মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ {অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে} অর্থাৎ দ্বিতীয়বার ফিরিয়ে নেয়ার পর যদি স্বামী স্ত্রীকে রাখতে চায়, তাহলে সুন্দরভাবে ও সদাচারণের সাথে রাখবে, অথবা أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ {কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে।} অর্থাৎ তালাকের পর তাকে পরিত্যাগ করবে, যেন তার ইদ্দত শেষ হয়ে যায়। কেউ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্যে তিন তালাক।
فَلا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ {তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজেকে মুক্ত করে নেবে তাতে তাদের কোন সমস্যা নেই।} ফাররা বলেছেন : এখানে উদ্দেশ্য শুধু পুরুষ স্ত্রী নয়, তবে উভয়ের সম্পর্কের কারণে তাদেরকে এক সাথে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন আল্লাহর বাণী نَسِيَا حُوتَهُمَا {তারা উভয়ে তাদের মাছ ভুলে গিয়েছিল}-তে একসাথে উল্লেখ করা হয়েছে মুসা ও তার সাথীকে, অথচ ভুলেছিল শুধু মুসা আলাইহিস সালামের সাথী, মুসা আলাইহিস সালাম নন।
সাঈদ ইব্নুল মুসায়্যিব রহ. বলেছেন : স্বামী যা দিয়েছে {মোহরানা হিসেবে}, তার চেয়ে অধিক নেবে না {খোলা অবস্থায়}, বরং তার দেয়া অংশ থেকে কিছু ছেড়ে দেবে, আর স্বাভাবিক হালাতেও খোলা বৈধ, তবে এটা মাকরুহ, কারণ এর মাধ্যমে কোন কারণ ছাড়াই একটি সম্পর্ক বিনষ্ট করা হয়। ইব্ন ওমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : " إِنَّ مِنْ أَبْغَضِ الْحَلالِ إِلَى اللَّهِ الطَّلاقَ " আল্লাহর নিকট সর্ব নিকৃষ্ট হালাল হচ্ছে তালাক।
“যে কোন নারী তার স্বামীর নিকট বিনা কারণে তালাক প্রার্থনা করল, তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম”।
আল্লাহ তাআলার বাণী : تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ {এটা আল্লাহর সীমারেখা।} এ হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ ও নিষেধ এবং আল্লাহর বিধানের সীমানা, যার লঙ্ঘ থেকে শরিয়ত তোমাদের নিষেধ করেছে, فَلا تَعْتَدُوهَا {সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না।}
فَإِنْ طَلَّقَهَا {অতএব যদি সে তাকে তালাক দেয়।} অর্থাৎ প্রথম স্বামীর তৃতীয় তালাক। فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يَتَرَاجَعَا {অতঃপর সে (দ্বিতীয় স্বামী) যদি তাকে তালাক দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের অপরাধ হবে না যে, তারা একে অপরের নিকট ফিরে আসবে।} অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামী যদি সহবাস করার পর তাকে তালাক দেয়, তাহলে স্ত্রী ও প্রথম স্বামীর কোন পাপ হবে না, নতুন বিয়ের মাধ্যমে পুনরায় একত্রিত হওয়া, যদি তারা দৃঢ় বিশ্বাসী হয় যে, তারা উভয়ে সৎভাব ও সদাচারণের সাথে সংসার করতে পারবে। মুজাহিদ বলেন : যদি তারা মনে করে যে, তাদের এ বিয়ে প্রতারণামূলক নয়, অর্থাৎ হিল্লার পদ্ধিতে নয়। এ অভিমত ব্যক্তি করেছেন সুফিয়ান সাওরি, আওজায়ি, মালেক, আহমদ ও ইসহাক প্রমুখগণ, তারা বলেন : তিন তালাক প্রাপ্তা নারী যদি দ্বিতীয় স্বামীকে এ উদ্দেশ্যে বিয়ে করে যে, সে তাকে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল করে দেবে, তাহলে এ বিয়ে বাতিল।
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।