ধারিত বেতনের বিনিময়ে আমি একজন শ্রমিক নিয়োগ করলাম। কাজ শেষ করে সে আমার কাছে পারিশ্রমিক চাইলে আমি তা প্রদান করলাম, কিন্তু সে উহা গ্রহণ না করেই চলে গেল। আমি তার প্রাপ্য টাকা বাড়াতে থাকলাম। একপর্যায়ে তা একপাল গরুতে পরিণত হল। আমি গরুগুলো মাঠে চরানোর জন্য একজন রাখালও নিয়োগ করলাম। অনেক দিন পর সেই লোকটি আমার কাছে এসে তার মজুরী চাইল। আমি বললামঃ তুমি রাখালসহ উক্ত গরুর পালটি নিয়ে চলে যাও। সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও এবং আমার সাথে বিদ্রুপ করো না। আমি বললাম, বিদ্রুপ করি নাই; বরং এগুলো তোমার। আমি তোমার এক দিনের মজুরী দিয়ে এগুলো করেছি। তাই তুমি রাখালসহ গরুর পালটি নিয়ে চল। অতঃপর সে গরুর পালটি নিয়ে চলে গেল। একটিও রেখে যায়নি। হে আল্লাহ! আপনি যদি মনে করেন যে, আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য একাজটি করেছি, তাহলে আজ আমাদেরকে এখান থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। সাথে সাথে পাথরটি সম্পূর্ণরূপে সরে গেল। তারা নিরাপদে সেখান থেকে বের হয়ে এল। (বুখারী, অধ্যায়ঃ আহাদীছুল আম্বীয়া)],

বনী ইসরাঈলের পাদ্রী জুরাইজের ঘটনা। [- বানী ইসরাঈলের মধ্যে জুরাইয নামের একজন পরহেজগার লোক ছিল। সে ইবাদতের জন্য একটি গীর্জা তৈরী করে তথায় সর্বদা ইবাদতে লিপ্ত ছিল। সে এক দিন নামাযরত অবস্থায় ছিল। এমন সময় তার মা এসে ডাক দিল। জুরাইজ বললঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার মা এবং আমার নামায। অর্থাৎ আমি এখন কি করব? আমার মায়ের ডাকে সাড়া দিব? না নামাযে লিপ্ত থাকব? এই বলে সে নামাযের মধ্যে রয়ে গেল। মায়ের ডাকে সাড়া দিলনা। মা ব্যর্থ হয়ে চলে গেল। পরের দিন তার মা আবার আগমণ করল। সেদিনও জুরাইয নামাযে ছিল। তার মায়ের কন্ঠ শুনে সে বললঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার মা এবং আমার নামায। অর্থাৎ আমি এখন কি করব? আমার মায়ের ডাকে সাড়া দিব? না নামাযে লিপ্ত থাকব? এই বলে সে নামাযের মধ্যে রয়ে গেল। মায়ের ডাকে সাড়া দিলনা। মা ব্যর্থ হয়ে আজও চলে গেল। তৃতীয় দিনেও তার মা এসে তাকে নামায রত পেল। জুরাইজ তার মার ডাকে সাড়া না দিয়েই নামাযেই রয়ে গেল। এবার তার মা রাগাম্বিত হয়ে জুরাইযের উপর এই বলে বদ্ দু’আ করল যে, হে আল্লাহ! জুরাইয যেন বেশ্যা মহিলার মুখ দেখার পূর্বে মৃত্যু বরণ না করে। বনী ইসরাঈলের মধ্যে জুরাইয এবং তার ইবাদতের সুনাম ছড়িয়ে পড়ল। তাদের মধ্যকার কিছু লোক তাকে পথভ্রষ্ঠ করার জন্য চক্রান্ত শুরু করল। একজন বেশ্যা মহিলা সে সময় প্রস্তাব করল যে, তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তাকে গোমরাহ করতে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেন, অতঃপর সেই মহিলা জুরাইযের কাছে গিয়ে নিজেকে পেশ করল। কিন্তু জুরাইয সে দিকে কোন ভ্রুক্ষেপই করলনা। জুরাইযের গীর্জায় একজন ছাগলের রাখাল আসা-যাওয়া করত। মহিলাটি জুরাইযের কাছে কোন সুযোগ না পেয়ে রাখালের কাছে গিয়ে তার সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত হল। এতে সে গর্ভবতী হয়ে গেল। প্রসব করার পর সে বলল এটি জুরাইযের সন্তান। লোকেরা দলে দলে আগমণ করে জুরাইযকে গীর্জা থেকে টেনে বের করল এবং তার গীর্জাটিও ভেঙ্গে চুরমার করে দিল। লোকেরা মারতে শুরু করল। জুরাইয জিজ্ঞাসা করল, তোমাদের কি হল? আমাকে মারছ কেন? আমার ইবাদতখানাটিই বা কেন ভেঙ্গে ফেললে? লোকেরা বললঃ তুমি এই মহিলার সাথে ব্যভিচার করেছ। যার কারণে মহিলাটি সন্তান প্রসব করেছে। জুরাইয জিজ্ঞাসা করলঃ শিশুটি কোথায়? তারা শিশুটিকে নিয়ে আসল। জুরাইয বলল আমাকে নামায পড়ার জন্য একটু সময় দাও। তারা তাকে নামায পড়ার সুযোগ দিল। নামায শেষ করে শিশুটির কাছে গিয়ে তার পেটে খুচা দিয়ে বললঃ এই ছেলে? তোমার বাপ কে? ছেলেটি বলে দিল, ছাগলের রাখাল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, একথা শুনে লোকেরা আসল তথ্য অনুধাবন করতে পেরে জুরাইযকে চুম্বন করতে শুরু করল এবং তাকে জড়িয়ে ধরল। তারা নিজেদের ভুলের কারণে জুরাইযের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল এবং বলল আপনি অনুমতি দিলে আমরা আপনার গীর্জাটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরী করে দিব। জুরাইয বললঃ স্বর্ণ দিয়ে তৈরী করার দরকার নেই; বরং যেমন ছিল তেমন করেই মাটি দিয়ে তৈরী করে দাও। তারা তাই করল। (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুয্ যিক্র)] মূলতঃ আওলীয়াদের কারামত তাদের নবীদের অলৌকিক ঘটনা মাত্র। একারণেই এই উম্মাতের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ও বড় বড় মুজিযা প্রকাশিত হয়েছে। কারণ আমাদের নবীর মুজিযাগুলো হচ্ছে বড় বড় এবং আল্লাহ্ তাআলার নিকট তাঁর সম্মানও অনেক বড়। আবু বকর (রাঃ)এর খেলাফতকালে আরবের কতিপয় গোত্র মুরতাদ হয়ে যাওয়ার সময় আল্লাহ্ তাঁর হাতে কারামত প্রকাশ করেন। [- আবু বকরের হাতে প্রকাশিত আরেকটি মুজিযা হচ্ছে, আবু যার্ (রাঃ) বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসন্ধান করার জন্য মদীনার কোন বাগানে গেলাম। গিয়ে দেখলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বসে আছেন। আবু যার্ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কাছে গিয়ে তাঁকে সালাম দিলেন। আবু যার্ বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সামনে কতগুলো পাথর রাখা ছিল। তিনি সেগুলো হাতে নিলে সেগুলো তাসবীহ পাঠ করা শুরু করল। অতঃপর তিনি তা মাটিতে রাখলে তাসবীহ পাঠ বন্ধ করে দেয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসেগুলো হাতে নিয়ে আবু বকরের হাতে রাখলে আবার তাসবীহ পাঠ শুরু করে দেয়। আবু বকর (রাঃ) সেগুলো মাটিতে রাখলে চুপ হয়ে যায়। হাদীছে বর্ণিত আছে যে, পাথর দানাগুলো উমার ও উছমানের হাতেও তাসবীহ পাঠ করেছিল। (ইবনু আবী আসেম, কিতাবুস্ সুন্নাহ। ইমাম আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন, দেখুন সিলসিলায়ে সহীহা হাদীছ নং- ১১৪৬)]

উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) মদীনার মসজিদের মিম্বারে দাঁড়িয়ে ‘‘ইয়া সারিয়া! আল- জাবাল’’ অর্থাৎ হে সারিয়া পাহাড়ে আশ্রয় নাও, বলে ডাক দিলেন। তাঁর আওয়াজ সিরিয়াতে অবস্থানরত সারিয়ার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। [- সারিয়ার সাথে উমার (রাঃ)এর কারামাতের বিস্তারিত বিবরণ এইযে, উমার (রাঃ) একদল সৈনিক পাঠালেন এবং সারিয়া নামক এক ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর আমীর নিযুক্ত করলেন। উমার (রাঃ) মদীনার মিম্বারে খুৎবারত অবস্থায় ইয়া সারিতা! আল-জাবাল, ইয়া সারিতা! আল-জাবাল বলে উচ্চস্বরে ডাক দিলেন। সৈনিকদের দূত মদীনায় এসে বললেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আমরা শত্রুদের মুকাবিলা করতে গেলে তারা আমাদেরকে পরাজিত করে ফেলে। তখন আমরা একজন লোককে চিৎকার করে বলতে শুনলামঃ ইয়া সারিতা! আল-জাবাল। অর্থাৎ হে সারিয়া পাহাড়ে আশ্রয় নাও। এতে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করে পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করলাম। শত্রুদের আক্রমণের কবল হতে নিরাপদ হলাম। আল্লাহ্ তাআলা শত্রুদেরকে পরাজিত করলেন। (মাজমূআয়ে ফাতাওয়া ইবনে তাইমীয়াঃ ১১/২৭৮)] মিশরের নীল নদের কাছে তিনি পত্র লেখার সাথে সাথে তা প্রবাহিত হতে লাগল। [- নীল নদের কাছে উমার (রাঃ)এর চিঠি লেখার ঘটনাটি ইবনে কাছীর তার গ্রন্থ ‘আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া’তে উল্লেখ করেছেন। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, মিশরের শাসক আমর বিন আস উমার (রাঃ)কে সংবাদ দিল যে, মিশরবাসীরা প্রতিবছর নীল নদকে একটি করে কুমারী মেয়ে উৎসর্গ করলেই তা প্রবাহিত হয়। আমর বিন আস মিশরবাসীকে জানালেন যে, ইসলামে এধরণের কর্ম সম্পূর্ণ হারাম। স্বয়ং আমর বিন আস উমার (রাঃ)এর বরাবর এমর্মে একটি পত্র লিখে পাঠালেন। উমার (রাঃ) নীল নদের কাছে এই পত্র লিখে পাঠালেনঃ من عبد الله عمر أمير المؤمنين إلى نيل مصر أما بعد : فان كنت تجري من قبلك ومن أمرك فلا تجر فلا حاجة لنا فيك وإن كان الله الواحد القهار هو الذي يجريك فنسأل الله أن يجريك فألقى عمرو البطاقة في النيل فجرى أفضل مما كان ‘‘আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন উমার (রা)এর পক্ষ হতে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। অতঃপর হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ হতে আর প্রবাহিত হয়ো না। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা প্ররাক্রমশালী এক আল্লাহর হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন। আমর (রাঃ) পত্রটি নীল নদে নিক্ষেপ করার সাথে সাথে তা পূর্বের চেয়ে আরো দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হতে লাগল। (দেখুনঃ বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৭/১০২)] আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ)এর ঘোড়ার ঘটনা। তার অশ্বারোহী বাহিনী রোমানদের সাথে যুদ্ধের সময় ঘোড়ায় আরোহন করে সাগর পার হয়েছিল। [- ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, তিনি উমার (রাঃ)এর খেলাফতকালে একদল সৈনিক নিয়ে যুদ্ধে বের হলেন। শত্রু ও তার বাহিনীর মধ্যে একটি সাগর অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল। তিনি আল্লাহর কাছে দু’আ করে সাগরের উপর দিয়ে ঘোড়া ছুটালেন। সাগর পাড় হয়ে তিনি শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করে ফেরার পথে পুনরায় আল্লাহর কাছে দুআ করে মুসলিম বাহিনী নিয়ে সাগরের উপর দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে পার হলেন। (দেখুন আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৬/১৬২)] ভন্ড নবী আসওয়াদ আনাসী আবু মুসলিম খাওলানী (রাঃ)কে আগুনে নিক্ষেপ করলে আবু মুসলিম আগুনের ভিতর নামায আদায় করেছেন। [- আবু মুসলিম খাওলানীর কারামাত এই যে, ভন্ড নবী আসওয়াদ আনাসী আবু মুসলিম খাওলানীকে ডেকে নিয়ে বললঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে আমি আল্লাহর রাসূল? আবু মুসলিম বললনেঃ আমি তোমার কথা শুনতে পাচ্ছি না। আসওয়াদ আনাসী পুনরায় বললঃ তুমি কি এই সাক্ষ্য দাও যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল? আবু মুসলিম বললেনঃ হ্যাঁ। ইতিহাসের কিতাবগুলোতে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত হয়েছে।]

এছাড়া আরও অনেক কারামাত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর যুগে, তারপর সাহাবী, তাবেয়ীদের যুগে প্রকাশিত হয়েছে। এমনিভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। এই কারামতগুলো তাদের পরবর্তী যুগে এবং বর্তমান যুগেও অব্যাহত রয়েছে। এমনিভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।

এসমস্ত কারামত মূলতঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর মুজিযা। কেননা তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর অনুসরণের মাধ্যমেই কারামাত অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসারী নয় এমন লোকের হাতে যদি স্বাভাবিক অভ্যাসের বিপরীত কোন কিছু প্রকাশিত হয়, তবে তা কারামত নয়; বরং তা ফিতনা ও ভেলকিবাজি। যার হাতে এমন কিছু প্রকাশিত হবে, সে আল্লাহর অলী নয়; বরং শয়তানের অলী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন