hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিল্লা বিয়ে

লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ

২১
আল-ওয়াসিত ফি তাফসিরিল কুরআনিল মাজিদ :
الطَّلاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229) فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلا تَحِلُّ لَهُ مِنْ بَعْدُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يَتَرَاجَعَا إِنْ ظَنَّا أَنْ يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ (230) سورة البقرة .

الطَّلاقُ مَرَّتَانِ {তালাক দু’বার।} এর মাধ্যমে তালাকের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এবং তা তিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এ আয়াতে দুই তালাকের উল্লেখ করা হয়েছে, আর তৃতীয় তালাক উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহর পরবর্তী বাণীতে অর্থাৎ فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلا تَحِلُّ لَهُ مِنْ بَعْدُ {অতএব যদি সে তাকে তালাক দেয় তাহলে ‎‎ সে পুরুষের জন্য হালাল হবে না।} الطَّلاقُ مَرَّتَانِ {তালাক দু’বার।} এ আয়াত সংক্ষিপ্ত, কারণ এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে, যে তালাকের পর স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে তার সংখ্যা দুইটি, আর فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ {অতঃপর বিধি মোতাবেক ‎‎ রেখে দেবে।} এর অর্থ হচ্ছে, যদি সে দুই তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়, তাহলে স্ত্রীকে সৎভাবে রাখা তার উপর ওয়াজিব, অর্থাৎ শরিয়ত নির্ধারিত তার হক তাকে পুরোপুরি আদায় করা, অথবা أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ {কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে।} এর অর্থ আতা, সুদ্দি ও যাহ্হাক বলেন, ইদ্দত অবস্থায় নারীকে ত্যাগ করা, যেন ইদ্দত শেষ করে সে স্বামী থেকে বায়েনা ও আলাদা হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলার বাণী وَلا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا {আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরাতাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে ‎‎ নেবে।} অর্থাৎ স্বামীর জন্য বৈধ নয় স্ত্রীকে দেয়া মোহর থেকে কোন কিছু গ্রহণ করা খোলা ব্যতীত, অর্থাৎ খোলার সময় নেয়া বৈধ।

إِلا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ {তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে,আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতেপারবে না।} এ আয়াতের অর্থ যদি নারী আশঙ্কা করে যে, স্বামীর প্রতি অনীহা তাকে স্বামীর ব্যাপারে আল্লাহর অবাধ্য করে ফেলবে, আর স্বামী আশঙ্কা করে যে, স্ত্রী যদি তার আনুগত্য না করে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর সীমালঙ্ঘন করতে পারে, তাহলে তার জন্য বৈধ আছে ফিদিয়া গ্রহণ করা, যদি স্ত্রী তাকে এ জন্য অনুরোধ করে।

فَإِنْ طَلَّقَهَا {অতএব যদি সে তাকে তালাক দেয়।} অর্থাৎ দুই তালাক দানকারী স্বামী যদি পুনরায় তাকে (তৃতীয়) তালাক দেয়, فَلا تَحِلُّ لَهُ {তাহলে ‎‎ সে তার জন্য হালাল হবে না} ‎من بعد তিন তালাকের পর থেকে, حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ যতক্ষণ না তাকে সে ব্যতীত অন্য একজন স্বামী বিয়ে না করে। এখানে উল্লেখিত বিয়ের মধ্যে আকদ ও সহবাস উভয় বিদ্যমান, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামী যতক্ষণ না তার সাথে সহবাস করে, প্রথম স্বামীর জন্য সে হালাল হবে না। আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রিফাআর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলে : আমি রিফাআর নিকট ছিলাম, সে আমাকে তিন তালাক দিয়েছে, তারপর আমি আব্দুর রহমান ইব্‌ন জুবায়েরকে বিয়ে করি, কিন্তু তার যা রয়েছে, তা শুধু কাপড়ের আঁচলের ন্যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথা শোনে হাসলেন, এবং বললেন : তুমি কি রিফাআর নিকট ফিরে যেতে যাও ? না, যেতে পারবে না, যতক্ষণ না তুমি তার সহবাসের স্বাদ গ্রহণ কর এবং সে তোমার সহবাসের স্বাদ গ্রহণ করে। তখন আবু বকর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথেই ছিল, আর খালেদ ইব্‌ন সায়িদ ইব্‌ন আস দরজায় দাঁড়িয়ে অনুমতির অপেক্ষা করছেন, তিনি আবু বকরকে ডেকে বলেন : আপনি কি শুনছেন না, এ মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে কিসব কথার উল্লেখ করছে?

وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ {আর এটা আল্লাহরসীমারেখা, তিনি তা এমন সম্প্রদায়ের জন্য ‎‎ স্পষ্ট করে দেন, যারা জানে।} কুরআন আলেমদের কথা উল্লেখ করেছে, কারণ তারাই আয়াতের বর্ণনা দ্বারা উপকৃত হয়।

“আল ওয়াসিত ফি তাফসিরিল কুরআনিল মাজিদ”, লেখক : আল-ওয়াহিদি, (মৃ.৪৬৮), প্রকাশক : দারুল কিতাবুল ইলমিয়াহ, দেশ : বউরুত, প্রথম প্রকাশ}

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন