মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অনেক মানুষ আছে, যারা ধারণা করে যে, সূফীবাদ ইসলামেরই একটি শাখা। তাদের মাঝে অলী-আউলিয়া রয়েছেন। সে কারণে আমি চাই প্রত্যেক মুসলিম ভাই তাদের কথাগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখুন, যাতে অবশ্যই দেখতে পাবেন যে, তারা ইসলাম ও কুরআনী শিক্ষা থেকে বহু দূরে।
১- দামেস্কে সমাহিত একজন বড় সূফী পীর মহিউদ্দিন ইবন আরাবী তার ‘ফুতুহাত আল-মাক্কিয়্যাহ’ গ্রন্থে বলেন, বর্ণনাসূত্রে কোনো হাদীস সহীহ হতে পারে। তবে কাশ্ফওয়ালা ব্যক্তি সচক্ষে দেখতে পান। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা অস্বীকার করেন। আর তাকে লক্ষ্য করে বলেন, আমি এই হাদীস বলি নি এবং আমি কোনো আদেশ দেই নি। কাজেই তিনি জেনে নেন যে, হাদীসটি দ‘ঈফ। সে কারণে রবের স্পষ্ট নির্দেশনার আলোকে এই হাদীসের ওপর আমল পরিত্যাজ্য। যদিও বর্ণনা সূত্রের বিশুদ্ধতার কারণে হাদীসবেত্তাগণ এটির ওপর আমল করে থাকেন। অথচ বিষয়টি অনুরূপ নয়।”
উপরোক্ত কথাগুলো ‘আল-আহাদীছ আল-মুশতাহারা লিল আজলূনী’ নামক কিতাবের ভূমিকায় রয়েছে। এটি জঘন্য কথা। নবীর হাদীসের ওপর আঘাত এবং ইমাম বুখারী ও মুসলিম-এর ন্যায় হাদীস বিশারদ বিদ্বানের ওপর অপবাদ দেওয়া।
২- ইবন আরাবী ইয়াহূদী, খৃ্স্টান, পৌত্তলিক ও দীন ইসলামসহ সকল ধর্মের সমন্বয়ে এক ধর্ম গণ্য করা প্রসঙ্গে বলেন,
وقد كنت قبل اليوم أنكر صاحبي إذا لم يكن ديني إلى دينه دان
فأصبح قلبي قابلا كل حـــالة فمرعي لغزلان ودير لرهبان
وبيت لاوثان وكعبـــة طائف وألواح توراة ومصحف قرآن
“যখন ছিল না তার ধর্মে
ধর্মাধীন ধর্ম আমার
ঘৃনিতাম তখন সাথীরে আমি
দিন পূর্ব আজিকার
আজি হৃদয় আমার প্রসন্ন
স্বাগতের তরে সব হালত
কি হরিণের চারণ ভূমি
কি পাদরীর গৃহ ইবাদত।
মূর্তিগৃহ হৌক আর তাওয়াফকারী
কা‘বা হৌক, হৌক তা
তাওরাতের খণ্ড, হৌক
পাণ্ডুলিপি কুরআনের।”
আল-কুরআনে ইবন আরাবীর উক্ত কথার খণ্ডন করতঃ আল্লাহ বলেন,
“আর যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন (ধর্ম) তালাশ করে, কষ্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫]
৩- ইবন আরাবী এই ধারণা করে যে, আল্লাহই সৃষ্টি, আর সৃষ্টিই আল্লাহ। তারা উভয়ে একে অন্যের ইবাদত করে। সে তার নিম্নোক্ত বাণী দ্বারা তা উদ্দেশ্য করে। (সে বলে) :
فيحمدني وأحمده ويعبدني وأعبده
“তিনি আমার প্রশংসা করেন এবং আমিও তার প্রশংসা করি। আর তিনি আমার ইবাদত করেন এবং আমিও তার ইবাদত করি।”
৪- ইবন আরাবী স্বীয় ‘ফুসুস’ গ্রন্থে বলে :
إن الرجال حينما يضاجع زوجته إنما يضاجع الحق
“নিশ্চয় কোনো ব্যক্তি যখন তার সাথে স্ত্রীর সাথে আলিঙ্গন করে সে ‘হক’ তা‘আলাকেই আলিঙ্গন করে।” –নাউযুবিল্লাহ।
৫- সূফী নাবলুসী উক্ত কথার ব্যাখ্যায় বলে : إنما ينكح الحق অর্থাৎ “সে অবশ্যই ‘হক’ তা‘আলার সাথে সহবাস করে।” –নাউযুবিল্লাহ।
৬- সূফী আবু ইয়াযিদ আল-বুস্তামী আল্লাহকে সম্বোধন করে বলেন, “(হে আল্লাহ!) আমাকে তোমার ওয়াহদানিয়্যাত বা একত্ববাদে মণ্ডিত কর! আমাকে তোমার রাব্বানিয়্যাতের বসন পরিধান করিয়ে দাও! আর আমাকে তোমার একত্ববাদের মঞ্জিলে উঠিয়ে নাও, যাতে তোমার সৃষ্টি যখন আমাকে দেখে, তখন তারা যেন বলে : ‘আমরা তোমাকেই দেখলাম।’
আর সে তার নিজের সম্বন্ধে বলে :
سبحاني سبحاني، ما أعظم شأني، الجنة لعبة صبيان
“আমি পবিত্রময় সত্তা, কতই না, বড় আমার শান। জান্নাত বালকের খেলনা ছাড়া তো কিছু নয়!”
৭- জালালুদ্দীন রুমী বলেন, আমি মুসলিম তবে আমি খৃস্টান ও যরাদাশ্তী। আমার একক কোনো ইবাদতগৃহ নেই; বরং মসজিদ, গীর্জা অথবা মূর্তিগৃহ সবই সমান।
৮- ইবনুল ফারিদ্ব স্বীয় আত-তায়িয়াহ কাব্যে বলেন, ক্বায়েসের জন্য লায়লার আকৃতিতে, কুছাইয়ের এর জন্য ‘আযযার আকৃতিতে এবং জামিল-এর জন্য বুছায়নার আকৃতিতে আল্লাহই নূরের ঝলকরূপে প্রকাশ পেয়েছেন। সে স্বীকার করে যে, এটি হক তা‘আলার তজল্লির অংশ বিশেষ।
৯-সূফী রাবে‘আহ আদওয়িয়াহ (রাবেয়া বসরী) কে জিজ্ঞাসা করা হলো: তুমি কি শয়তানকে অপছন্দ কর? জবাবে সে বলল : “আল্লাহর জন্য আমার ভালোবাসা আমার অন্তরে কাউকে অপছন্দ করা অবশিষ্ট রাখে না।” আর সে আল্লাহকে সম্বোধন করতঃ বলে : (হে আল্লাহ!) আমি যদি তোমার জাহান্নামের ভয়ে তোমার ইবাদত করে থাকি, তাহলে সে জাহান্নামের অগ্নি দ্বারা আমাকে পুড়িয়ে মার!” অথচ আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন,
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও!” [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৬]
উক্ত সূফী নারী রাবে‘আহ প্রসঙ্গে তারা বলেন, সে ছিল একজন গায়িকা ও বাদক বাজানেওয়ালী মেয়ে। তাই কী করে কুরআনের বিপরীতে তার কথা গ্রহণ করা যায়?
১০- সুদানের নব্য সূফী শাইখ উসমান আল-বুরহানী [সুদানের আদালত তাকে হত্যার আদেশ দেয়। অতঃপর তাকে হত্যা করা হয়।] একটি কিতাব রচনা করেন, যার নামকরণ করেন “ইনতেসারু আউলিয়া-ইর রাহমান আলা আউলিয়া-ইশ-শাইত্বান।” এ গ্রন্থে সে ‘আউলিয়া-উশ-শাইত্বান’ দ্বারা শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবের অনুসারী সহীহ আকীদার ধারক-বাহক এবং ইখওয়ানুল মুসলিমীনের আলেমদেরকে উদ্দেশ্য নেয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/710/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।