hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ বুখারী

৮৭. রক্তপণ

صحيح البخاري

৮৭/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণী : কেউ ইচ্ছা পূর্বক কোন মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে তার শাস্তি হল জাহান্নাম। (সূরা আন্-নিসা ৪/৯৩)

৬৮৬৩

সহিহ হাদিস
أَحْمَدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ إِنَّ مِنْ وَرَطَاتِ الْأُمُورِ الَّتِي لاَ مَخْرَجَ لِمَنْ أَوْقَعَ نَفْسَهُ فِيهَا سَفْكَ الدَّمِ الْحَرَامِ بِغَيْرِ حِلِّهِ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে সব বিষয়ে কেউ নিজেকে জড়িয়ে ফেলার পরে তার ধ্বংস থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় থাকে না, সেগুলোর একটি হচ্ছে হালাল ছাড়া হারাম রক্ত প্রবাহিত করা (অর্থাৎ অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করা)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৮)

৬৮৬১

সহিহ হাদিস
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الذَّنْبِ أَكْبَرُ عِنْدَ اللهِ قَالَ أَنْ تَدْعُوَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ قَالَ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ خَشْيَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ قَالَ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ ثُمَّ أَنْ تُزَانِيَ بِحَلِيلَةِ جَارِكَ فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ تَصْدِيقَهَا {وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا} الْآيَةَ.

‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌র নিকট সবচেয়ে বড় গুনাহ্ কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তুমি আল্লাহ্‌র সঙ্গে কাউকে সমকক্ষ গণ্য কর অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। লোকটি বলল, তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তারপর হলো, তুমি তোমার সন্তানকে এ ভয়ে হত্যা কর যে, সে তোমার সঙ্গে খাদ্য খাবে। লোকটি বলল, তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তারপর হলো, তুমি তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে যিনা কর। অত:পর আল্লাহ এ কথার সত্যতায় অবতীর্ণ করলেনঃ “এবং তারা আল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন ইলাহকে আহ্বান করে না, আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন উপযুক্ত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যাভিচার করে না। যে এগুলো করে সে শাস্তি ভোগ করবে” – (সূরা ফুরক্বান ২৫/৬৮)। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৬)
এই পরিচ্ছেদে ইমাম বুখারী (রহঃ) ১২টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। প্রত্যেকটি হাদীসের মধ্যেই হত্যার বিষয়ে কঠোরতা রয়েছে। যারা না বুঝে বলে থাকে যে, ইসলাম মানুষকে হত্যাযজ্ঞের প্রতি উৎসাহ যোগায় তাদের ভাল করে এই হাদীসগুলো অধ্যয়ন করা দরকার। আশা করা যায়, যদি কেউ স্থিরভাবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মনোযোগ সহকারে সত্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে হাদীসগুলো অধ্যয়ন করে, তবে তার অন্তরে যত কালিমা-ই থাকুক না কেন তা অবশ্য অবশ্যই দূরীভূত হবে ইনশা-আল্লাহ।

৬৮৬২

সহিহ হাদিস
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَنْ يَزَالَ الْمُؤْمِنُ فِي فُسْحَةٍ مِنْ دِينِهِ مَا لَمْ يُصِبْ دَمًا حَرَامًا.

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন তার দ্বীনের ব্যাপারে পূর্ণ স্বস্তিতে থাকে, যে পর্যন্ত না সে কোন হারাম ঘটায়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৭)

৬৮৬৪

সহিহ হাদিস
عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فِي الدِّمَاءِ.

‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সবার আগে মানুষের মাঝে যে বিষয়ের ফয়সালা করা হবে তা হলো হত্যা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৯)

৬৮৬৫

সহিহ হাদিস
عَبْدَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَدِيٍّ حَدَّثَهُ أَنَّ الْمِقْدَادَ بْنَ عَمْرٍو الْكِنْدِيَّ حَلِيفَ بَنِي زُهْرَةَ حَدَّثَهُ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي لَقِيتُ كَافِرًا فَاقْتَتَلْنَا فَضَرَبَ يَدِي بِالسَّيْفِ فَقَطَعَهَا ثُمَّ لاَذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ وَقَالَ أَسْلَمْتُ لِلَّهِ آقْتُلُهُ بَعْدَ أَنْ قَالَهَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَقْتُلْهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّهُ طَرَحَ إِحْدَى يَدَيَّ ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ بَعْدَ مَا قَطَعَهَا آقْتُلُهُ قَالَ لاَ تَقْتُلْهُ فَإِنْ قَتَلْتَهُ فَإِنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أَنْ تَقْتُلَهُ وَأَنْتَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِي قَالَ.

বনী যুহরা গোত্রের মিত্র মিকদাদ ইব্‌নু আমর কিনদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যিনি বদরের যুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে উপস্হিত ছিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! এক কাফেরের সঙ্গে আমার মুকাবিলা হল এবং আমাদের মধ্যে লড়াই বাধল। সে তলোয়ার দিয়ে আমার হাতে আঘাত করল এবং তা কেটে ফেলল। তারপর সে কোন গাছের আড়ালে আশ্রয় নিল আর বলল, আমি আল্লাহ্‌র জন্য মুসলিম হয়ে গেলাম। এ কথা বলার পর কি আমি তাকে হত্যা করতে পারব? রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে হত্যা করবে না। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সে তো আমার এক হাত কেটে দিয়েছে। আর কেটে ফেলার পরই এ কথা বলেছে, এতে কি আমি তাকে হত্যা করতে পারব? তিনি বললেনঃ তুমি তাকে হত্যা করবে না। তুমি যদি তাকে হত্যা কর তাহলে তাকে হত্যা করার আগে তুমি যেখানে ছিলে সে সেখানে এসে যাবে। আর সে ঐ কালিমা উচ্চারণ করার আগে যেখানে ছিল তুমি সেখানে চলে যাবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০০)

৬৮৬৬

সহিহ হাদিস
وَقَالَ حَبِيبُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْمِقْدَادِ إِذَا كَانَ رَجُلٌ مُؤْمِنٌ يُخْفِي إِيمَانَهُ مَعَ قَوْمٍ كُفَّارٍ فَأَظْهَرَ إِيمَانَهُ فَقَتَلْتَهُ فَكَذَلِكَ كُنْتَ أَنْتَ تُخْفِي إِيمَانَكَ بِمَكَّةَ مِنْ قَبْلُ.

হাবীব ইব্‌নু আবূ আমরা (রহঃ) সা’ঈদ (রহঃ)-এর সূত্রে ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিকদাদ (রাঃ) -কে বলেছেনঃ উক্ত মু’মিন লোকটি যখন কাফেরদের মাঝে অবস্হান করছিল তখন সে আপন ঈমান গোপন রেখেছিল। এরপর সে তার ঈমান প্রকাশ করল আর তুমি তাকে হত্যা করে ফেললে। তুমিও তো এর আগে মক্কায় থাকাকালে আপন ঈমান লুকিয়ে রেখেছিলে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০০)
৮৭/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে। (সূরা আল-মায়িদাহ ৫/৩২)

ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া প্রাণ হত্যা নিষিদ্ধ মনে করে তার থেকে গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা পেল।

৬৮৬৭

সহিহ হাদিস
قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْهَا .

‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ কোন মানুষকে হত্যা করা হলে আদম (আঃ)- এর প্রথম সন্তান (কাবীল) এর উপর (অপরাধের) কিছু অংশ অবশ্যই পড়বে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০১)

৬৮৭০

সহিহ হাদিস
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ فِرَاسٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْكَبَائِرُ الإِشْرَاكُ بِاللهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ أَوْ قَالَ الْيَمِينُ الْغَمُوسُ شَكَّ شُعْبَةُ وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ الْكَبَائِرُ الإِشْرَاكُ بِاللهِ وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ أَوْ قَالَ وَقَتْلُ النَّفْسِ.

‘আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহ হচ্ছে আল্লাহ্‌র সঙ্গে শরীক করা, পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া অথবা বলেছেন, মিথ্যা কসম করা। শু‘বাহ (রহঃ) তাতে সন্দেহ করেন। এবং মুয়ায (রহঃ) বলেন, শু‘বাহ আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, কবীরা গুনাহ্ হচ্ছে আল্লাহ্‌র সঙ্গে শরীক করা, মিথ্যা কসম করা আর মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া অথবা বলেছেন প্রাণ হত্যা করা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৪)

৬৮৬৯

সহিহ হাদিস
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ عَنْ جَرِيرٍ قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ اسْتَنْصِتْ النَّاسَ لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ رَوَاهُ أَبُو بَكْرَةَ وَابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিদায় হাজ্জের সময় বলেছেন, লোকদেরকে নীরব কর, তোমরা আমার পরে কুফরিতে ফিরে যেয়ো না যে, তোমরা একে অপরের গর্দান উড়িয়ে দিবে।
আবূ বকর ও ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (এরকম) বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৩)

৬৮৬৮

সহিহ হাদিস
أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَخْبَرَنِي عَنْ أَبِيهِ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ.

‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ তোমরা আমার পরে কুফরিতে ফিরে যেয়ো না যে (সে অবস্থায়) তোমরা একে অপরের গর্দান উড়িয়ে দিবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০২)

৬৮৭২

সহিহ হাদিস
عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ حَدَّثَنَا أَبُو ظَبْيَانَ قَالَ سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ يُحَدِّثُ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ قَالَ فَصَبَّحْنَا الْقَوْمَ فَهَزَمْنَاهُمْ قَالَ وَلَحِقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنْ الأَنْصَارِ رَجُلاً مِنْهُمْ قَالَ فَلَمَّا غَشِينَاهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَالَ فَكَفَّ عَنْهُ الأَنْصَارِيُّ فَطَعَنْتُهُ بِرُمْحِي حَتَّى قَتَلْتُهُ قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَالَ لِي يَا أُسَامَةُ أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذًا قَالَ أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَالَ فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَيَّ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ قَبْلَ ذَلِكَ الْيَوْمِ.

উসামাহ ইব্‌নু যায়দ ইব্‌নু হারিসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে জুহাইনা কওমের হারাকা শাখার বিরুদ্ধে পাঠালেন। আমরা ভোরে এ কওমের কাছে এলাম এবং তাদেরকে পরাস্ত করে ফেললাম। তিনি বলেন, আমি ও আনসারদের এক ব্যক্তি তাদের একজনকে ধাওয়া করে তার কাছে পৌঁছে গেলাম। তিনি বলেন, আমরা যখন আক্রমণ করতে উদ্যত হলাম তখন সে বলে উঠল, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্। তিনি বলেন, আনসারী ব্যক্তি তার থেকে বিরত হয়ে গেল। কিন্তু আমি তাকে আমার বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করলাম। তিনি বলেন, আমরা যখন মদীনায় আসলাম, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছল। তিনি বলেন, আমাকে তিনি বললেনঃ হে উসামাহ! তুমি কি তাকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পরও হত্যা করলে? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সে আসলে হত্যা থেকে বাঁচতে চেয়েছিল। তিনি বললেনঃ আহা! তুমি কি তাকে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলার পরও হত্যা করলে? তিনি বলেন, তিনি বারবার কথাটি আমাকে বলতে থাকলেন। এমন কি আমি কামনা করতে লাগলাম, যদি আমি ঐ দিনের আগে মুসলিম না হতাম। [১১৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৬)
[১১৪] (সে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরেও তুমি তাকে হত্যা করেছ?) ইব্‌নু ত্বীন বলেন, এই তিরস্কারের মধ্যে রয়েছে মহান শিক্ষা এবং শিক্ষার মধ্যে রয়েছে এমন এক ঘোষণা যে, পরবর্তীতে আর কেউ যেন তাওহীদের বাণী উচ্চারণকারীকে হত্যা করতে উদ্যত না হয়। আর ইমাম কুরতুবী (রাহিঃ) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এই বাণী বার বার উচ্চারণের মধ্যে এবং ওযর গ্রহণ না করার মধ্যে অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে রয়েছে কঠিন ধমক। (ফাতহুল বারী)

৬৮৭১

সহিহ হাদিস
إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْكَبَائِرُ ح وحَدَّثَنَا عَمْرٌو وَهُوَ ابْنُ مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ ابْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ الإِشْرَاكُ بِاللهِ وَقَتْلُ النَّفْسِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَقَوْلُ الزُّورِ أَوْ قَالَ وَشَهَادَةُ الزُّورِ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ্ হচ্ছে আল্লাহ্‌র সঙ্গে শরীক করা, প্রাণ হত্যা করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া আর মিথ্যা বলা, কিংবা বলেছেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৫)

৬৮৭৩

সহিহ হাদিস
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ الصُّنَابِحِيِّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ إِنِّي مِنْ النُّقَبَاءِ الَّذِينَ بَايَعُوا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَايَعْنَاهُ عَلَى أَنْ لاَ نُشْرِكَ بِاللهِ شَيْئًا وَلاَ نَسْرِقَ وَلاَ نَزْنِيَ وَلاَ نَقْتُلَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللهُ وَلاَ نَنْتَهِبَ وَلاَ نَعْصِيَ بِالْجَنَّةِ إِنْ فَعَلْنَا ذَلِكَ فَإِنْ غَشِينَا مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا كَانَ قَضَاءُ ذَلِكَ إِلَى اللهِ.

‘উবাদাহ ইব্‌নু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ঐ নির্বাচিত নেতাদের একজন ছিলাম যারা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে বায়'আত করেছিলেন। আমরা তাঁর হাতে এ শর্তে বায়'আত করেছি যে, আমরা আল্লাহ্‌র সঙ্গে কিছুকে শরীক করব না, যিনা করব না, চুরি করব না, এমন প্রাণ হত্যা করব না যা আল্লাহ্ হারাম করেছেন, আমরা লুণ্ঠন করব না, নাফরমানী করব না। যদি আমরা ওগুলো ঠিকভাবে পালন করি তবে জান্নাত লাভ হবে। আর যদি এর মধ্য থেকে কোন একটা করে ফেলি তাহলে তার ফয়সালা আল্লাহ্‌র কাছে সমর্পিত। (আধুনিক প্রকাশনী- ,৬৩৯৪ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৭)

৬৮৭৪

সহিহ হাদিস
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا رَوَاهُ أَبُو مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আমাদের বিপক্ষে অস্ত্র ধারণ করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
আবূ মূসা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (এরকম) বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৮)

৬৮৭৫

সহিহ হাদিস
عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ وَيُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ ذَهَبْتُ لِأَنْصُرَ هَذَا الرَّجُلَ فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ أَنْصُرُ هَذَا الرَّجُلَ قَالَ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ.

আহনাফ ইব্‌নু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি তাঁকে (‘আলী (রাঃ)-কে সাহায্য) করার জন্য যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার সঙ্গে আবূ বকর (রাঃ) - এর সাক্ষাৎ ঘটল। তিনি বললেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, ঐ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে। তিনি বললেন, ফিরে যাও। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বলতে শুনেছি যে, যখন দু'জন মুসলিম তলোয়ার নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তির অবস্থান হবে জাহান্নাম। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! হত্যাকারীর ব্যাপারটা তো বুঝা গেল। কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপার সে কেমন? তিনি বললেনঃ সেও তার বিরোধীকে হত্যা করতে আগ্রহান্বিত ছিল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৯)
৮৭/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ হে মু'মিনগণ! নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের জন্য কিসাসের বিধান দেয়া হয়েছে...... (সূরা আল-বাক্বারাহ ২/১৭৮)

৮৭/ পরিচ্ছেদঃ (ইমাম কর্তৃক) হত্যাকারীকে স্বীকারোক্তি পর্যন্ত প্রশ্ন করা। আর শরীয়তের শাস্তির ব্যাপারে স্বীকারোক্তি।

৬৮৭৬

সহিহ হাদিস
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ يَهُودِيًّا رَضَّ رَأْسَ جَارِيَةٍ بَيْنَ حَجَرَيْنِ فَقِيلَ لَهَا مَنْ فَعَلَ بِكِ هَذَا أَفُلاَنٌ أَوْ فُلاَنٌ حَتَّى سُمِّيَ الْيَهُودِيُّ فَأُتِيَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَقَرَّ بِهِ فَرُضَّ رَأْسُهُ بِالْحِجَارَةِ.

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ইয়াহূদী একটি বালিকার মাথা দু'টি পাথরের মাঝে রেখে চূর্ণ করে দিল। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হল কে তোমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছেন? অমুক অথবা অমুক? শেষ পর্যন্ত ইয়াহূদীটির নাম বলা হল। তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আনা হল এবং তিনি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলেন। অবশেষে সে তা স্বীকার করল। কাজেই পাথরের আঘাতে তার মাথা চূর্ণ করে দেয়া হল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪১০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন