hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

খাদ্য ও পণ্য-দ্রব্যে ভেজাল ইসলামের দৃষ্টিতে এর প্রতিকার

লেখকঃ ড. মো: আবদুল কাদের

২১
১০. ইসলামী দণ্ডবিধির প্রয়োগ
ইসলাম সহনশীল ও মানবতার ধর্ম। এটা মানুষকে সর্ব প্রথম নৈতিকভাবে উজ্জীবিত করে। যাতে সে আপন ইচ্ছায় অন্যায় অপরাধ থেকে নিজেকে বিরত রাখে। তবে এ কথা সত্য যে, উপদেশ-নসীহত সকলের জন্য সবসময় ফলপ্রসূ হয় না। তাই প্রয়োজনে ইসলাম অপরাধ নির্মূলের নিমিত্তে শাস্তির বিধান রেখেছে। এক্ষেত্রে হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এর একটি বানী প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন :

إن الله ليزع بالسلطان ما لا يزع بالقرآن

“শাসন-দণ্ড দিয়ে মহান আল্লাহ এমন লোকদেরকে উচিত শিক্ষা দেন, কুরআনের উপদেশ-নসীহত যাদের জন্য ফলপ্রসূ হয় না।” ইসলাম শাস্তিযোগ্য অপরাধ সমূহের তিন ধরনের শাস্তির বিধান রেখেছে। এক. হুদুদ, দুই. কিসাস, তিন. তাযীর। [৬০. ১. হুদুদ: যে সব অপরাধের বিধান সরাসরি কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত হয়েছে এবং যা আল্লাহর হকের সাথে সংশ্লিষ্ট তা-ই হুদুদ। যেমন: ব্যভিচার,ব্যভিচারের অপবাদ, চুরি, পৃথিবীতে নৈরাজ্য, ফাসাদ সৃষ্টি, ধর্মত্যাগ ও মদ্য পান প্রভৃতি। ২. কিসাস: যে সব অপরাধে বান্দার হককে শরী‘আতের বিচারে প্রবল ধরা হয়েছে সেগুলোর শাস্তিকে বলা হয়‘ কিসাস’। যথা: প্রাণের বিনিময় প্রাণ ও জখমের বিনিময়ে জখম করা। ৩. ‘তাযীর’: যে সব অপরাধের শাস্তি কুরআন ও সূন্নাহ নির্ধারণ করেনি, বরং বিচারকদের অভিমতের উপর ন্যাস্ত করেছে, এ সব শাস্তিকে শরীয়তের পরিভাষায় ‘তাযীর’ বলে। এটি কথা দ্বারা হতে পারে, আবার কর্ম দ্বারাও হতে পারে। যেমন – ধমক দেয়া, ভৎসনা করা, নছীহত করা, বেত্রাঘাত, শারীরিক অন্য কোন শাস্তি, বন্দী করে রাখা, নির্বাসন দেয়া, চাকুরি হতে অব্যাহতি দেয়া, জরিমানা ইত্যাদি।]

যেহেতু পণ্যদ্রব্য ও খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল এক প্রকার প্রতারণামূলক ও মানব বিধ্বংসী অপরাধ সেহেতু এক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রয়েছে। যাতে এ অপরাধ নির্মূল সহজসাধ্য হয়। এটি মূলত তাযীর জাতীয় একটি অপরাধ। অতএব, ভেজালের পরিমাণ, আকৃতি-প্রকৃতি, পরিমাপের ভয়াবহতাও অন্যান্য পরিবেশ -পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে ভেজাল প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করতে হবে। যে সব ভেজাল দুরারোগ্য ব্যাধি সৃষ্টি করে মানুষকে ক্রমশ নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, তার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করা যেতে পারে। পক্ষান্তরে, যার ক্ষয়-ক্ষতি নগণ্য ও সাধারণ তার জন্য সাধারণ পর্যায়ের শাস্তি যেমন, বেত্রাঘাত, জেল ও জরিমানা দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি দায়িত্বশীলদের কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা প্রদর্শন করলে কিংবা দুর্নীতির আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান থাকতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন