মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”-এর অর্থ, রুকন ও শর্তসমূহ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/23/9
“মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”-এর ভাবার্থ:
কায়মনোবাক্যে এ কথা বিশ্বাস করা ও সাক্ষ্য দেওয়া যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তাঁকে সকল মানব ও জিনের নিকট পাঠানো হয়েছে। অতএব, তিনি আগপরের যা সংবাদ দিয়েছেন তা বিশ্বাস করতে হবে। হালাল-হারামের যে বিধান তিনি দিয়েছেন তা মাথা পেতে নিতে হবে। যা আদেশ করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং যা থেকে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাঁর আনীত শরী‘আত মানতে হবে এবং তাঁর আদর্শ ধরতে হবে। প্রকাশ্যে ও গোপনে। তাঁর ফায়সালা সন্তুষ্ট চিত্তে মাথা পেতে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাঁর আনুগত্য আল্লাহ তা‘আলারই আনুগত্য এবং তাঁর বিরুদ্ধাচরণ স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলারই বিরুদ্ধাচরণ। কারণ, তিনি ছিলেন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে তাঁর একজন বার্তাবাহক। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে দীন ইসলাম পরিপূর্ণ করেছেন। তিনি উম্মতকে এমন পথে রেখে গেছেন যা দিবারাত্র উজ্জ্বল ও সুস্পষ্ট। যে এর বাইরে চলবে সেই পথভ্রষ্ট।
“মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”-এর রুকনসমূহ:
এর রুকন হচ্ছে দু’টি:
ক. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই যে আমাদের একমাত্র রাসূল যার আদর্শ ও আনীত শরী‘আত আমরা সবাই মানতে বাধ্য -এ কথা বিশ্বাস করা।
খ. তিনি যে আল্লাহ তা‘আলার একান্ত বান্দা ও তাঁর প্রিয় রাসূল এ ছাড়া আর কিছুই নন -তা মনেপ্রাণে স্বীকার ও বিশ্বাস করা। তিনি কোনোভাবেই আল্লাহর শরীক নন। তিনি আমাদের মতোই একজন মানুষ। সকল মানবিক বৈশিষ্ট্য তাঁর মধ্যে বিদ্যমান। তবে তিনি গুনাহ থেকে পবিত্র এবং তাঁর নিকট আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অহী আসতো। যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নূরের তৈরি বলে এবং বলে তাঁর কোনো ছায়া নেই তারা সত্যিই প্রকাশ্য মিথ্যাবাদী এবং যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বদা হাযির-নাযির ভাবে তারা অবশ্যই তাঁকে আল্লাহর বান্দা হিসেবে স্বীকার করে না, বরং তারা তাঁকে আল্লাহ তা‘আলার সমকক্ষ কিংবা তাঁর ঊর্ধ্বে ভাবে। আমরা তাঁকে অবশ্যই ভালোবাসবো এবং তাঁর ভালোবাসা আমাদের নিজ জীবন, স্ত্রী, সন্তান ও সকল মানুষের ভালোবাসার ওপর আমরা সর্বাধিক প্রাধান্য দেবো। তবে এ ভালোবাসা তিনি পাচ্ছেন তিনি আল্লাহর রাসূল বলেই এবং আমরা তা করছি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্যই।
তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম কুরাশী। তাঁর মা হচ্ছেন আমিনা বিনতে ওয়াহাব। তিনি ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে হাতীর সালে মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মারা যান যখন তিনি মায়ের গর্ভে। তাঁর জন্ম হলে তাঁর লালন-পালনের সর্বপ্রথম দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তাঁর দাদা আব্দুল-মুত্তালিব। অতঃপর তাঁর চাচা আবু তালিব। তাঁর মাতা মারা যান যখন তাঁর বয়স ছয় বছর। তিনি মহান চরিত্র ও উত্তম বৈশিষ্ট্য নিয়ে জীবন যাপন করছিলেন। তাতে তাঁর সম্প্রদায় তাঁকে আল-আমীন খিতাবে ভূষিত করে। চল্লিশ বছর বয়সে তাঁর নিকট সর্ব প্রথম অহী আসে। তখন তিনি ছিলেন হেরা গর্তে। অতঃপর তিনি সবাইকে মূর্তি পূজা ছেড়ে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে ডাকেন এবং তাঁকে রাসূল হিসেবে মেনে নিতে বলেন। তখন তারা তাঁকে হরেক রকমের কষ্ট দেয়। এতে তিনি ধৈর্য ধরলে মদীনায় হিজরতের পর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দীনকে বিশ্বের বুকে জয়ী করেন। অতঃপর ইসলামের সকল বিধান নাযিল হয়। তখন ইসলাম পরাক্রমশালীরূপে পূর্ণতা লাভ করে। পরিশেষে তিনি হিজরী ১১ সনে রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখ সোমবার ৬৩ বছর বয়সে আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্যে গমন করেন। ইতোমধ্যে তিনি তাঁর পূর্ণ দায়িত্ব পালেন করেন তথা তাঁর উম্মতকে সকল কল্যাণের পথ বাতলে দেন এবং সকল অকল্যাণ থেকে সতর্ক করেন।
“মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”-এর শর্তসমূহ:
১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি উক্ত সাক্ষ্যর অর্থ সঠিকভাবে জানা। যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অধিক ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে তাঁকে আল্লাহ তা‘আলার সমকক্ষ কিংবা তাঁর ঊর্ধ্বে পৌঁছে দিয়েছে তারা অবশ্যই উক্ত সাক্ষ্যর অর্থ সঠিকভাবে জানে নি।
২. উক্ত সাক্ষ্য প্রশান্তিময় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে উচ্চারণ করা। যাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকবে না। কেউ যদি উক্ত সাক্ষ্যর ব্যাপারে সামান্যটুকুও সন্দেহ পোষণ করে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কারোর আদর্শ যে বাতিল বলে গণ্য এ ব্যাপারে কোনো ধরণের দ্বিধা-সংশয় বোধ করে তাহলে তার উপরোক্ত সাক্ষ্য অবশ্যই বাতিল বলে গণ্য হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“নিশ্চয় সত্যিকার ঈমানদার ওরা যারা আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান এনেছে। অতঃপর তাতে কোনো ধরণের সন্দেহ পোষণ করে নি”। [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৫]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই এবং নিশ্চয় আমি আল্লাহর রাসূল এ ব্যাপারে কোনো বান্দা নিঃসন্দেহভাবে সাক্ষ্য দিয়ে আল্লাহ তা‘আলার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারলে সে নিশ্চয় জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭।]
৩. উক্ত সাক্ষ্য যা ধারণ করে ও করতে বলে তা সম্পূর্ণরূপে কায়মনোবাক্যে মেনে নেওয়া। তথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে তা সম্পূর্ণরূপে স্বীকার, বিশ্বাস ও গ্রহণ করা। এর কোনো কিছুই পরিবর্তন ও অপব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান না করা। যেমন ইয়াহূদী-খ্রিস্টানের আলিমরা তাঁকে ভালোভাবে চিনতো, তাঁর ব্যাপারে উক্ত সাক্ষ্যর অর্থ সঠিকভাবে জানতো এবং তা বিশ্বাসও করতো। তবে তারা তা অহঙ্কারবশতঃ গ্রহণ করেনি ও মেনে নেয় নি। আল্লাহ তা‘আলা তাদের সম্পর্কে বলেন,
“যাদেরকে আমরা কিতাব দিয়েছি তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনভাবে চিনে যেমন চিনে নিজ পুত্রসন্তানদেরকে। তবে নিশ্চয় তাদের এক দল জ্ঞাতসারে সত্যকে গোপন করছে”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৪৬]
যারা শরী‘আতের কোনো বিধান কিংবা দণ্ডবিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলে যেমন, চুরি ও ব্যভিচারের দণ্ড অথবা বহু বিবাহের মতো বিধানের ওপর নাক সিটকায় তারা যে উক্ত সাক্ষ্যর চাওয়া-পাওয়া মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারে নি তা সহজেই বুঝা যায়।
৪. উক্ত সাক্ষ্য যা বুঝায় তা সম্পূর্ণরূপে মাথা পেতে নেওয়া। তথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে তা কোনো ধরণের কমানো বাড়ানো ছাড়াই সম্পূর্ণরূপে ও সন্তুষ্ট চিত্তে মাথা পেতে নেওয়া এবং কাজে পরিণত করা। উপরন্তু তা নিয়ে কোনো প্রশ্নের অবতারণা না করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তোমার রবের শপথ! তারা কখনো ঈমানদার হতে পারে না যতক্ষণ না তারা নিজেদের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ বিষয়ে তোমাকে বিচারক হিসেবে মেনে নেয় অতঃপর তোমার ফায়সালা সন্তুষ্ট চিত্তে মাথা পেতে নেয়”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৫]
এ শর্ত ও পূর্বের শর্তের মাঝে পার্থক্য এই যে, পূর্বের শর্ত বলতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি উক্ত সাক্ষ্য যা বুঝায় তা মৌখিকভাবে মেনে নেওয়া আর এ শর্ত হচ্ছে তা কার্যগতভাবে মেনে নেওয়া।
যারা শরী‘আতের বিচার বাদ দিয়ে মানব রচিত বিচারের নিকট ধর্ণা দেয় তারা যে উক্ত সাক্ষ্যর চাওয়া-পাওয়া মাথা পেতে নিতে পারেনি তা সহজেই বুঝা যায়।
৫. উক্ত সাক্ষ্য যা বুঝায় তা মনেপ্রাণে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সত্যবাদিতার পরিচয় দেওয়া। এ সাক্ষ্যর প্রতি অন্যকে দাওয়াত দেওয়া এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য ও তাঁর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে নিজ সর্বশক্তি বিনিয়োগ করা সত্যিকারার্থেই এ ব্যাপারে সত্যবাদিতার পরিচয় বহন করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করো এবং (কথায় ও কাজে) সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১১৯]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে এর পুরোটা কিংবা কিয়দংশ কেউ অসত্য বলে মনে করলে সে যে উক্ত সাক্ষ্যর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসে অসত্যবাদী তা সহজেই বুঝা যায়। এ জাতীয় ঈমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোনোভাবেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত করতে পারবে না। বরং সে মুনাফিক বলেই বিবেচিত।
৬. উক্ত সাক্ষ্যর প্রতি বিশ্বাস যে কোনো শির্ক থেকে মুক্ত করা। তথা তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি কামনায় হতে হবে। তা কাউকে দেখানো বা শুনানো কিংবা দুনিয়ার কোনো লাভ বা ভোগের ইচ্ছায় না হতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করলো সে যেন স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলারই আনুগত্য করলো। আর যে তার আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো (তাকে নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার কোনো মানে হয় না) বরং (হে রাসূল! তুমি জেনে রাখো,) আমরা তোমাকে তাদের রক্ষকরূপে পাঠাই নি”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮০]
৭. উক্ত সাক্ষ্যর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কিছুকেই ভালোবাসা এবং যা এর বিপরীত তা মনভরে ঘৃণা করা। তথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা এবং তাঁর ভালোবাসাকে সকল ভালোবাসার ওপর প্রাধান্য দেওয়া। উপরন্তু তাঁর ভালোবাসার সকল শর্ত ও চাহিদা পূরণ করা। তথা তাঁকে মনেপ্রাণে অগাধ সম্মান দিয়ে ভালোবাসা। এমন সকল স্থানকেও ভালোবাসা যেগুলোকে তিনি ভালোবাসতেন যেমন, মক্কা, মদীনা ও বিশ্বের সকল মসজিদ। এমন সকল সময়কেও ভালোবাসা যেগুলোকে তিনি ভালোবাসতেন যেমনঃ রামাযান, জিলহজের প্রথম দশ দিন ইত্যাদি। এমন সকল সত্তা ও ব্যক্তিকেও ভালোবাসা যাদেরকে তিনি ভালোবাসতেন যেমন, আল্লাহ তা‘আলা, তিনি ছাড়া অন্যান্য নবী, রাসূল, ফিরিশতা, সিদ্দীক, শহীদ ও নেককারগণ। এমন সকল কাজকেও ভালোবাসা যেগুলোকে তিনি ভালোবাসতেন যেমন, সালাত, যাকাত, সাওম, হজ ইত্যাদি। এমন সকল কথাকেও ভালোবাসা যেগুলোকে তিনি ভালোবাসতেন যেমন, যিকির, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি।
এর বিপরীতে সকল কাফির, মুশরিক ও মুনাফিক এবং সকল কুফুরী, ফাসিকী ও যে কোনো গুনাহ অপছন্দ করা।
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কেউ মুরতাদ হয়ে গেলে তথা নিজ ধর্ম ত্যাগ করলে (তাতে আল্লাহ তা‘আলার কিছুই আসে যায় না, বরং) অচিরেই আল্লাহ তা‘আলা তাদের পরিবর্তে এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসবে। তারা মুমিনদের প্রতি নম্র ও কাফিরদের প্রতি কঠিন থাকবে। তারা আল্লাহ তা‘আলার পথে জিহাদ করবে। এ ব্যাপারে তারা কোনো নিন্দুকের নিন্দা পরোয়া করবে না”। [সূরা আল-মায়িদাহ, আয়াত: ৫৪]
“তুমি এমন কোনো সম্প্রদায় পাবে না যারা আল্লাহ তা‘আলা ও পরকালে বিশ্বাসী বলে দাবি করে অথচ তারা ভালোবাসে আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল বিরোধীদেরকে। যদিও তারা হোক না তাদের পিতা, পুত্র, ভাই ও জ্ঞাতি-গোষ্ঠী”। [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ২২]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যার মাঝে তিনটি গুণ থাকবে সে ঈমানের মজা পাবে। একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালোবাসা, আল্লাহ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সব চাইতে বেশি ভালোবাসা এবং মুসলিম হওয়ার পর কাফির হওয়ার চাইতে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া বেশি ভালোবাসা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩।]
এর বিপরীতে কোনো মুমিনকে শত্রু এবং কোনো কাফির ও মুশরিককে বন্ধু মনে করা সত্যিই ঈমান বিরোধী।
যে কোনো গুনাহ’র কাজ করা ও যে কোনো বিদ্’আতে লিপ্ত হওয়া উক্ত সাক্ষ্য বিরোধী। কারণ, যে কোনো গুনাহর গুনাহ’র মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণাঙ্গ আনুগত্য থেকে বের হয়ে যায়। তেমনিভাবে যে কোনো বিদ‘আতী বিদ‘আতের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও তাঁর সঠিক ইত্তিবা’ থেকে বের হয়ে যায়।
আমলী বিদ‘আতীরা যদি সত্য জানার অগাধ নিষ্ঠা থাকা সত্ত্বেও সত্য পর্যন্ত পৌঁছুতে না পারে তা হলে হয়তো বা তারা আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা পেয়ে যেতে পারে তবে তাদের বিদ‘আতী কর্মকাণ্ড কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। আর বিদ‘আতীদের মধ্যে যারা ইমাম পর্যায়ের বা নেতৃস্থানীয় তারা যদি সত্য বুঝেও তা গ্রহণ না করে তাদের পূর্বেকার বিদ‘আতী কর্মকাণ্ডের ওপর অটল থাকে তাহলে তাদের সাথে আবু জাহল, উতবাহ ও ওলীদের মতো বড়ো বড়ো কাফিরদের কিছুটা হলেও মিল রয়েছে বললে তা তাদের ব্যাপারে বেশি বলা হবে না। যারা একদা নিজেদের পদমর্যাদা টেকানোর জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অহীর বাণী প্রত্যাখ্যান করেছে। তেমনিভাবে ইমামগণের অনুসারীদের মধ্যেও যারা সত্য বুঝে তা প্রত্যাখ্যান করে তারাও ক্ষমার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। এ জাতীয় লোকদের সম্পর্কেই আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“বরং তারা বলে, আমরা তো আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকেও এই একই মতাদর্শের ওপর পেয়েছি। অতএব, আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে হিদায়াতপ্রাপ্ত হবো”। [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ২২]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/23/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।