hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবায়ে কেরামের প্রতি আমাদের কর্তব্য

লেখকঃ আব্দুর রাযযাক ইব্‌ন আব্দুল মুহসিন আল-বাদ্‌র

সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-এর প্রতি একজন মুসলিমের কর্তব্যঃ
এই যাঁদের অবদান, তাঁদের প্রতি তাঁদের উত্তরসূরীদের কি কর্তব্য হতে পারে?

আমাদেরকে এর জবাব অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। মুহাজির এবং আনছার সাহাবীগণের ক্ষেত্রে একজন মুমিনের ভূমিকা কি হবে, তা আল্লাহ স্পষ্টই বলে দিয়েছেন। তিনি বলেন,

﴿وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠﴾ [ الحشر : ١٠ ]

‘আর এই সম্পদ তাদের জন্য, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন। ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ আপনি রাখবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই আপনি অতিশয় দয়ালু, পরম করুণাময়’ (আল-হাশর ১০)।

এখানে ‘তাদের পরে যারা এসেছে’ বলতে আনছার ও মুহাজিরগণের পরে যারা এসেছে, তাদেরকে বুঝানো হয়েছে।

সাহাবীগণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মুমিনের যে ভূমিকা হওয়া উচিৎ, তা উক্ত আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।

এই দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নোক্ত দু’টি পয়েন্টে সংক্ষিপ্তাকারে উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রিয় পাঠক! পয়েন্ট দু’টির প্রতি ভালভাবে খেয়াল করবেন, আল্লাহ আপনাকে এতদুভয়ের বিনিময়ে উপকৃত করবেন।

প্রথমতঃ সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সম্পর্কে আমাদের অন্তঃকরণকে নিষ্কলুষ রাখতে হবে। তাঁদের প্রতি হৃদয়ে কোন হিংসা-বিদ্বেষ বা ঘৃণা থাকবে না; থাকবে না কোন প্রকার শত্রুতা। বরং হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান পাবে শুধু ভালবাসা, অনুগ্রহ আর সহানুভূতি। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আপনি ঈমানদারগণের প্রতি আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না’। অর্থাৎ আমাদের পূর্বে যাঁরা ঈমানের সহিত গত হয়ে গেছেন, আপনি তাঁদের ব্যাপারে আমাদের হৃদয়সমূহকে নিষ্কলুষ করে দিন। তাঁরা আমাদের ভাই শুধু নয়; বরং তাঁরা আমাদের সর্বোত্তম ভাই। সেজন্য মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর এই সম্পদ তাদের জন্য, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন’। অতএব, তাঁরা আমাদের ভাই। তাঁদের আরেকটি মহৎ বৈশিষ্ট্য হল, ‘তাঁরা ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী’। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে অগ্রবর্তী সাহাবীগণ’ (আত-তাওবাহ ১০০)। এই বিশেষ মর্যাদায় আল্লাহ তাঁদেরকে মর্যাদাবান করেছেন।

আমরা হিজরী সাল অনুযায়ী বর্তমান চতুর্দশ শতাব্দীতে অবস্থান করছি। তাঁদের মাঝে এবং আমাদের মাঝে অনেকগুলি শতাব্দী গত হয়ে গেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুঅত প্রাপ্তির পর থেকেই তাঁরা তাঁর সাথে ছিলেন। সর্বদা তাঁরা তাঁকে সঙ্গ দিতেন এবং তাঁকে সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। তাহলে, মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে তাঁদের সাথে আমাদের কি কোন তুলনা চলে?!

তাঁরা ঈমান আনয়ন, দ্বীনের সহযোগিতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদেরকে বহুগুণে ছাড়িয়ে গেছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহচর্য লাভের সুযোগ দিয়ে আল্লাহ্‌ তাঁদেরকে যে সম্মানিত করেছেন, সেক্ষেত্রেও তাঁরা আমাদেরকে ছাড়িয়ে গেছেন।

অতএব, আপনি তাঁদের জন্য দো‘আ করার সময় তাঁদের অগ্রবর্তিতার কথা স্মরণ করবেন। আয়াতে এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, ‘তারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন’।

এই অগ্রবর্তিতার কারণে আপনার প্রতি তাঁদের অধিকার রয়েছে। তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা উপলব্ধির উদ্দেশ্যে আপনি তাঁদের অগ্রবর্তিতার কথা স্মরণ করুন। কারণ এই অগ্রবর্তিতার কারণে আল্লাহ তাঁদের প্রশংসা করেছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘যাঁরা ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছেন’।

যাহোক, সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সম্পর্কে হৃদয়কে নিষ্কলুষ রাখার অপরিহার্যতা হল প্রথম পয়েন্ট। আল্লাহ বলেন, ‘আপনি ঈমানদারগণের প্রতি আমাদের হৃদয়ে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না’।

দ্বিতীয়তঃ তাঁদের ক্ষেত্রে জিহ্বাকে মুক্ত রাখতে হবে। গালি-গালাজ, অশ্লীল কথা-বার্তা, অভিশাপ, নিন্দা ইত্যাদি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। পক্ষান্তরে তাঁদের জন্য শুধু প্রাণখোলা দো‘আ করতে হবে। এরশাদ হচ্ছে, ‘তাঁরা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন’। মুমিনগণ কি তাঁদেরকে গালি দিবে?! তাঁদেরকে ভর্ৎসনা করবে?! তাঁরা কি তাঁদেরকে নিন্দা করবে?! তাঁদের মান-সম্মানে আঘাত করবে?! কখনই না, আদৌ এমনটি কোন মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না; বরং পবিত্র কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের বৈশিষ্ট্য হবে নিম্নরূপঃ ‘আর এই সম্পদ তাদের জন্য, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন। ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ আপনি রাখবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই আপনি অতিশয় দয়ালু, পরম করুণাময়’ (আল-হাশর ১০)।

সেজন্য সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সম্পর্কে ঈমানদারগণের ভূমিকা আমি আবারও পাঠককে স্মরণ করিয়ে দিতে চাইঃ

১. হৃদয়কে কলুষমুক্ত করতে হবে।

২. জিহ্বাকে গালি-গালাজ, নিন্দা ইত্যাদি থেকে মুক্ত করতে হবে। সত্যিই সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-এর ক্ষেত্রে প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন হৃদয় এবং মার্জিত যবান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন