মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১. সর্বপ্রথম অযুর শুরুতে পবিত্রতার নিয়্যাত করবে। তবে মনে রাখবে, নিয়্যাত মুখে উচ্চারণ করার বিষয় নয়। বরং তা মনে সংকল্প করার বিষয়।
২. “বিসমিল্লাহ” পড়ে অযু শুরু করবে।
৩. ডান দিক থেকে অযু শুরু করবে।
৪. দু’হাত কব্জি পর্যন্ত তিন বার ধুয়ে নিবে।
৫. হাত ও পদযুগল ধোয়ার সময় আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো কনিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে মলে নিবে।
৬. এক বা তিন চিল্লু (করতলভর্তি পরিমাণ) পানি ডান হাতে নিয়ে তিন তিন বার একই সাথে কুল্লি করবে ও নাকে পানি দিবে এবং বাম হাত দিয়ে নাকের ছিদ্রদ্বয় ভালভাবে ঝেড়ে নিবে।
৭. তিন বার সমস্ত মুখমণ্ডল (কান থেকে কান এবং মাথার সম্মুখবর্তী চুলের গোড়া থেকে চিবুক ও দাড়ির নীচ পর্যন্ত ) ধুয়ে নিবে।
৮. দাড়ি খেলাল করবে।
৯. উভয় হাত কনুইসহ তিনবার ধুয়ে নিবে।
১০. সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসেহ করবে। তথা ভেজানো হাত দু’টো মাথার সামনের দিক থেকে পেছনের দিকে এবং পেছনের দিক থেকে মাথার সামনের দিকে টেনে আনবে। উপরন্তু কান দু’টোও মাসেহ করবে। তথা উভয় তর্জনীর মাথা দু’টো উভয় কানে ঢুকাবে এবং উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে কানের বহিরাংশ মাসেহ করবে।
“তোমাদের কেউ ভালভাবে অযু করে যখন পড়বে: “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদান আব্দুল্লাহি ওয়ারাসূলুহু” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল) তখন তার জন্য বেহেস্তের আটটি দরজা উন্মুক্ত করা হবে। তার ইচ্ছে সে যে কোনো দরজা দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৭৫।]
“যে ব্যক্তি অযু করে পড়বে: “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ ’আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজ্’আলনী মিনাত তাওআবীনা ওয়াজ্আল্নী মিনাল্ মুতাতাহহিরীন (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারী ও পবিত্রতার্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন) তখন তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা উন্মুক্ত করা হবে। তার ইচ্ছে সে যে কোনো দরজা দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৫৫।]
“হে আল্লাহ! আপনি পাক-পবিত্র এবং সকল প্রশংসা আপনার জন্যই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার নিকট তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। [আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, হাদীস নং ৮১।]
১৪. পরিশেষে দু’রাকাত সালাত পড়বে। যে ব্যক্তি অযু শেষে কায়মনোবাক্যে দু’রাকাত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং জান্নাত হবে তার জন্য অবধারিত।
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে কোনো মুসলিম যখন ভালোভাবে অযু করে কায়মনোবাক্যে দু’রাকাত সালাত আদায় করে, তখন তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।]
ওযুর ফরয ও রুকনসমূহ:
ধর্মীয় কোনো কাজ বা আমলের ফরয বা রুকন বলতে এমন কিছু ক্রিয়াকর্মকে বুঝানো হয় যা না করা হলে ঐ কাজ বা আমলটি সম্পাদিত হয়েছে বলে গণ্য করা হয় না যতক্ষণ না সে ঐ কর্মগুলো সম্পাদন করে। অযুর ফরয বা রুকন ছয়টি যা নিম্নরূপ:
১. সমস্ত মুখমণ্ডল ধৌত করা।
২. কনুইসহ উভয় হাত ধৌত করা।
৩. সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা।
৪. উভয় পা টাখনুসহ ধৌত করা।
৫. ধোয়ার সময় অঙ্গগুলোর মাঝে পর্যায়ক্রম বজায় রাখা।
৬. অযুর সময় অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
ওযুর শর্তসমূহ:
ওযু শুদ্ধ হওয়ার জন্য দশটি শর্ত রয়েছে তা নিম্নরূপ:
১. অযুকারী মুসলিম হতে হবে। অতএব, কাফির বা মুশরিক অযু করলেও তার অযু শুদ্ধ হবে না। তাই সে অযু বা গোসল করে কখনো পবিত্র হতে পারবে না।
২. অযুকারী জ্ঞানসম্পন্ন থাকতে হবে। অতএব, পাগল ও মাতালের অযু শুদ্ধ হবে না। যতক্ষণ না তাদের চেতনা ফিরে আসে।
৩. অযুকারী ভালমন্দ ভেদাভেদ জ্ঞান রাখে এমন হতে হবে। অতএব, বাচ্চাদের অযু শরী‘আতে ধর্তব্য নয়। তাদের অযু করা-না করা সমান।
৪. নিয়্যাত করতে হবে। অতএব, নিয়্যাত ব্যতীত অযু গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫. অযু শেষ হওয়া পর্যন্ত পবিত্রতার্জনের নিয়্যাত বহাল থাকতে হবে। অতএব, অযু চলাকালীন নিয়্যাত ভঙ্গ করলে অযু শুদ্ধ হবে না।
৬. অযু চলাকালীন অযু ভঙ্গের কোনো কারণ যেন পাওয়া না যায়। তা না হলে অযু তৎক্ষণাৎই ভেঙ্গে যাবে।
৭. অযুর পূর্বে মলমূত্র ত্যাগ করে থাকলে ঢেলাকুলুপ বা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে হবে।
৮. অযুর পানি পবিত্র ও জায়েয পন্থায় সংগৃহীত হতে হবে।
৯. অযুর অঙ্গগুলোতে পানি পৌঁছুতে বাধা প্রদান করে এমন বস্তু অপসারণ করতে হবে।
১০. অযু ভঙ্গের কারণ সর্বদা পাওয়া যাচ্ছে এমন ব্যক্তির জন্য সালাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হতে হবে। অর্থাৎ সালাতের সময় হলেই কেবল এমন ব্যক্তিরা অযু করবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/23/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।