HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে নারী বনাম ইয়াহূদী-খৃষ্টান ধর্মে নারী

লেখকঃ ড. শরীফ আব্দুল আযীম

অনুবাদকের কথা
الحمد لله رب العلمين والصلاة و السلام على من لا نبى بعد وعلى آله وأصحابه وبارك وسلم- أما بعد

ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে আমাদের সমাজের কিছু লোক ইসলামের নামে অনেক আজে বাজে কথা বলে, আরোপ করে বহু অভিযোগ। যার সাথে ইসলামের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলামের সঠিক জ্ঞান থাকলে তারা এমনটি করত না। তাদের এই হীনতর কাজের একটি ক্ষেত্র হচ্ছে নারীর অধিকার। তারা বলতে চায় ইসলাম নারীকে ঠকিয়েছে। প্রমাণ স্বরূপ বলে, পৈত্রিক সম্পত্তিতে নারীর অংশ পুরুষের অর্ধেক। ইসলাম পুরুষকে চারটি বিবাহের অনুমতি দিয়েছে, অথচ নারীকে একটির বেশি অনুমতি দেয় নি। এখানেও নাকি নারীকে ঠকানো হয়েছে ইত্যাদি। এরূপ হাজারো অভিযোগ।

আচ্ছা! তারা কি কখনো এগুলোর পিছনের মূল কারণগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছে? কেন নারীকে পুরুষের অর্ধেক অংশ দেওয়া হলো? সব সময়ই কি নারীর অংশ পুরুষের অর্ধেক? তারা যদি এগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তাহলে তারা দেখতে পাবে এর মধ্যে বিদ্যমান ন্যায় ও ইনসাফের অনন্য দৃষ্টান্ত। যেমন, উত্তরাধীকার সম্পদ নিয়ে আলোচনা করি। নারীকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিবারের কোনো খরচের দায়িত্ব দেওয়া হয় নি। শ্বশুর বাড়ীতে তার আত্মীয়-স্বজন আসলেও তাদের আপ্যায়নের জন্য তার একটি কড়িও খরচ করতে হয় না। সন্তান-সন্ততি লালন-পালনের খরচ তার করা লাগে না । এসব কিছুর দায়িত্ব স্বামীর। সুতরাং সে যেটুকু পায় তার সবই থেকে যায়। সবই আয়। কোনো ব্যয় নেই। পক্ষান্তরে, পরিবারের সার্বিক ব্যয়ভার স্বামীকে বহন করতে হয়। স্ত্রী যদি কোটিপতিও হয়, তবুও তার ওপর তার নিজের খরচের কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় নি, বরং তার খরচ চালানোর দায়িত্বও স্বামীর ওপর ন্যস্ত। অপরদিকে, পুরুষেরা সাধারণত চারটি জায়গা থেকে উত্তরাধিকার সম্পদ পায়। পক্ষান্তরে নারীরা পায় ৮/৯ জায়গা থেকে। তাছাড়া সব সময় তারা পুরুষের অর্ধেক সম্পদ পায় না; বরং কোনো কোনো জায়গায় তারা পুরুষের সমান পায় আবার কোনো কোনো জায়গায় পুরুষ পায়ই না, তার স্থলে একই পর্যায়ের নারী থাকলে সে সম্পদ পায়। গড় হিসাব করতে গেলে তারা পুরুষের সমান, বরং পুরুষের চেয়ে বেশি পায়।

আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় পর্দা। এটা ইসলামের বানানো জিনিস নয়, বরং ইয়াহূদী ও খৃষ্টান ধর্মেও পর্দার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বইয়ে ইসলাম ধর্ম, ইয়াহূদী ও খৃষ্টান ধর্মে নারীদের অবস্থান ও মর্যাদার চিত্র এবং বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি পাঠকবৃন্দ এ বই থেকে তিনটি ধর্মে বর্ণিত নারীদের অধিকার ও মর্যাদার যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা জানতে পারবেন। পরিশেষে, সকল মুসলিম ভাই বোনের কাছে দো‘আ চাচ্ছি, আল্লাহ যেন আমাকে কল্যাণকর গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করে মুসলিম জনগোষ্ঠির দুয়ারে সহজভাবে পৌছে দেওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন।

বিনীত

মুহাম্মাদ ইসমাইল যাবীহুল্লাহ

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশর

তাং ১৬ মার্চ ২০১০ ইং

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন