HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সঠিক আকীদা-বিশ্বাস ও যা এর পরিপন্থী

লেখকঃ শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায

১২
পরবর্তী কালের মুশরিক সম্প্রদায়
সময়ের ব্যবধানে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এবং অধিকাংশ লোক অজ্ঞতায় নিমজ্জিত হলো। সংখ্যাগুরু জনগণ নবী-ওয়ালীগণের প্রতি সীমাতিরিক্ত ভক্তি-শ্রদ্ধা এবং বিপদ-আপদে তাদের নিকট প্রার্থনাসহ অন্যান্য শির্কের মাধ্যমে ইসলাম পূর্ব অন্ধকার যুগে ফিরে গেল। তারা কালেমা ‘লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু’র প্রকৃত অর্থ এতটুকু অনুধাবনে ব্যর্থতার পরিচয় দিল, যতটুকু আরবের কাফিররা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। (আল্লাহ সকলকে সত্য উপলব্ধি করার তাওফীক দিন।)

অজ্ঞতার সয়লাবে তথা নবুওয়াতের যুগ হতে দুরত্বের ফলে বর্তমান কাল পর্যন্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে উক্ত শির্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমান কালে মুশরিকদের ভ্রান্ত ধারণা হুবহু পূর্ববর্তী মুশরিকদের মধ্যেও বিদ্যমান ছিল। তারা বলতো:

﴿هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِۚ﴾ [ يونس : 18]

“তারা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্যে সুপারিশকারী”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১৮]

তাদের একথাও ছিল;

﴿مَا نَعۡبُدُهُمۡ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَآ إِلَى ٱللَّهِ زُلۡفَىٰٓ﴾ [ الزمر :3]

“আমরাতো এগুলোর ইবাদত এ জন্য করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দিবে”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩]

আল্লাহ তা‘আলা এ ভ্রান্তির অপনোদন করে স্পষ্ট বলে দিলেন যে, আল্লাহ ভিন্ন কারো ইবাদত করা সে যে কেউ হোক না কেন আল্লাহর সাথে শির্ক ও কুফুরী করার নামান্তর। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡ وَيَقُولُونَ هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِۚ ...﴾ [ يونس : 18]

“তারা আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর ইবাদত করছে যা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপরকারও করতে পারে না। তদুপরি তারা বলে যে, এগুলো আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১৮]

আল্লাহ তা‘আলা তাদের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বলেন,

﴿... قُلۡ أَتُنَبِّ‍ُٔونَ ٱللَّهَ بِمَا لَا يَعۡلَمُ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ﴾ [ يونس : 18]

“(হে রাসূল) তাদেরকে বল, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ যা তিনি জানেন না? তিনি পাক-পবিত্র, তারা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি বহু উর্ধ্বে”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১৮]

এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা স্পষ্ট করে দিলেন যে, তিনি ভিন্ন কোনো ওলী, পয়গাম্বর বা অন্য কারো ইবাদত করা মহাশির্ক, যদিওবা শির্ককারীরা এর অন্য নাম দিয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ مَا نَعۡبُدُهُمۡ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَآ إِلَى ٱللَّهِ زُلۡفَىٰٓ ...﴾ [ الزمر :3]

“যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে: “আমরাতো এগুলোর ইবাদত এজন্য করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দিবে”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩]

আল্লাহ তা‘আলা তাদের উত্তরে বলেন,

﴿... إِنَّ ٱللَّهَ يَحۡكُمُ بَيۡنَهُمۡ فِي مَا هُمۡ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي مَنۡ هُوَ كَٰذِبٞ كَفَّارٞ﴾ [ الزمر : 3]

“তারা যে বিষয়ে পরস্পর মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয় তাদের মধ্যে এর ফায়সালা করে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এমন ব্যক্তিকে হিদায়াত দান করেন না যে জঘন্য মিথ্যুক, সত্য প্রত্যাখ্যানকারী”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩]

উপরোক্ত বাণীর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা একথাটি পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন যে, দো‘আ, ভয়-ভীতি, আশা-ভরসা ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো ইবাদত করার অর্থ আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফুরী করা এবং তাদের মা‘বুদগণ তাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে আসবে, এ কথাটি তাদের একটি জঘন্যতম মিথ্যা বৈ কিছুই নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন