hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবায়ে কেরামের প্রতি আমাদের কর্তব্য

লেখকঃ আব্দুর রাযযাক ইব্‌ন আব্দুল মুহসিন আল-বাদ্‌র

ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর কাছেই ক্ষমা ভিক্ষা করি। আমরা আমাদের আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং মন্দ কর্ম থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। পক্ষান্তরে তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করে, তাকে কেউ সঠিক পথ দেখাতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, শরীকবিহীন এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবার-পরিজনের প্রতি এবং তাঁর সকল সাহাবীর প্রতি অসংখ্য দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন।

ছোট্ট এই পুস্তিকার শিরোনাম হচ্ছে, ‘সাহাবায়ে কেরামের প্রতি আমাদের কর্তব্য’। সত্যিই আমাদের উপর অর্পিত এ কর্তব্য মহান। সেজন্য আমাদের উচিৎ, এবিষয়টির প্রতি যারপর নেই গুরুত্ব প্রদান করা এবং সর্বোচ্চ যত্নশীল হওয়া।

সম্মানিত পাঠকের জানা যরূরী যে, সাহাবায়ে কেরামের প্রতি আমাদের কর্তব্য যেন-তেন কোন বিষয় নয়। এটি দ্বীন ইসলামের প্রতি আমাদের কর্তব্যেরই একটি অংশ, যে দ্বীনকে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং যা ব্যতীত তিনি তাদের নিকট থেকে অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করেন না। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ ﴾ [ آل عمران : ١٩ ]

‘নিশ্চয় আল্লাহ্‌র নিকট মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম’ (আলে-ইমরান ১৯)।

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥ ﴾ [ آل عمران : ٨٥ ]

‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা তার পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত (আলে-ইমরান ৮৫)।

মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন,

﴿ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ﴾ [ المائ‍دة : ٣ ]

‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নে‘মত পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসাবে পছন্দ করলাম’ (আল-মায়েদাহ ৩)।

অতএব, এই সরল-সোজা পথ এবং সত্য দ্বীনই হচ্ছে আল্লাহ্‌র দ্বীন। এই দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বস্ত প্রচারক, বিচক্ষণ উপদেষ্টা এবং সম্মানিত রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নির্বাচন করেন। তিনি এই দ্বীনকে পরিপূর্ণভাবে পৌঁছে দিতে এবং আল্লাহ নির্দেশিত বিষয়সমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করতে কোন প্রকার ত্রুটি করেন নি। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿۞يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ بَلِّغۡ مَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَۖ ﴾ [ المائ‍دة : ٦٧ ]

‘হে রাসূল! আপনার রবের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা পৌঁছে দিন’ (আল-মায়েদাহ ৬৭)। আল্লাহ্‌র এই নির্দেশ মোতাবেক তিনি আমরণ রিসালাতের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, আল্লাহ কর্তৃক আরোপিত আমানত যথাযথভাবে রক্ষা করেছেন, তাঁর উম্মতকে সঠিক নছীহত করে গেছেন এবং আল্লাহ্‌র রাহে সত্যিকার জিহাদ করেছেন। কল্যাণের এমন কোন দিক নেই, যা তিনি তাঁর উম্মতকে বলে যান নি। পক্ষান্তরে অকল্যাণের এমন কোন দিক নেই, যা থেকে তিনি তার উম্মতকে সতর্ক করে যান নি। মহান আল্লাহ স্বীয় বান্দাদেরকে তাঁর কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে বলেন,

﴿هُوَ ٱلَّذِي بَعَثَ فِي ٱلۡأُمِّيِّ‍ۧنَ رَسُولٗا مِّنۡهُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبۡلُ لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٖ ٢﴾ [ الجمعة : ٢ ]

‘তিনিই নিরক্ষরদের নিকট তাঁদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত’ (আল-জুমু‌‘আহ ২)।

আমি আবারও বলছি, আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌র দ্বীনের প্রচার ও প্রসার যথার্থভাবে করে গেছেন। তিনি তাঁর উম্মতকে নছীহত করতে কোন প্রকার ত্রুটি করেননি; বরং তিনি তাদের জন্য তাদের লক্ষ্যস্থল স্পষ্টভাবে বাতলে দিয়ে গেছেন।

মহান আল্লাহ সম্মানিত এই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য সম্মানিত সাহাবায়ে কেরামকে মনোনীত করেন। তাঁরা তাঁকে এবং আল্লাহ্‌র দ্বীনকে সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা করেন। তাঁরা ছিলেন ভূ-পৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তির শ্রেষ্ঠতম সহচর। তাঁরা ছিলেন তাঁর সৎ সঙ্গী, মহৎ সহকর্মী এবং শক্তিশালী সাহায্যকারী। আল্লাহ্‌র দ্বীনের প্রচার ও প্রসারে তাঁরা সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করেন।

তাঁরা কতই না নিবেদিতপ্রাণ এবং মহৎ ছিলেন! কতই না সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী ছিলেন তাঁরা! আল্লাহ্‌র দ্বীনের সহযোগিতার জন্য তাঁরা কি অসাধারণ প্রচেষ্টাই না করেছেন!

মহান আল্লাহ বিশেষ তাৎপর্যকে সামনে রেখেই তাঁর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য উত্তম ও ন্যায়পরায়ণ এসকল সাহাবীকে মনোনীত করেন। স্বয়ং আল্লাহ এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষ্যানুযায়ী নবী ও রাসূলগণ (আলাইহিমুস্‌ সালাম)-এর পরে তাঁরাই ছিলেন সর্বোত্তম মানুষ। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ﴾ [ آل عمران : ١١٠ ]

‘তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে’ (আলে-ইমরান ১১০)। অগ্রবর্তিতার ভিত্তিতে এবং শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীগণই সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ্‌র এই দ্ব্যর্থহীন ঘোষণার আওতাভুক্ত হবেন। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ»

‘আমার যুগের মানুষই সর্বোত্তম মানুষ। অতঃপর তার পরের যুগের মানুষ, অতঃপর তার পরের যুগের মানুষ’। [. সহীহ বুখারী, হা/২৬৫২; সহীহ মুসলিম, হা/২৫৩৩। হাদীসটি ইবনে মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন।]

বুঝা গেল, সাহাবীগণের শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্য দিলেন স্বয়ং আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সত্যিই তাঁরা ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ, ন্যায়পরায়ণ, বিশ্বস্ত এবং সুদৃঢ় দিক-নির্দেশক।

অতএব, আমাদের ভালোভাবে জানা উচিৎ যে, সাহাবীগণ ও তাঁদের প্রতি আমাদের কর্তব্য শীর্ষক আলোচনা দ্বীন, ইসলামী আক্বীদা এবং ঈমানেরই একটি অংশ। কেননা অতীত ও বর্তমানে সালাফে ছালেহীন কর্তৃক প্রণীত আক্বীদা বিষয়ক এমন কোন বই আপনি পাবেন না, যাতে সাহাবীগণের প্রতি মুসলিম আক্বীদার বিষদ বিবরণ নেই।

কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন উঠেঃ সাহাবীবর্গের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য, তা কেন দ্বীনের প্রতি আমাদের কর্তব্যের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হল?

জবাবে বলব, সাহাবীগণ হলেন এই দ্বীনের ধারক এবং বাহক। তাঁরা কোন প্রকার মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি এই দ্বীনের বার্তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছ থেকে শ্রবণের মহান গৌরর অর্জন করেছেন। তাঁরা সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখেছেন এবং তাঁর কাছ থেকে হাদীস শুনেছেন। অতঃপর পূর্ণ আমানতদারিতার সহিত উক্ত হাদীসসমূহকে সংরক্ষণ করতঃ মুসলিম উম্মাহ্‌র উদ্দেশ্যে বর্ণনা করেছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি হাদীসও কি এমন পাওয়া যাবে যে, তা সাহাবায়ে কেরাম ছাড়া অন্য কারো সূত্রে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে?!

যখন আপনি বুখারী, মুসলিম, সুনান [. যেসব হাদীস গ্রন্থ ফিক্বহী অধ্যায় বা অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো হয়, সেগুলিকে ‘সুনান’ ( السنن ) বলে। এসব হাদীস গ্রন্থে মারফূ‘ হাদীস ব্যতীত মাক্বতু‘ বা মাওক্বূফ হাদীস থাকে না বললেই চলে। যেমনঃ সুনানে আবু দাঊদ, সুনানে নাসাঈ, সুনানে ইবনে মাজাহ ইত্যাদি। –অনুবাদক।], মাসানীদ [. যেসক হাদীস গ্রন্থে প্রত্যেক সাহাবীর সহীহ, হাসান ও যঈফ হাদীসকে পৃথকভাবে সাজানো হয়, অধ্যায় বা অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাদীস উল্লেখ করা হয় না, সেসব হাদীস গ্রন্থকে ‘মাসানীদ’ ( المسانيد )বলে। যেমনঃ মুসনাদে আহমাদ, মুসনাদে বায্‌যার ইত্যাদি।আবার কখনও যে গ্রন্থে বেশকিছু হাদীস একত্রিত করা হয়, তবে সেটার হাদীসগুলিকে সাহাবীর নামানুসারে না সাজিয়ে অধ্যায় বা অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজানো হয়, তাকেও মুসনাদ বলে। যেমনঃ মুসনাদে বাক্বী ইবনে মাখলাদ আল-আন্দালুসী। –অনুবাদক।], মাজামী‘ [. যেসব গ্রন্থে হাদীছের বিভিন্ন মূল গ্রন্থ থেকে হাদীস জমা করা হয় এবং একত্রিত হাদীসগুলিকে মূল গ্রন্থসমূহের বিন্যাশ অনুযায়ী সাজানো হয়, সেগুলিকে ‘মাজামী’ ( المجاميع ) বলে। যেমনঃ ছাগানী প্রণীত ‘আল-জাম্‌‘উ বায়নাছ্‌-ছহীহাইন’, সুয়ূত্বী প্রণীত ‘আল-জামে‘ আল-কাবীর’ ইত্যাদি। এসব হাদীস গ্রন্থের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল, এগুলিতে বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত একই বিষয়ের অনেকগুলি হাদীস একত্রে পাওয়া যায়। –অনুবাদক।], আজ্‌যা [. হাদীছের যেসব ছোট্ট গ্রন্থে লেখকগণ বেশকিছু হাদীস একত্রিত করেন এবং হাদীসগুলি সাধারণতঃ বিষয়বস্তু, বর্ণনাকারী অথবা মতন বা সনদের বৈশিষ্ট্যের দিক বিবেচনায় একই হয়, তাকে ‘আজ্‌যা হাদীছিইয়্যাহ’ ( الأجزاء الحديثية ) বলে। যেমনঃ ইমাম বুখারী প্রণীত ‘জুয্‌উ রফইল ইয়াদায়েন ফিছ্‌-ছালাহ’। –অনুবাদক।] বা হাদীছের অন্য কোন গ্রন্থ খুলবেন, তখন দেখবেন, গ্রন্থকার থেকে হাদীছের সনদ শুরু হয়ে সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছেছে। অতঃপর সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সেজন্য, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত প্রত্যেকটি হাদীছের সূত্রে কোন না কোন বিশিষ্ট সাহাবী অবশ্যই রয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন