hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কতিপয় দীনী বিষয় যা একজন মুসলিমের জানা প্রয়োজন

লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয আল-মাদানী

১৩
সালাত আদায়ের বিশুদ্ধ পদ্ধতি
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِيْ أُصَلِّيْ»

“তোমরা সালাত পড়ো যেভাবে আমাকে সালাত পড়তে দেখেছো।”

সালাত পড়ার পূর্বে সর্বপ্রথম (অযু, গোসল কিংবা তায়াম্মুমের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্রতার্জন করবে। এমতাবস্থায় সালাত আদায়কারীর শরীর, কাপড় ও সালাতের জায়গা পবিত্র হতে হবে।

১. কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তা‘আলার দিকে পুরাপুরি মনোযোগী ও ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে যে সালাত পড়ার ইচ্ছা তা সঠিকভাবে মনে করে উভয় হাত কাঁধ বা কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়ে “আল্লাহু আকবার” বলে ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে কব্জি ধরে উভয় হাত বুকের উপর রাখবে।

মুখে সালাতের নিয়্যাত না রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন, না খুলাফায়ে রাশিদীন, না ইসলামের প্রসিদ্ধ ইমামগণ।

ইমাম সাহেব ও একাকী সালাত আদায়কারী নিজেদের সামনে তথা ক্বিব্লার দিকে একটি “সুত্রাহ” তথা আধা হাত সমপরিমাণ কোনো কিছু খাড়া করে রাখবে। তা করা সুন্নাত।

২. বুক থেকে চিবুক একটু দূরে রেখে মাথা খানা খানিকটা ঝুঁকিয়ে সাজদাহ’র জায়গার দিকে দৃষ্টি রাখবে।

৩. এরপর নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়বে:

«اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْـنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْـنَ الـْمَشْرِقِ وَالـْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِـنْ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالـْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ»

“হে আল্লাহ! আপনি আমি ও আমার গুনাহ’র মাঝে এতটুকু দূরত্ব সৃষ্টি করুন যতটুকু দূরত্ব রয়েছে বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে গুনাহ থেকে পবিত্র করুন যেভাবে পবিত্র করা হয়ে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাহ্গুলো ধুয়ে দিন পানি, বরফ ও শিলা বৃষ্টি দিয়ে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৪৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯৮।]

অথবা বলবে:

«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ»

“হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করছি । আপনার নাম বরকতময় এবং আপনার মর্যাদা অতিশয় সুউচ্চ। আপনি ছাড়া অন্য কোনো মা‘বূদ নেই”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৭৫; তিরমিযী, হাদীস নং ২৪৩।]

৪. “আঊযু বিল্লাহ”, “বিসমিল্লাহ” বলে সূরা ফাতিহা পুরোটা পড়ে উচ্চ স্বরে “আমীন” বলবে এবং এরই পাশাপাশি অন্য যে কোনো সূরা কিংবা উহার সমপরিমাণ কয়েকটি আয়াত পড়বে। তবে তা ফজরের সালাতে বড় তথা সূরা “ক্বাফ” ও সূরা “নাবা” এর মধ্যকার কোনো একটি সূরা, মাগরিবের সালাতে ছোট তথা সূরা “যু’হা” ও সূরা “নাস” এর মধ্যকার কোনো একটি সূরা এবং অন্যান্য সালাতে মাঝারি তথা সূরা “নাবা” ও সূরা “যুহা” এর মধ্যকার কোনো একটি সূরা হওয়া ভালো, তবে কখনো কখনো ফজর ছাড়া অন্যান্য সালাতও বড় সূরা দিয়ে পড়া যেতে পারে, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই করেছেন।

৫. উভয় হাত কাঁধ বা কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়ে “আল্লাহু আকবার” বলে রুকুতে যাবে। রুকুতে পিঠ ও মাথা সমান এবং উভয় হাত হাঁটুর উপর প্রসারিত থাকবে। রুকুতে প্রশান্তির সাথে তিন বা তিনের অধিক বার বেজোড় সংখ্যায় বলবে: “সুবহানা রাবিবয়াল-’আযীম” অর্থাৎ আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। এর পাশাপাশি আরো বলবে:

«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ»

“হে আমাদের রব! হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮৪।]

«سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الـْمَلَائِكَةِ وَالرُّوح»

“ফিরিশতাগণ ও জিবরীলের রব অতি পবিত্র”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮৭।]

৬. রুকু থেকে মাথা উঠানোর সময় উভয় হাত কাঁধ বা কানের লতি পর্যন্ত উঁচিয়ে ইমাম ও একা সালাত আদায়কারী বলবে:

«سَمِعَ الله لِـمَنْ حَمِدَهُ»

“আল্লাহ তা‘আলা প্রশংসাকারীর প্রশংসা শুনেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১১।]

৭. এ সময় ডান হাত বাম হাতের ওপর বুকে রেখে মুক্তাদি ও একা সালাত আদায়কারী বলবে:

«رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ বা رَبَّنَا وَلَكَ الْـحَمْدُ বা اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْـحَمْدُ বা اللهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْـحَمْدُ»

“হে আমাদের রব! অথবা হে আল্লাহ! হে আমাদের রব! আপনার জন্যই আমাদের সকল প্রশংসা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩২, ৭৮৯, ৭৯৫, ৭৯৬ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০৯, ৪১১।]

৮. আরো বলবে:

«حَمْداً كَثِيْراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيْهِ، مِلْءَ السَّمَاوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ، أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ، أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ - وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ - اللَّهُمَّ ! لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِماَ مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذاَ الْـجَدِّ مِنْكَ الْـجَدُّ»

“(হে আমাদের রব! আপনার জন্যই আমাদের সকল প্রশংসা) বরকতময় ও পবিত্র অনেক অনেক প্রশংসা। আকাশ, জমিন ও অন্যান্য সকল বস্তু যা আপনি চান তা সমপরিমাণ। আপনি হচ্ছেন সকল স্তুতি-বন্দনা ও সম্মানের অধিকারী! বান্দা আপনার শানে যতটুকুই স্তুতি-বন্দনা করুক তা সবটুকুরই আপনি সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত। আর আমরা সবাই তো আপনারই বান্দা। হে আল্লাহ! আপনার দানে কেউ বাধা প্রদান করতে পারে না। আপনার নিষেধ উপেক্ষা করে কেউ কাউকে কিছু দিতে পারে না। কোনো ধনবান ব্যক্তির ধন-দৌলত তাকে আপনার ক্রোধ থেকে রক্ষা করতে পারে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭৭, ৪৭৮।]

৯. সাজদাহ’র জন্য “আল্লাহু আকবার” বলে প্রথমে দু’হাঁটু অতঃপর দু’ হাত এবং কপাল ও নাক জমিনে রাখবে। মনে রাখবে যেন সাজদাহ সর্বমোট সাতটি অঙ্গের ওপর হয়। তা হচ্ছে, কপাল ও নাক, দু’হাত, দু’হাঁটু ও দু’পায়ের আঙ্গুলসমূহ। সাজদাহ’র সময় হাতের উভয় কনুইকে জমিন ও উভয় হাঁটু থেকে দূরে রাখবে। তেমনিভাবে উভয় বাহুকে উভয় পার্শ্ব থেকে এবং পেটকে উভয় রান থেকে দূরে রাখবে। উপরন্তু পিঠকে একেবারে লম্বা করে সাজদাহ দিবে না যাতে শরীরের পুরো ভারটুকু কপালের উপর না পড়ে। এ সময় উভয় হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবামুখী, স্বাভাবিক ও মিলানো থাকবে, তবে হাত দু’টো কাঁধ বা কান বরাবর রাখবে। গোড়ালি দু’টো একটি আরেকটির সাথে মিলিয়ে রাখবে।

১০. সাজদায় গিয়ে প্রশান্তির সাথে তিন বা তিনের অধিক বার বেজোড় সংখ্যায় বলবেঃ “সুবহানা রাবিবয়াল-আ’লা” অর্থাৎ আমি আমার সুমহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। এর পাশাপাশি রুকুর বাকি দো‘আ দু’টোও পড়বে এবং তাতে নিজের ও দুনিয়ার সকল মুসলিমদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতেরসমূহ কল্যাণ কামনা করবে। কারণ, তাতে দো‘আ কবুল হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَلَا وَإِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ الْقُرْآنَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا، فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ عَزَّ وَجَلَّ وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ»

“জেনে রাখো, আমাকে নিষেধ করা হয়েছে রুকু বা সাজদাহ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করতে। অতএব, রুকু অবস্থায় তোমরা প্রভুর মহত্ব বর্ণনা করবে এবং সাজদাহ অবস্থায় বেশি বেশি দো‘আ করবে। কারণ, তাতে দো‘আ কবুল হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭৯।]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ»

“সাজদাহ অবস্থায় বান্দা সব চাইতে বেশি নিজ প্রভুর নিকটবর্তী হয়। অতএব, তোমরা তাতে বেশি বেশি দো‘আ করো”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮২।]

১১. “আল্লাহু আকবার” বলে সাজদাহ থেকে উঠে ডান পা খাড়া করে এবং বাম পা বিছিয়ে তার উপর স্থির হয়ে বসবে। এমতাবস্থায় ডান হাত ডান রান বা হাঁটুর উপর এবং বাম হাত বাম রান বা হাঁটুর উপর রাখবে, তবে ডান হাতের কনিষ্ঠা, অনামিকা, মধ্যমা ও বুড়ো আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে অথবা মধ্যমা ও বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে রিংয়ের রূপ সৃষ্টি করবে। আর শাহাদাত অঙ্গুলিটি খোলা রেখে তা দো‘আর প্রতিটি বাক্য উচ্চারণের সময় উঠাবে। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত দো‘আগুলো বলবে: اللَّهُمَّ اغْفِـرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَعَافِنِيْ وَاهْدِنِيْ وَارْزُقْنِيْ»

“হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমার বিপদ দূর করুন, আমাকে সুস্থ করুন, আমাকে হিদায়াত দিন ও আমাকে রিযিক দিন”। [আবু দাউদ, হাদীস ৮৫০ ইবন মাজাহ, হাদীস ৮৯৭, ৮৯৮।]

অথবা বলবে, «رَبِّ اغْفِرْ لِيْ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ

১২. “আল্লাহু আকবার” বলে দ্বিতীয় সাজদাহ করবে যেভাবে প্রথম সাজদাহ করেছে।

১৩. “আল্লাহু আকবার” বলে উভয় হাঁটুর উপর ভর দিয়ে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠবে। প্রয়োজনে দু’হাতের উপর ভর দিয়েও উঠা যেতে পারে। দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠার পূর্বে প্রয়োজনে সামান্য সময়ের জন্য বসাও যেতে পারে। যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ বয়সে করেছেন। কেউ সর্বদা তা করলেও তাতে কোনো অসুবিধে নেই। দ্বিতীয় রাকাতে তাই করবে যা প্রথম রাকাতে করেছে। তবে তাতে প্রথম রাকাতের শুরুতে যে দো‘আটি তথা সানা পড়েছে তা আর পড়বে না। তেমনিভাবে সূরা ফাতিহার শুরুতে ‘আঊযু বিল্লাহ” না বললেও চলবে।

১৪. দ্বিতীয় রাকাত শেষে “আল্লাহু আকবার” বলে স্থির হয়ে বসবে যেমনিভাবে বসেছে দু’ সাজদাহ’র মাঝখানে। অতঃপর বলবে:

«اَلتَّحِيَّاتُ للهِ وَالصَّلَـوَاتُ وَالّطَيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ أَشْهَدُ أَن لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُه»

“সকল মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক ইবাদাত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই জন্য। (হে নবী) আপনার ওপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। তেমনিভাবে আমাদের ওপর ও আল্লাহ তা‘আলার নেক বান্দার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্যিকার কোনো মা‘বূদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার বান্দা ও তদীয় রাসূল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৩১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০২।]

এরপর বলবে:

«اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى ال مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ، اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيْدٌ»

“হে আল্লাহ! আপনি মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর দয়া করুন যেমনিভাবে আপনি দয়া করেছেন ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের মধ্যে বরকত দিন যেমনিভাবে আপনি বরকত দিয়েছেন ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের মধ্যে। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৭০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০৬।]

আরো বলবে:

«اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الـْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْـمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْـمَمَاتِ اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْـمَأْثَمِ وَالْـمَغْرَمِ»

“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব, মাসীহ্ নামক দাজ্জালের ফিৎনা এবং জীবদ্দশা ও মৃত্যুকালীন ফিৎনা থেকে। হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি গুনাহ ও ঋণ থেকে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৩২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৮৮, ৫৮৯।]

এরপর নিজের ও দুনিয়ার সকল মুসলিমদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতেরসমূহ কল্যাণ কামনা করবে।

১৫. যদি সালাতটি তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট হয় তা হলে প্রথম “তাশাহুদ” তথা “আত্তাহিয়্যাতু” শেষ করে “আল্লাহু আকবার” বলে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে উভয় হাত কাঁধ বা কানের লতি পর্যন্ত উঠাবে। অতঃপর বাকি এক বা দু’রাকাত দ্বিতীয় রাকাতের মতোই পড়বে, তবে তাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোনো সূরা মিলাবে না। কখনো কখনো কোনো সূরা বা আয়াত মিলালেও তাতে কোনো অসুবিধে নেই।

১৬. যদি সালাতটি তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট হয় তাহলে তৃতীয় বা চতূর্থ রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় “তাশাহহুদ” তথা “আত্তাহিয়্যাতু” পড়ার জন্য ডান পা খাড়া করে বাম পা ডান পায়ের নিচ দিয়ে বের করে দিয়ে জমিনের উপর নিতম্ব লাগিয়ে বসবে অথবা উভয় পা ডান দিক থেকে বের করে দিবে এবং জমিনের উপর বিছিয়ে রাখবে আর বাম পা ডান পায়ের নিচ দিয়ে বের করে দিবে কিংবা ডান পা বিছিয়ে রাখবে এবং বাম পা ডান পা ও রানের মাঝখানে রাখবে। এরপর “তাশাহহুদ” তথা “আত্তাহিয়্যাতু”, দুরূদ ও উল্লিখিত দো‘আটি পড়বে এবং নিজের ও দুনিয়ার সকল মুসলিমদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতেরসমূহ কল্যাণ কামনা করবে। অতঃপর “আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে ডানে ও বাঁয়ে সালাম ফিরাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন