hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবায়ে কেরামের প্রতি আমাদের কর্তব্য

লেখকঃ আব্দুর রাযযাক ইব্‌ন আব্দুল মুহসিন আল-বাদ্‌র

১২
সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-এর মধ্যে বিবাদীয় বিষয়ে একজন মুসলিমের ভূমিকাঃ
আমাদের আলোচনার এটিই শেষ বিষয়। সাহাবীগণের মধ্যে যেসব মতানৈক্য হয়েছে, তদ্বিষয়ে আমাদের করণীয় কি?

আমাদের সালাফে ছালেহীনের এক ব্যক্তিকে [. ঘটনাটি ওমর ইব্‌ন আব্দুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণনা করা হয় (‘হিলইয়াতুল আওলিয়া’, ৯/১১৪; ‘আল-মুজালাসাহ’/১৯৬৫)। এখানে উক্তিটির শব্দগুলি এভাবে এসেছে, تِلْكَ دِمَاءٌ طَهَّرَ اللهُ يَدِي مِنْهَا، فَمَا لي أُخَضِّبُ لِسَانِي فِيْهَا ‘সেটি ছিল রক্তাক্ত ইতিহাস, আল্লাহ তাত্থেকে আমার হাতকে মুক্ত রেখেছেন। তাহলে এবিষয়ে কথা বলে খামাখা কেন আমি আমার জিহ্বাকে রঞ্জিত করব?!’] যখন এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন,

تِلْكَ فِتْنَةٌ طَهَّرَ اللهُ مِنْهَا سُيُوْفَنَا , فَلْنُطَهِّرْ مِنْهَا أَلْسِنَتَنَا .

‘এটি ছিল একটি ফেৎনা। আল্লাহ তাত্থেকে আমাদের তরবারীকে মুক্ত রেখেছেন। অতএব, আমরা তা থেকে আমাদের যবানকেও মুক্ত রাখব’।

আরেকজনকে [. তিনি হলেন ইমাম আহমাদ (খাল্লাল, ‘আস-সুন্নাহ’, ২/৪৮১)।] এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নিম্নোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন,

﴿تِلۡكَ أُمَّةٞ قَدۡ خَلَتۡۖ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَلَكُم مَّا كَسَبۡتُمۡۖ وَلَا تُسۡ‍َٔلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٣٤﴾ [ البقرة : ١٣٤ ]

‘তারা ছিল এক সম্প্রদায়, যারা গত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদেরই জন্য। তারা কি করত, সে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না’ (আল-বাক্বারাহ ১৩৪)।

যদি ধরেও নিই যে, কোন একজন সাহাবী ভুল করেছেন; তবে আপনার তাতে মাথা ঘামানোর দরকার কি! ক্বিয়ামতের দিন কি আল্লাহ এই ভুলের জন্য আপনার কাছে হিসাব চাইবেন? আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি করত, সে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না’। আপনি সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-এর পর্যবেক্ষক নন, তাহলে কেন আপনি তাঁদের মধ্যে বিবাদীয় বিষয়ে নিজেকে জড়াবেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ছিল এক সম্প্রদায়, যারা গত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদেরই জন্য। তারা কি করত, সে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না’ ।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ধরে নিচ্ছি, একজন সাহাবী ভুল করেছেন। কিন্তু তিনি এই ভুলটি সাধ করে করেন নি; বরং ইজতিহাদ করতে গিয়ে ঘটে গেছে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ»

‘বিচারক যদি বিচার করতে গিয়ে ইজতিহাদ করেন এবং সঠিক বিচার করতে সক্ষম হন, তাহলে তাঁর জন্য রয়েছে দু’টি নেকী। পক্ষান্তরে যদি তিনি বিচার করতে গিয়ে ইজতিহাদ করেন, কিন্তু ভুল বিচার করে ফেলেন, তাহলে তার জন্য রয়েছে একটি নেকী’। [. সহীহ বুখারী, হা/৭৩৫২; মুসলিম, হা/১৭১৬। দুজনই হাদীসটি ‘আমর ইবনুল আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন।] সেজন্য সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সম্পর্কে যেসব মতানৈক্য বা ভুলের কথা উল্লখ করা হয়, সেগুলির দু’টি অবস্থাঃ

হয় সেগুলি তাঁদের উপর মিথ্যারোপ। আর তাঁদের সম্পর্কে উল্লেখিত বেশীর ভাগ মতানৈক্য বা ভুল এই শ্রেণীর।

আর নয়তো সেগুলি সঠিক। আর সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত এই ভুলগুলি সম্পর্কে আমরা বলব, তাঁরা ইজতিহাদ করেছেন। যিনি ইজতিহাদ করতে গিয়ে ভুল করেন নি, তাঁর দুই নেকী। আর যিনি ভুল করেছেন, তাঁর এক নেকী এবং তাঁর গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়েছে।

অতএব, সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-এর মধ্যে বিবাদীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা কারো উচিৎ নয়। তবে যদি কেউ তাঁদের পক্ষে লড়াই এবং তাঁদের সম্মান-মর্যাদা বর্ণনার উদ্দেশ্যে এসব বিষয়ে কথা বলে, তাহলে কোন সমস্যা নেই।

পরিশেষে, আমি নিম্নোক্ত দো‘আগুলির মাধ্যমে এই পুস্তিকাটির ইতি টানতে চাইঃ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ , اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ .

‘হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেমনিভাবে আপনি ইবরাহীমের উপর এবং ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনের উপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি মহা প্রশংসিত, মহা সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর, যেমনিভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীমের উপর এবং ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয়ই আপনি মহা প্রশংসিত, মহা সম্মানিত’।

وَارْضَ اللَّهُمَّ عَنِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ وَالْأَئِمَّةِ الْمَهْدِيِّيْنَ؛ أَبِيْ بَكْرٍ الصِّدِّيْقِ , وَعُمَرَ الْفَارُوْقِ , وَعُثْمَانَ ذِيْ النُّوْرَيْنِ , وَأَبِيْ الْحَسَنَيْنِ عَلِيٍّ , وَارْضَ اللَّهُمَّ عَنْ بَقِيَّةِ الْعَشَرَةِ الْمُبَشَّرِيْنَ بِالْجَنَّةِ , وَارْضَ اللَّهُمَّ عَنْ زَوْجَاتِ نَبِيِّكَ , وَارْضَ اللَّهُمَّ عَنْ صَحَابَةِ نَبِيِّكَ الَّذِيْنَ شَهِدُوْا بَدْرًا , عَنْ صَحَابَةِ نَبِيِّكَ الَّذِيْنَ شَهِدُوْا بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ , وَارْضَ اللَّهُمَّ عَنْ صَحَابَةِ نَبِيِّكَ أَجْمَعِيْنَ , وَارْضَ اللَّهُمَّ عَمَّنْ تَبِعَهُمْ بِإِحْسَانٍ .

‘হে আল্লাহ! আপনি চার খরীফা আবু বকর, ওমর, উছমান ও আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-এর উপর সন্তুষ্ট হোন। হে আল্লাহ! জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজনের মধ্যে অবশিষ্ট ছয়জনের প্রতিও আপনি সন্তুষ্ট হোন। হে আল্লাহ! আপনি আপনার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্ত্রীগণের উপর সন্তুষ্ট হোন। হে আল্লাহ! আপনি বদরযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এবং বায়‘আতে রিয্‌ওয়ানে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণের উপর সন্তুষ্ট হোন। হে আল্লাহ! আপনি আপনার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল সাহাবীর উপর সন্তুষ্ট হোন। হে আল্লাহ! আপনি তাঁদের পথের প্রকৃত অনুসারীদের উপর সন্তুষ্ট হোন’।

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ .

‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন। ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ আপনি রাখবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই আপনি অতিশয় দয়ালু, পরম করুণাময়’।

اللَّهُمَّ إِنَّا نَبْرَأُ إِلَيْكَ وَنَعُوْذُ بِكَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ- مِنْ طَرِيْقَةِ مَنْ يَّقَعُ فِيْ أَحَدٍ مِّنْ أَصْحَابِ النِّبيِّ صلى الله عليه وسلم , اللَّهُمَّ إِنَّا نَبْرَأُ إِلَيْكَ مِنْ طَرِيْقَةِ هَؤُلاَءِ , وَنَعُوْذُ بِكَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ- مِنْ مَسْلَكِهِمْ , وَنَسْأَلُكَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ أَنْ تَعْمُرَ قُلُوْبَنَا بِمَحَبَّةِ أَصْحَابِ نَبِيِّكَ أَجْمَعِيْنَ , وَأَنْ تَحْشُرَنَا مَعَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ -.

‘হে আল্লাহ! যারা সাহাবীগণকে গালি দেয়, তাদের পথাবলম্বন থেকে আমরা আপনার কাছে পরিত্রাণ চাচ্ছি। হে আল্লাহ! তাদের এই নিকৃষ্ট আচরণ থেকে আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। আমরা আপনার নিকট প্রার্থনা করছি, আপনার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল সাহাবীর প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করে আপনি আমাদের হৃদয়সমূহকে পূর্ণ করে দিন এবং তাঁদের সাথে আপনি আমাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন একত্রিত করুন।

اللَّهُمَّ وَاغْفِرْ لَنَا أَجْمَعِيْنَ , اللَّهُمَّ وَفِّقْنَا لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى , وَأَعِنَّا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى .

‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আপনি যা ভালবাসেন, আমাদেরকে তা-ই করার তাওফীক্ব দান করুন। আপনি আমাদেরকে সৎ ও তাক্বওয়ার কাজে সহযোগিতা করুন।

اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ , وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ , وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ , وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ , وَالْفَوْزَ بِالْجَنَّةِ , وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ .

‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে এমন আমল প্রার্থনা করি, যা আপনার রহমত লাভ নিশ্চিত করবে এবং যা আমার জন্য আপনার ক্ষমা বয়ে আনবে। আমরা আপনার কাছে সবধরণের কল্যাণকর কাজের সুযোগ চাই। আমরা আপনার কাছে সকল পাপ থেকে নিরাপত্তা এবং জান্নাত লাভের সফলতা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রার্থনা করি’।

اللَّهُمَّ أَصْلِحْ لَنَا دِيْنَنَا الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِنَا وَأَصْلِحْ لَنَا دُنْيَانَا الَّتِي فِيهَا مَعَاشُنَا وَأَصْلِحْ لَنَا آخِرَتَنَا الَّتِي فِيهَا مَعَادُنَا وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لَنَا فِي كُلِّ خَيْرٍ وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لَنَا مِنْ كُلِّ شَرٍّ .

‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য আমাদের দ্বীনকে সঠিক করে দিন, যা আমাদের সবকিছুর রক্ষাকবচ। আর আপনি আমাদের জন্য আমাদের দুনিয়াকে সঠিক করে দিন, যাতে রয়েছে আমাদের জীবিকা। আমাদের জন্য আমাদের আখেরাতকেও শুদ্ধ করে দিন, যেখানে হবে আমাদের প্রত্যাবর্তন। আপনি আমাদের জীবনকালকে প্রত্যেক কল্যাণকর কাজে বৃদ্ধি করুন এবং আমাদের মৃত্যুকে সকল অনিষ্টতা থেকে প্রশান্তি লাভের উপায় করে দিন’।

اللَّهُمَّ أَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا , وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِنَا , وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلَامِ , وَأَخْرِجْنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوْرِ , وَبَارِكْ لَنَا فِيْ أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا , وَقُوَّاتِنَا أَبَدًا مَا أَحْيَيْتَنَا .

‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের পরস্পরের দ্বন্দ্ব-কলহ মীমাংসা করে দিন। আপনি আমাদের মধ্যে হৃদ্যতা সৃষ্টি করে দিন। আমাদেরকে আপনি শান্তির পথে পরিচালিত করুন। আপনি আমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসুন। যতদিন আমরা বেঁচে থাকি, ততদিন আপনি আমাদের শ্রবণ শক্তি, দর্শন শক্তি এবং দৈহিক শক্তিতে বরকত দান করুন’।

اللَّهُمَّ اجْمَعْنَا عَلَى طَاعَتِكَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ- وَمَا يُقَرِّبُ إِلَيْكَ وَثَقِّلْ بِهِ مَوَازِيْنَنَا يَا حَيُّ ياَ قَيُّوْمُ , يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ -.

‘হে আল্লাহ! যে আমল বান্দাকে আপনার নিকটবর্তী করে দেয়, সেই আমলের ক্ষেত্রে এবং আপনার অনুসরণের ক্ষেত্রে আপনি আমাদেরকে সংঘবদ্ধ করুন। হে চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী! এর বিনিময়ে আপনি আমাদের নেকীর পাল্লা ভারী করে দিন।

اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِمَّنْ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ , أُولَٰئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ , وَأُولَٰئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ .

‘হে আল্লাহ! যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে; অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে, আপনি আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেছেন এবং তারাই বুদ্ধিমান’।

সবশেষে, আবার মহান রব্বুল আলামীনের প্রশংসা করছি। আল্লাহ তাঁর বান্দা ও রাসূলের উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর দরূদ, সালাম ও বরকত নাযিল করুন। [. এই বিষয়বস্তুটি মূলতঃ মদীনার মসজিদে ক্বুবাতে উপস্থাপিত একটি বক্তব্য। ক্যাসেট থেকে বক্তব্যটি আলাদা করা হয়েছে এবং আমি এখানে কিছু সংশোধনীও এনেছি। তবে বক্তব্যটি বক্তব্য আকারে রেখে দেওয়াই ভাল মনে করেছি। মহান আল্লাহ একক তাওফীক্বদাতা।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন