মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে লোক সকল ! আল্লাহ তাআলা পবিত্র এবং তিনি শুধু পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন। আল্লাহ তাআলা মোমিনদেরকে ঐ সকল নির্দেশই দিয়েছেন, যা তিনি দিয়েছেন তার প্রেরিত রাসূলগণকে। আর রাসূলদের প্রতি আল্লাহ তাআলার নির্দেশ ছিল এই যে, হে রাসুলগণ ! পবিত্র বস্ত্ত আহার কর এবং সৎকাজ কর। তোমরা যা কর সে বিষয়ে আমি পরিজ্ঞাত। [সুরা মুমিন ৫১]
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন : হে ইমানদারগণ তোমরা পবিত্র বস্ত্ত আহার কর যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুজি হিসেবে দান করেছি, এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। যদি তোমরা তারই এবাদত করে থাক। [সুরা বাক্বারা ১৭২]
অত:পর রাসূল সা. সেই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন যে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ধুলোবালি মিশ্রিত অবস্থায় এলোমেলো চুল নিয়ে দুই হাত আকাশের দিকে উঁচু করে বলতে থাকে : হে আমার রব ! হে আমার রব ! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, এবং বস্ত্র হারাম, এমতাবস্থায় তার দোয়া কেমন করে কবুল হবে ! [মুসলিম]
আভিধানিক ব্যাখ্যা
طيب শব্দের অর্থ পবিত্র। এখানে উদ্দেশ্য—আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি হতে নিষ্কলুষ-বিমুক্ত।
لا يَقْبَلُ إلَّا طَيِّبًا আল্লাহ শুধু ঐ দানই গ্রহণ করেন যা হালাল ও পবিত্র। কেউ কেউ বলেছেন, এখানে দান-খয়রাতসহ সব আমলই উদ্দেশ্য। অর্থাৎ আমলের মাঝে আল্লাহর নিকট ঐ আমলই গ্রহণযোগ্য যা লোক দেখানো মানসিকতা এবং অহংকার মুক্ত হয়। আর দানের মাঝে গ্রহণযোগ্য যা পবিত্র ও হালাল মাল দ্বারা আদায় করা হয়। এ ব্যাখ্যাকারীদের যুক্তি হল এই যে, পবিত্রতার গুণ সর্বপ্রকার কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম ও আকীদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
وَ إنَّ اللهَ أمَرَ المُؤْمِنِيْنَ بِمَا أمَرَ بِهِ المُرْسَلِيْنَ .অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা নবীগণ ও তাদের উম্মতকে হালাল আহার গ্রহণ ও নেক আমল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
أشْعَثَ أغْبَرَ অর্থাৎ—পোশাক-পরিচ্ছদ ও আকার-আকৃতিতে ধুলোময় ও এলোচুলের ব্যক্তি।
غُذِيَ শব্দে غ বর্ণে পেশ হবে। ذ বর্ণে যের হবে। উদ্দেশ্য হল হারাম বস্ত্ত দ্বারা প্রতিপালিত।
فَأنَّى يُسْتَجَابُ কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে ! এখানে বিস্ময়ের সাথে প্রশ্ন করা হচ্ছে যে এহেন ব্যক্তির দোয়া কেমন করে কবুল হবে ! অর্থাৎ তার দোয়া কবুল হবে না।
হাদিসের শিক্ষণীয় বিষয়
আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত। তাঁর জন্য রয়েছে সর্ব উৎকৃষ্ট নাম ও গুণসমূহ।
আল্লাহ স্বয়ং পূত-পবিত্র, এবং তার অভিপ্রায় হল, বান্দাগণ কথা ও কাজে, আকিদা ও বিশ্বাসে সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত হবে। আল্লাহ বলেন إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ তার দিকে আরোহণ করে সৎ বাক্য এবং সৎ কর্ম তাকে তুলে নেয়। [সূরা ফাতির : ১০।] মহান রাববুল আলামিন রাসূলের গুণ বর্ণনা প্রসঙ্গে যে গুণটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন তাহল, রাসূল উম্মতের জন্য পবিত্র বস্ত্ত হালাল করেন,—কোরআনে এসেছে— وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ অর্থ : তিনি মোমিনদের জন্য উত্তম বস্ত্ত হালাল করেন। [সূরা আরাফ : ১৫৭।] এবং মোমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় বলেছেন— الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ طَيِّبِينَ অর্থাৎ ফেরেশতারা যাদের রূহ পবিত্র থাকা অবস্থায় কবজ করে (তাদের প্রতি শুভ সংবাদ)। [সূরা নহল : ৩২] মোমিন দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান—সর্বাবস্থায় হবে সম্পূর্ণ পবিত্র। তার অন্তরে ঈমান আছে, তাই তার অন্তর পবিত্র। এমনিভাবে মুখে সদা আল্লাহর জিকির গুঞ্জরিত, তাই তার মুখও পবিত্র। এমনিভাবে তার অন্যান্য অঙ্গের দ্বারা আল্লাহর বিভিন্ন এবাদত হচ্ছে, তাই তার অন্য সব অঙ্গও পবিত্র। আবু হুরাইরা রা.-কে সম্বোধন করে রাসূল বলেন—
سبحان الله إن المسلم لا ينجس .
সুবহানাল্লাহ ! নিশ্চয় মুসলিম কখনো অপবিত্র হয় না। [বোখারি : ৬৭২] পক্ষান্তরে কাফেরদের সম্পর্কে বলেছেন,
إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ
wনশ্চয় মুশরিকগণ অপবিত্র। [সূরা তওবা : ২৮।]
মোমিন বান্দাগণ সার্বিকভাবে পবিত্র হওয়া যেমন আল্লাহর অভিপ্রায়, তেমনিভাবে তারা অপবিত্র ও আবর্জনা যুক্ত হওয়া তার খুবই অপছন্দনীয়। হোক না সে অপবিত্রতা কথায়, কাজে কিংবা আকিদা ও বিশ্বাসে। আল্লাহ এই মর্মে রাসূলের প্রশংসা করেছেন যে, তিনি পূত-পবিত্র বস্ত্ত উম্মতের জন্য হালাল করেন। আর হারাম করেন অপবিত্র ও আবর্জনাযুক্ত বস্ত্ত। আল্লাহ বলেন—
এবং আল্লাহ তাদের জন্য পবিত্র বস্ত্ত হালাল করেন এবং অপবিত্র বস্ত্ত হারাম করেন। [সূরা আরাফ :১৫৭]
আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অর্থ উপার্জন শুধু হালাল ও বৈধভাবেই হতে হবে, হারাম বা অবৈধ ভাবে কখনো হতে পারবে না। সুতরাং হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত সম্পদ থেকে দান-খয়রাতও গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এমন একটি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন, মুমিনগণ ও নবিগণ উভয়ের মাঝে যা দৃশ্যমান-বিস্তৃত। আর তা এই যে, তারা হালাল বস্ত্তই আহার হিসেবে গ্রহণ করে। কোরআন ও হাদিসের বহু উদ্ধৃতি হালাল উপার্জন ও আহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ এবং হারাম উপার্জন ও ভক্ষণের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন—
হে ইমানদারগণ ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, কেবল মাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। [নিসা : ২৯।] (অন্যের মাল যা ব্যবসার মাধ্যমে হস্তগত হয় তা বৈধ)
তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করায় কোন গোনাহ নেই। [বাকারা : ১৯৮।]
ইমাম বোখারি আবু হুরায়রার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
يأتي على الناس زمان لا يبالي المرأ ما أخذ، أ من الحلال أم من الحرام .
মানুষের নিকট এমন এক সময় আগত হবে, যখন তারা শুধু সম্পদ সঞ্চয়ের চিন্তায় বিভোর থাকবে। আর তা কি হালাল উপায়ে আসছে না হারাম উপায়ে—এ ব্যাপারে চিন্তা করবে না বিন্দুমাত্র। [বোখারি : ১৯৩০]
মেকদাম রা. বর্ণনা করেন—রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—
ما أكل أحد طعاما قط خيرا من أن يأكل من عمل يده، وإن نبى الله داود كان يأكل من عمل يده .
মানুষ স্বহস্তে উপার্জিত খাদ্য থেকে উত্তম খাদ্য কখনো খায়নি। আল্লাহর নবী দাউদ আ. হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—
لأن يحتطب أحدكم حزمة على ظهره خير من أن يسأل أحدا فيعطيه أو يمنعه .
লাকড়ির বোঝা পিঠে বহন করে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষের নিকট ভিক্ষা করার চেয়ে উত্তম—যা কখনো প্রদান করে আবার কখনো প্রদান করে না।
৫. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হালাল ও পবিত্র সম্পদ ব্যতীত আল্লাহ তাআলা দান হিসেবে গ্রহণ করবেন না। সুতরাং, হারাম সম্পদ থেকে দান আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।
আব্দুল্লাহ বিন উমর রা. সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لا يقبل صلاة بغير طهور و لا صدقة من غلول .
পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ গ্রহণযোগ্য না। আর غلول থেকে দান গ্রহণযোগ্য না। [মুসলিম শরিফ : ৩২৯]
غلول বলা হয়, যুদ্ধলব্ধ মালে আত্মসাত করা। তবে, এখানে উদ্দেশ্য হল অসৎ উপায়ে উপার্জিত যে কোন বস্ত্ত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ما تصدق عبد بصدقة من مال طيب ولا يقبل الله إلا الطيب إلا أخذها الرحمن بيمينه . رواه البخاري ومسلم
আল্লাহ তাআলা হালাল বস্ত্ত ব্যতীত গ্রহণ করেন না। যদি কোন ব্যক্তি তার হালাল সম্পদ থেকে দান করে তবে আল্লাহ তার ডান হাত দিয়ে তা গ্রহণ করেন। [২ বোখারি ১৩২১]
৬. হারাম সম্পদ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ, পান, বা পরিধান বা অন্য কোন উপায়ে ভোগ করা দোয়া কবুল হবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যদিও দোয়া কবুল হওয়ার যাবতীয় উপকরণ উপস্থিত থাকে। যথা—দীর্ঘ পথ অতিক্রম, দান খয়রাত, কাকুতি-মিনতি, হাত উত্তোলন, ও দোয়ার আধিক্য—ইত্যাদি।
৭. আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও তাঁর থেকে উভয় জগতের কল্যাণ কামনা, ও সফলতা অর্জনে দোয়া হল সর্বোত্তম মাধ্যম। যে ব্যক্তি দোয়া কবুল থেকে বঞ্চিত, সে উভয় জগতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত।
৮. এ হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়ার কতিপয় আদব শিক্ষা দিয়েছেন যা দোয়া কবুলের জন্য সহায়ক।
ক) সফর তথা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা। সফর—সন্দেহ নেই, দোয়া কবুলের দাবি রাখে। যেমন আবু হুরাইরা রা.-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
ثلاث دعوات مستجابات لا شك فيهن : دعوة المظلوم، ودعوة المسافر، ودعوة الوالد لولده .
তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল হয়।
(১) অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া, (২) মুসাফিরের দোয়া, (৩) সন্তানের জন্য পিতার দোয়া। [বোখারি : আল-আদাবুল মুফরাদ, আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজা, সহিহ আল জামে, হাদিস নং ৩০৩২]
আর যদি সফর অতিশয় লম্বা হয়, তখন দোয়া কবুলের সম্ভাবনা আরো বেশি হয়ে দেখা দেয়। কেননা, দীর্ঘ পথ সফরে সাধারণত: অধিক কষ্ট, সাহায্য ও বাসস্থান থেকে অনেক দূরে অবস্থান করাতে দেহ-মনে ভগ্নতা সৃষ্টি হয়। ভগ্ন হৃদয়ের দোয়া খুব দ্রুত কবুল হয়।
এ হাদিস অনেক ক্ষেত্রে দোয়ায় হাত উঠানোর প্রমাণ বহন করে। সালমান রা. এর সূত্রে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إن الله تعالى حي كريم يستحي إذا رفع الرجل إليه يديه أن يردهما صفرا خائبتين .
নিশ্চয় মহান আল্লাহ দয়ালু, জীবন্ত, মানুষ যখন হাত উত্তোলন করে তাঁর নিকট দোয়া করে তখন তাকে বঞ্চিত অবস্থায় খালি হাতে ফেরত দিতে তিনি লজ্জা বোধ করেন। [২ তিরমিজি, আবু দাউদ]
يا رب يا رب অর্থ হে প্রভু ! হে প্রভু !—বলে যখন স্রষ্টার সৃষ্টির অধিক পরিমাণে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে দোয়া করা হয়, তখন তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/353/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।