HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূফীবাদ কুরআন ও সুন্নাহ-এর মানদণ্ডে

লেখকঃ মুহাম্মাদ জামীল যাইনূ

সূফীবাদের নিকট জিহাদ
সূফীবাদের নিকট জিহাদ খুবই কম। তাদের ধারণা মতে তারা নিজেদের নফসের সাথে জিহাদে ব্যস্ত। তারা (তাদের মতের সমর্থনে) একখানা হাদীস বর্ণনা করেন যা শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. উল্লেখ করেন। আর সেটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:

«رجعنا من الجهاد الأصغر إلى الجهاد الأكبر وهو جهاد النفس»

“আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে ফিরে এলাম। আর তা হচ্ছে- নফসের জিহাদ।” তবে এই হাদীসটি বিদ্বানদের কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা-এর বাণীসমূহ থেকে বর্ণনা করেন নি। বরং কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট বক্তব্য এই যে, কাফিরদের সাথে জিহাদ করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়সমূহের মাঝে সবচেয়ে বড়। এখানে জিহাদ সম্পর্কে সূফীবাদের কিছু কথা উদ্ধৃত করা হলোঃ

১- শা‘রাণী বলেন, আমাদের থেকে এই মর্মে অঙ্গীকার গৃহীত হয়েছে যে, আমরা আমাদের ভাইদেরকে আদেশ দেবে যেন তারা যুগ ও সে যুগের অধিবাসীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। তাদের ওপর আল্লাহ কাউকে মঞ্জিল দান করলে তাকে যেন তারা কখনও তুচ্ছ মনে না করে। যদিও দুনিয়া ও দুনিয়ার নেতৃত্বের বিষয় হয়।

২- ইবন ‘আরাবী বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ যখন কোনো জাতির ওপর কোনো যালিম শাসক চাপিয়ে দেন, তখন তার বিরুদ্ধে উত্থান করা ওয়াজিব নয়। কেননা সে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য শাস্তিস্বরূপ।

৩-দু’জন বড় সূফী নেতা ইবন আরাবী ও ইবনুল ফারিদ্ব ক্রুসেড যুদ্ধের সময় জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাদের কাউকে যুদ্ধে অংশ নিতে অথবা যুদ্ধের প্রতি আহ্বান জানাতে কিংবা তারা তাদের কোনো কবিতায় অথবা গদ্যে মুসলিমদের ওপর নেমে আসা বেদনায় অনুভূতি প্রকাশ করতে আমরা শুনি নি। উপরন্তু তারা মানুষকে দৃঢ়তা দিয়ে বলতেন: “নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু দেখছেন। কাজেই মুসলিমগণ ক্রুসেডারদেরকে ছেড়ে দিক! তারা তো ঐ আকৃতিতে আল্লাহর সত্তা বৈ আর কিছু নয়। [নাউযুবিল্লাহ, তারা অমুসলিম কাফেরদেরকে আল্লাহর সত্তা বানিয়েছে!]

৪- গাযালী স্বীয় ‘আল মুনক্বিয মিনাদ্ব দ্বালাল’-গ্রন্থে সূফীবাদের ত্বরীকা অনুসন্ধানকালে বলেন, ক্রুসেড যুদ্ধের সময় তিনি কখনও দামেস্কের গুহায় আবার কখনও বাইতুল মুকাদ্দাসের বড় পাথরের আড়ালে নির্জনে ধ্যানমগ্ন ছিলেন। আর দু’বৎসরের অধিককাল পর্যন্ত তিনি উভয় নির্জন কক্ষের দরজা বন্ধ করে রাখতেন। অতঃপর যখন ক্রুসেডারদের হাতে ৪৯২ হিজরী সনে বাইতুল মুকাদ্দেসের পতন ঘটল, তখন গাযালী সামান্য বীরের লড়াইও করেন নি। এমন কি তা পুনরুদ্ধারের জন্যও জিহাদের ডাকও দেন নি। অথচ তিনি বাইতুল মাকাদিসের পতনের পর আরও ১২ বৎসর জীবিত ছিলেন।

আর তিনি তার কিতাব ইহ্‌ইয়াউ ঊলুমিদ্ দীন’-এ জিহাদ বিষয়ে মোটেও কোনো আলোচনা করেন নি। বরং তিনি এতে অনেক কারামত বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা সবই অবান্তর ও কুফুরী। [উক্ত কিতাব ৪/৪৫৬ পৃঃ দ্রঃ।]

৫- ‘তারিখুল আরবিল হাদীছ ওয়াল মাআসির’ গ্রন্থ প্রণেতা উল্লেখ করেন যে, সূফীবাদের অনুসারীরা অনেক অবান্তর ও বিদ‘আতের প্রসার ঘটিয়েছে। আর তারা যুদ্ধের বেলায় পিছু টান পথ এখতিয়ার করেছে। এমন কি সাম্রাজ্যবাদীরা তাদেরকে তাদের পক্ষে গোয়েন্দাদের ন্যায় ব্যবহার করেছে।

৬- মুহাম্মাদ ফিহর শাক্বফা আস-সুরী স্বীয় ‘আত-তাসাউফ’ গ্রন্থের ২১৭ পৃষ্ঠায় বলেন, বাস্তবতা ও ঐতিহাসিক সত্যের আলোকে আমাদের প্রতি আবশ্যক যেন আমরা উল্লেখ করি যে, সিরিয়ায় ফরাসী ঊপনিবেশকালে তারা সূফীবাদের তিজানীয়াহ ত্বরীকার প্রসারে চেষ্টা করেছিল। এটাকে গুরুত্ব প্রদানের জন্য ফরাসী শাসক শ্রেণী কতিপয় সুফী পীরকে ভাড়া করেছিল। ফ্রান্সের প্রতি ঝুঁকে যায় এমন একটি জাতি তৈরির জন্য তারা তাদের প্রতি সম্পদ ও সম্মান পেশ করেছিল। কিন্ত মরক্কোর মুজাহিদরা দেশের নিষ্ঠাবান ব্যক্তিবর্গকে তিজানীয়া ত্বরীকার ভয়াবহতা সম্পর্কে সংগ্রাম করতে সতর্ক ভূমিকা পালন করে। (তারা বুঝাতে সক্ষম হয় যে, ধর্মীয় লিবাসে এটি একটি ফরাসী ঊপনিবেশ প্রতিষ্ঠার কূটকৈাশল। ফলে, প্রচণ্ড প্রতিবাদের মুখে ঊপনিবেশবাদীদের হাত থেকে দামেস্কের পুরো পতন ঘটে।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন