hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ বুখারী

২৩. জানাযা

صحيح البخاري

২৩/ পরিচ্ছেদঃ জানাযা সম্পর্কিত এবং যার শেষ কথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’।

ওয়াহ্‌হাব ইব্‌নু মুনাব্বিহ (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’ কি জান্নাতের চাবি নয়? উত্তরে তিনি বললেন, অবশ্যই। তবে যে কোন চাবির দাঁত থাকে। তুমি দাঁত যুক্ত চাবি [১] আনতে পারলে তোমার জন্য (জান্নাতের) দরজা খুলে দেয়া হবে। অন্যথায় তোমার জন্য খোলা হবে না। [১] দাঁত বিশিষ্ট চাবি বলতে যাবতীয় সৎকর্মকে বুঝানো হয়েছে।

১২৩৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا شَقِيقٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ ‏"‏‏.‏ وَقُلْتُ أَنَا مَنْ مَاتَ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ‏.‏

‘আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন; আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে আল্লাহর সঙ্গে শির্‌ক করা অবস্থায় মারা যায়, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যে আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুর শির্‌ক না করা অবস্থায় মারা যায়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১২৩৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَأَخْبَرَنِي ـ أَوْ قَالَ بَشَّرَنِي ـ أَنَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ ‏"‏ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ ‏"‏‏.‏

আবূ যার্‌ (গিফারী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন আগন্তুক [জিব্‌রীল (আঃ)] আমার প্রতিপালকের নিকট হতে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেনঃ যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে। [২]
[২] কৃত কর্মের শাস্তি ভোগ অথবা ক্ষমা লাভের পরই সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। কারণ কবীরাহ্ গুনাহে লিপ্ত হলেই মানুষ ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায় না। হাদীসটি মুসলিম নামধারী চরমপন্থী দল খারিজীদের আকীদার প্রতিবাদে একটি মযবুত দলীল। ওদের ধারনা মানুষ কবীরাহ্ গুনাহে লিপ্ত হলেই কাফির হয়ে যায় (নাউযুবিল্লাহ)।
২৩/ পরিচ্ছেদঃ জানাযায় অনুগমনের আদেশ।

১২৪০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ‏.‏ وَرَوَاهُ سَلاَمَةُ عَنْ عُقَيْلٍ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্‌ পাঁচটিঃ ১. সালামের জবাব দেয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেয়া, ৩. জানাযার পশ্চাদানুসরণ করা, ৪. দা'ওয়াত কবূল করা এবং ৫. হাঁচিদাতাকে খুশী করা (আল-হামদু লিল্লাহর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।
আবদুর রায্‌যাক (রহঃ) ‘আমর ইব্‌নু আবূ সালামা (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। আবদুর রায্‌যাক (রহঃ) বলেন, আমাকে মা’মার (রহঃ) -এরূপ অবহিত করেছেন এবং এ হাদীস সালামা (রহঃ) ‘উকাইল (রহঃ) হতে রিওয়ায়াত করেছেন। (

১২৩৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَشْعَثِ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، عَنِ الْبَرَاءِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ، وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا بِاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ، وَعِيَادَةِ الْمَرِيضِ، وَإِجَابَةِ الدَّاعِي، وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ، وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ، وَرَدِّ السَّلاَمِ، وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ‏.‏ وَنَهَانَا عَنْ آنِيَةِ الْفِضَّةِ، وَخَاتَمِ الذَّهَبِ، وَالْحَرِيرِ، وَالدِّيبَاجِ، وَالْقَسِّيِّ، وَالإِسْتَبْرَقِ‏.‏

বারা’আ ইব্‌নু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতটি বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন- ১. জানাযার অনুগমন করতে, ২. রুগ্ন ব্যক্তির খোঁজ-খবর নিতে, ৩. দা'ওয়াত দাতার দা'ওয়াত গ্রহণ করতে, ৪. মাযলূমকে সাহায্য করতে, ৫. কসম হতে দায়মুক্ত করতে, ৬. সালামের জবাব দিতে এবং ৭. হাঁচিদাতাকে (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে) সন্তুস্ট করতে। আর তিনি নিষেধ করেছেন- ১. রৌপ্যের পাত্র [১] ,২. স্বর্ণের আংটি, ৩. রেশম, ৪. দীবাজ, ৫. কাস্‌সী (কেস্‌ রেশম), ৬. ইস্‌তিব্‌রাক (তসর জাতীয় রেশম) [২] ব্যবহার করতে। [৩]
[১] স্বর্ণের অলংকার ও রেশমের পোশাক পুরুষদের জন্য হারাম, নারীদের জন্যে বৈধ। তবে শরীরে চুলকানী বা ঘা ইত্যাদির কারণে পুরুষদের জন্যেও রেশমের পোশাক ব্যবহার বৈধ।
[২] স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্র সকল মুসলমানদের জন্য হারাম। তবে কোন পাত্র ভেঙ্গে গেলে তা সোনা-রূপার তার দিয়ে জোড়া ও ঝালাই দেয়া জায়িয।
[৩] এ হাদীসে নিষেধকৃত ছয়টির উল্লেখ করা আছে। সপ্তম বিষয়টি এই কিতাবের ‘সোনার আংটি’ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।
২৩/ পরিচ্ছেদঃ কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির নিকট গমন করা

১২৪৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَمَّا قُتِلَ أَبِي جَعَلْتُ أَكْشِفُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ أَبْكِي، وَيَنْهَوْنِي عَنْهُ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنْهَانِي، فَجَعَلَتْ عَمَّتِي فَاطِمَةُ تَبْكِي، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ تَبْكِينَ أَوْ لاَ تَبْكِينَ، مَا زَالَتِ الْمَلاَئِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رَفَعْتُمُوهُ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُنْكَدِرِ سَمِعَ جَابِرًا ـ رضى الله عنه ـ‏.‏

জাবির ইব্‌নু ‘আব্দুল্লাহ্‌ (আঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (উহুদ যুদ্ধে) আমার পিতা আব্দুল্লাহ্‌ (রাঃ) শহীদ হয়ে গেলে আমি তাঁর মুখমন্ডল হতে কাপড় সরিয়ে ক্রন্দন করতে লাগলাম। লোকজন আমাকে নিষেধ করতে লাগল। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেননি। আমার ফুফী ফাতিমা (রাঃ) ও ক্রন্দন করতে লাগলেন। এতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কাঁদ বা না-ই কাঁদ (উভয় সমান) তোমরা তাকে তুলে নেয়া পর্যন্ত ফেরেশতাগণ তাঁদের ডানা দিয়ে ছায়া বিস্তার করে রেখেছেন। ইব্‌নু জুরাইজ (রহঃ) মুহাম্মাদ ইব্‌নু মুন্‌কাদির (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় শু’বা (রাঃ) এর অনুসরণ করেছেন।

১২৪২

সহিহ হাদিস
See previous Hadith

আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) আমাকে বলেছেন, (রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর খবর পেয়ে) আবূ বকর (রাঃ) 'সুন্হ' -এ অবস্থিত তাঁর বাড়ি হতে ঘোড়ায় চড়ে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সেখানে লোকজনদের সঙ্গে কোন কথা না বলে ‘আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি ‘হিবারাহ’ ইয়ামানী চাদরে আবৃত ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমন্ডল উন্মুক্ত করে তাঁর উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, অতঃপর ক্রন্দন করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর নবী ! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আল্লাহ্‌ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্র করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য অবধারিত ছিল তা তো আপনি কবূল করেছেন।
আবূ সালামা (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছিলেন যে, (তারপর) আবূ বকর (রাঃ) বাহিরে এলেন। তখন ‘উমর (রাঃ) লোকজনের সাথে বাক্যালাপ করছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন। তিনি তা মানলেন না। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন, তিনি তা মানলেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) কালিমা-ই-শাহাদাতের দ্বারা (বক্তব্য) আরম্ভ করলেন। লোকেরা ‘উমর (রাঃ)-কে ছেড়ে তাঁর দিকে আকৃষ্ট হন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন.....আম্‌মা বা'দু , তোমাদের মাঝে যারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইবাদত করতে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যই মারা গেছেন। আর যারা মহান আল্লাহর ইবাদত করতে, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ চিরঞ্জীব, অমর। মহান আল্লাহ্‌ ইরশাদ করেনঃ وَمَا مُحَمَّدٌ الَّا رَسُوْلُ-------- اِلى الشَّاكِرِينَ (যার অর্থ) মুহাম্মাদ একজন রসূল মাত্র আর কিছু নন। তার পূর্বেও অনেক রসূল চলে গেছেন। অতএব যদি তিনি মারা যান অথবা নিহত হন তাহলে কি তোমরা পায়ের গোড়ালিতে ভর করে পেছনে ফিরে যাবে? আর যদি কেউ সেরূপ পেছনে ফিরেও যায়, তবে সে কখনও আল্লাহর বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ অতি সত্বর কৃতজ্ঞদের পুরস্কার দিবেন-(আল-ইমরানঃ ১১৪)। আল্লাহর কসম, মনে হচ্ছিল যেন আবূ বকর (রাঃ)-এর তিলওয়াত করার পূর্বে লোকদের জানাই ছিল না যে, আল্লাহ্‌ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেছেন। এখনই যেন লোকেরা আয়াতখানি তার কাছ থেকে পেলেন। প্রতিটি মানুষকেই তখন ঐ আয়াত তিলায়াত করতে শোনা গেল।

১২৪৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ أُمَّ الْعَلاَءِ ـ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ ـ بَايَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُ اقْتُسِمَ الْمُهَاجِرُونَ قُرْعَةً فَطَارَ لَنَا عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ، فَأَنْزَلْنَاهُ فِي أَبْيَاتِنَا، فَوَجِعَ وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ وَغُسِّلَ وَكُفِّنَ فِي أَثْوَابِهِ، دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ، فَشَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللَّهُ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَكْرَمَهُ ‏"‏‏.‏ فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ يُكْرِمُهُ اللَّهُ فَقَالَ ‏"‏ أَمَّا هُوَ فَقَدْ جَاءَهُ الْيَقِينُ، وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو لَهُ الْخَيْرَ، وَاللَّهِ مَا أَدْرِي ـ وَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ مَا يُفْعَلُ بِي ‏"‏‏.‏ قَالَتْ فَوَاللَّهِ لاَ أُزَكِّي أَحَدًا بَعْدَهُ أَبَدًا‏.‏

আনসারী মহিলা ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাই’আতকারী উম্মুল ‘আলা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(মদীনায় হিজরতের পর) লটারীর মাধ্যমে মুহাজিরদের বন্টন করা হচ্ছিল। তাতে ‘উসমান ইবনু মায’উন (রাঃ) আমাদের অংশে পড়লেন, আমরা (সাদরে) তাঁকে আমাদের গৃহে স্থান দিলাম। এক সময়ে তিনি সেই রোগে আক্রান্ত হলেন, যাতে তাঁর মৃত্যু হল। যখন তাঁর মৃত্যু হল এবং তাঁকে তাঁকে গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরানো হল, তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রবেশ করলেন। তখন আমি বললাম, হে আবাস্-সায়িব! আপনার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক! আপনার ব্যাপারে আমার সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ্ আপনাকে সম্মানিত করেছেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি করে জানলে যে, আল্লাহ্ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আল্লাহ্ আর কাকে সম্মানিত করবেন? আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার ব্যাপার তো এই যে, নিশ্চয় তাঁর মৃত্যু হচ্ছে এবং আল্লাহর কসম! আমি তার জন্য কল্যাণ কামনা করি। আল্লাহর কসম! আমি জানি না আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হবে, অথচ আমি আল্লাহর রসূল। সেই আনসারী মহিলা বলেন, আল্লাহর কসম! অতঃপর এরপর হতে কোন দিন আমি কোন ব্যক্তিকে সম্বন্ধে পবিত্র বলে মন্তব্য করব না।

-----------------

১২৪৩/১. সা’ঈদ ইবনু ‘উফাইর (রহঃ) লায়স (রহঃ) সুত্রে ঐরূপ বর্ণনা করেন। আর নাফি’ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) ‘উকাইল (রহঃ) সূত্রে বলেন। তার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হবে? [১] শু’য়াইব, ‘আমর ইবনু দীনার ও মা’মার (রহঃ) ‘উকাইল (রহঃ)-কে সমর্থন করেছেন। (২৬৮৭, ৩৯২৯, ৭০০৩, ৭০০৪, ৭০১৮) (ই.ফা. ১১৭১)
[১] অর্থাৎ প্রথম বর্ণনায় রয়েছে ‘ مَا يُفْعَلُ بِلىْ’- আমর সংগে কি ব্যবহার করা হবে ? আর দ্বিতীয় বর্ণনায় রয়েছে ‘مَا يُفْعَلُ بِهِ ’- তাঁর সংগে কি ব্যবহার করা হবে ?

১২৪১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ أَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى فَرَسِهِ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنْحِ حَتَّى نَزَلَ، فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ، فَلَمْ يُكَلِّمِ النَّاسَ، حَتَّى نَزَلَ فَدَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَتَيَمَّمَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُسَجًّى بِبُرْدِ حِبَرَةٍ، فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ، ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، لاَ يَجْمَعُ اللَّهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ، أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي كُتِبَتْ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا‏.‏ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ خَرَجَ وَعُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ يُكَلِّمُ النَّاسَ‏.‏ فَقَالَ اجْلِسْ‏.‏ فَأَبَى‏.‏ فَقَالَ اجْلِسْ‏.‏ فَأَبَى، فَتَشَهَّدَ أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ فَمَالَ إِلَيْهِ النَّاسُ، وَتَرَكُوا عُمَرَ فَقَالَ أَمَّا بَعْدُ، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ‏}‏ إِلَى ‏{‏الشَّاكِرِينَ‏}‏ وَاللَّهِ لَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَعْلَمُونَ أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ الآيَةَ حَتَّى تَلاَهَا أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ فَتَلَقَّاهَا مِنْهُ النَّاسُ، فَمَا يُسْمَعُ بَشَرٌ إِلاَّ يَتْلُوهَا‏.‏

আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) আমাকে বলেছেন, (রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর খবর পেয়ে) আবূ বকর (রাঃ) 'সুন্হ' -এ অবস্থিত তাঁর বাড়ি হতে ঘোড়ায় চড়ে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সেখানে লোকজনদের সঙ্গে কোন কথা না বলে ‘আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি ‘হিবারাহ’ ইয়ামানী চাদরে আবৃত ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমন্ডল উন্মুক্ত করে তাঁর উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, অতঃপর ক্রন্দন করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর নবী ! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আল্লাহ্‌ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্র করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য অবধারিত ছিল তা তো আপনি কবূল করেছেন।

আবূ সালামা (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছিলেন যে, (তারপর) আবূ বকর (রাঃ) বাহিরে এলেন। তখন ‘উমর (রাঃ) লোকজনের সাথে বাক্যালাপ করছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন। তিনি তা মানলেন না। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন, তিনি তা মানলেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) কালিমা-ই-শাহাদাতের দ্বারা (বক্তব্য) আরম্ভ করলেন। লোকেরা ‘উমর (রাঃ)-কে ছেড়ে তাঁর দিকে আকৃষ্ট হন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন.....আম্‌মা বা'দু , তোমাদের মাঝে যারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইবাদত করতে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যই মারা গেছেন। আর যারা মহান আল্লাহর ইবাদত করতে, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ চিরঞ্জীব, অমর। মহান আল্লাহ্‌ ইরশাদ করেনঃ

وَمَا مُحَمَّدٌ الَّا رَسُوْلُ اِلى الشَّاكِرِينَ

(যার অর্থ) মুহাম্মাদ একজন রসূল মাত্র আর কিছু নন। তার পূর্বেও অনেক রসূল চলে গেছেন। অতএব যদি তিনি মারা যান অথবা নিহত হন তাহলে কি তোমরা পায়ের গোড়ালিতে ভর করে পেছনে ফিরে যাবে? আর যদি কেউ সেরূপ পেছনে ফিরেও যায়, তবে সে কখনও আল্লাহর বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ অতি সত্বর কৃতজ্ঞদের পুরস্কার দিবেন-(আল-ইমরানঃ ১৪৪)। আল্লাহর কসম, মনে হচ্ছিল যেন আবূ বকর (রাঃ)-এর তিলওয়াত করার পূর্বে লোকদের জানাই ছিল না যে, আল্লাহ্‌ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেছেন। এখনই যেন লোকেরা আয়াতখানি তার কাছ থেকে পেলেন। প্রতিটি মানুষকেই তখন ঐ আয়াত তিলায়াত করতে শোনা গেল।
২৩/ পরিচ্ছেদঃ মৃত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনের নিকট তার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানো।

১২৪৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَعَى النَّجَاشِيَّ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، خَرَجَ إِلَى الْمُصَلَّى، فَصَفَّ بِهِمْ وَكَبَّرَ أَرْبَعًا‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাজাশী যেদিন মারা যান সেদিন-ই আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মৃত্যুর খবর দেন এবং জানযার স্থানে গিয়ে লোকদের কাতারবন্দী করে চার তাকবীর আদায় করলেন।

১২৪৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ ـ وَإِنَّ عَيْنَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَتَذْرِفَانِ ـ ثُمَّ أَخَذَهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنْ غَيْرِ إِمْرَةٍ فَفُتِحَ لَهُ ‏"‏

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মূতা যুদ্ধের অবস্থা বর্ণনায়) বললেনঃ যায়দ (রাঃ) পতাকা বহন করেছে অতঃপর শহীদ হয়েছে। অতঃপর জা'ফর (রাঃ) (পতাকা) হাতে নিয়েছে, সেও শহীদ হয়। অতঃপর 'আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু রাওয়াহা (রাঃ) (পতাকা) ধারণ করে এবং সেও শহীদ হয়। এ খবর বলছিলেন এবং আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দু'চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছিল। অতঃপর খালিদ ইব্‌নু ওয়ালিদ (রাঃ) পরামর্শ ছাড়াই (পতাকা) হাতে তুলে নেন এবং তাঁর দ্বারাই বিজয় লাভ হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন