hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কতিপয় দীনী বিষয় যা একজন মুসলিমের জানা প্রয়োজন

লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয আল-মাদানী

প্রমাণসহ ঈমানের ছয়টি রুকন
শরী‘আতের ভাষায় ঈমান বলতে ছয়টি জিনিসের ওপর ঈমান আনাকে বুঝায়। যেগুলো হলো: আল্লাহ তা‘আলা, ফিরিশতাগণ, রাসূলগণ, রাসূলগণের ওপর নাযিলকৃত কিতাবসমূহ, পরকাল, তাকদীরের ভালো-মন্দ। জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,

«أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّه»

“ঈমান হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ, পরকাল ও ভাগ্যের ভালোমন্দের ওপর ঈমান আনা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮।]

ঈমান বলতে তা মূলতঃ কথা ও কাজের সমন্বয়কেই বুঝায়। মুখ ও অন্তরের কথা এবং মুখ, অন্তর ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজ। ঈমান হচ্ছে একজন মুসলিমের সর্বোত্তম আমল। ঈমান আবার ইবাদতে বাড়ে ও গুনাহে কমে। এর সত্তরেরও বেশি শাখা রয়েছে। এর সর্বোচ্চ শাখা হলো আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই এ কথা স্বীকার করা। আর এর সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে যে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। উপরন্তু লজ্জা হলো এগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ঈমানের এক ধরনের স্বাদ রয়েছে যা আল্লাহ তা‘আলাকে রব, ইসলামকে ধর্ম এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসেবে একান্ত সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেওয়ার মধ্যেই নিহিত। আবার ঈমানের এক ধরনের মিষ্টতাও রয়েছে যা আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সব চাইতে বেশি ভালোবাসা, কাউকে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য ভালোবাসা এবং ইসলাম গ্রহণের পর কাফির হওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ন্যায় ঘৃণা করার মধ্যেই নিহিত। আর খাঁটি ঈমানদার তখনই হওয়া যায় যখন কেউ ইসলাম প্রদর্শিত ইবাদাতসমূহ যথাযথভাবে আদায় করে, ইসলামের আদর্শ নিজেদের সার্বিক জীবনে বাস্তবায়নের জন্য সর্বদা অন্যান্যদেরকে আহ্বান করে, প্রয়োজনে নিজের ঈমান ও ইসলাম টেকানোর জন্য নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় হিজরত করে, অন্য কেউ হিজরত করলে তাকে যথাসাধ্য সার্বিক সহযোগিতা করে, সর্বদা ইসলামের জন্য নিজের জান ও মাল কোরবানী দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে এবং এ কথা বিশ্বাস করে যে, যা কিছু আমার নিজের ব্যাপারে কিংবা অন্যের ব্যাপারে ঘটেছে তা না ঘটে পারতো না আর যা কিছু ঘটে নি তা কখনোই ঘটা সম্ভব ছিলো না। আর কারোর ঈমান তখনই পরিপূর্ণ হবে যখন সে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্যই কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে ভালোবাসে বা ঘৃণা করে এবং কাউকে কোনো কিছু দেয় বা দিতে চায় না।

আবার ঈমানের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্যও রয়েছে নিম্ন বর্ণিত বিষয়গুলো সেগুলোর অন্যতম:

আল্লাহর রাসূলকে সব চাইতে বেশি ভালোবাসা, আনসারী সাহাবীগণকে ভালোবাসা, সকল মুমিনকে ভালোবাসা, নিজের প্রতিবেশী ও যে কোনো মুসলিমের জন্য তাই ভালোবাসা যা সে নিজের জন্য ভালোবাসে, প্রতিবেশী ও মেহমানকে সম্মান করা, বলার জন্য কোনো ভালো কথা না পেলে একদম চুপ করে থাকা, সৎ কাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা, আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর কিতাব ও রাসূল এবং মুসলিম প্রশাসক ও সাধারণ মুসলিমদের সর্বদা কল্যাণ কামনা করা।

নিম্নে ঈমানের উপরোক্ত ছয়টি রুকনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদত্ত হলো:

১. আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান। তাতে আবার চারটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত।

ক. আল্লাহ তা‘আলার মহান অস্তিত্বের প্রতি ঈমান। তা কিন্তু প্রতিটি মানুষের প্রকৃতির ভেতরেই নিহিত।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَأَقِمۡ وَجۡهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفٗاۚ فِطۡرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِي فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيۡهَاۚ لَا تَبۡدِيلَ لِخَلۡقِ ٱللَّهِۚ﴾ [ الروم : ٣٠ ]

“তুমি একনিষ্ঠভাবে দীনমুখী হয়ে যাও। আল্লাহর সে প্রকৃতির অনুসরণ করো যে প্রকৃতির ওপর তিনি পুরো মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহর সৃষ্টির কোনো পরিবর্তন নেই”। [সূরা আর-রূম, আয়াত: ৩০]

খ. তাঁর রুবূবিয়্যাতের প্রতি ঈমান। তথা তিনি সব কিছুর স্রষ্টা, মালিক ও হুকুমদাতা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ﴾ [ الاعراف : ٥٤ ]

“জেনে রাখো, সকল কিছুর স্রষ্টা তিনি। তাই বিধানও হবে তাঁর। সর্ব জগতের রব আল্লাহ সত্যিই বরকতময়”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]

গ. আল্লাহ তা‘আলার উলূহিয়্যাতের ওপর ঈমান। তথা তিনিই সত্য মাবূদ। তাঁর কোনো শরীক নেই। সকল ইবাদত একমাত্র তাঁরই জন্য। যা তাঁর প্রতি পূর্ণ সম্মান, ভালোবাসা ও ভক্তি দেখিয়ে একমাত্র তাঁর দেওয়া বিধান অনুযায়ীই করতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِلَٰهُكُمۡ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلرَّحۡمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ ١٦٣﴾ [ البقرة : ١٦٣ ]

“তোমাদের মা‘বূদ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। তিনি ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই। তিনি পরম করুণাময় অত্যন্ত দয়ালু”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৬৩]

ঘ. আল্লাহ তা‘আলার সকল নাম ও গুণাবলীর প্রতি ঈমান। তথা তা জানা, বুঝা, মুখস্থ ও স্বীকার করা এবং সেগুলোর মাধ্যমে তাঁর ইবাদত করা ও সেগুলোর চাহিদানুযায়ী আমল করা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ وَذَرُواْ ٱلَّذِينَ يُلۡحِدُونَ فِيٓ أَسۡمَٰٓئِهِۦۚ سَيُجۡزَوۡنَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٨٠﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“আল্লাহ তা‘আলার সুন্দর সুন্দর অনেকগুলো নাম রয়েছে। অতএব, তোমরা তাঁকে উক্ত নামগুলোর মাধ্যমেই ডাকবে। যারা তাঁর নামগুলোর ব্যাপারে সত্য পথ ছেড়ে অন্য পথ অবলম্বন করে তাদেরকে তোমরা পরিত্যাগ করো। তাদেরকে অতি সত্বর তাদের কৃতকর্মের ফল অবশ্যই দেওয়া হবে”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৮০]

ধর্মের মূলই তো হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর যাবতীয় নাম ও গুণাবলী, তাঁরসমূহ কর্ম, অপরিসীম ভান্ডার, ওয়াদা ও হুমকির ওপর পূর্ণ ইয়াকীন ও দৃঢ় বিশ্বাস করা। মানুষের সমূহ কর্ম ও ইবাদত উক্ত ভিত্তির ওপরই নির্ভরশীল। এ ঈমানটুকু দুর্বল হলে আমলও দুর্বল হয়। আর তা সবল হলে আমলও সবল হয়।

আল্লাহ তা‘আলা ছোট ও বড়ো, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবকিছুরই মালিক ও স্রষ্টা। সব কিছুর সার্বিক কর্মক্ষমতা ও সমূহ বৈশিষ্ট্য তাঁরই সৃষ্টি। সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ তাঁরই হাতে। তিনিই বিশ্বের সব কিছু পরিচালনা করেন। সব কিছুর মূল ভাণ্ডার একমাত্র তাঁরই হাতে। এ কথাগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করলে তাতে একজন ঈমানদারের ঈমান অবশ্যই বেড়ে যাবে, শক্তিশালী হবে। তেমনিভাবে এ কথাগুলোও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে যে, সকল অবস্থা ও পরিস্থিতির মালিক, নিয়ন্ত্রক ও স্রষ্টা তিনি এবং এসবগুলোর ভান্ডারও একমাত্র তাঁরই হাতে।

২. ফিরিশতাগণের প্রতি ঈমান:

ফিরিশতাগণের প্রতি ঈমান আনা বলতে তাদের ব্যাপারে এ কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করাকে বুঝায় যে, আল্লাহ তা‘আলার অনেকগুলো ফিরিশতা রয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের নাম, বৈশিষ্ট্য ও কর্মসমূহ আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তাদের ওপর আমরা সেভাবেই ঈমান আনবো। আর যাদের নাম, বৈশিষ্ট্য ও কর্মসমূহ আমরা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে পারিনি তাদের ওপর আমরা সামগ্রিকভাবেই ঈমান আনবো। তারা আল্লাহ তা‘আলার সম্মানিত বান্দা। তারা আমাদের প্রভু বা ইলাহ নন এবং এ জাতীয় কোনো বৈশিষ্ট্যও তাদের মধ্যে নেই। তারা এক বিশেষ নূর থেকে সৃষ্ট এবং তারা আমাদের দৃষ্টির বাইরে। তারা সর্বদা আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত ও তাঁর পবিত্রতা বর্ণনায় ব্যস্ত। আল্লাহ তা‘আলার আদেশের একান্ত আনুগত্য ও তা বাস্তবায়নের পুরো ক্ষমতা দিয়েই তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَّا يَعۡصُونَ ٱللَّهَ مَآ أَمَرَهُمۡ وَيَفۡعَلُونَ مَا يُؤۡمَرُونَ ﴾ [ التحريم : ٦ ]

“আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে যা আদেশ করেন তা কখনো তারা অমান্য করেন না, বরং তারা যা করতে আদিষ্ট হোন তারা তাই করেন”। [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৬]

তাদের গণনা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আর কেউই জানে না। প্রতি দিন বাইতুল মা‘মূরে সত্তর হাজার ফিরিশতা সালাত পড়েন যারা তাতে আর কখনো সালাত পড়ার সুযোগ পাবেন না।

আল্লাহ তা‘আলা ফিরিশতাগণকে বিশেষ বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে থাকেন যার কিয়দংশ নিম্নরূপ:

তিনি জিবরীল ‘আলাইহিস সালামকে নবী ও রাসূলগণের নিকট তাঁর অহী পৌঁছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। মীকাঈল ‘আলাইহিস সালামকে পানি ও উদ্ভিদের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইসরাফীল ‘আলাইহিস সালামকে সিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। আবার মালিক হলেন জাহান্নামের দায়িত্বে এবং রিযওয়ান হলেন জান্নাতের দায়িত্বে। আর মৃত্যুর ফিরিশতা হলেন যে কোনো প্রাণীর মৃত্যুর দায়িত্বে। আবার কিছু ফিরিশতা রয়েছেন আল্লাহ তা‘আলার আরশ বহন করার দায়িত্বে। তেমনিভাবে আরো কিছু রয়েছেন জান্নাত ও জাহান্নামের কর্ম সমূহে নিয়োজিত। আবার কিছু রয়েছেন আদম সন্তানের অস্তিত্ব ও তার কর্মসমূহ হিফাজতের দায়িত্বে। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছেন আবার মানুষের সঙ্গে সর্বদা নিয়োজিত। আবার কিছু রয়েছেন যারা পর্যায়ক্রমে রাত ও দিনে দুনিয়াতে আসা-যাওয়া করেন। আরো কিছু রয়েছেন যারা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যিকিরের মজলিস অনুসন্ধান করেন। আবার কিছু রয়েছেন জরায়ুর সন্তানের দায়িত্বে। তারা আল্লাহ তা‘আলার আদেশে যে কোনো সন্তানের রিযিক, আমল, বয়স ও পরকালে তার ভাগ্যবান ও দুর্ভাগা হওয়ার ব্যাপারটি তখনই লিখে রাখেন। তেমনিভাবে আরো কিছু ফিরিশতা রয়েছেন যারা যে কোনো মৃত ব্যক্তিকে কবরে শায়িত হওয়ার পর তার প্রভু, ধর্ম ও নবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।

৩. আল্লাহ তা‘আলার কিতাবসমূহের ওপর ঈমান:

আল্লাহ তা‘আলার কিতাব সমূহের প্রতি ঈমান আনা বলতে সেগুলোর ব্যাপারে এ কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করাকে বুঝায় যে, আল্লাহ তা‘আলা নিজ বান্দাদের হিদায়াতের জন্য তাঁর নবী ও রাসূলগণের ওপর অনেকগুলো কিতাব পাঠিয়েছেন। যা সত্যিই তাঁর নিজস্ব কথা এবং যা একান্ত নিরেট সত্য। উক্ত কিতাবগুলোর কিছুর বর্ণনা কুরআন মাজীদে এসেছে। আর বাকিগুলোর নাম ও সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ভালো জানেন। এর মধ্যে “তাওরাত” মূসা ‘আলাইহিস সালামের ওপর, “যাবূর” দাঊদ ‘আলাইহিস সালামের ওপর, “ইঞ্জীল” ’ঈসা ‘আলাইহিস সালামের ওপর এবং “কুরআন” আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর নাযিল করা হয়েছে। তেমনিভাবে ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামের ওপর অনেকগুলো সহীফাহও নাযিল করা হয়েছে। উক্ত কিতাবগুলোর সকল সত্য সংবাদ আমরা বিশ্বাস করবো এবং সকল অরহিত বিধান আমরা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করবো। তবে এ কথা অবশ্যই জানতে হবে যে, স্বভাবতই পূর্ববর্তী কিতাবসমূহ কুরআন মাজীদ নাযিল হওয়ার পর রহিত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যে তাওরাত ও ইঞ্জীল মানুষের হাতে রয়েছে তা অনেকাংশেই বিকৃত।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّ مُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَمُهَيۡمِنًا عَلَيۡهِۖ فَٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُۖ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡ عَمَّا جَآءَكَ مِنَ ٱلۡحَقِّۚ﴾ [ المائ‍دة : ٤٨ ]

“আমি তোমার ওপর সত্য কিতাব নাযিল করেছি। যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যতাও প্রমাণ করে। তেমনিভাবে কুরআন উক্ত কিতাবগুলোর সংরক্ষক, সাক্ষী ও বিচারক। অতএব, তুমি তাদের পারস্পরিক বিষয়ে আল্লাহর নাযিলকৃত এ কিতাব অনুযায়ী মীমাংসা করো এবং যে সত্য তুমি পেয়েছো তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির কোনোভাবেই অনুসরণ করো না”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৮]

কুরআন মাজীদ সর্বশেষ কিতাব যা মহান ও পরিপূর্ণ। তাতে সব কিছুর মৌলিক বিধানগুলো বর্ণনা করা হয়েছে। যা পুরো বিশ্ববাসীর জন্য হিদায়াত ও রহ্মত। এর ওপর আমরা ঈমান আনবো এবং এর বিধানগুলো আমাদের সার্বিক জীবনে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করবো এবং এর আদবগুলো আমরা গ্রহণ করবো। আল্লাহ তা‘আলা এ ছাড়া অন্য কোনো কিতাবের ওপর আমল করা গ্রহণ করবেন না। তিনি উক্ত কিতাবকে হিফাযত করার পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন।

৪. রাসূলগণের প্রতি ঈমান:

রাসূলগণের ওপর ঈমান বলতে তাদের ব্যাপারে এ কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করাকে বুঝায় যে, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক উম্মতের নিকট রাসূল পাঠিয়েছেন যিনি তাদেরকে এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে ডাকতেন এবং তিনি ছাড়া অন্য কারোর ইবাদত করতে তিনি নিষেধ করতেন। তারা সবাই ছিলেন আল্লাহ তা‘আলার সত্য রাসূল। আল্লাহ তা‘আলা তাদের নিকট যে অহী পাঠিয়েছেন তা তারা সকলেই নিজ নিজ উম্মতের নিকট পুরোপুরিভাবে পৌঁছিয়েছেন। তাদের কারো কারোর নাম কুরআন মাজীদে বর্ণিত হয়েছে। যাদের সংখ্যা ২৫ জন। তাদের পাঁচ জন হলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা। যারা হলেন নূহ, ইবরাহীম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ ‘আলাইহিমুস সালাম। আর বাকিদের নাম আল্লাহ তা‘আলাই ভালো জানেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَ﴾ [ النحل : ٣٦ ]

“নিশ্চয় আমরা প্রত্যেক জাতির নিকট এ মর্মে রাসূল পাঠিয়েছি যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করো এবং সকল তাগুত (যার অনুসরণ করে মানুষ আল্লাহ তা‘আলার সত্য পথ থেকে দূরে সরে যায়) কে প্রত্যাখ্যান করো”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৩৬]

সর্ব প্রথম রাসূল হচ্ছেন নূহ ‘আলাইহিস সালাম। তেমনিভাবে সর্বশেষ রাসূল হচ্ছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সকল নবী ও রাসূলগণ মানুষই ছিলেন যাঁদেরকে আল্লাহ তা‘আলা নিজ বান্দার মধ্য থেকে তাদেরকে নবুওয়াত ও রিসালতের জন্য চয়ন করেছেন এবং তাদেরকে মু‘জিযা দিয়ে শক্তিশালী করেছেন। মানুষের সকল বৈশিষ্ট্য তাদের মধ্যে বিদ্যমান ছিলো। তাদের মধ্যে রুবূবিয়্যাত ও উলূহিয়্যাতের কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। না তারা কারোর লাভ বা ক্ষতি করতে পারেন। না তারা কোনো কিছুর ভাণ্ডারের মালিক। না তারা কোনো গায়িব জানেন বা জানতেন। শুধু তারা তাই জানতেন যা আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জানিয়েছেন।

নবী ও রাসূলগণের অন্তর ছিলো অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, তাদের মেধা ছিলো অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, ঈমান ছিলো অত্যন্ত খাঁটি, চরিত্র ছিলো অত্যন্ত সুন্দর, ধার্মিকতায় ছিলেন তারা অত্যন্ত পরিপূর্ণ, ইবাদতে ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী, শারীরিক শক্তিতে ছিলেন অধিক শক্তিমান, গঠনাকৃতিতে তারা ছিলেন অত্যন্ত সুন্দর। তারা নিজ উম্মতদেরকে যে অহীর বাণী শুনিয়েছেন তাতে তারা ছিলেন সকল ভুলের উর্ধ্বে। তাদের মৃত্যুর পর কেউ তাদের সম্পদের ওয়ারিশ হন না। তাদের চোখ ঘুমায় অন্তর ঘুমায় না। মৃত্যুর সময় তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোনোটি চয়ন করার এখতিয়ার দেওয়া হয়। যেখানে তারা মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই তাদেরকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর পর তাদের শরীরকে মাটি খেতে পারে না। তারা কবরের জীবনে জীবিত। তাদের মৃত্যুর পর তাদের স্ত্রীগণকে বিবাহ্ করা যায় না।

৫. পরকালের প্রতি ঈমান:

পরকালে বিশ্বাস বলতে কিয়ামতের ছোট-বড়ো আলামত, কবরের ফিতনা, আযাব ও শান্তি, কিয়ামতের দিন মানুষের পুনরুত্থান, কিয়ামতের মাঠে সবার সম্মিলিত অবস্থান, হিসাব-নিকাশ, পুলসিরাত, নেক ও বদের পাল্লা, জান্নাত ও জাহান্নাম ইত্যাদির ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করাকে বুঝায়। ঈমানের আরো অন্যান্য স্তম্ভের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের পাশাপাশি আল্লাহ তা‘আলা ও পরকালে দৃঢ় বিশ্বাসের ওপর সর্বদা সত্যের ওপর অটলতা এবং দুনিয়া ও আখিরাতেরসমূহ কল্যাণ নির্ভরশীল।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ لَيَجۡمَعَنَّكُمۡ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ لَا رَيۡبَ فِيهِ﴾ [ النساء : ٨٧ ]

“তিনি আল্লাহ। যিনি ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই। নিশ্চয় তিনি কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে একত্রিত করবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮৭]

কবরের আযাব আবার দু’ ধরনের।

ক. যা কিয়ামত পর্যন্ত আর কখনো বন্ধ হবে না। যা কাফির ও মুনাফিকদেরকে দেওয়া হবে।

খ. যা কোনো এক সময় বন্ধ হয়ে যাবে। তাওহীদের ওপর প্রতিষ্ঠিত গুনাহগারদেরকে দেওয়া হবে। এদের প্রত্যেককে তার গুনাহ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। এরপর শাস্তি হালকা করে দেওয়া হবে অথবা গুনাহ মাফের কোনো কারণ তথা সাদাকায়ে জারিয়া, লাভজনক জ্ঞান অথবা নেককার সন্তানের দো‘আ ইত্যাদির কোনোটি পাওয়া গেলে তার শাস্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর কবরের শান্তি শুধু খাঁটি ঈমানদারদের জন্য। তবে একজন মুমিন আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হওয়া, ইসলামী রাষ্ট্র পাহারা দেওয়া ও পেটের রোগে মারা যাওয়ার দরুন কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারে।

মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের রূহের অবস্থান:

বারযাখী তথা কবরের জীবনে মর্যাদার দিক দিয়ে মানুষের রূহমূহের অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন হবে। কারো কারোর রূহ তো থাকবে সর্বোচ্চ মর্যাদায় তথা আ’লা ’ইল্লিয়্যীনে। সেগুলো হচ্ছে নবীগণের রূহ। তাদের মর্যাদাগত অবস্থানও আবার ভিন্ন ভিন্ন হবে।

কারো কারোর রূহ আবার পাখির ছবিতে জান্নাতের গাছে গাছে ঝুলানো থাকবে। সেগুলো হচ্ছে মুমিনদের রূহ। আবার কারো কারোর রূহ তো সবুজ বর্ণের পাখির পেটে থাকবে যেগুলো জান্নাতের সর্ব জায়গায় ইচ্ছা মতো ঘুরে বেড়াবে। সেগুলো হচ্ছে শহীদের রূহ। কারো কারোর রূহ আবার কবরে বন্দী থাকবে। সেগুলো হচ্ছে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আত্মসাৎকারীদের রূহ। আবার কারো কারোর রূহ জান্নাতের দরজায় আটকানো থাকবে। সেগুলো হচ্ছে ঋণগ্রস্তদের রূহ। কারো কারোর রূহ আবার জমিনে আটকানো থাকবে। সেগুলো হচ্ছে নিকৃষ্ট রূহ। কাফির, মুনাফিক ও মুশরিকদের রূহ। আবার কারো কারোর রূহ থাকবে আগুনের চুলোয়। সেগুলো হচ্ছে ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর রূহ। কারো কারোর রূহ আবার রক্তের নদীতে সাঁতরাবে এবং তাদের মুখে পাথর ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। সেগুলো হচ্ছে সুদ গ্রহিতার রূহ।

৬. ভাগ্যের ভালোমন্দের প্রতি ঈমান:

ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান বলতে সে ব্যাপারে এ কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করাকে বুঝায় যে, দুনিয়াতে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেন সে ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বহু পূর্ব থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন তাই তা ঘটেছে। ভাগ্যের ব্যাপারটি হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টির ব্যাপারে তাঁর এক বিরাট রহস্য, যা তাঁর কোনো নিকটতম ফিরিশতা বা রাসূলগণও জানেন না। তাতে আবার চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা হলো:

ক. এ কথা বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু সামগ্রিকভাবেই জানেন। আল্লাহর সৃষ্টি জগতের কোনো কিছুই তাঁর অজানা নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱللَّهُ ٱلَّذِي خَلَقَ سَبۡعَ سَمَٰوَٰتٖ وَمِنَ ٱلۡأَرۡضِ مِثۡلَهُنَّۖ يَتَنَزَّلُ ٱلۡأَمۡرُ بَيۡنَهُنَّ لِتَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ﴾ [ الطلاق : ١٢ ]

“আল্লাহ তা‘আলাই সৃষ্টি করেছেন সপ্তাকাশ ও সাত জমিন। সেগুলোর মধ্যে নেমে আসে তাঁর নির্দেশ। যেন তোমরা বুঝতে পারো যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সর্ববিষয়ে শক্তিমান। আর নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সকল বিষয়ে চূড়ান্ত জ্ঞান রাখেন”। [সূরা আত-তালাক, আয়াত: ১২]

খ. এ কথা বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তা‘আলা সকল সৃষ্টি, তাদের অবস্থা ও রিযিক পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে লাওহে মাহফুযে লিখে রেখেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَمۡ تَعۡلَمۡ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا فِي ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِۚ إِنَّ ذَٰلِكَ فِي كِتَٰبٍۚ إِنَّ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٞ ٧٠﴾ [ الحج : ٧٠ ]

“তুমি কি জানো না যে, আকাশ ও জমিনে যা কিছু রয়েছে আল্লাহ তা‘আলা তা সবই জানেন এবং সব কিছুই লিখিত রয়েছে কিতাবে তথা লাওহে মাহফূযে। অবশ্যই এ কাজটি আল্লাহ তা‘আলার জন্য খুবই সহজ”। [সূরা আল-হজ, আয়াত: ৭০]

আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلَائِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ»

“আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সকল সৃষ্টির ভাগ্য আকাশ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগেই লিখে রেখেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৫৩।]

গ. এ কথা বিশবাস করা যে, দুনিয়াতে যা কিছু ঘটছে এর কোনো কিছুই আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা ছাড়া ঘটে নি।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيَفۡعَلُ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُ﴾ [ ابراهيم : ٢٧ ]

“আল্লাহ তা‘আলা যা চান তাই করেন”। [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ২৭]

তিনি আরো বলেন,

﴿وَلَوۡ شَآءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُ﴾ [ الانعام : ١١٢ ]

“আর তোমার রব চাইলে তারা এমন কাজ করতে পারতো না”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১১২]

ঘ. এ কথা বিশ্বাস করা যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি ছাড়া আর কেউ কোনো কিছু সৃষ্টি করেন নি। তিনিই প্রতিপালক।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖۖ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ وَكِيلٞ ٦٢﴾ [ الزمر : ٦٢ ]

“আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি সব কিছুর রক্ষকও”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬২]

তিনি আরো বলেন,

﴿وَٱللَّهُ خَلَقَكُمۡ وَمَا تَعۡمَلُونَ ٩٦﴾ [ الصافات : ٩٦ ]

“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে এমনকি তোমাদেরসমূহ কর্মকেও সৃষ্টি করেছেন”। [সূরা আস-সাফফাত, আয়াত: ৯৬]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন