hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআনের আলোকে নূহ আলাইহিস সালামের দা‘ওয়াহ কার্যক্রম

লেখকঃ ড. মোঃ আবদুল কাদের

চার: দা‘ওয়াহ কার্যক্রম:
যখন পৃথিবীতে বিপর্যয় ও বিশৃংখলা দেখা দেয় এবং নানা প্রকার পাপাচারে সমাজ কলুষিত হয়,মানুষ এক আল্লাহর ইবাদত থেকে বিমুখ হয়ে স্বহস্তে নির্মিত মূর্তির ইবাদতে মশগুল হয়ে পড়ে,তখন মহান আল্লাহ নূহ আলাইহিস সালামকে মানব জাতির হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করলেন। তিনি আলাইহিস সালাম সর্বপ্রথম স্বজাতিকে তাওহীদ তথা একত্ববাদের প্রতি আহবান জানান,যা ঈমানের মূল ভিত্তি এবং আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার স্থাপন করতে বারণ করেন। [আব্দুল্লাহ আলূরী, তারিখুদ দা‘ওয়াহ ই’লাল্লাহি বায়নাল আমছি ওয়াল ইয়াওম,কায়রো,মাকতাবাতু ওয়াহবাহ, তা.বি. পৃ. ৪৭।] এ মর্মে পবিত্র কুরআনে এসেছে :

﴿ لَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوۡمِهِۦ فَقَالَ يَٰقَوۡمِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَٰهٍ غَيۡرُهُۥٓ إِنِّيٓ أَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ ٥٩ ﴾ [ الاعراف : ٥٩ ]

‘‘নিশ্চয় আমি নূহ আলাইহিস সালামকে তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি। অত:পর সে বলল,হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে পরকালীন মহা আযাবের ভয় প্রদর্শন করছি।’’ [আল কুরআন, সূরা আল আ‘রাফ: ৫৯।] মূলত: এ উদ্দেশ্যেই মহান আল্লাহ রাসূল প্রেরণ করে থাকেন। এটিই নূহ আলাইহিস সালাম সহ সকল নবী-রাসূলের দা‘ওয়াতের আলোচ্য বিষয়। এ মর্মে এরশাদ হয়েছে :

﴿وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ ﴾ [ النحل : ٣٦ ]

‘‘নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক উম্মতের নিকট রাসূল পাঠিয়েছি যেন তারা আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুত থেকে বিরত থাকে।’’ [আল কুরআন, সূরা আন নাহল: ৩৬।] উপরোক্ত আয়াতে কারীমা হতে নূহ আলাইহিস সালাম-এর দা‘ওয়াতের দুটি দিক পরিলক্ষিত হয়। একদিকে তিনি কাওমের হিতাকাঙ্ক্ষী ও শুভাকাংঙ্ক্ষীরূপে নিজেকে পেশ করেছেন এবং একত্ববাদের প্রতি তাদেরকে আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে একজন সতর্ককারী হিসেবে পরকালীন কঠিন শাস্তি সম্পর্কে তাদের সচেতন হওয়ার জন্য ভীতি প্রদর্শন করেন। পবিত্র কুরআন তাঁকে ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। যেমন: সূরা নূহের প্রারম্ভে মহান আল্লাহ বলেন :

﴿ إِنَّآ أَرۡسَلۡنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوۡمِهِۦٓ أَنۡ أَنذِرۡ قَوۡمَكَ مِن قَبۡلِ أَن يَأۡتِيَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ١ قَالَ يَٰقَوۡمِ إِنِّي لَكُمۡ نَذِيرٞ مُّبِينٌ ٢ أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ ٣ ﴾ [ نوح : ١، ٣ ]

‘‘নিশ্চয়ই আমি নূহ আলাইহিস সালাম কে তার জাতির লোকদের নিকট পাঠিয়েছিলাম,যাতে করে এক ভয়ানক উৎপীড়ক আযাব আসার পূর্বেই তুমি তোমার জাতির লোকদের সাবধান করে দাও। তখন নূহ আলাইহিস সালাম বলল,হে আমার জাতির লোকেরা! আমি তোমাদের জন্য একজন সুস্পষ্ট সাবধানকারী। তোমরা সকলে এক আল্লাহর ইবাদত কর। তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য প্রদর্শন কর।’’ [আল কুরআন, সূরা নূহ: ১-৩।]

উপরোক্ত আয়াতে কারীমাগুলোর আলোকে বলা যায় যে, নূহ আলাইহিস সালাম তাঁর নবুওয়ত ও রিসালাতের দায়িত্ব পালনের প্রাক্কালে স্বজাতির সামনে তিনটি কথার দা‘ওয়াত পেশ করেছেন। প্রথমত: অন্য সবকিছুর বন্দেগী দাসত্ব ও গোলামী সম্পুর্ণ পরিহার করে কেবলমাত্র আল্লাহকেই নিজের একমাত্র মা‘বুদ হিসেবে উপাসনা-আরাধনা করবে এবং একমাত্র তাঁরই দেয়া বিধি নিষেধ মেনে চলবে। দ্বিতীয়ত: তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করবে অর্থাৎ যেসব কাজে আল্লাহ নারায হন এবং তাঁর ক্রোধের উদ্রেক হয় তা সবই পরিত্যাগ করবে এবং আল্লাহকে ভয় করে চলার নীতিকে নিজেদের জীবনে পুরোপুরি কার্যকর করবে। তৃতীয়ত: আমার আনুগত্য কর, সেসব আদেশ-নিষেধ মেনে চল যা আল্লাহর রাসূল হিসেবে আমি তোমাদের বলছি।

অনুরূপভাবে নূহ আলাইহিস সালাম স্বজাতিকে আল্লাহর দিকে আহবানের ক্ষেত্রে অসংখ্য পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরা যেমন আ‘রাফ, হূদ, ইউনুছ ও নূহ-এ বিস্তারিত বর্ণিত আছে। নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগুলো উল্লেখ করা হল:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন