hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কতিপয় দীনী বিষয় যা একজন মুসলিমের জানা প্রয়োজন

লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয আল-মাদানী

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর অর্থ, রুকন ও শর্তসমূহ
এটি হচ্ছে তাওহীদ, ইখলাস ও তাক্বওয়ার কালেমা এবং এটিই হচ্ছে একজন মুসলিমের জন্য দৃঢ় বাণী। এর জন্যই আকাশ ও জমিন স্থির রয়েছে। এর পরিপূর্ণতার জন্যই সুন্নাত ও ফরযের বিধান রাখা হয়েছে। যে ব্যক্তি সঠিকভাবে এর অর্থ বুঝে এরসমূহ বিষয়ের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে এর চাহিদা মতো আমল করে সেই তো খাঁটি মুসলিম; অন্যথা নয়।

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর ভাবার্থ: এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বূদ বা উপাস্য নেই। তথা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। তিনিই একমাত্র ইবাদতের উপযুক্ত। ইবাদতে তাঁর কোনো শরীক নেই যেমনিভাবে সৃষ্টিকুলের মালিকানায় তাঁর কোনো শরীক নেই।

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর রুকনসমূহ:

এর রুকন হচ্ছে দু’টি। যা নিম্নরূপ:

ক. আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত যে আর কেউ নেই এ কথা বিশ্বাস করা। অন্য কথায়, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য যে কোনো বস্তু বা ব্যক্তির ইবাদাতকে অস্বীকার করা।

খ. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই যে ইবাদতের উপযুক্ত এ কথা মনেপ্রাণে স্বীকার ও বিশ্বাস করা।

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর শর্তসমূহ:

১. কালেমার অর্থ ভালোভাবে জানা ও এ কালেমা কি করতে বলে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করা এবং তার ওপর আমল করা। কেউ যদি এ কথা জানে যে, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ইবাদতের উপযুক্ত। তিনি এ ব্যাপারে একক। তাঁর কোনো শরীক নেই এবং তিনি ছাড়া অন্য যে কারোর ইবাদত বাতিল বলে গণ্য। উপরন্তু সে উক্ত জ্ঞানানুযায়ী আমলও করে তা হলে সে কালেমার অর্থ বুঝেছে বলে দাবি করতে পারে। অন্য কথায়, কেউ কালেমার অর্থ ভালোভাবে জানলে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ যে ইবাদতের সামান্যটুকুরও অংশীদার হতে পারে এমন কথা ও কাজ সে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। অতএব, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারোর একচ্ছত্র আনুগত্য করা, কাউকে এককভাবে ভয় করা এবং কাউকে সকল আশা ও ভরসার কেন্দ্রবিন্দু মনে করা ইত্যাদি সত্যিই কালেমা বিরোধী ও ঈমান বিধ্বংসের কারণ।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَٱعۡلَمۡ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ﴾ [ محمد : ١٩ ]

“তুমি জেনে রাখো যে, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বূদ বা উপাস্য নেই”। [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ১৯]

২. উক্ত কালেমার সাক্ষ্য প্রশান্তিময় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে উচ্চারণ করা। যাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকবে না। একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই যে ইবাদতের উপযুক্ত এবং তিনি ছাড়া অন্য যে কারোর ইবাদত যে বাতিল বলে গণ্য উপরন্তু অন্য কারোর জন্য যে ইবাদতের সামান্যটুকুও ব্যয় করা জায়িয নয় এ কথাগুলো সত্য বলে মনেপ্রাণে দৃঢ় বিশ্বাস করতে হবে। কেউ যদি উক্ত সাক্ষ্যর ব্যাপারে সামান্যটুকুও সন্দেহ পোষণ করে এবং আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারোর ইবাদত যে বাতিল বলে গণ্য এ ব্যাপারে কোনো ধরনের দ্বিধা-সংশয় বোধ করে তাহলে তার উপরোক্ত সাক্ষ্য অবশ্যই বাতিল বলে গণ্য হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ لَمۡ يَرۡتَابُواْ ﴾ [ الحجرات : ١٥ ]

“নিশ্চয় সত্যিকার ঈমানদার ওরা যারা আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান এনেছে। অতঃপর তাতে কোনো ধরনের সন্দেহ পোষণ করে নি”। [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৫]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَشْهَدُ أَنْ لَا الهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ لَا يَلْقَى اللَّهَ بِهِمَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فِيهِمَا إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّة»

“আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই এবং নিশ্চয় আমি আল্লাহর রাসূল এ ব্যাপারে কোনো বান্দা নিঃসন্দেহভাবে সাক্ষ্য দিয়ে আল্লাহ তা‘আলার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারলে সে নিশ্চয় জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭।]

৩. উক্ত কালেমা যা ধারণ করা ও করতে বলে তা সম্পূর্ণরূপে কায়মনোবাক্যে মেনে নেওয়া। তথা আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে তা সম্পূর্ণরূপে স্বীকার, বিশ্বাস ও গ্রহণ করা। এর কোনো কিছুই পরিবর্তন ও অপব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান না করা। যেমনঃ ইয়াহূদী-খ্রিস্টানের আলিমরা উক্ত কালেমার অর্থ জানতো এবং তা বিশ্বাসও করতো। তবে তারা তা অহঙ্কারবশতঃ গ্রহণ করে নি ও মেনে নেয় নি।

আল্লাহ তা‘আলা তাদের সম্পর্কে বলেন,

﴿ٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ يَعۡرِفُونَهُۥ كَمَا يَعۡرِفُونَ أَبۡنَآءَهُمۡۖ وَإِنَّ فَرِيقٗا مِّنۡهُمۡ لَيَكۡتُمُونَ ٱلۡحَقَّ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ١٤٦﴾ [ البقرة : ١٤٦ ]

“যাদেরকে আমরা কিতাব দিয়েছি তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনভাবে চিনে যেমন চিনে নিজ পুত্রসন্তানদেরকে। তবে নিশ্চয় তাদের এক দল জ্ঞাতসারে সত্যকে গোপন করছে”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৪৬]

যারা শরী‘আতের কোনো বিধান কিংবা দণ্ড-বিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলে যেমন, চুরি ও ভ্যবিচারের দন্ড অথবা বহু বিবাহের মতো বিধানের ওপর নাক সিটকায় তারা যে উক্ত কালেমার চাওয়া-পাওয়া মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারে নি তা সহজেই বুঝা যায়।

৪. উক্ত কালেমা যা বুঝায় তা সম্পূর্ণরূপে মাথা পেতে নেওয়া। তথা আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে তা কোনো ধরনের কমানো বাড়ানো ছাড়াই সম্পূর্ণরূপে ও সন্তুষ্ট চিত্তে মাথা পেতে নেওয়া এবং কাজে পরিণত করা। উপরন্তু তা নিয়ে কোনো প্রশ্নের অবতারণা না করা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَأَنِيبُوٓاْ إِلَىٰ رَبِّكُمۡ وَأَسۡلِمُواْ لَهُ﴾ [ الزمر : ٥٤ ]

“তোমরা নিজ রবের অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করো”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥﴾ [ النساء : ٦٥ ]

“তোমার রবের শপথ! তারা কখনো ঈমানদার হতে পারে না যতক্ষণ না তারা নিজেদের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ বিষয়ে তোমাকে বিচারক হিসেবে মেনে নেয়, অতঃপর তোমার ফায়সালা সন্তুষ্ট চিত্তে মাথা পেতে নেয়”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৫]

এ শর্ত ও পূর্বের শর্তের মাঝে পার্থক্য এই যে, পূর্বের শর্ত কালেমা যা বুঝায় তা মৌখিকভাবে মেনে নেওয়া আর এ শর্ত হচ্ছে তা কার্যগতভাবে মেনে নেওয়া।

যারা শরী‘আতের বিচার বাদ দিয়ে মানব রচিত বিচারের নিকট ধর্ণা দেয় তারা যে উক্ত কালেমার চাওয়া-পাওয়া মাথা পেতে নিতে পারেনি তা সহজেই বুঝা যায়।

৫. উক্ত কালেমা যা বুঝায় তা মনেপ্রাণে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সত্যবাদিতার পরিচয় দেওয়া। এ কালেমার প্রতি অন্যকে দাওয়াত দেওয়া এবং আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য ও তাঁর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে নিজ সর্বশক্তি বিনিয়োগ করা সত্যিকারার্থেই এ ব্যাপারে সত্যবাদিতার পরিচয় বহন করে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَكُونُواْ مَعَ ٱلصَّٰدِقِينَ ١١٩﴾ [ التوبة : ١١٩ ]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করো এবং (কথায় ও কাজে) সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১১৯]

আবু মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ قَال لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ صَادِقًا بِهَا دَخَلَ الْجَنَّة»

“যে ব্যক্তি সত্যিকারভাবে বলবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [আহমদ: ৪/১১।]

আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে এর পুরোটা কিংবা কিয়দংশ কেউ অসত্য বলে মনে করলে সে যে উক্ত কালেমা বিশ্বাসে অসত্যবাদী তা সহজেই বুঝা যায়। এ জাতীয় ঈমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোনোভাবেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত করতে পারবে না। বরং সে মুনাফিক বলেই বিবেচিত।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَمَا هُم بِمُؤۡمِنِينَ ٨﴾ [ البقرة : ٨ ]

“মানুষদের মাঝে এমন কিছু লোকও রয়েছে যারা বলেঃ আমরা আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূলের ওপর ঈমান এনেছি অথচ তারা সত্যিকারার্থে কোনো ঈমানই আনে নি”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৮]

৬. উক্ত কালেমার প্রতি বিশ্বাস যে কোনো শির্কের লেশ থেকে মুক্ত করা। তথা তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি কামনায় হতে হবে। তা কাউকে দেখানো বা শুনানো কিংবা দুনিয়ার কোনো লাভ বা ভোগের ইচ্ছায় না হতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَا لِلَّهِ ٱلدِّينُ ٱلۡخَالِصُ﴾ [ الزمر : ٣ ]

“জেনে রাখো, অবিমিশ্র আনুগত্য একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই জন্য”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ خَالِصًا مِنْ قَلْبِهِ أَوْ نَفْسِهِ»

“কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পেয়ে ভাগ্যবান হবে সে ব্যক্তি যে খাঁটি মনে বলেছে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৯।]

৭. উক্ত কালেমা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কিছুকেই ভালোবাসা এবং যা এর বিপরীত তা মনভরে ঘৃণা করা। তথা আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা এবং এদের ভালোবাসা সকল ভালোবাসার ওপর প্রাধান্য দেওয়া। উপরন্তু এঁদের ভালোবাসার সকল শর্ত ও চাহিদা পূরণ করা। তথা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয়, আশা ও সম্মান দিয়ে ভালোবাসা। এমন সকল স্থানকেও ভালোবাসা যেগুলোকে আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন যেমন, মক্কা, মদীনা ও বিশ্বের সকল মসজিদ। এমন সকল সময়কেও ভালোবাসা যেগুলোকে আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন যেমন, রামাযান, জিলহজের প্রথম দশ দিন ইত্যাদি। এমন সকল ব্যক্তিবর্গকেও ভালোবাসা যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন যেমন, নবী, রাসূল, ফিরিশতা, সিদ্দীক, শহীদ ও নেককারগণ। এমন সকল কাজকেও ভালোবাসা যেগুলোকে আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন যেমন, সালাত, যাকাত, সাওম, হজ ইত্যাদি। এমন সকল কথাকেও ভালোবাসা যেগুলোকে আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন যেমন, যিকির, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি।

এর বিপরীতে সকল কাফির, মুশরিক ও মুনাফিক এবং সকল কুফরী, ফাসিকী ও যে কোনো গুনাহকে অপছন্দ করা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَن يَرۡتَدَّ مِنكُمۡ عَن دِينِهِۦ فَسَوۡفَ يَأۡتِي ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ يُحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ يُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوۡمَةَ لَآئِمٖ﴾ [ المائ‍دة : ٥٤ ]

“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কেউ মুরতাদ হয়ে গেলে তথা নিজ ধর্ম ত্যাগ করলে তাতে আল্লাহ তা‘আলার কিছুই আসে যায় না। বরং অচিরেই আল্লাহ তা‘আলা তাদের পরিবর্তে এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসবে। তারা মুমিনদের প্রতি নম্র ও কাফিরদের প্রতি কঠিন থাকবে। তারা আল্লাহ তা‘আলার পথে জিহাদ করবে। এ ব্যাপারে তারা কোনো নিন্দুকের নিন্দা পরোয়া করবে না”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿لَّا تَجِدُ قَوۡمٗا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ يُوَآدُّونَ مَنۡ حَآدَّ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَوۡ كَانُوٓاْ ءَابَآءَهُمۡ أَوۡ أَبۡنَآءَهُمۡ أَوۡ إِخۡوَٰنَهُمۡ أَوۡ عَشِيرَتَهُمۡ﴾ [ المجادلة : ٢٢ ]

“তুমি এমন কোনো সম্প্রদায় পাবে না যারা আল্লাহ তা‘আলা ও পরকালে বিশ্বাসী বলে দাবি করে, অথচ তারা ভালোবাসে আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল বিরোধীদেরকে। যদিও তারা হোক না তাদের পিতা, পুত্র, ভাই ও জ্ঞাতি-গোষ্ঠী”। [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ২২)

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ كَانَ يُحِبُّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ وَمَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَمَنْ كَانَ أَنْ يُلْقَى فِي النَّارِ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَرْجِعَ فِي الْكُفْرِ بَعْدَ أَنْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْه»

“যার মাঝে তিনটি গুণ থাকবে সে ঈমানের মজা পাবে। একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালোবাসা, আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সব চাইতে বেশি ভালোবাসা এবং মুসলিম হওয়ার পর কাফির হওয়ার চাইতে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া বেশি ভালোবাসা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩।]

এর বিপরীতে কোনো মুমিনকে শত্রু এবং কোনো কাফির ও মুশরিককে বন্ধু মনে করা সত্যিই ঈমান বিরোধী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন