HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সঠিক আকীদা-বিশ্বাস ও যা এর পরিপন্থী

লেখকঃ শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায

১০
আল্লাহর ওপর ঈমানের অন্তর্ভুক্ত আরও কয়েকটি বিষয়
উল্লেখযোগ্য যে, আল্লাহর ওপর ঈমানের মধ্যে এ বিশ্বাসও অর্ন্তভুক্ত রয়েছে যে,

ঈমান মানে কথা ও কাজ যা পূণ্যে বৃদ্ধি এবং পাপে হ্রাস পায়।

একথাও ঈমানের অন্তর্ভুক্ত যে, কুফুরী ও শির্ক ব্যতীত কোনো কবীরা গুনাহ- যেমন, ব্যভিচার, চুরি, সুদ গ্রহণ, মদ্যপান, পিতা-মাতার অবাধ্যতা ইত্যাদির জন্য কোনো মুসলিমকে কাফির বলা যাবে না, যতক্ষণ না সে তা হালাল বলে গণ্য করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ﴾ [ النساء :116]

“নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শির্ক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এতদ্ব্যতীত সবকিছু যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১৬]

তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একাধিক মুতাওয়াতির হাদীসে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা পরকালে এমন লোককেও মুক্ত করবেন যার অন্তরে (এ জগতে) শষ্যদানা পরিমাণ ঈমান বিদ্যমান ছিল।

আল্লাহর পথে প্রীতি-ভালোবাসা, বিদ্বেষ, বন্ধুত্ব এবং শক্রতা পোষণ করাও আল্লাহর প্রতি ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। সূতরাং মুমিন ব্যক্তি অপর মুমিনদের ভালোবাসবে এবং তাদের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে চলবে। পক্ষান্তরে সে কাফিরদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে এবং তাদের সাথে বৈরীতা বজায় রাখবে।

মুসলিম উম্মাহর মুমিনদের শীর্ষস্থানে রয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ। তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত তাদের প্রতি সম্প্রীতি ও গভীর ভালোবাসা পোষণ করে।

আহলে সুন্নাত একথাও বিশ্বাস করে যে, সাহাবায়ে কিরামই নবীকুলের পর সর্বোত্তম মানবগোষ্ঠী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«خَيْرُ النّاس قَرْنِي ثُمَّ الْذِينَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الْذِينَ يَلُوْنَهُمْ»

“সর্বোত্তম মানবগোষ্ঠী আমরা যুগের লোকেরা, তারপর তাদের পরবর্তী যুগের মানুষ এবং তারপর এদের পরবর্তীগণ’। (অত্র হাদীসের বিশুদ্ধতার ওপর বুখারী ও মুসলিম একমত)

তারা আরো বিশ্বাস করেন যে, এই সর্বোত্তম মানবগোষ্ঠীর মধ্যে আবু বকর সিদ্দীক হলেন সর্বোত্তম, তারপর উমার ফারুক, তারপর উসমান জুন-নূরাইন, তারপর আলী মুরতাযা রাদিয়াল্লাহু আনহুম। তাদের পর হলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত অপর সাহাবীগণ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) তারপর আরো বাকী সব সাহাবীগণের স্থান (আল্লহ তাদের ওপর সন্তুষ্ট হোন)।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত সাহাবীগণের মধ্যে সংঘটিত বিবাদ-বিসংবাদ সম্পর্কে কোনোরূপ মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। তারা মনে করেন যে, সাহাবীগণ ঐসব ব্যাপারে মুজতাহিদ ছিলেন। যাদের ইজতিহাদ সঠিক ছিল তারা দ্বিগুণ, আর ভুল হলে একগুণ সাওয়াবের অধিকারী।

আহলে সুন্নাত রাসূলুল্লাহ্‌র বংশধরদের ভালোবাসেন এবং তাদের প্রতি বন্ধুত্ব প্রদর্শন করেন। আর তারা মুমিনগণের মাতৃকুল রাসূলুল্লাহর সহধর্মিনীদের প্রতিও যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করেন এবং তাদের সকলের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন।

এভাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের লোকেরা নিজেদেরকে রাফেযীদের নীতি থেকে মুক্ত রাখেন। রাফেযীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করে এবং আহলে বাইতের প্রতি সীমাতিরিক্ত ভক্তি প্রদর্শণ করে এবং তাদেরকে আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত স্থানের আরো উপরে মর্যাদা প্রদান করে।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ঐসব ভ্রান্ত মতাবলম্বীদের নীতি থেকেও নিজেদেরকে মুক্ত রাখেন, যারা কোনো কোনো কথা ও কাজের দ্বারা আহলে বাইতকে যন্ত্রণা প্রদান করে।

আমি এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে যা উল্লেখ করেছি, সেসব সেই বিশুদ্ধ আকীদা বা ধর্মবিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত যা দিয়ে আল্লাহ ত‘আলা তাঁর প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করেছেন। এটিই নাজাতপ্রাপ্ত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের ধর্মবিশ্বাস, যাদের সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন:

«لاَ تَزَالْ طَائِفَةُ مِنْ أُمَّتِيْ عَلَى الْحَقِّ مَنْصُوْرةَ لاَ يَضُرُّهُمْ مِنْ خَذَلَّهُمْ حَتَّى يَأتِيْ أَمْرُ اللهِ سُبْحَانَهُ»

“আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সত্যের ওপর সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে টিকে থাকবে। কারো অপমান, অত্যাচার তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না, যতক্ষণ না আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ (কিয়ামত) উপস্থিত হবে”।

তিনি আরো বলেন,

«إفْتَرَقتِ الْيَهُوْدَُ عَلَى إحْدِى وَ سَبْعِيْنَ فِرْقَةً وَ افْتَرَقَتِ النَّصَارَى عَلَى إِثْنَتَيْنَ فِرْقَةً , وَسَتَفْرِقُ هَذِهِ لأُمَّةُ عَلَى ثَلاَثَ وَ سَبْعِيْنَ فِرْقَةً , كُلُّهَا فِيْ النَّارِ إلاَّ وَاحِدَةً»

“ইয়াহুদী সম্প্রদায় একাত্তর দলে বিভক্ত হলো এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায় বাহাত্তর দলে বিভক্ত হলো, আর আমার এই উম্মত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে একটি বাদে সবক’টি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন সাহাবীগন বলে উঠলেন: হে আল্লাহর রাসূল, সে দলটি কেমন হবে? উত্তরে তিনি বললেন:

«منْ كَانَ عَلَى مِثْلِ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَ أَصْحَابِيْ»

“যে দল আমার ও আমার সাহাবীদের অনুসৃত নীতির ওপর চলবে”। এই নীতিই সেই আকীদা বা ধর্ম বিশ্বাসের নামন্তর; যার ওপর দৃঢ়ভাবে অটল থাকা এবং তার পরিপন্থী বিষয় হতে সতর্ক থাকা সকলের পক্ষে একান্ত অপরিহার্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন