মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে এমন মতবাদ যা কোনো ব্যাপারে যে কোনো ধর্মের পক্ষপাতিত্ব না করে না, তথা যে কোনো ধর্মের নিয়ন্ত্রণ কিংবা অনুশাসন না মানার প্রতি আহ্বান করে। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ধ্বজাধারীরা কিন্তু উক্ত অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নয়। কারণ, তাদের অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে যে কোনো ধর্মের কিছু না কিছু অনুশাসন মেনে চলে। তাই তাদের অনেককেই কখনো কখনো সালাত, সাওম, হজ, যাকাত, কুরআন তিলাওয়াত কিংবা অমূলক কেচ্ছা ও ফযীলত সর্বস্ব ওয়ায মাহফিল ও বয়ান শুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। অতএব, পারিভাষিক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে এমন মতবাদকে বুঝানো হয় যে মতবাদে যে কোনো ধর্মকে ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আচরণের বিষয়রূপে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া আর অন্য কোথাও নয়। তাদের মতে যে কোনো রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মের পক্ষপাতিত্ব করতে পারে না। অন্য কথায় যে রাজনৈতিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র নীতিগতভাবে কোনো ধর্মের পক্ষপাতিত্ব কিংবা ধর্মকে ব্যবহার করে না। যদিও কোনো কোনো রাষ্ট্র কিংবা প্রশাসন জনগণের কঠিন চাপের মুখে কোনো না কোনো সময় যে কোনো ধর্মের পক্ষপাতিত্ব করে। তবে মনে রাখতে হবে এ জাতীয় ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নীতিগত নয় বরং তা চাপের মুখে।
তাই বলতে হয় ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ একটি নতুন দর্শন ও একটি নতুন বিপ্লব। যা তার ভক্তদেরকে রাষ্ট্র থেকে যে কোনো ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে রেখে একমাত্র দুনিয়ার ক্ষণিকের ভোগ-বিলাসে মত্ত হওয়ার সবক শিখায়। তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দুনিয়া। তাদের অধিকাংশই আখিরাত ও আখিরাতের যে কোনো কর্মকান্ডের প্রতি তেমন একটা ভ্রূক্ষেপ করে না। তাই এদের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত বাণী যথাযথভাবে প্রযোজ্য।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“ধ্বংস হোক দীনার ও দিরহামের গোলাম! ধ্বংস হোক পোশাক-পরিচ্ছদের গোলাম! তাকে কিছু দিলে খুশি। না দিলে বেজার। ধ্বংস হোক! কখনো সে সফলকাম না হোক! সমস্যায় পড়লে সমস্যা থেকে উদ্ধার না হোক! (কাঁটা বিঁধলে না খুলুক)। জান্নাত ঐ ব্যক্তির জন্য যে সর্বদা আল্লাহর রাস্তায় ঘোড়ার লাগাম ধরেই আছে। মাথার চুলগুলো তার এলোমেলো। পা যুগল ধূলিমলিন। সেনাবাহিনীর পাহারায় দিলেও রাজি। পশ্চাতে দিলেও রাজি। ওপরস্থদের নিকট অনুমতি চাইলে তাকে অনুমতি দেওয়া হয় না। কারোর জন্য সুপারিশ করলে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হয় না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৮৬, ২৮৮৭; বায়হাক্বী: ৯/১৫৯, ১০/২৪৫।]
সর্বদা কেউ দুনিয়া কামানোর নেশায় মত্ত থাকলে দুনিয়া যে নিশ্চিতভাবেই সম্পূর্ণরূপে তার হাতে ধরা দিবে তাও কিন্তু সঠিক নয়। বরং আল্লাহ তা‘আলা যাকে যতটুকু দিতে চাবেন সে ততটুকুই পাবে। এর বেশি কিছু সে পাবে না। আর ভাগ্যক্রমে সে তার চাহিদানুযায়ী দুনিয়ার সবটুকু পেলেও পরকালে তার জন্য নির্ধারিত থাকবে শুধু জাহান্নাম এবং তার সকল আমল বাতিল বলেই গণ্য হবে।
“কোন ব্যক্তি পার্থিব কোনো সুখ-সম্ভোগ কামনা করলে আমি যাকে ইচ্ছা এবং যা ইচ্ছা অতিসত্বর দিয়ে থাকি। অতঃপর আমরা তার জন্য নির্ধারিত করে রাখি জাহান্নাম। যাতে সে প্রবেশ করবে অপমানিত ও লাঞ্ছিতভাবে”। [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ১৮]
“যারা পার্থিব জীবন ও উহার সাজসজ্জা চায় আমরা তাদের কৃতকর্মের ফল পূর্ণভাবে দুনিয়াতেই দিয়ে দেবো। এতটুকুও তাদেরকে কম দেওয়া হবে না। এরা এমন যে, আখিরাতে তাদের জন্য জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। তাদের সকল আমল তখন অকেজো এবং নিষ্ফল বলে বিবেচিত হবে”। [সূরা হূদ, আয়াত: ১৫, ১৬]
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা যখন দুনিয়াকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে চাই তা শরী‘আতসম্মত হোক বা নাই হোক তখন শরী‘আতের কোনো অনুশাসন তাদের স্বার্থ বিরোধী হলেই তারা তা কখনো আইনগতভাবে রহিত করবে অথবা কমপক্ষে তার বিরুদ্ধে বলবে।
অতএব, বলতে হয়, যারা বিচারের ক্ষেত্রে মানব রচিত বিধানকেই প্রাধান্য দেয় এবং শরী‘আতের বিধি-বিধানকে রহিত করে তারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। যারা হারাম বস্তুসমূহ যেমন, ব্যভিচার, মদ্যপান, গানবাদ্য কিংবা সুদী কাজ-কারবার ইত্যাদি সমাজে চালু করে এ মনে করে যে, এগুলো নিষেধ করলে জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হবে তারাও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। যারা শরী‘আতের দণ্ডবিধি তথা হত্যাকারীকে হত্যা, ব্যভিচারীকে একশত বেত্রাঘাত করা অথবা সে বিবাহিত হলে তাকে পাথর মেরে সম্পূর্ণরূপে হত্যা করা, মদপানকারীকে আশিটি বেত্রাঘাত করা, চোরের হাত কাটা কিংবা সন্ত্রাসীকে হত্যা করা, ফাঁসী দেওয়া, বিপরীতভাবে তার হাত-পা কেটে ফেলা কিংবা তাকে দূরের কোনো জেলে আটকে রাখা ইত্যাদি অস্বীকার করে কিংবা আইনগতভাবে নিষেধ করে এ মনে করে যে, এগুলো বাস্তবায়ন করা বিশ্রী, কঠোরতা ও মানবতা বিরোধী তারাও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী।
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ যখন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন ছাড়া আর কোথাও কোনো ধর্মের স্বীকৃতি দেয় না তাই তা হচ্ছে একটি শির্কী ও কুফুরী মতবাদ। কারণ, তাতে যেমন মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মের কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয় না তথা এ সকল ব্যাপারে শরী‘আতের বিধানের প্রতি কুফুরী করা হয় তেমনিভাবে এ সকল ক্ষেত্রে সংসদ বা আইন পরিষদকে আইন বা বিধান রচনার অধিকার দেওয়া হয় তথা এ সকল ব্যাপারে সাংসদ ও আইনজ্ঞদেরকে মহান আল্লাহ তা‘আলার অংশীদার করা হয় তাই তা একই সময়ে কুফুরী এবং শির্ক।
একজন মুসলিম তার জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মানতে বাধ্য। আল্লাহ তা‘আলার নিকট একমাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য অন্য কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, তিনিই তো স্রষ্টা। অতএব, তিনিই একমাত্র বিধানদাতা, আর অন্য কেউ নয়।
“যে কেউ ইসলাম ব্যতিত অন্য কোনো ধর্ম অন্বেষণ করে তা কখনই গ্রহনযোগ্য হবে না এবং পরকালে সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫]
নিজের ইচ্ছা মাফিক কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্মকে মানা আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্মকে বাদ দিয়ে অন্য কিছু মানা এটা মূলতঃ ইয়াহূদীদেরই চরিত্র।
“তবে কি তোমরা কিতাবের কিয়দংশ বিশ্বাস করো আর কিয়দংশ অবিশ্বাস করো। তোমাদের মধ্যে যারা এমন করবে তাদের জন্য এ পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা ও দুর্গতি ছাড়া আর কিছুই নেই। উপরন্তু তাদেরকে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির প্রতি সোপর্দ করা হবে। আর আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কর্মের প্রতি কখনোই গাফিল নন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৮৫]
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে এ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের কুফুরী ও শির্কী চেতনা থেকে রক্ষা করুন। আমীন! ইয়া রাব্বাল-আলামীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/23/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।