তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান কালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ সালাত আদায় করি।

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মদীনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’রাক’আত, দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। (রাবী বলেন) আমি (আনাস রা.)-কে বললাম, আপনারা (হজ্জকালীন সময়) মক্কায় কয় দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বললেন, সেখানে আমরা দশ দিন অবস্থান করেছিলাম।

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বক্‌র এবং ‘উমর (রাঃ)-এর সঙ্গে মিনায় দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছি। উসমান (রাঃ)-এর সঙ্গেও তাঁর খিলাফতের প্রথম দিকে দু’রাক’আত আদায় করেছি। অতঃপর তিনি পূর্ণ সালাত আদায় করতে লাগলেন।

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিরাপদ অবস্থায় আমাদেরকে নিয়ে মিনায় দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন।

আমি আবদুর রহমান ইব্‌নু ইয়াযীদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘উসমান ইব্‌নু ‘আফ্‌ফান (রাঃ) আমাদেরকে নিয়ে মিনায় চার রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর এ সম্পর্কে ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস’উদ (রাঃ)-কে বলা হলো, তিনি প্রথমে ‘ইন্না লিল্লাহ্‌’ পড়লেন, অতঃপর বললেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে মিনায় দু’রাক’আত পড়েছি এবং ‘উমর ইব্‌নু খাত্তাব (রাঃ)-এর সঙ্গে মিনায় দু’রাক’আত পড়েছি। কতই না ভাল হতো যদি চার রাক’আতের পরিবর্তে দু’রাক’আত মাকবূল সালাত হতো।

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ (যুল হিজ্জার) ৪র্থ তারিখ সকালে (মক্কায়) আগমন করেন এবং তাঁরা হাজ্জের জন্য তালবীয়া পাঠ করতে থাকেন। অতঃপর তিনি তাঁদের হাজ্জকে ‘উমরায় পরিণত করার আদেশ দেন। তবে তারা ব্যতীত যাঁদের নিকট হাদী (কুরবানীর পশু) ছিল। হাদীস বর্ণনায় ‘আতা (রহঃ) জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন নারীই যেন মাহ্‌রামকে [২] সঙ্গে না নিয়ে তিন দিনের সফর না করে।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলার সাথে কোন মাহ্‌রাম পুরুষ না থাকলে, সে যেন তিন দিনের সফর না করে। আহ্‌মাদ (রহঃ)....ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস বর্ণনায় ‘উবাইদুল্লাহ্ (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ্‌ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মাহ্‌রাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে একদিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়। ইয়াহ্ইয়া ইব্‌নু আবূ কাসীর সুহায়ল ও মালিক (রহঃ)….হাদীস বর্ণনায় ইব্‌নু আবূ যিব (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।