hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ বুখারী

৯২. ফিত্‌না

صحيح البخاري

৯২/ পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ সতর্ক থাক সেই ফিতনা হতে যা বিশেষভাবে তোমাদের যালিম লোকেদের মাঝেই সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবে না – (সূরাহ আনফাল ৮/২৫)।

এবং যা নাবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিত্‌না সম্পর্কে সতর্ক করতেন।

৭০৪৮

সহিহ হাদিস
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ قَالَتْ أَسْمَاءُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَنَا عَلَى حَوْضِي أَنْتَظِرُ مَنْ يَرِدُ عَلَيَّ فَيُؤْخَذُ بِنَاسٍ مِنْ دُونِي فَأَقُولُ أُمَّتِي فَيُقَالُ لاَ تَدْرِي مَشَوْا عَلَى الْقَهْقَرَى قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ اللهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ أَنْ نَرْجِعَ عَلَى أَعْقَابِنَا أَوْ نُفْتَنَ

আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি আমার হাউজের কাছে আগমনকারী লোকদের অপেক্ষায় থাকব। তখন আমার সামনে থেকে কতক লোককে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি বলব, এরা তো আমার উম্মাত। তখন বলা হবে, আপনি জানেন না, এরা (আপনার পথ থেকে) পিছনে চলে গিয়েছিল।
(বর্ণনাকারী) ইব্‌নু আবূ মুলাইকাহ বলেনঃ হে আল্লাহ্‌! পিছনে ফিরে যাওয়া কিংবা ফিত্‌নায় পড়া থেকে আমরা আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭২)

৭০৪৯

সহিহ হাদিস
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ لَيُرْفَعَنَّ إِلَيَّ رِجَالٌ مِنْكُمْ حَتَّى إِذَا أَهْوَيْتُ لِأُنَاوِلَهُمْ اخْتُلِجُوا دُونِي فَأَقُولُ أَيْ رَبِّ أَصْحَابِي يَقُولُ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ.

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি হাউজে কাউসারের নিকট তোমাদের আগেই হাজির থাকব। তোমাদের থেকে কিছু লোককে আমার নিকট পেশ করা হবে। কিন্তু আমি যখন তাদের পান করাতে উদ্যত হব, তখন তাদেরকে আমার নিকট হতে ছিনিয়ে নেয়া হবে। আমি বলব, হে রব! এরা তো আমার সাথী। তখন তিনি বলবেন, আপনার পর তারা নতুন কী ঘটিয়েছে তা আপনি জানেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৩)

৭০৫০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَمَنْ وَرَدَهُ شَرِبَ مِنْهُ وَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهُ أَبَدًا لَيَرِدُ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَسَمِعَنِي النُّعْمَانُ بْنُ أَبِي عَيَّاشٍ وَأَنَا أُحَدِّثُهُمْ هَذَا فَقَالَ هَكَذَا سَمِعْتَ سَهْلاً فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ لَسَمِعْتُهُ يَزِيدُ فِيهِ قَالَ إِنَّهُمْ مِنِّي فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ بَدَّلَ بَعْدِي.

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি যে, আমি হাউজের ধারে তোমাদের আগে হাজির থাকব। যে সেখানে হাজির হবে, সে সেখান থেকে পান করার সুযোগ পাবে। আর যে একবার সে হাউজ থেকে পান করবে সে কখনই পিপাসিত হবে না। অবশ্যই এমন কিছু দল আমার কাছে হাজির হবে যাদের আমি (আমার উম্মাত বলে) চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে। কিন্তু এরপরই তাদের ও আমার মাঝে প্রতিবন্ধকতা দাড় করে দেয়া হবে।
আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, আমি হাদীস বর্ণনা করছিলাম, এমন সময় নু’মান ইব্‌নু আবূ আয়াস আমার নিকট হতে এ হাদীসটি শুনে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি সাহ্‌ল থেকে হাদীসটি এরূপ শুনেছেন। আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন সে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) - কে এ হাদীসে অতিরিক্ত বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বলবেনঃ এরা তো আমারই অনুসারী। তখন বলা হবে, আপনি নিশ্চয় জানেন না যে, আপনার পরে এরা দ্বীনের মধ্যে কি পরিবর্তন করেছে। এ শুনে আমি বলব, যারা আমার পরে পরিবর্তন করেছে, তারা দূর হোক, দূর হোক। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৪)

৭০৫১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَمَنْ وَرَدَهُ شَرِبَ مِنْهُ وَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهُ أَبَدًا لَيَرِدُ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَسَمِعَنِي النُّعْمَانُ بْنُ أَبِي عَيَّاشٍ وَأَنَا أُحَدِّثُهُمْ هَذَا فَقَالَ هَكَذَا سَمِعْتَ سَهْلاً فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ لَسَمِعْتُهُ يَزِيدُ فِيهِ قَالَ إِنَّهُمْ مِنِّي فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ بَدَّلَ بَعْدِي.

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি যে, আমি হাউজের ধারে তোমাদের আগে হাজির থাকব। যে সেখানে হাজির হবে, সে সেখান থেকে পান করার সুযোগ পাবে। আর যে একবার সে হাউজ থেকে পান করবে সে কখনই পিপাসিত হবে না। অবশ্যই এমন কিছু দল আমার কাছে হাজির হবে যাদের আমি (আমার উম্মাত বলে) চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে। কিন্তু এরপরই তাদের ও আমার মাঝে প্রতিবন্ধকতা দাড় করে দেয়া হবে।
আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, আমি হাদীস বর্ণনা করছিলাম, এমন সময় নু’মান ইব্‌নু আবূ আয়াস আমার নিকট হতে এ হাদীসটি শুনে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি সাহ্‌ল থেকে হাদীসটি এরূপ শুনেছেন। আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন সে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) - কে এ হাদীসে অতিরিক্ত বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বলবেনঃ এরা তো আমারই অনুসারী। তখন বলা হবে, আপনি নিশ্চয় জানেন না যে, আপনার পরে এরা দ্বীনের মধ্যে কি পরিবর্তন করেছে। এ শুনে আমি বলব, যারা আমার পরে পরিবর্তন করেছে, তারা দূর হোক, দূর হোক।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৪)
৯২/ পরিচ্ছেদঃ নাবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ আমার পরে তোমরা এমন কিছু দেখতে পাবে, যা তোমরা পছন্দ করবে না। ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) বলেন, নাবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ধৈর্য ধারণ কর যতক্ষণ না হাউযের ধারে আমার সঙ্গে মিলিত হও।

৭০৫২

সহিহ হাদিস
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً وَأُمُورًا تُنْكِرُونَهَا قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَدُّوا إِلَيْهِمْ حَقَّهُمْ وَسَلُوا اللهَ حَقَّكُم

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেছেনঃ আমার পরে তোমরা অবশ্যই ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতা লক্ষ‍্য করবে। এবং এমন কিছু বিষয় দেখতে পাবে, যা তোমরা পছন্দ করবে না। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাহলে আমাদের জন্য কী হুকুম করছেন? উত্তরে তিনি বললেনঃ তাদের হক পূর্ণরূপে আদায় করবে, আর তোমাদের হক আল্লাহ্‌র কাছে চাইবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৫)

৭০৫৩

সহিহ হাদিস
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ الْجَعْدِ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ كَرِهَ مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا فَلْيَصْبِرْ فَإِنَّهُ مَنْ خَرَجَ مِنْ السُّلْطَانِ شِبْرًا مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً.

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক যদি ‘আমীরের কোন কিছু অপছন্দ করে, তাহলে সে যেন ধৈর্য ধারণ করে। কেননা, যে লোক সুলতানের আনুগত্য থেকে এক বিঘতও সরে যাবে, তার মৃত্যু হবে জাহিলী যুগের মৃত্যুর মত। [১৫৪][৭০৫৪, ৭১৪৩; মুসলিম ৩৩/১৩, হাঃ ১৮৪৯, আহমাদ ২৪৮৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৬)
[১৫৪] মুসলিম শাসকের ভুল বা অন্যায় কার্যকলাপের জন্য প্রতিবাদ করা যাবে এই উদ্দেশ্যে যে, তিনি যেন সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকেন, কিন্তু তার আনুগত্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিদ্রোহ করা যাবে না, করলে অমুসলিমের মৃত্যু বরণ করতে হবে।

৭০৫৪

সহিহ হাদিস
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ حَدَّثَنِي أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ رَأَى مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَصْبِرْ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَمَاتَ إِلاَّ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً.

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নিজ আমীরের কাছ থেকে অপছন্দনীয় কিছু দেখবে সে যেন তাতে ধৈর্য ধারণ করে। কেননা, যে লোক জামাআত থেকে এক বিঘতও বিচ্ছিন্ন হবে তার মৃত্যু হবে জাহিলী মৃত্যুর মত। [৭০৫৩; মুসলিম ৩৩/১৩, হাঃ ১৮৪৯, আহমাদ ২৪৮৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৭)

৭০৫৫

সহিহ হাদিস
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ بُكَيْرٍ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ جُنَادَةَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَهُوَ مَرِيضٌ قُلْنَا أَصْلَحَكَ اللهُ حَدِّثْ بِحَدِيثٍ يَنْفَعُكَ اللهُ بِهِ سَمِعْتَهُ مِنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ دَعَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَبَايَعْنَاهُ

জুনাদাহ ইব্‌নু আবূ উমাইয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘উবাদাহ ইব্‌নু সামিত (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। তখন তিনি অসুস্থ ছিলেন। আমরা বললাম, আল্লাহ্‌ আপনাকে সুস্থ করে দিন। আপনি আমাদের এমন একটি হাদীস বর্ণনা করুন, যদ্‌দ্বারা আল্লাহ আপনাকে উপকৃত করবেন এবং যা আপনি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছেন। তিনি বলেন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের আহবান করলেন। আমরা তাঁর কাছে বাই’আত করলাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৫ প্রথমাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৮)

৭০৫৬

সহিহ হাদিস
فَقَالَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ بَايَعَنَا عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي مَنْشَطِنَا وَمَكْرَهِنَا وَعُسْرِنَا وَيُسْرِنَا وَأَثَرَةً عَلَيْنَا وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ إِلاَّ أَنْ تَرَوْا كُفْرًا بَوَاحًا عِنْدَكُمْ مِنْ اللهِ فِيهِ بُرْهَانٌ.

জুনাদাহ ইব্‌নু আবূ উমাইয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এরপর তিনি (‘উবাদাহ) বললেন, আমাদের থেকে যে ওয়াদা তিনি গ্রহণ করেছিলেন তাতে ছিল যে, আমরা আমাদের সুখে-দুঃখে, বেদনায় ও আনন্দে এবং আমাদের উপর অন্যকে আগ্রাধিকার দিলেও পূর্ণরূপে শোনা ও মানার উপর বাই’আত করলাম। আরো (বাই’আত করলাম) যে আমার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ঝগড়া করব না। কিন্তু যদি স্পষ্ট কুফ্‌রী দেখ, তোমাদের কাছে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান, তাহলে আলাদা কথা।[৭২০০; মুসলিম ২৯/৯, হাঃ ১৭০৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৫ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৮)

৭০৫৭

সহিহ হাদিস
مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ اسْتَعْمَلْتَ فُلاَنًا وَلَمْ تَسْتَعْمِلْنِي قَالَ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوْنِي.

উসায়দ ইব্‌নু হুযায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, এক লোক নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি অমুক লোককে হাকাম নিযুক্ত করলেন, অথচ আমাকে নিযুক্ত করলেন না। তখন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই তোমরা আমার পর নিজের অগ্রাধিকার পাওয়ার চেষ্টা করবে। সে সময় তোমরা ধৈর্য ধরবে, যতক্ষণ না আমার সাথে মিলিত হও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৯)
৯২/ পরিচ্ছেদঃ নাবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ কতকগুলো বুদ্ধিহীন বালকের হাতে আমার উম্মাত ধ্বংস হবে।

৭০৫৮

সহিহ হাদিস
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ قَالَ أَخْبَرَنِي جَدِّي قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ وَمَعَنَا مَرْوَانُ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ الصَّادِقَ الْمَصْدُوقَ يَقُولُ هَلَكَةُ أُمَّتِي عَلَى يَدَيْ غِلْمَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَقَالَ مَرْوَانُ لَعْنَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ غِلْمَةً فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لَوْ شِئْتُ أَنْ أَقُولَ بَنِي فُلاَنٍ وَبَنِي فُلاَنٍ لَفَعَلْتُ فَكُنْتُ أَخْرُجُ مَعَ جَدِّي إِلَى بَنِي مَرْوَانَ حِينَ مُلِّكُوا بِالشَّأْمِ فَإِذَا رَآهُمْ غِلْمَانًا أَحْدَاثًا قَالَ لَنَا عَسَى هَؤُلاَءِ أَنْ يَكُونُوا مِنْهُمْ قُلْنَا أَنْتَ أَعْلَمُ.

আম্‌র ইব্‌নু ইয়াহ্‌ইয়া ইব্‌নু সা‘ঈদ ইব্‌নু ‘আম্‌র ইব্‌নু সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার দাদা আমাকে জানিয়েছেন যে, আমি আবূ হুরায়রা্‌ (রাঃ)-এর সঙ্গে মদিনায় নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাসজিদে উপবিষ্ট ছিলাম। আমাদের সঙ্গে মারওয়ানও ছিল। এ সময় আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি ‘আস্‌-সাদিকুল মাস্‌দুক’ (সত্যবাদী ও সত্যবাদী হিসাবে স্বীকৃত) - কে বলতে শুনেছি আমার উম্মাতের ধ্বংস কুরাইশের কতক বালকের হাতে হবে। তখন মারওয়ান বলল, এ সব বালকের প্রতি আল্লাহ্‌র ‘লা’নত’ বর্ষিত হোক। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি যদি বলার ইচ্ছা করি যে তারা অমুক অমুক গোত্রের লোক তাহলে বলতে সক্ষম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮০)
‘আম্‌র ইব্‌নু ইয়াহ্‌ইয়া বলেন, মারওয়ান যখন সিরিয়ায় ক্ষমতায় আসীন হল, তখন আমি আমার দাদার সাথে তাদের সেখানে গেলাম। তিনি যখন তাদের কম বয়সের বালক দেখতে পেলেন, তখন তিনি আমাদের বললেন, সম্ভবত এরা ঐ দলেরই লোক। আমরা বললাম, এ ব্যাপারে আপনিই ভাল জানেন।
৯২/ পরিচ্ছেদঃ নাবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ আরবরা অতি নিকটবর্তী এক দুর্যোগে হালাক হয়ে যাবে।

৭০৫৯

সহিহ হাদিস
مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ أَنَّهُ سَمِعَ الزُّهْرِيَّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ نَّ أَنَّهَا قَالَتْ اسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ النَّوْمِ مُحْمَرًّا وَجْهُهُ يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدْ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ وَعَقَدَ سُفْيَانُ تِسْعِينَ أَوْ مِائَةً قِيلَ أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ قَالَ نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ.

যাইনাব বিন্‌ত জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তবর্ণ চেহারা নিয়ে ঘুম থেকে জাগলেন এবং বলতে লাগলেন, ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্‌’! আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ্‌ নেই। নিকটবর্তী এক দুর্যোগে আরব ধ্বংস হয়ে যাবে। ইয়াজূজ-মা‘জূজের (প্রতিরোধ) প্রাচীর আজ এতটুকু পরিমাণ খুলে গেছে। সুফ্‌ইয়ান নব্বই কিংবা একশ’র রেখায় আঙ্গুল রেখে গিঁট বানিয়ে দেখলেন। জিজ্ঞাসা করা হল, আমরা কি ধ্বংস হয়ে যাব অথচ আমাদের মাঝে নেককার লোকও থাকবে? নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, যখন পাপাচার বেড়ে যাবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮১)

৭০৬০

সহিহ হাদিস
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ ح و حَدَّثَنِي مَحْمُودٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ أَشْرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى قَالُوا لاَ قَالَ فَإِنِّي لأَرَى الْفِتَنَ تَقَعُ خِلاَلَ بُيُوتِكُمْ كَوَقْعِ الْقَطْرِ.

উসামাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহর টিলাসমূহের একটির উপর উঠে বললেন, আমি যা দেখি তোমরা কি তা দেখতে পাও? উত্তরে সাহাবা-ই-কিরাম বললেন, না। তখন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ অবশ্যই আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমাদের ঘরগুলোর ফাঁকে ফাঁকে ফিত্‌না বৃষ্টির মতো পতিত হচ্ছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন