hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ বুখারী

৬৩. আনসারগণের মর্যাদা

صحيح البخاري

৬৩/ পরিচ্ছেদঃ আনসারগণের মর্যাদা।

আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর যারা মুহাজিরগণের আগমনের পূর্ব হতেই এ নগরীতে (মদীনাতে) বসবাস করেছে ও ঈমান এনেছে এবং মুহাজিরগণকে ভালবাসে আর মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে তার জন্য তারা অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না। (আল-হাশর ৯)

৩৭৭৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيْرٍ قَالَ قُلْتُ لِأَنَسٍ أَرَأَيْتَ اسْمَ الأَنْصَارِ كُنْتُمْ تُسَمَّوْنَ بِهِ أَمْ سَمَّاكُمْ اللهُ قَالَ بَلْ سَمَّانَا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ كُنَّا نَدْخُلُ عَلَى أَنَسٍ فَيُحَدِّثُنَا بِمَنَاقِبِ الأَنْصَارِ وَمَشَاهِدِهِمْ وَيُقْبِلُ عَلَيَّ أَوْ عَلَى رَجُلٍ مِنْ الأَزْدِ فَيَقُوْلُ فَعَلَ قَوْمُكَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا وَكَذَا

গাইলান ইব্‌নু জারীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) - কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের আনসার নামকরণ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী? এ নাম কি আপনারা করেছেন, না আল্লাহ্ আপনাদের এ নামকরণ করেছেন? আনাস (রাঃ) বললেন, বরং আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের এ নামকরণ করেছেন। [গাইলান (রহঃ) বলেন] আমরা যখন আনাস (রাঃ) - এর নিকট যেতাম, তখন তিনি আমাদেরকে আনসারদের গুণাবলী ও কার্যাবলী বর্ণনা করে শুনাতেন। তিনি আমাকে অথবা আয্‌দ গোত্রের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলতেন, তোমার গোত্র অমুক দিন অমুক কাজ করেছেন, অমুক দিন অমুক কাজ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৯৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০২)

৩৭৭৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِيْ عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ يَوْمُ بُعَاثَ يَوْمًا قَدَّمَهُ اللهُ لِرَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم فَقَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ افْتَرَقَ مَلَؤُهُمْ وَقُتِلَتْ سَرَوَاتُهُمْ وَجُرِّحُوْا فَقَدَّمَهُ اللهُ لِرَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ دُخُوْلِهِمْ فِي الْإِسْلَامِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বু’আস যুদ্ধ এমন একটি যুদ্ধ ছিল, যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর মদীনা আগমনের পূর্বেই ঘটিয়েছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনায় আগমন করলেন তখন সেখানকার গণ্যমান্য ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নানা দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ এ যুদ্ধে নিহত ও আহত হয়েছিল। তাদের ইসলাম গ্রহণকে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর জন্য অনুকূল করে দিয়েছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৯৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০৩)

৩৭৭৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيْدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُوْلُ قَالَتْ الأَنْصَارُ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَأَعْطَى قُرَيْشًا وَاللهِ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْعَجَبُ إِنَّ سُيُوفَنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَاءِ قُرَيْشٍ وَغَنَائِمُنَا تُرَدُّ عَلَيْهِمْ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا الأَنْصَارَ قَالَ فَقَالَ مَا الَّذِيْ بَلَغَنِيْ عَنْكُمْ وَكَانُوْا لَا يَكْذِبُوْنَ فَقَالُوْا هُوَ الَّذِيْ بَلَغَكَ قَالَ أَوَلَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالْغَنَائِمِ إِلَى بُيُوْتِهِمْ وَتَرْجِعُوْنَ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى بُيُوْتِكُمْ لَوْ سَلَكَتْ الأَنْصَارُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ أَوْ شِعْبَهُمْ

আবূ তাইয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) - কে বলতে শুনেছি, মক্কাহ বিজয়ের দিন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরাইশদেরকে মালে গনীমত দিলে কিছু সংখ্যক আনসার বলেছিলেন যে, এ বড় আশ্চর্যের বিষয় যে, তিনি কুরাইশদের মাল দিলেন অথচ আমাদের তলোয়ার হতে তাদের রক্ত এখনও ঝরছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট এ কথা পৌঁছলে তিনি আনসারদেরকে ডেকে বললেন, আমি তোমাদের হতে যে কথাটি শুনতে পেলাম, সে কথাটি কী? যেহেতু তাঁরা মিথ্যা কথা বলতেন না, সেহেতু তাঁরা বললেন, আপনার নিকট যা পৌঁছেছে তা সত্যই। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকজন গনীমতের মাল নিয়ে তাদের ঘরে ফিরে যাবে আর তোমরা আল্লাহ্‌র রসূলকে নিয়ে নিজ ঘরে ফিরবে। যদি আনসারগণ উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়ে চলে তবে আমি আনসারদের উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়েই চলব। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৯৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০৪)
৬৩/ পরিচ্ছেদঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর উক্তিঃ যদি হিজরত না হত তাহলে আমি আনসারদেরই একজন হতাম।

আবদুল্লাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একথা বর্ণনা করেছেন।

৩৭৭৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ لَوْ أَنَّ الأَنْصَارَ سَلَكُوْا وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ فِيْ وَادِي الأَنْصَارِ وَلَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنْ الأَنْصَارِ فَقَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ مَا ظَلَمَ بِأَبِيْ وَأُمِّيْ آوَوْهُ وَنَصَرُوْهُ أَوْ كَلِمَةً أُخْرَى

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অথবা তিনি বলেছেন, আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আনসারগণ যদি কোন উপত্যকা বা গিরিপথে চলে তবে আমি আনসারদের উপত্যকা দিয়েই চলব। যদি হিজরত না হত, তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথায় কোন অত্যুক্তি করেননি। আমার মাতা-পিতা তাঁর উপর কুরবান হোক তারা তাঁকে আশ্রয় দিয়েছেন, সর্বতোভাবে সাহায্য করেছেন। কিংবা এমন কিছু বলেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৯৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০৫)
৬৩/ পরিচ্ছেদঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক মুহাজির ও আনসারগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন।

৩৭৮২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُوْ هَمَّامٍ قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيْرَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَتْ الأَنْصَارُ اقْسِمْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ النَّخْلَ قَالَ لَا قَالَ يَكْفُوْنَنَا الْمَئُوْنَةَ وَيُشْرِكُوْنَنَا فِي التَّمْرِ قَالُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনসারগণ বললেন, আমাদের খেজুরের বাগানগুলি আমাদের এবং তাদের (মুহাজিরদের) মাঝে বন্টন করে দিন। তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বললেন, না, তখন আনসারগণ বললেন, আপনারা বাগানগুলির রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের সাহায্য করুন এবং ফসলের অংশীদার হয়ে যান। মুহাজিরগণ বললেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০৮)

৩৭৮০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ لَمَّا قَدِمُوْا الْمَدِيْنَةَ آخَى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَسَعْدِ بْنِ الرَّبِيْعِ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّيْ أَكْثَرُ الأَنْصَارِ مَالًا فَأَقْسِمُ مَالِيْ نِصْفَيْنِ وَلِيْ امْرَأَتَانِ فَانْظُرْ أَعْجَبَهُمَا إِلَيْكَ فَسَمِّهَا لِيْ أُطَلِّقْهَا فَإِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا فَتَزَوَّجْهَا قَالَ بَارَكَ اللهُ لَكَ فِيْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ أَيْنَ سُوقُكُمْ فَدَلُّوْهُ عَلَى سُوقِ بَنِيْ قَيْنُقَاعَ فَمَا انْقَلَبَ إِلَّا وَمَعَهُ فَضْلٌ مِنْ أَقِطٍ وَسَمْنٍ ثُمَّ تَابَعَ الْغُدُوَّ ثُمَّ جَاءَ يَوْمًا وَبِهِ أَثَرُ صُفْرَةٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَهْيَمْ قَالَ تَزَوَّجْتُ قَالَ كَمْ سُقْتَ إِلَيْهَا قَالَ نَوَاةً مِنْ ذَهَبٍ أَوْ وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ شَكَّ إِبْرَاهِيْمُ

‘আবদুর রহমান ইব্‌নু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন মুহাজিরগণ মদীনায় আগমন করলেন, তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর রাহমান ইব্‌নু ‘আউফ ও সা’দ ইব্‌নু রাবী’ (রাঃ) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করে দিলেন। তখন তিনি [সা’দ (রাঃ)] ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) কে বললেন, আনসারদের মধ্যে আমিই সব থেকে বেশি সম্পদের অধিকারী। আপনি আমার সম্পদকে দু’ভাগ করে নিন। আমার দু’জন স্ত্রী রয়েছে, আপনার যাকে পছন্দ হয় বলুন, আমি তাকে তালাক দিয়ে দিব। ইদ্দত শেষে আপনি তাকে বিয়ে করে নিবেন। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বললেন, আল্লাহ আপনার পরিবারে এবং সম্পদে বরকত দান করুন। আপনাদের বাজার কোথায়? তারা তাঁকে বনূ কায়নুকার বাজার দেখিয়ে দিলেন। যখন ঘরে ফিরলেন তখন কিছু পনির ও কিছু ঘি সাথে নিয়ে ফিরলেন। এরপর প্রতিদিন সকাল বেলা বাজার যেতে লাগলেন। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম - এর কাছে এমন অবস্থায় আসলেন যে, তাঁর শরীর ও কাপড়ে হলুদ রং এর চিহ্ন ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ব্যাপার কী! তিনি (রাঃ) বললেন, আমি বিয়ে করেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তাকে কী পরিমাণ মাহর দিয়েছ? তিনি বললেন, খেজুরের এক আঁটির পরিমাণ অথবা খেজুরের এক আঁটির ওজন পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েছি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৯৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০৬)

৩৭৮১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَآخَى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيْعِ وَكَانَ كَثِيْرَ الْمَالِ فَقَالَ سَعْدٌ قَدْ عَلِمَتْ الأَنْصَارُ أَنِّيْ مِنْ أَكْثَرِهَا مَالًا سَأَقْسِمُ مَالِيْ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَ شَطْرَيْنِ وَلِيْ امْرَأَتَانِ فَانْظُرْ أَعْجَبَهُمَا إِلَيْكَ فَأُطَلِّقُهَا حَتَّى إِذَا حَلَّتْ تَزَوَّجْتَهَا فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بَارَكَ اللهُ لَكَ فِيْ أَهْلِكَ فَلَمْ يَرْجِعْ يَوْمَئِذٍ حَتَّى أَفْضَلَ شَيْئًا مِنْ سَمْنٍ وَأَقِطٍ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَسِيْرًا حَتَّى جَاءَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ وَضَرٌ مِنْ صُفْرَةٍ فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَهْيَمْ قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنْ الأَنْصَارِ فَقَالَ مَا سُقْتَ إِلَيْهَا قَالَ وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ نَوَاةً مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুর রাহমান ইব্‌নু আউফ (রাঃ) হিজরত করে আমাদের কাছে এলে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ও সা’দ ইব্‌নু রাবী’ (রাঃ) - এর মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জুড়ে দিলেন। সাদ (রাঃ) ছিলেন অনেক সম্পদশালী। সা’দ (রাঃ) বললেন, সকল আনসারগণ জানেন যে আমি তাঁদের মধ্যে অধিক সম্পদশালী। আমি শীঘ্রই আমার ও তোমার মাঝে আমার সম্পদ ভাগাভাগি করে দিব দুই ভাগে। আমার দু’জন স্ত্রী রয়েছে; তোমার যাকে পছন্দ হয় বল, আমি তাকে তালাক দিয়ে দিব। ইদ্দত শেষে তুমি তাকে বিয়ে করে নিবে। ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্ আপনার পরিবার পরিজনের মধ্যে বরকত দান করুন। ব্যবসা আরম্ভ করে বাজার হতে মুনাফা স্বরূপ ঘি ও পনির সাথে নিয়ে ফিরলেন। অল্প কয়েকদিন পর তিনি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট হাযির হলেন। তখন তাঁর শরীরে ও কাপড়ে হলুদ রংয়ের চিহ্ন ছিল। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কী? তিনি বললেন, আমি একজন আনসারী মহিলাকে বিয়ে করেছি। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাঁকে কী পরিমাণ মাহর দিয়েছ? তিনি বললেন, খেজুরের এক আঁটির ওজন পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েছি অথবা একটি আঁটি পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েছি। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, একটি বকরী দিয়ে হলেও ওয়ালীমা কর। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৯৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০৭)
৬৩/ পরিচ্ছেদঃ আনসারগণকে ভালবাসা।

৩৭৮৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَبْرٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ آيَةُ الْإِيْمَانِ حُبُّ الأَنْصَارِ وَآيَةُ النِّفَاقِ بُغْضُ الأَنْصَارِ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আনসারদের প্রতি ভালবাসা ঈমানেরই নিদর্শন এবং তাঁদের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ রাখা মুনাফিকীর নিদর্শন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫১০)

৩৭৮৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الأَنْصَارُ لَا يُحِبُّهُمْ إِلَّا مُؤْمِنٌ وَلَا يُبْغِضُهُمْ إِلَّا مُنَافِقٌ فَمَنْ أَحَبَّهُمْ أَحَبَّهُ اللهُ وَمَنْ أَبْغَضَهُمْ أَبْغَضَهُ اللهُ

বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বলতে শুনেছি, মু’মিন ছাড়া আনসারদেরকে কেউ ভালবাসবে না এবং মুনাফিক ছাড়া কেউ তাঁদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে না। যে ব্যক্তি তাঁদেরকে ভালবাসবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ভালবাসবেন আর যে ব্যক্তি তাঁদের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ঘৃণা করবেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন