HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূফীবাদ কুরআন ও সুন্নাহ-এর মানদণ্ডে

লেখকঃ মুহাম্মাদ জামীল যাইনূ

১৩
ক্বাসীদাতুল বুরদা সম্পর্কে আপনি কি জানেন?
কবি ‘আল-বুসীরী’-এর এই কবিতা/ক্বাসীদা জনগণ বিশেষতঃ সূফীদের নিকট বেশি পরিচিত। যদি আমরা এর অর্থ নিয়ে ভাবি তাহলে আমরা দেখতে পাব এতে কুরআনুল কারীম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনেক বিরোধিতা রয়েছে। তিনি তার কবিতায় বলেন,

1 - يا أكرم الخلق ما لي من ألوذ به سواك عند حلول الحادث العمم

“ওহে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ তব ভিন্ন মোর নাহি কেহ আর

ব্যাপক মুসীবত আপতিতে আর লইব আশ্রয় কার?”

কবি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। আর তাঁকে সম্বোধন করে বলেন, সাধারণ বিপদ আসলে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য আপনি ব্যতীত আর কাউকে আমি পাই না। নিঃসন্দেহে এটি ‘শির্কুল আকবার’ বা বড় শির্ক, যা থেকে তাওবা না করলে মুশরিককে চির জাহান্নামী করে দেয়। সে প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,

﴿وَلَا تَدۡعُ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَۖ فَإِن فَعَلۡتَ فَإِنَّكَ إِذٗا مِّنَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠٦﴾ [ يونس : ١٠٦ ]

“আর আল্লাহ ব্যতীত এমন কাউকে ডেকো না, যে তোমার ভালো করবে না মন্দও করবে না। বস্তুত তুমি যদি এমন কাজ কর, তাহলে তখন তুমিও যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১০৬]

এখানে যালিমদের অন্তর্ভুক্ত দ্বারা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্তি হওয়াকে বুঝানো হয়েছে। কেননা শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় যুলুম।

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ مَاتَ وَهْوَ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ»

“যে ব্যক্তি মারা যাবে এমতাবস্থায় যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে (অর্থাৎ আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করে) ডাকে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৪৯৭।]

অনুরূপভাবে বুসীরী তার কবিতায় আরও বলেন,

2 - فإن من جودك الدنيا وضرتها ومن علمك علم اللوح والقلم

“দুনিয়া ও তাতে আছে যা সব তোমার বদান্যতা

লৌহ ও কলম-এর ইলম যে তোমার বিদ্যাবত্তা।”

এটিও কুরআনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। কেননা কুরআনে আল্লাহ বলেন,

﴿وَإِنَّ لَنَا لَلۡأٓخِرَةَ وَٱلۡأُولَىٰ ١٣﴾ [ الليل : ١٣ ]

“আর নিশ্চয় আমরা ইহকাল ও পরকালের মালিক।” [সূরা আল-লাইল, আয়াত: ১৩]

কাজেই দুনিয়া ও আখিরাত আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহরই সৃষ্টির অন্তর্গত। তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বদান্যতা ও তাঁর সৃষ্টি নয়। আর লাওহে মাহফূযে যা কিছু আছে, তার ইলম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাখেন না। একক আল্লাহ ব্যতীত এর ইলম আর কেউ জানে না। সুতরাং তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসায় সীমালংঘন ও অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি। যার ফলে স্থির করেছে- দুনিয়া ও আখিরাত তাঁর )সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বদান্যতারই ফল এবং লাওহে মাহফূযের ইলম তিনি জানেন- এই ধারণা। বরং তাঁর জ্ঞানেরই ফল। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরূপ বাড়াবাড়ি থেকে নিষেধ করতঃ বলেন,

«لاَ تُطْرُونِي، كَمَا أَطْرَتْ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ، فَقُولُوا عَبْدُ اللَّهِ، وَرَسُولُهُ»

“মারইয়াম তনয় ঈসাকে নিয়ে খৃস্টানরা যেভাবে বাড়াবাড়ি করেছে, তোমরা আমাকে নিয়ে সেভাবে বাড়াবাড়ি করো না! আমি তো কেবল একজন বান্দা। অতএব, তোমরা বল: আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৪৪৫।]

অনুরূপভাবে বুসীরী তার কবিতায় আরও বলেন,

3 - ما سامني الدهر ضيما واستجرت به إلا ونلت جوارا منه لم يضم

যুগের দাহন পীড়া ক্লিষ্ট বেদনায়

চেয়েছি যত সান্নিধ্য তা পেয়েছি দুর্লভ আশ্রয়।”

অর্থাৎ কবি বলেন, যে কোনো রোগ-ব্যাধি অথবা দুশ্চিন্তায় যখন তাঁর নিকট শেফা চেয়েছি অথবা দুশ্চিন্তা মুক্তি চেয়েছি, তিনি আমাকে শেফা করেছেন এবং আমার চিন্তামুক্ত করে দিয়েছেন।

অথচ কুরআনে কারীমে ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালাম-এর বাচনিক উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বর্ণিত হয়েছে:

﴿وَإِذَا مَرِضۡتُ فَهُوَ يَشۡفِينِ ٨٠﴾ [ الشعراء : ٨٠ ]

“আর যখন আমি অসুস্থ হই, তিনিই (আল্লাহ) আমাকে আরোগ্য প্রদান করেন।” [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ৮০]

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِن يَمۡسَسۡكَ ٱللَّهُ بِضُرّٖ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَ﴾ [ الانعام : ١٧ ]

“আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোনো কষ্ট দেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী কেউ নেই।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৭]

আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إذا سألت فاسأل الله، وإذا استعنت فاستعن بالله»

“যখন তুমি প্রার্থনা করবে, তখন আল্লাহর কাছে করবে। আর যখন সাহায্য চাইবে, তখন আল্লাহর নিকটেই সাহায্য চাইবে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ২৪১৬ (হাসান সহীহ)।]

অনুরূপভাবে বুসীরী তার কবিতায় আরও বলেন,

4 - فإن لي ذمة منه بتسميتي محمدا وهو أوفى الخلق بالذمم

“রেখেছি নাম মুহাম্মাদ তাই চুক্তি তার সাথে আমার

তিনিইতো শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি পূরণে অঙ্গিকার।”

কবি বলতে চান! আমার নাম মুহাম্মাদ। সে কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আমার চুক্তি রয়েছে যে, তিনি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

এই চুক্তি সে কোত্থেকে পেল? অথচ আমরা জানি, অনেক ফাসিক ও সমাজতান্ত্রিক মুসলিমের নাম রয়েছে মুহাম্মাদ। তবে কি মুহাম্মাদ নামে নামকরণই তাদেরকে জান্নাতে নিষ্কলুষ প্রবেশ করিয়ে দিবে? অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় কন্যা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে লক্ষ্য করে বলেন,

«سَلِينِي مَا شِئْتِ مِنْ مَالِي لاَ أُغْنِي عَنْكِ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا»

“(হে ফাতেমা!) যা ই্চ্ছা আমার সম্পদ থেকে চেয়ে নাও! (রোজ কিয়ামতে) আল্লাহর হকের বেলায় আমি তোমার কোনো উপকারে আসব না।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৭৭১।]

অনুরূপভাবে বুসীরী তার কবিতায় আরও বলেন,

5 - لعل رحمة ربي حين يقسمها تأتي على حسب العصيان في القسم

“আমার রবের রহমতে যবে বন্টন হয় সম্ভবতে

ভাগে আসে তা নাফরমানীর পরিমাণ মতে।”

তা সম্পূর্ণ অসত্য কথা। কারণ যদি নাফরমানী অনুপাতে রহমতের পরিমাণ আসত, তাহলে কবির কথা অনুযায়ী অধিক রহমত লাভের আশায় বেশি নাফরমানী করা মুসলিম-এর ওপর আবশ্যক হয়ে পড়ত। এ ধরনের কথা কোনো মুসলিম ও জ্ঞানী বলতে পারে না। কেননা তা আল্লাহর বাণীর বিপরীত। আল্লাহ বলেন,

﴿إِنَّ رَحۡمَتَ ٱللَّهِ قَرِيبٞ مِّنَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ﴾ [ الاعراف : ٥٦ ]

“নিশ্চয় আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৬]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَرَحۡمَتِي وَسِعَتۡ كُلَّ شَيۡءٖۚ فَسَأَكۡتُبُهَا لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ وَيُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلَّذِينَ هُم بِ‍َٔايَٰتِنَا يُؤۡمِنُونَ﴾ [ الاعراف : ١٥٦ ]

“আর আমার রহমত সব কিছুর উপর পরিব্যাপ্ত। সুতরাং তা তাদের জন্য লিখে দেবে- যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দান কর এবং যারা আমার আয়াতসমূহের ওপর ঈমান আনে।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৫৬]

অনুরূপভাবে বুসীরী তার কবিতায় আরও বলেন,

6 - وكيف تدعوا إلى الدنيا ضرورة من لولاه لم تخرج الدنيا من العدم

“প্রয়োজনের তরে দুনিয়ার দিকে

কেমন কর তুমি আহ্বান,

অথচ, যে (মুহাম্মাদ) না হলে না হত

শূন্য থেকে দুনিয়ার উত্থান।”

কবি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম না হলে দুনিয়া সৃষ্টি হতো না। আল্লাহ তার এ কথা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে বলেন,

﴿وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦﴾ [ الذاريات : ٥٦ ]

“আমি মানব ও জিন্ন জাতিকে কেবল আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬]

এমনকি ইবাদতের জন্য ও এর প্রতি দাওয়াতের জন্য স্বয়ং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱعۡبُدۡ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأۡتِيَكَ ٱلۡيَقِينُ ٩٩﴾ [ الحجر : ٩٩ ]

“ইয়াকীন তথা মৃত্যু আসা পর্যন্ত তুমি তোমার রবের ইবাদত কর!” [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯৯]

অনুরূপভাবে বুসীরী তার কবিতায় আরও বলেন,

7 - أقسمت بالقمر المنشق إن له من قلبه نسبة مبرورة القسم

“কসম করি আমি দ্বি-খণ্ডিত চাঁদের

তাতে আছে কসমের পূর্ণতা,

কেননা মুহাম্মাদের হৃদয়ের সাথে

আছে তার গভীর সখ্যতা।”

কবি চাঁদের কসম খাচ্ছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«من حلف بغير الله فقد أشرك»

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম খাবে সে শির্ক করবে।” [আহমদ (সহীহ হাদীস)।]

অতঃপর কবি বুসীরী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করতঃ বলেন,

8 - لو ناسبت قدره آيته عظيما أحيا اسمه حين يدعى دراس الرمم

“যদি তাঁর মু‘জিযাসমূহ

মহত্বের সাথে মিশে যায়,

তবেই নাম নিয়ে ডাকিলে তাঁর

পঁচাগলা লাশ জীবন পায়।”

অর্থাৎ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মু‘জিযাসমূহ তাঁর মহত্বের সাথে মিলিত হয়, তাহলে মৃতদেহ যা পচে গলে নিশ্চিহ্ন প্রায় হয়ে গেছে, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের স্মরণেই জীবিত হয়ে ওঠে এবং নড়াচড়া করে। এটি এ কারণে সংঘটিত হচ্ছে না যে, আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যথার্থ মু‘জিযা প্রদান করেন নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘হক’ দেন নি- এ মর্মে এটি যেন আল্লাহর প্রতি প্রতিবাদ করা (নাউযুবিল্লাহ)।

কবির এ কবিতাটি আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক নবীকে উপযুক্ত মু‘জিযাসমূহ দান করেছেন। যেমন, ঈসা ‘আলাইহিস সালামকে অন্ধ ও কুষ্ঠরোগী ভালো করা এবং মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করার মু‘জিযা দান করেছেন। আর আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআনুল কারীম, পানি, খাদ্য বৃদ্ধি ও চন্দ্র দ্বি-খণ্ডিত করা ইত্যাদি মু‘জিযা দান করেছেন।

আশ্চর্য কথা যে, কোনো কোনো মানুষ বলে: এই ক্বাসীদা/কবিতাকে বুরদাহ ও বুরাআহ বলা হয়। কেননা তাদের ধারণা মতে এই ক্বাসীদার লিখক অসুস্থ ছিলেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতে পেলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে তাঁর জুব্বা দান করে দিলেন। অতঃপর তিনি তা পরিধান করলে রোগ মুক্তি লাভ করেন।

এই ক্বাসীদার গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এটি একটি মিথ্যা বানোয়াট কথা। এ ধরনের কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিদায়াত বিরোধী কথায় কী করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্তুষ্ট হবেন। অথচ তাতে পরিস্কার শির্ক রয়েছে।

আর জ্ঞাত কথা যে, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আগমন করে তাঁকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লক্ষ্য করে বলল :

ما شاء الله وشئت

“আল্লাহ যা চান এবং আপনিও যা চান।” তখন তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন :

«أجعلتني لله ندا؟ قل ما شاء الله وحده»

“তুমি কি আমাকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থিল করেছ? বল আল্লাহ এককভাবে যা চান।” [নাসাঈ (সনদ হাসান)।]

হে মুসলিম ভাই! এই ক্বাসীদা এবং অনুরূপ কুরআন ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিদায়াত বিরোধী কবিতা পাঠ থেকে বিরত হোন! আশ্চর্য এই যে, কোনো কোনো মুসলিম দেশে এ ধরনের আবৃত্তি কথা দ্বারা কবর অভিমুখে তাদের মরদেহ শোকযাত্রা করে থাকেন। তারা এই ভ্রষ্টতার সাথে আরো একটি বিদ‘আত সংযুক্ত করেন। অথচ জানাযাসমূহ বহনকালে নীরবতা পালন করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন।

لا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন