hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ বুখারী

৮৮. আল্লাহ্‌দ্রোহী ও ধর্মত্যাগীদেরকে তাওবার প্রতি আহ্বান ও তাদের সাথে যুদ্ধ

صحيح البخاري

৮৮/ পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সঙ্গে শিরক করে তার গুনাহ এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তার শাস্তি। আল্লাহ্‌ বলেনঃ নিশ্চয়ই শির্‌ক বিরাট জুল্‌ম- (সূরা লুক্বমান ৩১/১৩)। তুমি আল্লাহ্‌র শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম তো বিফল হবে এবং তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত (সূরা আয্‌-যুমার ৩৯/৬৫)।

৬৯১৮

সহিহ হাদিস
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ} شَقَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالُوا أَيُّنَا لَمْ يَلْبِسْ إِيمَانَهُ بِظُلْمٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ لَيْسَ بِذَاكَ أَلاَ تَسْمَعُونَ إِلَى قَوْلِ لُقْمَانَ {إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ}

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুল্‌ম দ্বারা কলুষিত করেনি... (সূরা আন‘আম ৬/৮২)। তখন তা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবাদের কাছে গুরুতর মনে হলো। তারা বললেন, আমাদের মাঝে এমন কে আছে যে তার ঈমানকে জুল্‌ম দ্বারা কলুষিত করে না। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা অবশ্যই এমনটা নয়, তোমরা কি লুকমানের কথা শ্রবণ করনি? শিরকই বিরাট জুল্‌ম (সীমালঙ্ঘন)- (সূরা লুক্বমান ৩১/১৩)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫০)

৬৯১৯

সহিহ হাদিস
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ ح و حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ الإِشْرَاكُ بِاللهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ ثَلاَثًا أَوْ قَوْلُ الزُّورِ فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সবচেয়ে কঠিন কবীরা গুনাহ্‌ হচ্ছে আল্লাহ্‌র সাথে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। মিথ্যা সাক্ষ্য কথাটি তিনবার বললেন। অথবা বলেছেন; মিথ্যা বক্তব্য। কথাটি বারবার বলতে থাকলেন, এমন কি আমরা আকাঙ্ক্ষা করতে লাগলাম, হায় যদি তিনি নীরব হয়ে যেতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫১)

৬৯২০

সহিহ হাদিস
مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا شَيْبَانُ عَنْ فِرَاسٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَا الْكَبَائِرُ قَالَ الإِشْرَاكُ بِاللهِ قَالَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ ثُمَّ عُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ قَالَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ الْيَمِينُ الْغَمُوسُ قُلْتُ وَمَا الْيَمِينُ الْغَمُوسُ قَالَ الَّذِي يَقْتَطِعُ مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ هُوَ فِيهَا كَاذِبٌ

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বেদুঈন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কবীরা গুনাহ্‌সমূহ কী? তিনি বললেন, আল্লাহ্‌র সঙ্গে শরীক করা। সে বলল, তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তারপর পিতা-মাতার অবাধ্যতা। সে বলল, তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তারপর মিথ্যা কসম করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, মিথ্যা শপথ কী? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি (শপথের সাহায্যে) মুসলিমের ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়। অথচ সে এ শপথের ক্ষেত্রে মিথ্যাচারী।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫২)

৬৯২১

সহিহ হাদিস
خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ وَالأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَنُؤَاخَذُ بِمَا عَمِلْنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَ مَنْ أَحْسَنَ فِي الإِسْلاَمِ لَمْ يُؤَاخَذْ بِمَا عَمِلَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَمَنْ أَسَاءَ فِي الإِسْلاَمِ أُخِذَ بِالأَوَّلِ وَالْآخِرِ

ইব্‌নু মাস্‌‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমরা কি জাহিলী যুগের কাজ কর্মের জন্য পাকড়াও হবো? তিনি বললেনঃ যে লোক ইসলামী যুগে সৎ কাজ করবে সে জাহিলী যুগের কাজ কর্মের জন্য পাকড়াও হবেনা। আর যে ইসলাম কবুলের পর অসৎ কাজ করবে, সে প্রথম ও পরবর্তীর জন্য (উভয় সময়ের কৃতকর্মের জন্য) পাকড়াও হবে। [১২৩][মুসলিম ১/৫৩, হাঃ ১২০, আহমাদ ৩৬০৪, ৩৮৮৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৩)
[১২৩] কাফির ইসলাম গ্রহণ করলে তার ইসলামপূর্ব যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা হয়ে যায়। ফলে সে ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে সৎ আমল করা অবস্থায় যদি মৃত্যু বরণ করে তাহলে পূর্বের কোন কুফুরী আমলের জন্য তাকে পাকড়াও করা হবে না। পক্ষান্তরে যদি ইসলাম গ্রহণ করার পর আবারো পূর্ববর্তী কুফুরী আমল করে অথবা মুরতাদ হয়ে যায়, আর এমতাবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে, তাহলে তার মুসলমান হওয়ার পূর্বের এবং মুসলমান হওয়ার পরের সকল কুফুরীর জন্য তাকে পাকড়াও করা হবে। অবস্থা এমন যে, সে যেন কখনও মুসলমান হয়নি। (ফাতহুল বারী)
৮৮/ পরিচ্ছেদঃ ধর্মত্যাগী পুরুষ ও নারীর বিধান এবং তাদেরকে তওবা প্রতি আহবান।

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) যুহ্‌রী ও ইব্‌রাহীম (রহঃ) বলেন, ধর্মত্যাগী নারীকে হত্যা করা হবে এবং তার থেকে তওবা আহবান করা হবে। আল্লাহ্ বলেনঃ ঈমান আনার পর যে সম্প্রদায় সত্য প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে আল্লাহ্ কিভাবে সৎ পথের নির্দেশ দেবেন...... এরাই তারা যারা পথভ্রষ্ট পর্যন্ত। (সূরা আল ‘ইমরান ৩/৮৬-৯০) আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমরা যদি তাদের দল বিশেষের আনুগত্য কর তবে তারা তোমাদেরকে ঈমানের পর আবার সত্য প্রত্যাখ্যানকারীতে পরিণত করবে - (সূরা আল ‘ইমরান ৩/১০০)। আল্লাহ্ বলেন, যারা ঈমান আনে, পরে কুফরী করে এবং আবার ঈমান আনে আবার কুফরী করে, এরপর তাদের কুফরী প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পায় আল্লাহ্ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না এবং তাদের কোন পথও দেখাবেন না - ( সূরা আন্‌-নিসা ৪/১৩৭)। আল্লাহ্ বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন হতে ফিরে গেলে আল্লাহ্ এমন এক জাতি আনবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন ও যারা তাঁকে ভালবাসবে - (সূরা আল-মায়িদা ৫/৫৪)। আল্লাহ্ বলেনঃ যারা সত্য প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় খুলে রাখে তাদের উপর পতিত হয় আল্লাহ্‌র গযব এবং তাদের জন্য আছে মহাশাস্তি। তা এজন্য যে, তারা ইহ জীবনকে পর জীবনের উপর প্রাধান্য দেয়- (সূরা নাহল ১৬/১০৬-১০৭)।......(আরবী) অর্থ... (আরবী)- অবশ্যই তোমার প্রতিপালক তাদের জন্য যারা নির্যাতিত হবার পর দেশ ত্যাগ করে পরে জিহাদ করে এবং ধৈর্য ধারণ করে তোমার প্রতিপালক এসবের পর তাদের প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু - (সূরা নাহল ১৬/১১০)। আল্লাহ্ বলেনঃ তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন হতে ফিরিয়ে না দেয়, যদি তারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্বীয় দ্বীন হতে ফিরে যায় ও কাফির হয়ে মারা যায়, ইহকাল ও পরকালে তাদের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যায়। এরাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে - (সূরা আল-বাকারা ২/২১৭)।

৬৯২২

সহিহ হাদিস
أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ أُتِيَ عَلِيٌّ بِزَنَادِقَةٍ فَأَحْرَقَهُمْ فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ لَوْ كُنْتُ أَنَا لَمْ أُحْرِقْهُمْ لِنَهْيِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللهِ وَلَقَتَلْتُهُمْ لِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ

ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ)-এর কাছে একদল যিন্দীককে (নাস্তিক ও ধর্মত্যাগীকে) আনা হল। তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। এ ঘটনা ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেন, আমি কিন্তু তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলতাম না। কেননা, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিষেধাজ্ঞা আছে যে, তোমরা আল্লাহ্‌র শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিও না। বরং আমি তাদেরকে হত্যা করতাম। কারণ, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশ আছে, যে কেউ তার দ্বীন বদলে ফেলে তাকে তোমরা হত্যা কর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৪)

৬৯২৩

সহিহ হাদিস
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ أَقْبَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعِي رَجُلاَنِ مِنْ الأَشْعَرِيِّينَ أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِي وَالْآخَرُ عَنْ يَسَارِي وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَاكُ فَكِلاَهُمَا سَأَلَ فَقَالَ يَا أَبَا مُوسَى أَوْ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ قَالَ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَطْلَعَانِي عَلَى مَا فِي أَنْفُسِهِمَا وَمَا شَعَرْتُ أَنَّهُمَا يَطْلُبَانِ الْعَمَلَ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى سِوَاكِهِ تَحْتَ شَفَتِهِ قَلَصَتْ فَقَالَ لَنْ أَوْ لاَ نَسْتَعْمِلُ عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ وَلَكِنْ اذْهَبْ أَنْتَ يَا أَبَا مُوسَى أَوْ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ إِلَى الْيَمَنِ ثُمَّ اتَّبَعَهُ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ أَلْقَى لَهُ وِسَادَةً قَالَ انْزِلْ وَإِذَا رَجُلٌ عِنْدَهُ مُوثَقٌ قَالَ مَا هَذَا قَالَ كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ ثُمَّ تَهَوَّدَ قَالَ اجْلِسْ قَالَ لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللهِ وَرَسُولِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ ثُمَّ تَذَاكَرَا قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا أَمَّا أَنَا فَأَقُومُ وَأَنَامُ وَأَرْجُو فِي نَوْمَتِي مَا أَرْجُو فِي قَوْمَتِي

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে এলাম। আমার সঙ্গে আশ‘আরী গোত্রের দু’জন লোক ছিল। একজন আমার ডানদিকে, অপরজন আমার বামদিকে। আর রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন মিস্‌ওয়াক করছিলেন। উভয়েই তাঁর কাছে আবদার জানাল। তখন তিনি বললেনঃ হে আবূ মূসা! অথবা বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু কায়স! রাবী বলেন, আমি বললামঃ ঐ সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, তারা তাদের অন্তরে কী আছে তা আমাকে জানায়নি এবং তারা যে চাকরি প্রার্থনা করবে তা আমি বুঝতে পারিনি। আমি যেন তখন তাঁর ঠোঁটের নিচে মিস্‌ওয়াকের প্রতি লক্ষ্য করছিলাম যে তা এক কোণে সরে গেছে। তখন তিনি বললেন, আমরা আমাদের কাজে এমন কাউকে নিযুক্ত করব না বা করি না যে নিজেই তা চায়। বরং হে আবূ মূসা! অথবা বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু কায়স! তুমি ইয়ামানে যাও। এরপর তিনি তার পেছনে মু‘আয ইব্‌নু জাবাল (রাঃ)-কে পাঠালেন। যখন তিনি সেখানে পৌঁছলেন, তখন আবূ মূসা (রাঃ) তার জন্য একটি গদি বিছালেন আর বললেন, নেমে আসুন। ঘটনাক্রমে তার কাছে একজন লোক শেকলে বাঁধা ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ঐ লোকটি কে? আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, সে প্রথমে ইয়াহূদী ছিল এবং মুসলিম হয়েছিল। কিন্তু আবার সে ইয়াহূদী হয়ে গেছে। আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, বসুন। মু‘আয (রাঃ) বললেন, না, বসব না, যতক্ষণ না তাকে হত্যা করা হবে। এটাই আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের ফায়সালা। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। এরপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হল এবং তাকে হত্যা করা হল। তারপর তাঁরা উভয়ই কিয়ামুল্‌ লায়ল (রাত্রি জাগরণ) সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তখন একজন বললেন, আমি কিন্তু ‘ইবাদতও করি, নিদ্রাও যাই। আর নিদ্রার অবস্থায় ঐ আশা রাখি যা ‘ইবাদাত অবস্থায় রাখি। [১২৪] [২২৬১; মুসলিম ৩৩/৩, হাঃ ১৮২৪, আহমাদ ১৯৬৮৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৫)
[১২৪] কোন মুসলমান ধর্ম ত্যাগ করলে তাকে হত্যা করাই হল শরীয়তের বিধান। সাহাবীগণ (রাঃ) শরীয়তের বিধি-বিধান বাস্তবায়নে ছিলেন আপোষহীন। যে বান্দা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দেয়া নিয়ম বিধান অনুযায়ী যাবতীয় কার্য সম্পাদন করে, সে যাবতীয় কার্যেই নেকী হাসিল করতে থাকে - তা সালাতই হোক বা নিদ্রাই হোক। যারা এশা ও ফযরের সালাত মসজিদে জামাতে সম্পাদন করে তারা রাতে ঘুমিয়েও সালাতের নেকী পায়। যারা এতিম বিধবা ও দুঃখী মানুষের সাহায্যে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখে, তারা রাতে ঘুমিয়েও সালাত সম্পাদনের নেকী লাভ করতে থাকে।
৮৮/ পরিচ্ছেদঃ যারা ফরযসমূহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং যাদেরকে ধর্মত্যাগের অপরাধে অপরাধী করা হয়েছে তাদেরকে হত্যা করা।

৬৯২৫

সহিহ হাদিস
قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَاللهِ لأقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا كَانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا قَالَ عُمَرُ فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأَيْتُ أَنْ قَدْ شَرَحَ اللهُ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ

আবূ বক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র কসম! যারা সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমি যুদ্ধ করব। কেননা, যাকাত হল মালের হক। আল্লাহ্‌র কসম! যদি তারা একটি বক্‌রির বাচ্চাও না দেয় যা তারা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে দিত, তাহলে তা না দেয়ার কারণে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করব। ‘উমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমি বুঝতে পারলাম যে, এটা আর কিছু নয় এবং আল্লাহ্‌ আবূ বকর (রাঃ)-এর বক্ষ যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। পরে আমি বুঝতে পারলাম যে, (আবূ বকর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন) এটি-ই হক।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৬)

৬৯২৪

সহিহ হাদিস
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنْ الْعَرَبِ قَالَ عُمَرُ يَا أَبَا بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যু হল এবং আবূ বকর (রাঃ) খলীফা হলেন আর আরবের যারা কাফির হল, তখন ‘উমর (রাঃ) বললেন, হে আবূ বকর! আপনি কিভাবে লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করবেন? অথচ নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যতক্ষণ না তারা ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ্‌ নেই) বলবে। আর যে কেউ ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্‌’ বলে, যথার্থ কারণ না থাকলে সে তার জান-মাল আমার হাত থেকে রক্ষা করে নেয়। আর তার হিসাব আল্লাহ্‌র দায়িত্বে। [১২৫](আধুনিক প্রকাশনী-৬৪৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৬)
[১২৫] কাজী আয়াজ ও অন্যরা বলেন, মুরতাদ হওয়া লোকগুলো ছিল তিন প্রকারের,
(১) প্রথম প্রকারঃ যারা মূর্তি পূজার দিকে প্রত্যাবর্তন করেছিল।
(২) দ্বিতীয় প্রকারঃ যারা মুসাইলামাতুল কাযযাব ও আসওয়াদ আনাসীর অনুসারী ছিল। নবী সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পূর্বেই তারা নবুওয়াতের দাবী করেছিল। ইয়ামামার অধিবাসীরা মুসাইলামার অনুসারী ছিল। আর সান‘আর অধিবাসীরা ছিল আসওয়াদ আনাসির অনুসারী। নবী সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বেই হত্যা করা হয়েছিল আসওয়াদকে। তার অনুসারীদের অল্প কিছু যা অবশিষ্ট ছিল তাদেরকে আবু বকর (রাঃ) এর খিলাফতের সময় রাসূল সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যাকাত আদায়কারী আলেমরা হত্যা করেছিল। আর আবু বকর (রাঃ) খালিদ ইবনু ওয়ালিদের নেতৃত্বে একদল সৈন্য প্রেরণ করেছিলেন মুসাইলামার বিরুদ্ধে এবং তাঁরা তাকে হত্যা করেছিল।
(৩) তৃতীয় প্রকারঃ যারা ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল, কিন্তু যাকাত দিতে অস্বীকার করেছিল। যাদের যুক্তি হল যাকাত রাসূল সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথেই নির্দিষ্ট। তারা তাদের স্বপক্ষে এই আয়াত পেশ করে,
(আরবী)
[সূরা আত্‌-তওবা (৯): ১০৩]
ফলে তাদের ধারণা ছিল যে, যাকাত দেয়া নবী সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সম্পৃক্ত। কেননা তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তাদেরকে পবিত্র করতে এবং তাদের উপর রহমতের জন্য দু‘আ করতে পারবে না। নবীর সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর পরে যদি যাকাত অন্যকে দেয় তাহলে তার দোয়া কীভাবে তাদের জন্য প্রশান্তির হবে?
এই প্রকার লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যাপারেই ওমর (রাঃ) আবু বকর (রাঃ) এর সাথে বিতর্ক করেছিলেন, যেমন এই পরিচ্ছেদের হাদীসে এসেছে। আর আবু মুহাম্মাদ ইবনু হাযম তাঁর সুবিখ্যাত গ্রন্থ (আরবী) এর মধ্যে বলেন, নবী সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পর আরবরা চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।
(১) প্রথম শ্রেণীর লোক পূর্ণ ইসলামের উপরেই প্রতিষ্ঠিত ছিল - এদের সংখ্যাই সবচাইতে বেশী।
(২) দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক ইসলামের উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিল, কিন্তু তারা বলল, আমরা যাকাত দেয়া ছাড়া ইসলামের সকল বিধান প্রতিষ্ঠা করব। এরা প্রথম শ্রেণীর চাইতে সংখ্যায় ছিল কম।
(৩) তৃতীয় শ্রেণীর লোকেরা কুফর ও মুরতাদ হওয়ার ঘোষণা দেয়। যেমন- তুলাইহা ও সুজাহ এর অনুগামীরা।
(৪) চতুর্থ শ্রেণীর লোকেরা উপরোক্ত তিন শ্রেণীর লোকদের কারো অনুসরণ না করে অপেক্ষাই ছিল যে, যারা বিজয় লাভ করবে তাদেরকে তারা অনুসরণ করবে। কিন্তু আলহামদু লিল্লাহ, এক বছর অতিবাহিত না হতেই সবাই আবার ইসলামের সুশীতল ছায়ার তলে ফিরে এসেছিল। (ফাতহুল বারী)
৮৮/ পরিচ্ছেদঃ যখন কোন যিম্মী বা অন্য কেউ নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বাক্‌চাতুরির মাধ্যমে গালি দেয় এবং স্পষ্ট করে না, যেমন তার কথা ‘আস্‌সামু আলাইকা’ (তোমার মরণ হোক)।

৬৯২৮

সহিহ হাদিস
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمُوا عَلَى أَحَدِكُمْ إِنَّمَا يَقُولُونَ سَامٌ عَلَيْكَ فَقُلْ عَلَيْكَ

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদীরা যখন তোমাদের কাউকে সালাম করে তারা ‘সামু ‘আলাইকুম’ বলে। তাই তোমরা বলবে, ‘আলাইকা - তোমাদের উপর। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৯)

৬৯২৬

সহিহ হাদিস
مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ مَرَّ يَهُودِيٌّ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّامُ عَلَيْكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَدْرُونَ مَا يَقُولُ قَالَ السَّامُ عَلَيْكَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَلاَ نَقْتُلُهُ قَالَ لاَ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ইয়াহূদী রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে গেল। আর বলল, আস্‌সামু আলাইকা। তার উত্তরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়া আলাইকা। এরপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের বললেনঃ তোমরা কি বুঝতে পেরেছ সে কী বলেছে? সে বলেছে, ‘আস্‌সামু আলাইকা’ (তোমার মরণ হোক)। তারা বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমরা কি তাকে হত্যা করব না? তিনি বললেনঃ না। বরং যখন কোন আহলে কিতাব তোমাদেরকে সালাম করবে তখন তোমরা বলবে, ‘ওয়া আলাইকুম’ (তোমাদের উপরও)। [১২৬](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৭)
[১২৬] ওয়া ‘আলাইকুম - তোমাদের উপরও। অর্থাৎ যেমন অকল্যাণ চাইলে, তোমাদের উপরও তেমন অকল্যাণ পতিত হোক।

৬৯২৭

সহিহ হাদিস
أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ ابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اسْتَأْذَنَ رَهْطٌ مِنْ الْيَهُودِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكَ فَقُلْتُ بَلْ عَلَيْكُمْ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ فَقَالَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الأَمْرِ كُلِّهِ قُلْتُ أَوَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا قَالَ قُلْتُ وَعَلَيْكُمْ

আবূ নু‘আয়ম (রহঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদল ইয়াহূদী নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরবারে প্রবেশের অনুমতি চাইল। (প্রবেশ করার সময়) তারা বলল ‘আস্‌সামু আলাইকা’ (তোমার মৃত্যু হোক)। তখন আমি বললাম, বরং তোদের উপর মৃত্যু ও লা‘নত হোক। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশা! আল্লাহ্ কোমল। তিনি সকল কাজে কোমলতা পছন্দ করেন। আমি বললাম, আপনি কি শুনেননি তারা কী বলেছে? তিনি বললেনঃ আমিও তো বলেছি ওয়া-আলাইকুম (এবং তোমাদের উপরও)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন