মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করল। অত:পর রাসূলের নিকটে এসে তাকে সালাম করলে রাসূল তার সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেন :—
তুমি ফিরে যাও, এবং পুনরায় সালাত আদায় কর, কারণ, তোমার সালাত হয়নি। অত:পর লোকটি সালাত আদায় করল। সালাত শেষে রাসূলের কাছে এসে তাকে সালাম জানাল। রাসূল সা. এবারও বললেন, তুমি আবার ফিরে যাও, এবং সালাত আদায় কর, কারণ, তোমার সালাত হয়নি। এভাবে তিনি তিনবার বললেন।
লোকটি বলল, যে সত্তা আপনাকে সত্য দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তার শপথ ! আমি এর চেয়ে উত্তমরূপে আদায় করতে সক্ষম নই। সুতরাং আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি এরশাদ করলেন, যখন তুমি সালাতে দন্ডায়মান হবে, প্রথমে তাকবীর দেবে।
অত:পর কোরআন থেকে তোমার জন্য সহজ—এমন কিছু পাঠ করবে। এরপর ধীরস্থিরভাবে রুকু করবে, এবং সোজা হয়ে দন্ডায়মান হবে। তারপর সেজদারত হবে মগ্ন হয়ে, এবং সোজা হয়ে বসবে। পুনরায় সেজদায় গমন করবে, পূর্বের মত ধীরস্থিরভাবে। এভাবে তুমি তোমার সালাত সমাপ্ত করবে। [বোখারি-৭৫৭ ও মুসলিম-৩৯৭]
হাদিসের শব্দ প্রসঙ্গে :
فَدَخَلَ رَجُلٌ ব্যক্তিটি ছিলেন প্রখ্যাত সাহাবি খাল্লাদ বিন রাফে রা.।
فَصَلَّى তার আদায়কৃত সালাত ছিল تحية المسجد হিসেবে।
اِرْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ অর্থাৎ, পুনরায় সালাত আদায় কর, কারণ, তোমার আদায় করা সালাত তোমার জন্য যথেষ্ট নয়।
ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ القُرْآنِ আহলে ইলমের অধিকাংশের মত এই যে, হাদিসের এ অংশের দ্বারা উদ্দেশ্য হল সূরা ফাতেহা। হাদিসটির বর্ণিত ভিন্ন রেওয়ায়েত বিষয়টিকে আরো জোড়াল করে। অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে—
ثم اقرأ بأم القرآن وبما شاء অত:পর তুমি কোরআনের মূল (সূরা ফাতেহা) এবং সাথে যা ইচ্ছা তা পাঠ কর।
আহকাম ও ফায়দা :
হাদিসবেত্তাগণ একে حديث المسيء في صلاته (নামাজে যে ভুল করেছে তার সম্পর্কিত হাদিস) নামে নামকরণ করেছেন। কারণ, হাদিসটিতে বর্ণিত আছে যে, লোকটি বারবার সালাতে ভুল করছিল, এবং রাসূল তাকে পুনরায় আদায় করতে আদেশ দিচ্ছিলেন।
হাদিসটি প্রমাণ করে যে, সালাতে প্রতি রাকাতে ক্বেরাত পাঠ ওয়াজিব। [বোখারি-৭৫৭ ও মুসলিম-৩৯৭] উবাদা বিন ছামেত রা. কর্তৃক বর্ণিত একটি হাদিস বিষয়টিকে আরো দৃঢ় করে। বর্ণিত আছে, রাসূল সা. এরশাদ করেন—
لا صلاة لمن لا يقرأ بفاتحة الكتاب .
কোরআনের সূরা ফাতেহা যে পাঠ না করবে, তার সালাত হবে না। [বোখারি-৭৫৬]
ধীরস্থিরতা সালাতের অন্যতম রুকুন, ধীরস্থিরতা ব্যতীত সালাত শুদ্ধ হতে পারে না কোনভাবে। এ কারণেই রাসূল সা. লোকটিকে পুনরায় সালাত আদায়ের আদেশ দিচ্ছিলেন। সে বারংবার এ বিষয়টিতে ভুল করছিল। ধীরস্থিরতা দ্বারা উদ্দেশ্য এই যে, দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে আসা এবং সালাতে ওয়াজিব দোয়া পাঠ করা। কিবয়াম, রুকু, রুকু হতে উঠা, সেজদা, সেজদা হতে উঠা, তাশাহ্হুদের জন্য বসা—ইত্যাদি সালাতের যাবতীয় কর্মে এই ধীরস্থিরতা আবশ্যক, অন্যথায় সালাত বাতিল বলে গণ্য হবে। [বোখারি-৭৫৭ ও মুসলিম-৩৯৭]
উক্ত হাদিসে যে সমস্ত রুকুনের উল্লেখ পাওয়া যায়, সালাতের প্রতি রাকাতে সমভাবে তা ওয়াজিব। তবে তাকবীরে তাহরীমা এর ব্যতিক্রম। কারণ, তা কেবল প্রথম রাকাতের রোকন।
যে জানে না, বুঝে না, অথবা গাফেল—তাকে শিক্ষা প্রদানের জন্য হাদিসটিতে উৎসাহব্যঞ্জক দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায়। তবে, শর্ত এই যে, শিক্ষাপ্রদান হতে হবে বিনয়-বিনম্রতার সাথে, স্পষ্টভাবে ; কঠোরতা ও জোরজবরদস্তি ব্যতীত।
হাদিসের মাধ্যমে আমরা ছাত্র ও শিক্ষার্থীর যে সমস্ত গুণ ও আদবের পরিচয় পাই, তা এই যে—
শিক্ষকের প্রতি পরিপূর্ণ উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে মনোসংযোগ স্থাপন, যাতে শিক্ষক হতে সর্বোচ্চ উপকারিতা অর্জন সম্ভব হয়। হাদিসে বর্ণিত সাহাবি রাসূল সা.-এর প্রতি নিয়োগ করেছিলেন পরিপূর্ণ মনোসংযোগ, যাতে তার সালাত পূর্ণাঙ্গ ও উৎকর্ষমন্ডিত হওয়ার উপকরণগুলো রাসূলের কাছ থেকে ভালোভাবে শ্রবণ করে নিতে পারে।
যথোপযুক্ত শিষ্টাচার প্রদর্শন ও জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষকের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা দান—যাতে শিক্ষক তাকে যা শিক্ষা দানে প্রয়াসী ও অভিপ্রায়ী, তা পূর্ণাঙ্গরূপে আয়ত্ব করা সম্ভব হয়।
শিক্ষক যা শিক্ষা দিতে চাচ্ছেন, শিক্ষার্থীর নিকট যদি তা অস্পষ্ট থাকে, তবে প্রশ্নোত্তর ও আলোচনা করা। শিক্ষকের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থী যখন উপলব্ধি ও আয়ত্ব করতে সক্ষম না হবে—তখনো এ অভ্যাসের গুরুত্ব অতীব। আল্লামা মুজাহিদ রহ. মন্তব্য করেন—
لا يتعلم العلم مستح ولا مستكبر .
মুখচোরা লাজুক কিংবা অহংকারী জ্ঞান হতে বঞ্চিত। [যাদুদ দায়িয়াহ : ২০]
জ্ঞানী বা শিক্ষক তার ছাত্রদের সামনে যা উপস্থাপন করেন, তার মাঝে সবচেয়ে উপকারী ও কল্যাণকর হচ্ছে উপদেশ প্রদান। তবে তা অবশ্যই হতে হবে প্রথম শিক্ষক সা.-এর অনুকরণে, তারই বর্ণিত পথ ও পদ্ধতি অনুসারে।
শিক্ষাদান পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতা আরোপ। প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনাকে এমনভাবে উপস্থাপন করবে, যা শিক্ষাদান পদ্ধতির সাথে খুবই সমন্বিত ও সমঞ্জস। মানুষের জ্ঞানার্জন ক্ষমতা বিচিত্র ও খুবই স্বতন্ত্রতায় পর্যবসিত।
হাদিসটি দ্বারা তাহিয়্যাতুল মসজিদ-এর শরিয়ত সিদ্ধি প্রমাণিত হয়। হাদিসটিতে আছে যে, সাহাবি মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং দু রাকাত সালাত আদায় করলেন। উত্তমরূপে আদায় হয়নি বলে রাসূল তাকে বারংবার আদায়ের নির্দেশ দিচ্ছিলেন।
সালাম প্রদান। যদিও একবার সালাম প্রদানের পর দু ব্যক্তির মাঝে সময়ের তারতম্য হয় খুবই সামান্য ও স্বল্প।
সর্বশেষ আলোচ্য ও দ্রষ্টব্য এই যে, হাদিসটি বিধৃত হয়ে আছে রাসূল সা.-এর উত্তম আচরণের বিবিধ বৈচিত্র্য দ্বারা। তার প্রতিটি ছত্রে পরিস্ফূটিত হচ্ছে রাসূলের সুষমামন্ডিত আচার ও সামাজিকতা। তার সাহাবিদের প্রতি তিনি ছিলেন খুবই সামাজিক আচরণের অনুবর্তী, সহনশীল ও ভালোবাসা-প্রবণ। সুতরাং, শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের এ জাতীয় যাবতীয় পরিস্থিতিতে রাসূলের একান্ত অনুসরণ কাম্য। আল্লাহ তাআলা বলেন,—
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহ সা.-এর মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ। [আহযাব : ২১]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/353/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।