মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১- বান্দাহ মনে প্রাণে ইয়াকিনের সাথে বিশ্বাস করবে যে সে শুধু আল্লাহর দাস, আর দাস খিদমতের বিনিময়ে মনিবের কাছে কিছু প্রত্যাশা করতে পারে না। যেহেতু সে দাসত্বের কারণে মনিবের খিদমত করবে। অতএব মনিবের কাছে যে প্রতিদান ও সাওয়াব পায় তা শুধু তার অনুগ্রহ, দয়া ও ইহসান। কোন কিছুর বিনিময় বা প্রতিদান নয়।
২- বান্দাহর উপর আল্লাহর অনুগ্রহ, দয়া ও তাওফিক সর্বদা লক্ষ্য করা, একথা ভাবা যে এ সব কিছু মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে, তার নিজের থেকে কিছুই হয় নি। আল্লাহর ইচ্ছায়ই তার আমল করতে হবে, নিজের ইচ্ছায় নয়। সব কল্যাণ একমাত্র আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ায়।
৩- ব্যক্তি নিজের দোষত্রুটি, কমতি, নফসের ও শয়তানের অংশিদারিত্ব সর্বদা স্মরণ করা। কেননা অনেক আমলেই কম বেশি নফসের ও শয়তানের অংশ থাকে।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাতের মধ্যে (ঘাড় ফিরিয়ে) এদিক ওদিক তাকানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। জবাবে তিনি বলেন, “এটা শয়তানের ছোঁ মারা, সে মানুষের সালাত হতে কিছু অংশ ছো মেরে নিয়ে যায়”। [বুখারী, হাদীস নং ৩২৯১, আবূ দাউদ, ৯১০।]
সামান্য এদিক ওদিক তাকালে যদি এমন সতর্ক করা হয় তাহলে আল্লাহ ছাড়া অন্য দিকে অন্তর ফিরালে কি অবস্থা হবে? [মাদারিজুস সালিকীন।]
৩- অন্তরের সংশোধন ও ইখলাসের জন্য আল্লাহ যেসব আদেশ দিয়েছেন সেগুলো স্মরণ করা। লোক দেখানো ব্যক্তিরা আল্লাহর তাওফিক থেকে বঞ্চিত হয়।
৪- আল্লাহর ক্রোধ ও আযাবের ভয় যখন বান্দাহর অন্তরে থাকবে তখন সে রিয়া থেকে বিরত থাকবে।
৫- গোপনে বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করা, যেমন: তাহাজ্জুদের সালাত, গোপনে দান সদকা করা ও আল্লাহর ভয়ে নির্জনে কাঁদা।
৬- আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব মনে বাস্তবায়ন করা। আসমাউল হুসনা (আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ) ও আল্লাহর সিফাত যেমন: ‘আলীউল ‘আযীম, ‘আলীম, রাযযাক, খালিক ইত্যাদি নামসমূহের দ্বারা আল্লাহর তাওহীদ ও ‘উবুদিয়াত বাস্তবায়ন করা।
৭- সর্বদা একথা মনে রাখা যে, সে মহান আল্লাহর একমাত্র গোলাম।
৮- আল্লাহর সুন্দর জাতী ও গুণবাচক নামসমূহ জানা ও আল্লাহকে যথাযথ সম্মান করা।
৯- মৃত্যু ও এর ভয়াবহতা স্মরণ করা।
১০- রিয়ামুক্ত ভাল মানুষের অনুসরণের মাধ্যমে রিয়াকে ত্যাগ করা।
১১- রিয়ার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে জানা।
১২- দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি কাকুতি মিনতি পেশ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু‘আ ও কাকুতি মিনতি পেশ করতেন।
১৩- গভীর চিন্তা ও গবেষণাসহ কুরআন পড়া।
১৪- নফসের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকা। কেননা ইখলাস ও মানুষের প্রশংসা, লোভ লালসা ইত্যাদি অন্তরে একত্রিত হতে পারে না, যেমনিভাবে পানি ও আগুন একত্রিত হতে পারে না। তাই ইখলাস চাইলে লোভ লালসাকে দমন কর, মানুষের প্রশংসা ও সুনাম সুখ্যাতির কামনা বাসনা ত্যাগ কর এবং দুনিয়ার মায়া মমতা ত্যাগ করে আখিরাতের ভালবাসা মনে লালন কর, তাহলে ইখলাস অর্জন সহজ হবে। আর লোভ লালসা ধ্বংসের জন্য এটা জানাই যথেষ্ট যে, দুনিয়াতে লোভনীয় যা কিছুই আছে তা আল্লাহর হাতেই রয়েছে, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই দান করেন।
“আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে আমি অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথেই আছেন”। [সূরা আল্-আনকাবূত: ৬৯]
অতএব রিয়ার ভয়াবহতা ত্যাগ করতে হলে আপনাকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ধাপে ধাপে রিয়া ত্যাগ করে যখন নিম্নোক্ত স্তরে পৌঁছবে তখন আল্লাহর আনুগত্য করতে নফস প্রশান্তি পাবে।
“নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই, তবে পথভ্রষ্টরা ছাড়া যারা তোমাকে অনুসরণ করেছে”। [সূরা আল-হিজর: ৪২]
১৬- ইবাদত প্রকাশ না করা।
১৭- মানুষ কে কি বলে সে ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব না দেওয়া।
১৮- সব ধরণের শির্ক থেকে বেঁচে থাকা ও সতর্ক থাকা।
১৯- রিয়ার কাফফারা থেকে বেঁচে থাকার জন্য দু‘আ করা। হাদীসে এসেছে,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا هَذَا الشِّرْكَ؛ فَإِنَّهُ أَخْفَى مِنْ دَبِيبِ النَّمْلِ ". فَقَالَ لَهُ : مَنْ شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُولَ وَكَيْفَ نَتَّقِيهِ، وَهُوَ أَخْفَى مِنْ دَبِيبِ النَّمْلِ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : قُولُوا : " اللهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نُشْرِكَ بِكَ شَيْئًا نَعْلَمُهُ، وَنَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا نَعْلَمُ "
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে লোকসকল, তোমরা এ খফি শির্ক (রিয়া) থেকে বেঁচে থাকো, কেননা এটা পিপীলিকা চলার চেয়েও সূক্ষ্ম। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এর থেকে কিভাবে বেঁচে থাকব? তিনি বললেন, তোমরা বল, হে আল্লাহ আমরা জানা শির্ক থেকে পানাহ চাই এবং অজানা শির্ক থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১৯৬০৬। আল্লামা শু‘য়াইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসের সনদটি দ‘য়ীফ।]
২০- ওয়াজ নসিহত, জিকিরের মসলিস ও মুখলিস ব্যক্তিদের সাথে উঠা বসা ও চলা ফেরা করা।
২১- ব্যক্তির উপর আল্লাহর অপরিসীম নি‘আমতের কথা স্মরণ করা ও সেগুলোর শুকরিয়া আদায় করা। প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সবসময়ই তা স্বীকার করা।
২২- ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত ইবাদত বন্দেগী করা এবং একে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করা। [লেখাটি সউদী লেখিকা ক্বাযলা বিনতে মুহাম্মদ আল-কাহতানীর লেখা থেকে অনূদিত ও লেখক কর্তৃক সংকলিত।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/557/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।