hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ বুখারী

৬৪. মাগাযী

صحيح البخاري

৬৪/ পরিচ্ছেদঃ ‘উশায়রাহ বা ‘উসাইরাহ্‌র যুদ্ধ

ইব্‌নু ইসহাক (রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম আবওয়া-র যুদ্ধ করেন, অতঃপর তিনি বুওয়াত্ব, অতঃপর ‘উশায়রার যুদ্ধ করেন।

৩৯৪৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، كُنْتُ إِلَى جَنْبِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، فَقِيلَ لَهُ كَمْ غَزَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَزْوَةٍ قَالَ تِسْعَ عَشْرَةَ‏.‏ قِيلَ كَمْ غَزَوْتَ أَنْتَ مَعَهُ قَالَ سَبْعَ عَشْرَةَ‏.‏ قُلْتُ فَأَيُّهُمْ كَانَتْ أَوَّلَ قَالَ الْعُسَيْرَةُ أَوِ الْعُشَيْرُ‏.‏ فَذَكَرْتُ لِقَتَادَةَ فَقَالَ الْعُشَيْرُ‏.‏

আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যায়দ ইব্‌নু আরকামের পাশে ছিলাম। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়টি যুদ্ধ করেছেন? তিনি বললেন, ঊনিশটি। আবার জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কয়টি যুদ্ধে তাঁর সঙ্গে ছিলেন? তিনি বললেন, সতেরটিতে। বললাম, এসব যুদ্ধের কোনটি সর্বপ্রথম সংগঠিত হয়েছিল? তিনি বললেন, ‘উশাইরাহ বা ‘উশায়র। বিষয়টি আমি ক্বাতাদাহ (রহঃ)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনিও বললেন, ‘উশায়র।[৪৪০৪, ৪৪৭১; মুসলিম ১৫/৩৫, হাঃ ১২৫৪] (আ.প্র. ৩৬৫৮, ই.ফা. ৩৬৬১)
৬৪/ পরিচ্ছেদঃ বাদ্‌র যুদ্ধে নিহতদের ব্যাপারে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

৩৯৫০

সহিহ হাদিস
أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ مَيْمُوْنٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُوْدٍ حَدَّثَ عَنْ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ أَنَّهُ قَالَ كَانَ صَدِيْقًا لِأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ وَكَانَ أُمَيَّةُ إِذَا مَرَّ بِالْمَدِيْنَةِ نَزَلَ عَلَى سَعْدٍ وَكَانَ سَعْدٌ إِذَا مَرَّ بِمَكَّةَ نَزَلَ عَلَى أُمَيَّةَ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ انْطَلَقَ سَعْدٌ مُعْتَمِرًا فَنَزَلَ عَلَى أُمَيَّةَ بِمَكَّةَ فَقَالَ لِأُمَيَّةَ انْظُرْ لِيْ سَاعَةَ خَلْوَةٍ لَعَلِّيْ أَنْ أَطُوْفَ بِالْبَيْتِ فَخَرَجَ بِهِ قَرِيْبًا مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ فَلَقِيَهُمَا أَبُوْ جَهْلٍ فَقَالَ يَا أَبَا صَفْوَانَ مَنْ هَذَا مَعَكَ فَقَالَ هَذَا سَعْدٌ فَقَالَ لَهُ أَبُوْ جَهْلٍ أَلَا أَرَاكَ تَطُوْفُ بِمَكَّةَ آمِنًا وَقَدْ أَوَيْتُمْ الصُّبَاةَ وَزَعَمْتُمْ أَنَّكُمْ تَنْصُرُوْنَهُمْ وَتُعِيْنُوْنَهُمْ أَمَا وَاللهِ لَوْلَا أَنَّكَ مَعَ أَبِيْ صَفْوَانَ مَا رَجَعْتَ إِلَى أَهْلِكَ سَالِمًا فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ وَرَفَعَ صَوْتَهُ عَلَيْهِ أَمَا وَاللهِ لَئِنْ مَنَعْتَنِيْ هَذَا َلأَمْنَعَنَّكَ مَا هُوَ أَشَدُّ عَلَيْكَ مِنْهُ طَرِيْقَكَ عَلَى الْمَدِيْنَةِ فَقَالَ لَهُ أُمَيَّةُ لَا تَرْفَعْ صَوْتَكَ يَا سَعْدُ عَلَى أَبِي الْحَكَمِ سَيِّدِ أَهْلِ الْوَادِيْ فَقَالَ سَعْدٌ دَعْنَا عَنْكَ يَا أُمَيَّةُ فَوَاللهِ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ إِنَّهُمْ قَاتِلُوْكَ قَالَ بِمَكَّةَ قَالَ لَا أَدْرِيْ فَفَزِعَ لِذَلِكَ أُمَيَّةُ فَزَعًا شَدِيْدًا فَلَمَّا رَجَعَ أُمَيَّةُ إِلَى أَهْلِهِ قَالَ يَا أُمَّ صَفْوَانَ أَلَمْ تَرَيْ مَا قَالَ لِيْ سَعْدٌ قَالَتْ وَمَا قَالَ لَكَ قَالَ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ قَاتِلِيَّ فَقُلْتُ لَهُ بِمَكَّةَ قَالَ لَا أَدْرِيْ فَقَالَ أُمَيَّةُ وَاللهِ لَا أَخْرُجُ مِنْ مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ اسْتَنْفَرَ أَبُوْ جَهْلٍ النَّاسَ قَالَ أَدْرِكُوْا عِيْرَكُمْ فَكَرِهَ أُمَيَّةُ أَنْ يَخْرُجَ فَأَتَاهُ أَبُوْ جَهْلٍ فَقَالَ يَا أَبَا صَفْوَانَ إِنَّكَ مَتَى مَا يَرَاكَ النَّاسُ قَدْ تَخَلَّفْتَ وَأَنْتَ سَيِّدُ أَهْلِ الْوَادِيْ تَخَلَّفُوْا مَعَكَ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ أَبُوْ جَهْلٍ حَتَّى قَالَ أَمَّا إِذْ غَلَبْتَنِيْ فَوَاللهِ لَأَشْتَرِيَنَّ أَجْوَدَ بَعِيْرٍ بِمَكَّةَ ثُمَّ قَالَ أُمَيَّةُ يَا أُمَّ صَفْوَانَ جَهِّزِيْنِيْ فَقَالَتْ لَهُ يَا أَبَا صَفْوَانَ وَقَدْ نَسِيْتَ مَا قَالَ لَكَ أَخُوْكَ الْيَثْرِبِيُّ قَالَ لَا مَا أُرِيْدُ أَنْ أَجُوْزَ مَعَهُمْ إِلَّا قَرِيْبًا فَلَمَّا خَرَجَ أُمَيَّةُ أَخَذَ لَا يَنْزِلُ مَنْزِلًا إِلَّا عَقَلَ بَعِيْرَهُ فَلَمْ يَزَلْ بِذَلِكَ حَتَّى قَتَلَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِبَدْرٍ

সা’দ ইব্‌নু মু‘আয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, তাঁর ও উমাইয়াহ ইব্‌নু খালফের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। উমাইয়াহ মদিনায় আসলে সা’দ ইব্‌নু মু’আযের মেহমান হত এবং সা‘দ (রাঃ) মক্কায় গেলে উমাইয়াহ্‌র আতিথ্য গ্রহণ করতেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদিনায় হিজরাত করার পর একবার সা‘দ (রাঃ) ‘উমরাহ করার উদ্দেশ্যে মাক্কাহ গেলেন এবং উমাইয়াহ্‌র বাড়িতে অবস্থান করলেন। তিনি উমাইয়াহ্‌কে বললেন, আমাকে এমন একটি নিরিবিলি সময়ের কথা বল যখন আমি বাইতুল্লাহ্‌র তাওয়াফ করতে পারব। তাই দুপুরের কাছাকাছি সময়ে একদিন উমাইয়াহ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বের হল, তখন তাদের সঙ্গে আবূ জাহলের দেখা হল। তখন সে (উমাইয়াহ্‌কে লক্ষ্য করে) বলল, হে আবূ সফ্ওয়ান! তোমার সঙ্গে ইনি কে? সে বলল, ইনি সা‘দ। তখন আবূ জাহ্‌ল তাকে (সা‘দ ইব্‌নু ম‘আযকে) বলল, আমি তোমাকে নিরাপদে মক্কায় তাওয়াফ করতে দেখছি অথচ তোমরা ধর্মত্যাগীদের আশ্রয় দিয়েছ এবং তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে চলেছ। আল্লাহ্‌র কসম, তুমি আবূ সফওয়ানের (উমাইয়াহ) সঙ্গে না থাকলে তোমার পরিজনদের কাছে নিরাপদে ফিরে যেতে পারতে না। সা‘দ (রাঃ) এর চেয়েও উচ্চঃস্বরে বললেন, আল্লাহ্‌র কসম, তুমি এতে যদি আমাকে বাধা দাও তাহলে আমিও এমন একটি বিষয়ে তোমাকে বাধা দেব যা তোমার জন্য এর চেয়েও কঠিন হবে। মাদীনাহ্‌র পার্শ্ব দিয়ে তোমার যাতায়াতের রাস্তা (বন্ধ করে দেব)। তখন উমাইয়াহ তাকে বলল, হে সা‘দ! এ উপত্যকার সর্দার আবুল হাকামের সঙ্গে এরূপ উচ্চঃস্বরে কথা বলো না। তখন সা‘দ (রাঃ) বললেন, হে উমাইয়াহ! তুমি চুপ কর। আল্লাহ্‌র কসম, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তারা তোমরা হত্যাকারী। ‘উমাইয়াহ জিজ্ঞেস করল, মক্কার বুকে? সা‘দ (রাঃ) বললেন, তা জানি না। উমাইয়াহ এতে অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। এরপর উমাইয়াহ বাড়ী গিয়ে তার (স্ত্রীকে) বলল, হে উম্মু সফওয়ান! সা‘দ আমার ব্যাপারে কি বলেছে জান? সে বলল, সা‘দ তোমাকে কী বলেছে? উমাইয়াহ বলল, সে বলেছে যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে জানিছেন যে, তারা আমার হত্যাকারী। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তা কি মক্কায়? সে বলল, তা জানি না। অতঃপর ‘উমাইয়াহ বলল, আল্লাহ্‌র কসম, আমি কখনো মাক্কাহ হতে বের হব না। কিন্তু বদর যুদ্ধের দিন আগত হলে আবূ জাহ্‌ল সকল জনসাধারণকে সদলবলে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলল, তোমরা তোমাদের কাফেলা রক্ষা করার জন্য আগ্রসর হও। উমাইয়াহ বের হওয়াকে অপছন্দ করলে আবূ জাহ্‌ল এসে তাকে বলল, হে আবূ সফ্ওয়ান। তুমি এ উপত্যকার অধিবাসীদের নেতা, তাই লোকেরা যখন দেখবে তুমি পেছনে রয়ে গেছ তখন তারাও তোমার সঙ্গে পেছনেই থেকে যাবে। এ বলে আবূ জাহ্‌ল তার সঙ্গে পীড়াপীড়ি করতে থাকলে সে বলল, তুমি যেহেতু আমাকে বাধ্য করে ফেলছ তাই আল্লাহ্‌র কসম! অবশ্যই আমি এমন একটি উষ্ট্র ক্রয় করব যা মক্কার মধ্যে সবচেয়ে ভাল। এরপর উমাইয়াহ (স্ত্রীকে) বলল, হে উম্মু সফ্‌ওয়ান! আমার সফরের ব্যবস্থা কর। স্ত্রী বলল, হে আবূ সফ্‌ওয়ান! তোমার মাদীনাহবাসী ভাই যা বলেছিলেন তা কি তুমি ভুলে গিয়েছ? সে বলল, না। আমি তাদের সঙ্গে মাত্র কিছু দূর যেতে চাই। রওয়ানা হওয়ার পর রাস্তায় যে মান্‌যিলেই উমাইয়াহ কিছুক্ষণ অবস্থান করেছে সেখানেই সে তার উট বেঁধে রেখেছে। সারা রাস্তায় সে এমন করল, শেষে বদর প্রান্তরে মহান আল্লাহ্‌ তাকে হত্যা করলেন। [৩৬৩২] (আ.প্র. ৩৬৫৯, ই.ফা. ৩৬৬২)
৬৪/ পরিচ্ছেদঃ বদর যুদ্ধের ঘটনা ও মহান আল্লাহ্‌র বাণী

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “আর এ তো সুনিশ্চিত যে, আল্লাহ বাদ্‌র যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছিলেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর, যেন তোমরা শুকরগুজারী করতে পার। স্মরণ কর, তুমি মু’মিনদের বলেছিলেঃ তোমাদের জন্য একি যথেষ্ট নয় যে, আসমান হতে অবতীর্ণ হওয়া তিন হাজার মালায়িকাহ দিয়ে তোমাদের রব তোমাদের সাহায্য করবেন? হ্যাঁ, অবশ্যই। যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাক্ওয়া অবলম্বন কর; তবে কাফির বাহিনী অতর্কিতে তোমাদের উপর আক্রমণ করলে আল্লাহ পাঁচ হাজার চিহ্নিত মালায়িকাহ দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন। এটা তো আল্লাহ শুধু এজন্য করেছেন যেন তোমাদের জন্য সুসংবাদ হয়, যাতে তোমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। আর সাহায্য তো শুধুমাত্র পরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞ আল্লাহ্‌র তরফ হতে হয়ে থাকে। যাতে ধ্বংস করে দেন কাফিরদের কোন দলকে অথবা লাঞ্ছিত করে দেন তাদের, যেন তারা নিরাশ হয়ে ফিরে যায়।” (সূরা আলে ‘ইমরান ৩/১২৩-১২৭) ওয়াহশী (রাঃ) বলেন, বাদ্‌র যুদ্ধের দিন হাম্‌যাহ (রাঃ) তু’আয়মা ইব্‌নু আদী ইব্‌নু খিয়ারকে হত্যা করেছিলেন। আল্লাহ্‌র বানীঃ “স্মরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে ওয়াদা করেছিলেন যে, দু’টি দলের একটি তোমাদের করতলগত হবে।” (সূরা আনফাল ৮/৭)

৩৯৫১

সহিহ হাদিস
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةٍ غَزَاهَا إِلَّا فِيْ غَزْوَةِ تَبُوْكَ غَيْرَ أَنِّيْ تَخَلَّفْتُ عَنْ غَزْوَةِ بَدْرٍ وَلَمْ يُعَاتَبْ أَحَدٌ تَخَلَّفَ عَنْهَا إِنَّمَا خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرِيْدُ عِيْرَ قُرَيْشٍ حَتَّى جَمَعَ اللهُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّهِمْ عَلَى غَيْرِ مِيْعَادٍ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু কা’ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কা’ব ইব্‌নু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সব যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে তাবূকের যুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোন যুদ্ধে আমি অনুপস্থিত ছিলাম না। তবে বদর যুদ্ধে আমি অনুপস্থিত ছিলাম। কিন্তু বদর যুদ্ধে যারা যোগদান করেননি তাদেরকে কোন প্রকার দোষারোপ করা হয়নি। আসলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরাইশ কাফিলার উদ্দেশ্যেই যাত্রা করেছিলেন। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা ব্যতীতই আল্লাহ্ তা’আলা তাদের (মুসলিমদের) সঙ্গে তাদের দুশমনদের মুকাবালা করিয়ে দেন। [২৭৫৭] (আ.প্র. ৩৬৬০, ই.ফা. ৩৬৬৩)
৬৪/ পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ

স্মরণ কর, তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করছিলে তোমাদের রবের কাছে, তিনি তোমাদের প্রার্থনার জবাবে বললেনঃ অবশ্যই আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার মালায়িকাহ দিয়ে, যারা ক্রমান্বয়ে এসে পৌঁছবে। আর আল্লাহ্ এ সাহায্য করলেন শুধু সুসংবাদ দেয়ার জন্য এবং যেন তোমাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। আর সাহায্য তো কেবল আল্লাহ্‌র তরফ হতেই হয়। নিশ্চয় আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, হিকমাতওয়ালা। স্মরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করেন নিজের পক্ষ হতে স্বস্তি প্রদানের জন্য এবং তোমাদের উপর আসমান হতে পানি বর্ষণ করেন তা দিয়ে তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্য এবং যাতে তোমাদের হতে অপসারিত করে দেন শায়ত্বনের কুমন্ত্রণা, আর যাতে তোমাদের অন্তর সুদৃঢ় করেন এবং যার ফলে তোমাদের পা স্থির করে দিতে পারেন। স্মরণ কর, তোমার রব মালায়িকাহ্‌কে প্রত্যাদেশ করেন- নিশ্চয় আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, সুতরাং মু’মিনদের দৃঢ়চিত্ত রাখ। অচিরেই আমি কাফিরদের অন্তরে আতংক সঞ্চার করে দেব, অতএব, আঘাত কর তাদের গর্দানের উপর এবং আঘাত কর তাদের আঙ্গুলির জোড়ায় জোড়ায়। (সূরা আনফাল ৮/৯-১৩)

৩৯৫২

সহিহ হাদিস
أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ مُخَارِقٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُوْدٍ يَقُوْلُ شَهِدْتُ مِنَ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ مَشْهَدًا لَأَنْ أَكُوْنَ صَاحِبَهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا عُدِلَ بِهِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَدْعُوْ عَلَى الْمُشْرِكِيْنَ فَقَالَ لَا نَقُوْلُ كَمَا قَالَ قَوْمُ مُوْسَى {اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا} وَلَكِنَّا نُقَاتِلُ عَنْ يَمِيْنِكَ وَعَنْ شِمَالِكَ وَبَيْنَ يَدَيْكَ وَخَلْفَكَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَشْرَقَ وَجْهُهُ وَسَرَّهُ يَعْنِيْ قَوْلَهُ

ইব্‌নু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মিকদাদ ইব্‌নু আসওয়াদের এমন একটি বিষয় দেখেছি যা আমি করলে তা দুনিয়ার সব কিছুর তুলনায় আমার নিকট প্রিয় হত। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের বিরুদ্ধে দু’আ করছিলেন। এতে মিকদাদ ইব্‌নু আসওয়াদ (রাঃ) বললেন, মূসা (আঃ) এর কাওম যেমন বলেছিল যে, “তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর”- (সূরা আল-মায়িদাহ ৫/২৪)। আমরা তেমন বলব না, বরং আমরা আপনার ডানে, বামে, সামনে, পিছনে সর্বদিক থেকে যুদ্ধ করব। ইব্‌নু মাস‘উদ (রাঃ) বলেন, আমি দেখলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল এবং তার কথা তাঁকে খুব আনন্দিত করল। [৪৬০৯] (আ.প্র. ৩৬৬১, ই.ফা. ৩৬৬৪)

৩৯৫৩

সহিহ হাদিস
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ حَوْشَبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ اللهُمَّ إِنِّيْ أَنْشُدُكَ عَهْدَكَ وَوَعْدَكَ اللهُمَّ إِنْ شِئْتَ لَمْ تُعْبَدْ فَأَخَذَ أَبُوْ بَكْرٍ بِيَدِهِ فَقَالَ حَسْبُكَ فَخَرَجَ وَهُوَ يَقُوْلُ {سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّوْنَ الدُّبُرَ}

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বাদ্‌রের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন, হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্‌! আপনি যদি চান (কাফিররা জয়লাভ করুক) তাহলে আপনার ‘ইবাদত আর হবে না। আবূ বকর (রাঃ) তাঁর হাত ধরে বললেন, যথেষ্ট হয়েছে। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত পড়তে পড়তে বের হলেনঃ “শীঘ্রই দুশমনরা পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে”- (সূরা ক্বামার ৫৪/৪৫)। [২৯১৫] (আ.প্র. ৩৬৬২, ই.ফা. ৩৬৬৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন