মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে”। [সূরা আ-তাওবা, আয়াত: ১৮।]
মসজিদসমূহের আবাদ মসজিদ বানানো, পরিষ্কার করা, মসজিদে বিছানা বিছানো ও মসজিদ থেকে নাপাকী দূর করা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্ম দ্বারা হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে মসজিদে সালাত আদায়, সালাতের জামা‘আতে উপস্থিত হওয়া, মসজিদে শিক্ষা দেয়া, শিক্ষা নেয়া ইত্যাদির জন্য বার বার মসজিদে গমন করা দ্বারাও মসজিদ আবাদ করা হয়ে থাকে। [দেখুন, আল্লামা রাগেব আল ইস-ফাহানীর কুরআনের শব্দসমূহের সম্ভার পৃ: ৫৮৬, আল্লামা তাবারীর জামেউল বায়ান ১৬৫/১৪; তাফসীরে বগবী ১৭৪/২; তাফসীরে সাদী পৃ: ২৯১।] এ ছাড়াও আরও যত ধরনের ইবাদাত যা কেবলই আল্লাহর জন্য করা হয়ে থাকে সে সবের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন করা। আর যাবতীয় সব ইবাদাত-বন্দেগী আল্লাহর জন্যই। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“সে সব ঘরে, যাকে সমুন্নত করতে এবং যেখানে আল্লাহর নাম জিকির করতে আল্লাহই অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে সকাল সন্ধ্যায় তার তাসবীহ পাঠ করে সে সব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর যিকির, সালাত কায়েম করা ও যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা সেদিনকে ভয় করে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে। যেন আল্লাহ তাদেরকে প্রদান করেন উত্তম প্রতিদান ঐ আমলের যা তারা করেছে এবং স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক প্রদান করেন।” [সূরা নূর, আয়াত: ৩৬-৩৮।]
আল্লাহ তা‘আলার বাণী- [ أَذِنَ ٱللَّهُ أَن تُرۡفَعَ ] এর অর্থ, আল্লাহ তা‘আলা মসজিদ বানানো, সমুন্নত রাখা, আবাদ করা ও পবিত্র করার নির্দেশ দেন। আবার কেউ কেউ বলেন, এর অর্থ হল, মসজিদের জিম্মাদারি গ্রহণ করা, ময়লা আবর্জনা, যে সব কথা বা কাজ মসজিদে করা উচিত নয় তার থেকে মসজিদকে পবিত্র রাখা। [ইমাম ইবনে কাসীরের তাফসীরুল কুরআন আল আজীম পৃ: ৯৪৩।] ইমাম তাবারী রাহিমাহুল্লাহু বলেন, أَذِنَ ٱللَّهُ أَن تُرۡفَعَ ] এ কথার অর্থ হল, আল্লাহ ঘরকে বানানোর নির্দেশ দেন। আবার কেউ কেউ বলেন, আল্লাহর ঘরকে সম্মান করার নির্দেশ দেন। তিনি আবার প্রথম ব্যাখ্যাকে প্রাধান্য দেন। তিনি বলেন, দুটি ব্যাখ্যার মধ্য হতে উত্তম ব্যাখ্যা আমার নিকট যে কথা মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহু বলেছেন, আয়াতের অর্থ আল্লাহ তা‘আলা মসজিদকে উঁচু করে নির্মাণ করার নির্দেশ দেন। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা অন্য আয়াতে বলেন,
“আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কাবার ভিতগুলো উঠাচ্ছিল”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১২৭।] কারণ, ঘর ও নির্মাণ কাজে সমুন্নত রাখার অর্থ অধিকাংশ সময় এটিই হয়ে থাকে। [আল্লামা তাবারীর জামেয়ুল বায়ান, ১৯০/১৯, দেখুন, তাফসীর আল-বাগাবী। ৩৪৭/৩.] আল্লামা সা‘দী রাহিমাহুল্লাহু বলেন, আল্লাহ তা‘আলার বাণী - فِي بُيُوتٍ أَذِنَ ٱللَّهُ أَن تُرۡفَعَ وَيُذۡكَرَ فِيهَا ٱسۡمُهُۥ – আয়াতটি মসজিদের বিধানসমূহের সামগ্রিক একটি চিত্র। ফলে মসজিদ বানানো, মসজিদ পরিস্কার করা, মসজিদ হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো, মসজিদকে পাগল ও ছোট বাচ্চা যারা নাপাক থেকে সতর্ক থাকে না, তাদের থেকে হেফাযত করা, কাফের-মুশরিক থেকে রক্ষা করা, মসজিদে খেল-তামাশা করা হতে বিরত থাকা এবং আল্লাহর জিকির ছাড়া বড় আওয়াজ করা হতে বিরত থাকা সবই আয়াতের অন্তর্ভুক্ত [আল্লামা সা’দী রাহিমাহুল্লাহু এর তাইসীরুর রহমান ফি কালামীল মান্নান, পৃ: ৫১৮]। আমর ইবনে মাইমুন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
] أدركت أصحاب رسول الله صلى الله عليه و سلم، وهم يقولون : المساجد بيوت الله، وإنه حق على الله أن يكرم من زاره [.
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের বলতে দেখেছি, তারা বলেন, মসজিদসমূহ আল্লাহর আল্লাহর ঘর। যে ব্যক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহ যিয়ারত করে তার সম্মান করা আল্লাহর জন্য ওয়াজিব। [আল্লামা ইবনে জারির, জামেয়ুল বায়ান, ১৮৯/১৯।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ বানানো বিষয়ে মানুষকে উৎসাহ দেন এবং তাদের নছিহত করেন। যেমন, ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« من بنى مسجداً » قال بكير : حسبت أنه قال : « يبتغي به وجه الله » « بنى الله له مثله في الجنة »
“যে ব্যক্তি একটি মসজিদ বানায়”, বুকাইর বলেন, আমার বিশ্বাস তিনি বলেছেন, ‘তার দ্বারা সে আল্লাহর সন্তোষ লাভের আশা করে’, আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে তার জন্য অনুরূপ একটি ঘর বানাবেন”। মুসলিম শরিফে হাদিসটি এভাবে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« من بنى مسجداً لله » قال بكير : حسبت أنه قال : « يبتغي به وجه الله تعالى، بنى الله له بيتاً في الجنة »
“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ বানায়”, বুকাইর বলেন, আমার বিশ্বাস তিনি বলেছেন, ‘তার দ্বারা সে আল্লাহর সন্তোষ লাভের আশা করে’ আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর বানাবেন”। [বুখারি ও মুসলিম: সহীহ বুখারি, কিতাবুস সালাত, পরিচ্ছেদ, মসজিদ বানানো আলোচনা, হাদিস নং ৪৫০; সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সালাত, মসজিদসমূহ বানানোর ফযিলত সম্পর্কে আলোচনা। হাদিস নং ৫৩৩।]
হাদিসটির ব্যাখ্যায় আল্লামা হাফেয ইবনে হাজার রাহিমাহুল্লাহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- [ من بنى مسجداً ] -তে মসজিদ শব্দটি নাকিরা ব্যবহারের কারণ, ব্যাপক অর্থ বুঝানো। সুতরাং, ছোট মসজিদ ও বড় মসজিদ সবই হাদিসের অন্তর্ভুক্ত। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদিসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« من بنى لله مسجداً صغيراً أو كبيراً بنى الله له بيتاً في الجنة »
“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ বানায় ছোট হোক বা বড় হোক, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন”। [তিরমিযি, কিতাবুস সালাত, মসজিদ বানানো ফযিলত সম্পর্কে আলোচনা; হাদিস, ৩১৯। সহীহ তারগীব ও তারহীবে আল্লামা আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। ১০১/১।] আবু জর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« من بنى لله مسجداً ولو قدر مفحص قطاة بنى الله له بيتاً في الجنة »
“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি ঘর বানায় যদিও সেটি একটি পাখির বাসার [আল্লামা মুনযিরির তারগীব ও তারহীব, ২৬২/১।] সমান হয়, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন”। [আল্লামা আলবানী সহীহ তারগীব ও তাহযীবে হাদিসটি বিশুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেন। বাযযার ও তাবরানী সগীরের মধ্যে হাদিসটি বর্ণনা করেন। হাদিসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। ইবনে হিববান, ৪৯০/৪, হাদিস নং ১৬১০।]
হাফেয ইবনে হাজার রাহিমাহুল্লাহু বলেন, অধিকাংশ আলেমগণ কথাটিকে ‘মুবালাগা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কারণ, যে জায়গাটিতে পাখি তার ডিম রাখা ও তাপ দেয়ার জন্য তালাশ করে, তা সালাত আদায় করার জন্য যথেষ্ট নয়। আবার কেউ কেউ বলেন, কথাটি দ্বারা বাহ্যিক অর্থই উদ্দেশ্য; অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি মসজিদের প্রয়োজনে উল্লেখিত পরিমাণ জায়গা মসজিদের জন্য বাড়াল অথবা একটি মসজিদ নির্মাণে একাধিক লোক অংশ গ্রহণ করল এবং প্রতিটি ব্যক্তির অংশ উল্লেখিত পরিমাণ হল, তাহলে সেও এ পুরস্কারের অধিকারী হবেন। এ অর্থ তখন যখন মসজিদ দ্বারা উদ্দেশ্য হবে আমরা মসজিদ বলতে যা বুঝি অর্থাৎ যে ঘরকে সালাত আদায় করার জন্য নির্মাণ করা হয়ে থাকে। আর যদি মসজিদ দ্বারা উদ্দেশ্য শাব্দিক অর্থ- কপাল রাখার- জায়গা হয়ে থাকে, তা হলে উল্লেখিত কোন ব্যাখ্যার কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী দ্বারা বুঝা যায়, বাস্তব মসজিদ। কারণ, উম্মে হাবীবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি ঘর বানায়- এ কথারই সমর্থন করে। আল্লামা সামাওয়াইহি রাহিমাহুল্লাহু তার ফাওয়ায়েদ কিতাবে হাসান সনদে এ হাদিসটি উল্লেখ করেন। তবে অন্য কেউ একে রূপক অর্থে ব্যবহার করাতে কোন অসুবিধা নাই। কারণ, প্রতিটি বস্তুর নির্মাণ তার হিসাব অনুযায়ী হয়ে থাকে। আমরা আমাদের সফরের পথে অনেক ছোট ছোট মসজিদ দেখেছি। অনেক মসজিদ এমন আছে যেগুলোতে সেজদার জায়গা ছাড়া আর কোন জায়গাই নাই। ইমাম বাইহাকী রাহিমাহুল্লাহু শুয়াবুল ঈমানে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর অনুরূপ একটি হাদিস বর্ণনা করেন। তাতে তিনি এ কথাটি বৃদ্ধি করেন, ‘আমি বললাম রাস্তায় যে সব মসজিদগুলো দেখা যায়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ইমাম তাবরানী রাহিমাহুল্লাহু আবু করসাফা হতে অনুরূপ একটি হাদিস বর্ণনা করেন। উভয় হাদিসের সনদ বিশুদ্ধ।” [ফাতহুল বারী শারহে সহীহ আল-বুখারি ৫৪৫/১]
আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী -«من بنى مسجداً لله » এর অর্থ, মসজিদ বানানোর উদ্দেশ্য একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করা। [আল-মুফহিম সহীহ মুসলিমের তালখীসের মুশকিলাত বিষয়ে ১৩০/২।] আল্লামা ইবনে হাজার রাহিমাহুল্লাহু আল্লামা ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহু হতে বর্ণনা করে বলেন, যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে, তাতে তার নাম লিপিবদ্ধ করে, সে এখলাস হতে অনেক দূরে সরে যায়। [ফতহুল বারী, ৫৪৫/১।] আর যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে মসজিদ নির্মাণ সে কখনো এ সাওয়াব পাবে না। কারণ, তার কোন ইখলাস নাই। যদি তার ইখলাস অনুযায়ী তাকে কিছু সাওয়াব দেয়া হবে। তার মধ্যে পরিপূর্ণ ইখলাস না থাকায় সে পুরো সাওয়াব পাবে না। আর পরিপূর্ণ ইখলাস তখন সাব্যস্ত হবে যখন সে কোন বিনিময় গ্রহণ করবে না [ফতহুল বারী, ৫৪৫/১।]।
ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী -«بنى الله له مثله في الجنة » এর অর্থ সম্পর্কে আল্লামা কুরতবী রাহিমাহুল্লাহু বলেন, হাদিসটির বাহ্যিক অর্থ এখানে উদ্দেশ্য নয়। এখানে অর্থ হল, আল্লাহ তা‘আলা তার মসজিদ বানানোর সাওয়াব দ্বারা মহান, সম্মানিত ও উচ্চমানের একটি ঘর বানাবে। [আল-মুফহিম সহীহ মুসলিমের তালখীসের মুশকিলাত বিষয়ে ১৩০/২।] ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- [ مثله ] এর দুটি অর্থ হতে পারে। এক: আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একটি ঘর বানাবে। কিন্তু ঘরটি কত বড় হবে এবং এর সৌন্দর্য যে কত বেশী হবে, সে সম্পর্কে আমাদের কারো অজানা নয়। অর্থাৎ, দুনিয়ার কোন চোখ তা দেখতে পায়নি এবং কোন মানুষের অন্তর তা কখনো চিন্তা করেনি। দ্বিতীয়: এ কথার অর্থ, ঐ ঘরের ফযিলত জান্নাতের অন্যান্য ঘরসমূহের তুলনায় এমন হবে, যেমন দুনিয়াতে অন্যান্য ঘরের উপর মসজিদের ফযিলত অনেক বেশি। [সহীহ মুসলিমের উপর ইমাম নববীর ব্যাখ্যা ১৮/৫।]
হাফেয ইবনে হাজর রাহিমাহুল্লাহু বলেন, এ কথার সন্তোষজনক উত্তরের মধ্যে আরেকটি হল, এখানে ‘অনুরূপ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল সংখ্যা। অর্থাৎ একটি মসজিদ বানালে তার জন্য একটি ঘর বানানো হবে। আর ঘরটি কেমন হবে, তা হল তার নিয়ত ও ইখলাসের সাথে বিবেচ্য। কারণ, অনেক সময় দেখা যায় একটি ঘর দশটি ঘর হতে এমনকি একশটি ঘর হতেও উত্তম। [ফতহুল বারী, ৫৪৬/১।] ইমাম নববীর মতে এটি হল প্রথম অর্থ। আর সুবিশাল জান্নাতের ঘর আর সংকীর্ণ দুনিয়ার ঘরের মধ্যে নি:সন্দেহে বলা যায় আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকবে। কারণ, জান্নাতের এক বিঘাত জায়গা দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে সব হতে উত্তম। [ফতহুল বারী, ৫৪৬/১।] আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إن مما يلحق المؤمن من عمله وحسناته بعد موته : علماً علَّمه ونشره،وولداً صالحاً تركه،ومصحفاً ورَّثه،أو مسجداً بناه،أو بيتاً لابن السبيل بناه،أو نهراً أجراه،أو صدقة أخرجها من ماله في صحته وحياته يلحقه من بعد موته»
“একজন মুমিনের মৃত্যুর পর তার নেক আমল ও নেকীসমূহ যা তার সাথে সম্পৃক্ত হবে, তা হল, যে ইলম সে শিক্ষা দিয়েছে এবং প্রসার করছে। আর যে সব নেক সন্তান সে দুনিয়াতে রেখে গেছে এবং কুরআনের মুসহাফ সে রেখে গেছে অথবা কোন মসজিদ নির্মাণ করেছে কিংবা মুসাফিরদের জন্য কোন ঘর বানিয়েছে, অথবা কোন একটি পানির ঝর্ণা প্রবাহিত করেছে বা তার স্বীয় সম্পদ হতে তার সুস্থ থাকা অবস্থায় বা জীবদ্দশায় দান খয়রাত করেছে, যা তার মৃত্যুর পর তার সাথে সম্পৃক্ত হবে। [ইবনে মাযা, পরিচেছদ: যে ব্যক্তি ইলম পৌঁছায়, হাদিস ২৪২, আল্লামা আল-বানী সহীহ তারগীব ও তারহীবে হাদিসটিকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেন।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/617/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।