মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
الطَّلاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ {তালাক দু’বার, অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে।} এর ব্যাখ্যায় ইব্ন আব্বাস রাদিআল্লাহু বলেন : ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীকে দুই তালাক দেয়, তৃতীয় তালাকের ব্যাপারে তার উচিত আল্লাহকে ভয় করা, হয়তো তাকে সুন্দরভাবে রেখে দেবে, তার সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে, অথবা তাকে সুন্দরভাবে পরিত্যাগ করবে, তার অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত কিংবা তার উপর যুলম করবে না। সাহাবি ‘আবু রাজিন’ রাদিআল্লাহ বলেন : এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের নিকট এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তো বলেছেন : الطَّلاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ {তালাক দু’বার, অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে।} কিন্তু তৃতীয় তালাক কোথায় ? তিনি বলেন : التَّسْرِيحُ بِإِحْسَانٍ " {সুন্দরভাবে ছেড়ে দেয়া।} মুফাস্সির সুদ্দি বলেন : أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ {অথবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেয়া।} অর্থাৎ তার অধিকার তাকে বুঝিয়ে দেয়া, তাকে কষ্ট ও গালি না দেয়া।
ইকরিমা রহ. ও হাসান রহ. বলেন : {ইসলাম পূর্বে ও ইসলামের প্রাথমিক যুগে} স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের দেয়া মোহরানা ও অন্যান্য সম্পদ ভোগ করত, এতে তারা নিজেদের কোন অপরাধ বোধ করত না, অতঃপর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেন, وَلا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا {আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে।} এরপর স্ত্রীদের সম্পদ তাদের অনুমতি ও সন্তুষ্টি ব্যতীত স্বামীদের ভক্ষণ করা বৈধ নয়।
فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ {সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজেকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই।} এর অর্থ ইব্ন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, অর্থাৎ স্ত্রীর আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করা, স্বামীর প্রতি কর্তব্যে অবহেলা করা ও তার সাথে দুর্ব্যবহার করা, যেমন তাকে বলা : আল্লাহর শপথ আমি তোমার সাথে সদাচারণ করব না, বিছানায় তোমাকে সুযোগ দেব না, তোমার আনুগত্য করব না ইত্যাদি, যদি সে এরূপ করে, তাহলে স্বামীর জন্য বৈধ তার থেকে ফিদিয়া গ্রহণ করে, তাকে পরিত্যাগ করা, তবে তাকে মোহরানা বাবদ যা দেয়া হয়েছিল, তার চেয়ে অধিক গ্রহণ করবে না, আর তার রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়া, যদি দুর্ব্যবহার তার {স্ত্রীর) পক্ষ থেকে হয়।
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ {এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না, আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম।} ইমাম যাহ্হাক রাহিমাহুল্লাহ এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্যের সীমা রেখা, তোমরা এর সীমালঙ্ঘন কর না, তিনি বলেন, যদি কেউ এ নিয়ম পরিহার করে তালাক দেয়, সে নিজের উপর যুলম করল।
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।