মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে মসজিদের ফযিলত, বিধি-বিধান ও আদাব
লেখকঃ ড. সাঈদ বিন আলী বিন ওহাফ আল-কাহতানী
১৩
নবম পরিচ্ছেদ: সালাত আদায়ের নিষিদ্ধ স্থানসমূহ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/617/13
নিঃসন্দেহে বলা যায়, আল্লাহ তা‘আলা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার উম্মতের জন্য সমগ্র যমিনকে মসজিদ ও পবিত্র বানিয়েছেন। একমাত্র কবরস্থান, গোসল খানা, উট বাধার স্থান, নাপাকীর স্থান এবং আযাব ও ভূমি ধ্বসের স্থান ছাড়া। এ গুলোতে তিনি সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «الأرض كلها مسجد إلا المقبرة والحمّام» “যমীনের সব অংশটুকু মসজিদ তবে কবর ও গোসল খানা ছাড়া”। [আবু দাউদ, সালাত অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: যে সব স্থানে সালাত আদায় করা যায়েয নাই। হাদিস নং ৪৯২। তিরমিযি সালাত অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: মাকবারাহ ও হাম্মাম ছাড়া সব যায়গা মসজিদ হাদিস নং ৩১৭। ইবনু মাযা, মাসাজিদ ও জামা‘আত অধ্যায়, যে সব স্থানে সালাত আদায় করা মাকরুহ। হাদিস নং ৭৪৫। আহমদ ৮৩/৩, ৯৬ আল্লামা আলবানী বিশুদ্ধ সূনানে আবুদ দাউদ, তিরমিযি ও ইবনে মাযায় হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন।] কবরে সালাত আদায় করা যাবে না এবং তাতে সালাত আদায় করা সহীহ হবে না [আল্লামা শাওকানীর নাইলুল আওতার ৬৭০/১ এবং আল্লামা সুনআনীর সুবুলুস সালাম ১১৯/২।]। চাই সালাত আদায় করা, কবরের ওপর হোক বা কবরকে সামনে রেখে হোক আলাদা স্থানে হোক যে কবরের স্থানে আলাদা ঘর বানিয়ে তাতে সালাত আদায় করা। কারণ, যে কর্ম থেকে নিষেধ করা হয়েছে, করলে তা অশুদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। কবর ও গোসল খানার নামটি যে সব স্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সে সব স্থানে সালাত আদায় করা জায়েজ নাই। কবরের উপর সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন, সালাতের স্থানের নিচে, নাপাকী রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন, মৃত লোকদের সম্মানার্থে কবরের উপর সালাত আদায় করা যাবে না। আর গোসল খানায় সালাত আদায় অবৈধ হওয়ার কারণ বিষয়ে কেউ কেউ বলেন, তাতে অধিকাংশ সময় অনেক নাপাকী থাকে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটি শয়তানের বাসস্থান। [আল্লামা শাওকানীর নাইলুল আওতার ৬৭০/১ এবং আল্লামা সুনআনীর সুবুলুস সালাম ১১৯/২।] আমি আমার শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহুকে বলতে শুনেছি, গোসল করার জন্য নির্মিত হাম্মাম, কবরের উপর বা কবরের দিকে ফিরে সালাত আদায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ, কবরের উপর সালাত আদায় বা কবরের দিকে সালাত আদায় করা শিরকের ওসিলা হয়ে থাকে। আর গোসল খানায় সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হল, তাতে নাপাকী থাকার আশঙ্কা রয়েছে বা গোসলখানা হল, শয়তানের আবাসস্থল। কারণ সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন। [বুলুগুল মারাম ২২৯ নং হাদিসের ব্যখ্যায় আমি তাকে বলতে শুনেছি।] কবর সমূহের উপর সালাত আদায় নিষিদ্ধ। আবু মারসাদ আল গানাবী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, « لا تصلوا إلى القبور ولا تجلسوا عليها » “তোমরা কবরে দিকে ফিরে সালাত আদায় করবে না এবং তার উপর তোমরা বসবে না”। [মুসলিম: জানায়েয অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: কবরের উপর বসা ও সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ হওয়া বিষয়ে আলোচনা। হাদিস নং ৯৭২।] আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« أن يجلس أحدكم على جمرة فتحرق ثيابه، فتخلص إلى جلده خيرٌ له من أن يجلس على قبر »
“তোমাদের কেউ অগ্নি কয়লার উপর বসার ফলে তার কাপড় পুড়ে আগুন চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া কবরের উপর বসা হতে উত্তম। [মুসলিম: জানায়েয অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: কবরের উপর বসা ও সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ হওয়া বিষয়ে আলোচনা। হাদিস নং ৯৭২।] আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, « اجعلوا في بيوتكم من صلاتكم ولا تتخذوها قبوراً» “তোমরা তোমাদের ঘরসমূহে তোমাদের সালাতের কিছু আদায় কর। ঘরকে কবর বানিও না”। [বুখারি ও মুসলিম, বুখারি, সালাত অধ্যায়, কবরের উপর সালাত মাকরূহ হওয়া বিষয়ে আলোচনা। হাদিস নং ৪৩২। মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরিন। ঘরের মধ্যে নফল সালাত আদায় প্রসংঙ্গে। হাদিস নং ৭৭৭।] ঘরে সালাত দ্বারা উদ্দেশ্য নফল সালাত। কারণ, ফরয সালাত মসজিদে জামা‘আতের সাথে আদায় করতে হয়। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী - « ولا تتخذوها قبوراً » “তাকে তোমরা কবর বানিও না”। এ কথা দ্বারা উদ্দেশ্য, কবর সালাতের স্থান নয়। ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহু এ হাদিস থেকে কবরসমূহের উপর সালাত আদায় করা মাকরূহ হওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত করেন। [আল্লামা শাওকানী রহ এর নাইলুল আওতার, পৃ: ৬৭২/১]
একজন মুসলিম উট বাঁধার স্থান যাকে উট ঘুমানোর স্থান বলা হয়, তাতে সালাত আদায় করবে না। বারা ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত তিনি বলেন,
سئل رسول الله صلى الله عليه و سلم عن الصلاة في مبارك الإبل؟ فقال : «لا تصلوا في مبارك الإبل؛ فإنها من الشياطين » . وسئل عن الصلاة في مرابض الغنم؟ فقال : « صلوا فيها فإنها بركة »
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উটের ঘুমানোর স্থানে সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা উট বাঁধার স্থানে সালাত আদায় করবে না। কারণ, সেটি শয়তান থেকে। আর তাকে ছাগল বাঁধার স্থানে সালাত আদায় করার কথা বলা হলে, রাসূল বলেন, তোমরা তাতে সালাত আদায় কর, কারণ এতে রয়েছে বরকত”। [আবু দাউ সালাত অধ্যায়, হাদিস নং ৪৯৩ ও ১৮৪। আল্লামা আলবানী বিশুদ্ধ সূনানে আবুদ দাউদ, হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিস নং ৯৭/১।] আব্দুল্লাহ বিন মুগাফফাল আল মুযানী থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«صلوا في مرابض الغنم، ولا تصلوا في أعطان الإبل، فإنها خُلقت من الشياطين »
“তোমরা ছাগল বাঁধার স্থানে সালাত আদায় কর। আর তোমরা উট বাঁধার স্থানে সালাত আদায় করো না। কারণ, তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে শয়তান থেকে”। [নাসায়ী, কিতাবুল মাসাজিদ, পরিচ্ছেদ: উটের ঘরে সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে। হাদিস নং ৭৩৬, ইবনু মাযা কিতাবুল মাসাজেদ ও জামা‘আত। পরিচ্ছেদ: উটের ঘর ও ছাগলের ঘরে সালাত আদায় করা। হাদিস নং ৭৬৯। আল্লামা আলবানী বিশুদ্ধ সূনানে নাসায়ী ১৫৮/১, ও ইবনে মাযায় ১২৮/১ হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন।] আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«صلوا في مرابض الغنم ولا تصلوا في أعطان الإبل » “তোমরা ছাগল বাঁধার স্থানে সালাত আদায় কর এবং উট বাঁধার স্থানে সালাত আদায় করো না”। [তিরমিযি, সালাত অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ما جاء في الصلاة في مرابض الغنم، وأعطان الإبل হাদিস নং ৩৪৮। ইবনু মাযা, কিতাবুল মাসাজেদ ও জামা‘আত। পরিচ্ছেদ: উটের ঘর ও ছাগলের ঘরে সালাত আদায় করা। হাদিস নং ৭৬৮। আহমদ ১৫০/৪। আল্লামা আলবানী বিশুদ্ধ সূনানে তিরমিযি ১১০/১, ও বিশুদ্ধ ইবনে মাযায় ১২৮/১ হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন।] সাবুরা বিন মাবাদ আল-জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« لا يُصلَّى في أعطان الإبل، ويُصلّى في مراح الغنم »
“উট বাঁধার স্থানে সালাত আদায় করবে না। তবে ছাগলের বিশ্রামের ঘরে সালাত আদায় কর”। জাবের ইবনে সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন,
أن رجلاً سأل رسول الله صلى الله عليه و سلم : أأتوضأ من لحوم الغنم؟ قال : « إن شئت فتوضأ، وإن شئت فلا تتوضأ » قال : أتوضأ من لحوم الإبل؟ قال : «نعم فتوضأ من لحوم الإبل » قال : أصلي في مرابض الغنم؟ قال : «نعم » . قال : أصلي في مبارك الإبل؟ قال : « لا »
“এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি কি ছাগলের গোস্ত খেয়ে ওজু করব? তিনি বলেন, যদি চাও ওজু কর আর যদি চাও ওজু করো না। তিনি বলেন, উটের গোস্তের কারণে ওজু করব? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তুমি উটের গোস্তের কারণে অজু কর। ছাগলের বিশ্রামের ঘরে সালাত আদায় করব? বললেন, হ্যাঁ। উট বাঁধার স্থানে সালাত আদায় করব? বললেন, না”। [মুসলিম, কিতাবুল হায়েয, উটের গোস্ত খাওয়ার কারণে ওজু করা বিষয়ে আলোচনা। হাদিস নং ৩৬০।] হাদিসে বিভিন্ন শব্দ বর্ণিত যেমন এক হাদিস مبارك الإبل আরেক হাদিসে أعطان الإبل আরেক হাদিসে مناخ الإبل আরেক হাদিসে مرابد الإبل আরেক হাদিসে مزابل الإبل শব্দ বর্ণিত। আর হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, ছাগলের ঘরে সালাত আদায় বৈধ। আর উটের ঘরের সালাত আদায় হারাম। এ মত পোষণ করেন ইমাম আহমদ। তিনি বলেন, উটের ঘরে কোন অবস্থাতেই সালাত আদায় করা জায়েয নাই। যদি কোন ব্যক্তি উটের ঘরে সালাত আদায় করে তাকে অবশ্যই সে সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। আর অধিকাংশ আলেমগণের মত হল, এখানে নিষেধটি মাকরূহের উপর প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু সঠিক কথা হল, নিষেধ করাটা হারামের দাবিদার। আল্লামা ইবনে হাযম বর্ণনা করেন, উটের গৃহে সালাত আদায়কে নিষেধ করার হাদিসগুলো মুতাওয়াতের। এগুলো বিশ্বাস করা ওয়াজিব। কেউ কেউ বলেন, নিষেধ করার হিকমত হল, তাকে শয়তান থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন, পায়খানা পেশাব করার সময় অধিকাংশ সময় যে তাকে সুতরা বানাবে তাকে নাপাক বানানো হতে মুক্ত রাখে না। অথবা সালাত আদায় করার সময় তার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, ফলে তা তার সালাত ভঙ্গ, অথবা কোন প্রকার কষ্ট অথবা এমন কোন সমস্যা তৈরি হবে, যাতে তার সালাতে একাগ্রতা ও মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে। আর এ হাদিসগুলো সবই এ কথার প্রতি গুরুত্ব দেয় যে উট বাঁধার স্থানে যাতে কেউ সালাত আদায় না করে এবং তাতে সালাত আদায় করা হতে বিরত থাকে। [আল্লামা কুরতবী রাহিমাহুল্লাহু আল-মুফহিম সহীহ মুসলিমের তালখীসের মুশকিলাত বিষয়ে ৬০৬/১; সহীহ মুসলিমের উপর ইমাম নববীর ব্যাখ্যা ২৮৯/৪। ফতহুল বারী: ৫২৭/১। আল্লামা সুনআনীর সুবুলুস সালাম ১২০/১ ও আল্লামা শাওকানীর নাইলুল আওতার ৬৭৭/১।]
একজন মুসলিম আযাবের স্থানে সালাত আদায় করবে না। আব্দুল্লাহ ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হাদিস বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« لا تدخلوا على هؤلاء المعذبين إلا أن تكونوا باكين، فإن لم تكونوا باكين فلا تدخلوا عليهم، لا يصيبكم ما أصابهم »
“তোমরা এ সব শাস্তিপ্রাপ্ত লোকদের নিকট প্রবেশ করো না। তবে ক্রন্দন রত অবস্থায় প্রবেশ কর, যদি তোমরা ক্রন্দনরত অবস্থায় প্রবেশ করতে না পার, তাহলে তাদের নিকট প্রবেশ করো না”। [বুখারি ও মুসলিম : বুখারি, সালাত অধ্যায়, আযাব ও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে সালাত আদায় করা। হাদিস নং ৪৩৩। মুসলিম, যুহুদ অধ্যায়। পরিচ্ছেদ আল্লাহ তা’লার বাণী - لا تدخلوا مساكن الذين ظلموا أنفسهم إلا أن تكونوا باكين، হাদিস নং ২৯৮০।] যাতে তাদের যা পৌঁছেছে, তোমাদের তা না পৌঁছে। অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لَمّا مرّ رسول الله صلى الله عليه و سلم بالحِجر قال : « لا تدخلوا مساكن الذين ظلموا أنفسهم، أن يصيبكم ما أصابهم إلا أن تكونوا باكين » . ثم رفع رأسه وأسرع السير حتى أجاز الوادي .
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজর এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিল। তখন তিনি বলেন, (( لا تدخلوا مساكن الذين ظلموا أنفسهم، أن يصيبكم ما أصابهم إلا أن تكونوا باكين )). অর্থাৎ, তোমরা তাদের বাসগৃহে প্রবেশ করবে, যারা তাদের নিজেদের উপর অবিচার করেছে, তবে ক্রন্দনরত অবস্থায় প্রবেশ কর। তারপর তিনি উপরের দিকে মাথা উঠান এবং ঐ উপত্যকা অতিক্রম করা পর্যন্ত দ্রুত হাঁটতে থাকেন। [বুখারি, সালাত অধ্যায়, উটের স্থানে সালাত আদায় বিষয়ে আলোচনা। হাদিস নং ৪৩৫।]
আর যদি কেউ উট বাঁধার স্থান ছাড়া অন্য কোথাও কেউ যদি উটকে নামাযের সুতরা তথা আড়াল বানায় তাতে কোন অসুবিধা নাই। আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তার উটকে সুতরা বানিয়ে তার দিক ফিরিয়ে সালাত আদায় করতেন এবং তিনি বলেন, (( رأيت النبي صلى الله عليه و سلم يفعله )). “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে দেখেছি”। [বুখারি, হাদিস নং ৪৪১৯, ৪৭০২ এবং মুসলিম হাদিস নং ২৯৮০- ২৯৮১]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/617/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।