মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে মসজিদের ফযিলত, বিধি-বিধান ও আদাব
লেখকঃ ড. সাঈদ বিন আলী বিন ওহাফ আল-কাহতানী
১১
সপ্তম পরিচ্ছেদ : মসজিদে গমনের আদাবসমূহ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/617/11
মসজিদে সালাত আদায়ের জন্য যাওয়ার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কতক আদব রয়েছে। নিম্নে সেগুলোর আলোচনা করা হল:-
এক- নিজ ঘরে ওজু করা এবং ওজুকে যথাযথ ও পরিপূর্ণ করা। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« ما من رجل يتطهر فيحسن الطهور ثم يعمد إلى مسجد من هذه المساجد إلا كتب الله له بكل خطوة يخطوها حسنة، ويرفعه بها درجة، ويحط عنه بها سيئة »
“যখন কোন ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন করে এবং পবিত্রতাকে খুব সুন্দরভাবে করে, তারপর সে এ সব মসজিদসমূহ হতে কোন একটি মসজিদের দিকে যায়, আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতিটি কদমে একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ করে, তার একটি মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে এবং একটি করে গুনাহ ক্ষমা করে”। [সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৫৪, জামা‘আতে সালাত ওয়াজিব হওয়ার অধ্যায়ে তাখরিজ অতিবাহিত হয়েছে।]
দুই- দুর্গন্ধ হতে দূরে থাকা। জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« من أكل ثوماً أو بصلاً فليعتزلنا، أو ليعتزل مسجدنا، وليقعد في بيته »
“যে ব্যক্তি পেয়াজ বা রশুন খায়, সে যেন আমাদের থেকে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে এবং সে যেন তার নিজ ঘরে বসে থাকে”। মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «فإن الملائكة تتأذَّى مما يتأذَّى منه الإنس» “নিশ্চয় ফেরেশতারা ঐ সব বস্তু হতে কষ্ট পায় যে বস্তু হতে মানুষ কষ্ট পায়”। মুসলিমের আরেকটি বর্ণনায় বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« من أكل البصل والثوم والكراث، فلا يقربنَّ مسجدنا؛ فإن الملائكة تتأذى مما يتأذى منه بنو آدم »
“যে ব্যক্তি পেয়াজ, রশুন ও কারাস খায় সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কারণ, আদম সন্তানেরা যে সব বস্তুতে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও তাতে কষ্ট পায়”। [বুখারি ও মুসলিম: বুখারি, হাদিস নং ৮৫৫; মুসলিম, হাদিস নং ৫৬৪, ৫৬১-৫৬৭, সালাতের মাকরূহ বিষয়ে আলোচনায় তথ্যসূত্র আলোচনা করা হয়েছে।]
তিন- সুন্দর কাপড় পরিধান ও সৌন্দর্য গ্রহণ করবে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“হে আদম সন্তান তোমরা প্রতিটি সালাতের সময় তোমাদের সৌন্দর্যকে অবলম্বন কর”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৩১।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «إن الله جميل يحب الجمال» “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সুন্দর তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন”। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদ: কিবির হারাম হওয়ার বর্ণনা, হাদিস নং ৯১।]
চার- ঘর থেকে বের হওয়ার দু'আ পড়বে এবং সালাতের নিয়তে ঘর থেকে বের হবে। এ দু'আ পড়বে-
« بسم الله توكلت على الله، ولا حول ولا قوة إلا بالله »
“আল্লাহর নামে আরম্ভ করলাম। আল্লাহর উপরই ভরসা করলাম। আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নাই এবং তিনি ছাড়া কোন বাধাদানকারী নাই”। [যখন এ কথা বলে, তখন বলা হবে, (( هُديت، وكفيت، ووقيت، فتتنحى له الشياطين، فيقول شيطان آخر : كيف لك برجل قد هدي، وكفي ووقي ) তুমি হেদায়েত প্রাপ্ত হলে, যথেষ্ট হলে, এবং বেঁচে গেলে, তখন শয়তান তার থেকে দূরে সরে গেল। তখন আরেকজন শয়তান বলবে, “কেমন হবে সে ব্যক্তি যাকে হেদায়েত দেয়া হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে এবং তাকে হেফাযত করা হয়েছে?” আবু দাউদ কিতাবুল আদব, পরিচ্ছেদ: ঘরথেকে বের হওয়ার সময় কি বলা হবে। হাদিস নং ৫০৯৫; তিরমিযি, কিতাবুত দাওয়াত, পরিচ্ছেদ: ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কি বলবে সে বিষয়ে আলোচনা, হাদিস নং ৩৪২৬; আল্লামা আলবানী সহীহ সূনান আত-তিরমিযিতে হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন, হাদিস নং ১৫১/৩।] এবং এ দু'আ পড়বে-
« اللهم إني أعوذ بك أن أضِلَّ أو أُضَلّ، أو أزِلَّ، أو أُزَلَّ، أو أظلِمَ أو أُظلَم، أو أجهل أو يُجهل عليَّ » [যখন এ কথা বলে, তখন বলা হবে, (( هُديت، وكفيت، ووقيت، فتتنحى له الشياطين، فيقول شيطان آخر : كيف لك برجل قد هدي، وكفي ووقي ) তুমি হেদায়েত প্রাপ্ত হলে, যথেষ্ট হলে, এব বেচে গেলে, তখন শয়তান তার থেকে দূরে সরে গেল। তখন আরেকজন শয়তান বলবে, কেন হবে সে ব্যক্তি সম্পর্কে যাকে হেদায়েত দেয়া হয়েছে, যথেষ্ট বলে দেয়া হয়েছে এবং বাচানো হয়েছে। আবু দাউদ কিতাবুল আদব, পরিচ্ছেদ: ঘরথেকে বের হওয়ার সময় কি বলা হবে। হাদিস নং ৫০৯৫। তিরমিযি কিতাবুত দাওয়াত, পরিচ্ছেদ: ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কি বলবে সে বিষয়ে আলোচনা, হাদিস নং ৩৪২৬। আল্লামা আলবানী সহীহ সূনানে তিরমিযিতে হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিস নং ১৫১/৩।]
“হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পদস্খলন করা অথবা পদস্খলিত হওয়া থেকে। পথ হারিয়ে ফেলা বা অন্য কর্তৃক পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে। কারো উপর যুলম করা থেকে অথবা কারো দ্বারা নির্যাতিত হওয়া থেকে। কারো সাথে মুর্খতা-পূর্ণ আচরণ করা থেকে এবং মূর্খতা-জনিত আচরণের শিকার হওয়া থেকে”। [আবু দাউদ, কিতাবুল আদব, পরিচ্ছেদ: ঘরথেকে বের হওয়ার সময় কি বলা হবে। হাদিস নং ৫০৯৪; তিরমিযি, কিতাবুত দাওয়াত, পরিচ্ছেদ: ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কি বলবে সে বিষয়ে আলোচনা, হাদিস নং ৩৪২৭। ইবনে মাযা, কিতাবুত দু‘আ, পরিচ্ছে: ঘর থেকে বের হওয়া দু’আ বিষয়ে আলোচনা। হাদিস নং ৩৮৮৪। আল্লামা আলবানী সহীহ সূনানে ইবনে মাযায় হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিস নং ৩৩৬/২।]
অথবা এ দু'আ পড়বে-
« اللهم اجعل في قلبي نوراً، وفي لساني نوراً، وفي سمعي نوراً، وفي بصري
نوراً، ومن فوقي نوراً، ومن تحتي نوراً، وعن يميني نوراً، وعن شمالي نوراً، ومن أمامي نوراً، ومن خلفي نوراً، واجعل في نفسي نوراً، وأعظم لي نوراً، وعظِّم لي نوراً، واجعل لي نوراً، واجعلني نوراً، اللهم أعطني نوراً، واجعل في عصبي نوراً، وفي لحمي نوراً، وفي دمي نوراً، وفي شعري نوراً، وفي بشري نوراً» .
“হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তর আলোকময় কর। আমার জবানকে তুমি আলোকময় কর। আমার কর্ণ আলোকময় কর, আমার চোখ জ্যোর্তিময় কর, আমার উপর, নীচকে আলোকময় কর। আমার সম্মূখ আলোকময় কর। আমার পশ্চাত আলোকময় কর। আমার ডানে আমার বামে, আমার উপরে আমার নিচে জ্যেতি ছড়িয়ে দাও। আমার অন্তরে নূর দাও। আমার জন্য তুমি নূরকে বৃহৎ ও মহান কর। হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য আলো দান কর এবং আমাকে আলো বানিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নূর দাও, তুমি আমার শীরা, আমার গোস্ত, আমার রক্ত, আমার চুল ও চামড়ায় নূরকে ছড়িয়ে দাও। [বুখারি, কিতাবুত দাওয়াত, পরিচ্ছেদ: যখন ঘুম থেকে উঠে তখন কি বলবে। হাদিস নং ৬৩১৬, মুসলিম, কিতাবু সালাতুল মুসাফিরিন, পরিচ্ছেদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর সালাত ও তার জন্য দু‘আ, হাদিস নং ৭৬৩; অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত, ১৯১ [৭৬৩] فخرج إلى الصلاة وهو يقول . তারপর তিনি সালাতের দিকে বের হন এবং বলেন। এখানে যতগুলো বর্ণনা আছে, সবই আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা।]
পাঁচ- মসজিদে যাওয়ার সময় রাস্তায় এবং সালাতে আঙ্গুল ফোটাবে না। কা’ব বিন আজরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا توضأ أحدكم فأحسن وضوءه، ثم خرج عامداً إلى المسجد فلا يشبكن بين أصابعه؛ فإنه في صلاة »
“যখন তোমাদের কেউ সুন্দরভাবে ওজু করে, তারপর সে মসজিদের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়, সে যেন তার আঙ্গুলগুলো না ফুটায়। কারণ, সে এখন সালাত-রত”। [তিরমিযি, হাদিস নং ৩৮৭, আল্লামা আলবানী হাদিসটিকে সহীহ তিরমিযিতে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন, ১২১/১; হাদিসটির তাখরীজ সালাতের মাকরূহ বিষয় সমূহের আলোচনায় অতিবাহিত হয়েছে।]
ছয়:- মসজিদে যাওয়ার সময় শান্ত-সৃষ্ট ও গাম্ভীর্যের সাথে হাঁটবে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا سمعتم الإقامة فامشوا إلى الصلاة وعليكم السكينة والوقار، ولا تُسرعوا، فما أدركتم فصلوا، وما فاتكم فأتموا »
“যখন তোমরা সালাতের ইকামত শুনবে, তোমরা শান্ত-সৃষ্ট ভাবে সালাতের দিক অগ্রসর হও। তোমরা তাড়াহুড়া করো না। তোমরা যা পাবে তা আদায় করবে, আর যা তোমাদের ছুটে যাবে তা পরিপূর্ণ করবে”। অপর শব্দে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا أقيمت الصلاة فلا تأتوها تسعون، وأتوها تمشون وعليكم السكينة، فما أدركتم فصلوا، وما فاتكم فأتموا »
“যখন সালাতের ইকামত দেয়া হয়, তোমরা দৌড়াবে না। তোমরা শান্ত-সৃষ্ট ভাবে পায়ে হেঁটে সালাতে হাজির হও, যত টুকু পাও তা আদায় কর আর যতটুকু তোমাদের ছুটে যায়, তা তোমরা পরিপূর্ণ কর”। [বুখারি ও মুসলিম : বুখারি, কিতাবুল আযান, পরিচ্ছেদ: সালাতের দিকে দৌড়বে না, শান্ত সৃষ্টভাবে সালাতে উপস্থিত হবে। হাদিস নং ৬৩৬; জুমু‘আহ অধ্যায়, জামাআতে হাযির হওয়া প্রসঙ্গে, হাদিস নং ৯০৮; মুসলিম, কিতাবুল মাসাজেদ, সালাতে শান্ত সৃষ্টভাবে উপস্থিত হওয়া মুস্তাহাব এবং দৌড়ে আসা নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে আলোচনা, হাদিস নং ৬০২।]
উল্লেখিত হাদিসে শান্ত-সৃষ্ট ও নমনীয়তার সাথে সালাতে উপস্থিত হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে এবং দৌড়ে সালাতে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। জুমু’আর সালাত হোক বা অন্য যে কোন সালাত হোক না কেন। প্রথম তাকবীর পাক বা না পাক সর্বাবস্থায় তাড়াহুড়া থেকে বিরত থাকবে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী -« إذا سمعت الإقامة » তে ইকামতের কথা উল্লেখ করার কারণ, অধিক সতর্ক করা ও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। কারণ, যখন ইকামত হয়, তখন সালাতের কিছু অংশ ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন যেহেতু তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করা হয়েছে, তাহলে ইকামতের পূর্বে দৌড়ে আসার কোন প্রশ্নই আসে না। এর কারণ বর্ণনা দিয়ে হাদিসের পরবর্তী অংশ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «فإن أحدكم إذا كان يعمد إلى الصلاة فهو في صلا ة » “কারণ, যখন তোমাদের কেউ সালাতের ইচ্ছা করে, সালাতের মধ্যেই থাকে”।
এ কথাটি সালাতে আগমনের পুরো সময়টাকে শামিল করে। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরেকটি তাকীদ নিয়ে আসেন এবং বলেন, [ فما أدركتم فصلوا وما فاتكم فأتموا ] “তোমরা যা পেলে তা আদায় কর, আর যা ছুটে গেল, তা পরিপূর্ণ কর”। মোট কথা হাদিসে সতর্কতা ও তাকীদ সবই বিদ্যমান, যাতে কেউ এ কথা বলতে না পারে এখানে নিষেধ করাটা শুধু তার জন্য যে সালাতের কিছু অংশ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা না করে। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট করে দেন যে, যদিও সালাতের কিছু অংশ ছুটে যায়। আর ছুটে যাওয়া সালাত কি করবে তাও তিনি বলে দেন।
সাত- মসজিদে প্রবেশ করার পূর্বে জুতা-দ্বয় দেখে নেবে। যদি তাতে কোন নাপাক কিছু থাকে তাহলে, তা মাটি দ্বারা মুছে নেবে। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا جاء أحدكم إلى المسجد فلينظر فإن رأى في نعليه قذراً أو أذى فليمسحه وليصلِّ فيهما »
“যখন তোমরা মসজিদে আসবে, তোমরা তোমাদের জুতার দিকে দেখ, যদি তোমরা তাতে কোন নাপাক বা ময়লা দেখ, তা মুছে ফেল এবং জুতাসহ সালাত আদায় কর”। [আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, পরিচ্ছেদ: জুতাদ্বয় পরিধান করে সালাত আদায় প্রসঙ্গে। হাদিস নং ৬৫০; ইবনু খুজাইমা, ১০১৭; সহীহ সূনানে আবু দাউদে আল্লামা আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন।]
মাটিতে মাসেহ করা দ্বারা জুতাদ্বয় পাক হয়ে যায়। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «إذا وطئ أحدكم بنعليه الأذى فإن التراب له طهور» “যদি তোমাদের কেউ তার জুতা দ্বারা কোন নাপাক বস্তু পাড়ায়, মাটি হল তার পবিত্রতা”। অপর শব্দে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «إذا وطئ الأذى بخفيه فطهورهما التراب » “যখন তোমাদের কেউ তার মুজাদ্বয় দ্বারা নাপাক বস্তুকে পাড়ায়, তার পবিত্রতা হল মাটি”।
আট- মসজিদে প্রবেশের সময় প্রথমে ডান পা বাড়িয়ে দেবে এবং এ দোয়া পড়বে-
(( أعوذ بالله العظيم وبوجهه الكريم، وسلطانه القديم، من الشيطان الرجيم ))( [যখন এ কথা বলবে তখন শয়তান বলবে, আমার থেকে সারাদিনের জন্য সে নিরাপদ। আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, পরিচেছদ: একজন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশের সময় কি বলবে, হাদিস নং ৪৬৬; সহীহ সূনানে আবু দাউদে আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হতে বর্ণিত হাদিসটিকে শায়খ আলবানী সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন, ৯২/১।]). [ بسم الله والصلاة ]( [রাত দিনের আমলসমূহের আলোচনায় আল্লামা ইবনুস সূন্নী, হাদিস নং ৮৮; আর আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেন।]) [ والسلام على رسول الله ]( [আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, পরিচ্ছেদ: মসজিদের প্রবেশের সময় কি বলবে, হাদিস নং ৪৬৫; আর আলবানী হাদিসটিকে বিশুদ্ধ সূনানে আবু দাউদে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন।]) [ اللهم افتح لي أبواب رحمتك ]؛
প্রমাণ- আমি হুমাইদ বা আবি উসাইদ হতে হাদিস বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا دخل أحدكم المسجد فليقل : اللهم افتح لي أبواب رحمتك، وإذا خرج فليقل : اللهم إني أسألك من فضلك »
“যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন বলে, হে আল্লাহ তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দাও। আর যখন বের হয়, তখন বলবে, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহ কামনা করি”। [মুসলিম, কিতাবু সালাতিল মুসাফিরিন ও সালাতে কসর করা। পরিচ্ছেদ: কি বলবে, যখন কোন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, হাদিস নং ১১৩।]
নয়- যখন মসজিদে প্রবেশ করবে যারা মসজিদের ভিতরে আছে তাদের এমন আওয়াজে সালাম দেবে যাতে তারা শুনতে পায়। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا تدخلون الجنة حتى تؤمنوا، ولا تؤمنوا حتى تحابوا، أوَلا أدلّكم على شيء إذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم »
“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি ঈমানদার না হবে, আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ঈমানদার হবে না যতক্ষণ না তোমরা একে অপরকে ভালো না বাসবে। আর আমি কি তোমাদের এমন একটি জিনিস বাতিয়ে দেব, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসবে? তোমরা তোমাদের নিজেদের মধ্যে সালামের প্রসার কর”। [মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদ : জান্নাতে মুমিন ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করবে না, হাদিস নং ৫৪।] আম্মার বিন ইয়াছির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«ثلاث من جمعهن فقد جمع الإيمان : الإنصاف من نفسك، وبذل السلام للعالم، والإنفاق من الإقتار »
“তিনটি বিষয়কে যে ব্যক্তি একত্র করবে, সে ঈমানকে একত্র করল। নিজের ব্যাপারে ইনসাফ করা, আলেমদের সালাম দেয়া এবং অভাবের সময় দান করা”। [বুখারি, কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদ : সালাম ইসলাম। ১৫/১]
দশ- তাহিয়্যাতুল মসজিদ দুই রাকাত সালাত আদায় করবে। সালাতের ওয়াক্ত হলে যখন মুয়াজ্জিনের আযানের পর মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন যদি ঐ ওয়াক্ত সালাতের সুন্নতে রাতেবাহ থাকে তাহলে সুন্নাতে রাতেবা পড়বে, আর যদি সুন্নাতে রাতেবা না থাকে, তাহলে আযান ও ইকামাতের মাঝের দুই রাকাত সালাত আদায় করে নেবে। তাহলে আর তাহিয়্যাতুল মসজিদ আলাদা করে পড়তে হবে না। আর যদি সালাতের ওয়াক্ত দাখিল হওয়ার পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই তাহিয়্যাতুল মসজিদ দুই সালাত আদায় করতে হবে। আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, « إذا دخل أحدكم المسجد فلا يجلس حتى يصلي ركعتين » “যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন দুই রাকাত সালাত আদায় করা ব্যতীত মসজিদে না বসে”।
এগার- যখন কোন ব্যক্তি মসজিদের ভিতরে জুতা খুলে, সে যেন তা তার উভয় পায়ের মাঝখানে রাখে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا صلى أحدكم فخلع نعليه فلا يؤذي بهما أحداً، ليجعلهما بين رجليه، أو ليصلِّ فيهما »
যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করে এবং জুতা-দ্বয় খুলে ফেলে, সে যেন জুতা-দ্বয় দ্বারা কাউকে কষ্ট না দেয়। জুতা-দ্বয়কে তার উভয় পায়ের মাঝখানে রাখে অথবা জুতা নিয়ে সালাত আদায় করে। অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا صلى أحدكم فلا يضع نعليه عن يمينه ولا عن يساره فتكون عن يمين غيره، إلا أن لا يكون عن يساره أحد وليضعهما بين رجليه »
“যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করে, সে তার জুতাকে ডান দিকে রাখবে না এবং বাম দিকেও না। তখন অপর ভাইয়ের ডানে হবে। হ্যাঁ, যদি তার বামে কেউ না থাকে তখন কোন অসুবিধা নাই। জুতাকে তার উভয় পায়ের মাঝখানে রাখবে”। [আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, পরিচ্ছেদ : একজন মুসল্লি যখন তার পাদুকাদ্বয় খোলে তখন কোথায় রাখবে, হাদিস নং ৬৫৪, ৬৫৫; আর আলবানী হাদিসটিকে সহীহ সূনানে আবু দাউদে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন, হাদিস নং ১২৮/১।] আমি আমার শাইখ আব্দুল আজিজ বিন বায রাহিমাহুল্লাহু কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, “জুতা পরে সালাত আদায় করা ইয়াহুদীদের সুন্নতের পরিপন্থী। তবে লক্ষ্য রাখার পর যদি জুতার মধ্যে কোন নাপাক বস্তু দেখে, তাহলে মাটি, পাথর ইত্যাদি দ্বারা তা পরিষ্কার করে নেবে। তবে যে সব মসজিদে বিছানা বিছানো থাকে সেখানে কিছু মানুষের অবহেলার কারণে ধুলা বালি পাওয়া যায়। ফলে মানুষ মসজিদ থেকে চলে যেতে চায়। এ কারণে আমার নিকট উত্তম হল, জুতা রাখার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করবে”। [আমি তার থেকে এ কথাগুলো বুলুগুল মারাম কিতাবের হাদিস নং ২৩২ ও ২৩৩ ব্যাখ্যা দেয়ার সময় শুনেছি।]
বার- কাউকে কষ্ট দেয়া ও ভিড় করা ছাড়া যদি সম্ভব হয়, ইমামের ডান পাশে প্রথম কাতারে বসবে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« لو يعلم الناس ما في النداء والصف الأول ثم لم يجدوا إلا أن يستهموا عليه لاستهموا »
যদি মানুষ জানত, আযান দেয়া ও প্রথম কাতারে বসার মধ্যে কত ছাওয়াব তা লাভ করার জন্য লটারি দেয়ার প্রয়োজন হলে তারা লটারিতে অংশ গ্রহণ করত। [বুখারি ও মুসলিম: বুখারি, কিতাবুল আযান, হাদিস নং ৬১৫; মুসলিম, হাদিস নং ৪৩৭; তথ্য আযানের ফযিলত বিষয় আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে।] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, « إن الله وملائكته يصلون على ميامن الصفوف » “আল্লাহ তা‘আলা ও তার ফেরেশতারা কাতারের ডান দিকের উপর রহমত নাযিল করে”। [আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৭৬, ইবনে মাযা, হাদিস নং ১০০৫। আল্লামা মুনযিরি হাদিসটিকে হাসান বলেন; ইবন হাজার, ফতহুল বারী ২১৩/২।]
তের- মসজিদে কিবলা মুখী হয়ে বসে কুরআন তিলাওয়াত করবে অথবা আল্লাহর যিকর করবে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
« إن لكل شيء سيداً، وإن سيد المجالس قبالة القبلة »
“প্রতিটি বস্তুর একজন সরদার রয়েছে। আর মজলিস সমূহের সরদার হল, কিবলাকে সামনে রেখে বসা”। [তাবরানী, আল-আওসাত [মাজমায়ুল বাহরাইন ২৭৮/৫, হাদিস নং ৩০৬২]; আল্লামা হাইসামী, মাজমায়ুয যাওয়ায়েদ ৫৯/৮ গ্রন্থে বলেন, “ হাদিসটি তাবরানী আওসাতে উল্লেখ করেন, আর তার সনদ বিশুদ্ধ”।]
চৌদ্দ- সালাতের অপেক্ষা করার নিয়ত করবে এবং কাউকে কষ্ট দেবে না। কারণ, সে যতক্ষণ পর্যন্ত সালাতের অপেক্ষা করতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতেই থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতের আগে বা পরে স্বীয় জায়নামাজে অবস্থান করবে ফেরেশতারা তার উপর রহমতের দোয়া করতে থাকে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يزال العبد في صلاة ما كان في مصلاه ينتظر الصلاة، وتقول الملائكة : اللهم اغفر له، اللهم ارحمه ... »
“যতক্ষণ পর্যন্ত কোন বান্দা সালাতের অপেক্ষা করতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতেই থাকবে। আর ফেরেশতারা বলবে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ তুমি তাকে দয়া কর...”।
«والملائكة يصلون على أحدكم مادام في مجلسه الذي صلى فيه، يقولون : اللهم ارحمه، اللهم اغفر له، اللهم تب عليه، ما لم يُؤذِ، ما لم يُحدث »
“যতক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতের আগে বা পরে স্বীয় জায়নামাজে অবস্থান করবে ফেরেশতারা তার উপর রহমতের দোয়া করতে থাকে। তারা বলবে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে দয়া কর, ক্ষমা কর। হে আল্লাহ তার তওবা কবুল কর, যতক্ষণ সে কাউকে কষ্ট না দেয় এবং নাপাক না হয়”। [বুখারি ও মুসলিম: বুখারি, হাদিস নং ৬৪৭; মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৯; জামাআতে সালাতের ফযিলত সম্পর্কে হাদিসটির তথ্যসূত্র বর্ণনা করা হয়েছে।]
পনের- যখন সালাতের ইকামত দেয়া হয়, তখন একমাত্র ফরয সালাত ছাড়া আর কোন সালাত আদায় করবে না। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« إذا أقيمت الصلاة فلا صلاة إلا المكتوبة »
“যখন সালাতের ইকামত দেয়া হয়, তখন ফরয সালাত ছাড়া আর কোন সালাত আদায় করা যাবে না”। [মুসলিম, হাদিস নং ৭১০; নফল সালাতের ফযিলত সম্পর্কে হাদিসটির তথ্যসূত্র বর্ণনা করা হয়েছে।]
ষোল- মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বাম পা সামনে বাড়াবে। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাধ্য অনুযায়ী পবিত্রতা অর্জন, মাথা আঁচড়ানো, জুতা পরিধানসহ ইত্যাদি সব বিষয়ে ডান দিককে অধিক পছন্দ করেন। ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন ডান পা দিয়ে শুরু করতেন এবং যখন বের হতেন, তখন বাম পা দিয়ে আরম্ভ করতেন। [বুখারি, কিতাবুস সালাত, পরিচ্ছেদ: মসজিদে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা, হাদিস নং ৪২৬।] আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সুন্নত হল, যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, ডান পা দিয়ে আরম্ভ করবে, আর যখন বের হবে, তখন বাম পা দিয়ে বের হবে। [বর্ণনায় হাকেম এবং তিনি সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন মুসলিম শরীফের শর্তে। আর যাহাবী তার সাথে সহমত প্রকাশ করেন। ১১৮/১।] এবং এ দু'আ পড়বে,
« بسم الله والصلاة والسلام على رسول الله، اللهم إني أسألك من فضلك ]( [মুসলিম, হাদিস নং ১১৩, আবু দাউদ হাদিস নং ৪৬৫, মসজিদে প্রবেশের দুআ সম্পর্কে হাদিসটির তথ্যসূত্র বর্ণনা করা হয়েছে।]) [ اللهم اعصمني من الشيطان الرجيم » .
“ আল্লাহর নামে, আর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহর উপর। হে আল্লাহ, তোমার অনুগ্রহ তোমার চাই। হে আল। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে রক্সা কর”। [ইবনে মাযা, কিতাবুল মাসাজেদ ও জামা‘আত, হাদিস নং ৭৭৩; আর আলবানী হাদিসটিকে সহীহ সূনানে ইবনে মাযাতে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন, হাদিস নং ৭৬৫।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/617/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।